Tag: Core 5 Superbloc Idea

  • Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নয়া প্ল্যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)! কোর ফাইভ বা সি৫ নামে বৈশ্বিক শক্তিগুলির একটি নয়া এলিট গোষ্ঠী গঠনের কথা ভাবছেন ট্রাম্প (Core 5 Superbloc Idea)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই কোর ফাইভে জায়গা হয়েছে ভারতেরও। প্রস্তাবিত এই ব্লকে থাকবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং জাপান। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এটি মূলত ইউরোপ-প্রাধান্যযুক্ত জি৭ এবং গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডভিত্তিক অন্য জোটগুলিকে পাশ কাটাবে।

    কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ (Donald Trump)

    যদিও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি, তবে খবরটি চাউর হয়ে গিয়েছে। যে পাঁচটি দেশ নিয়ে কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ দেখছেন ট্রাম্প, সেই দেশগুলির তরফেও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা মেলেনি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই সূত্রেই ছড়িয়েছে এই খবর। শোনা যাচ্ছে, ভারত, রাশিয়া, চিন এবং জাপানকে নিয়ে কোর ফাইভ গড়তে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবিত কোর ফাইভে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের। তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সব চেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক গোষ্ঠী জি৭ এর গুরুত্ব লঘু করতেই এই কোর ফাইভ গঠনের ভাবনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Core 5 Superbloc Idea)।

    দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন

    ওয়াশিংটন যখন ইতিমধ্যেই আলোচনা করছে যে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন কতটা বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে পারে, ঠিক সেই সময়ই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ধারণাটি জানিয়ে দেয়, জি৭ ও জি২০–এর মতো যে প্ল্যাটফর্মগুলি রয়েছে, সেগুলি বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি মনে হয় বৃহৎ জনসংখ্যা ও সামরিক-অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যে চুক্তি-ভিত্তিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় (Donald Trump)। মার্কিন মিত্ররা একে এমন একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে যা শক্তিমান নেতাদের মান্যতা দেয়।  কারণ এতে রাশিয়াকে ইউরোপেরও ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পশ্চিমী ঐক্য ও ন্যাটোর সংহতি দুর্বল হতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ট্রাম্প মনে করেন, পাঁচ শক্তিধর এই দেশকে যদি এক ছাতার তলায় নিয়ে চলে আসা যায়, তাহলে সেখান থেকে বিশ্বের অনেকটা সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মলনে যোগ দিয়ে এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া, চিন এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তবে এই সুপার ক্লাবে ভারতকে রাখতে চান তিনি।

    সাবধানে পদক্ষেপ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প খুবই সাবধানে এই পদক্ষেপটি করতে চাইছেন। তিনি মনে করেন, যদি এই দেশগুলি (Core 5 Superbloc Idea) এক ছাতার তলায় চলে আসে, তাহলে সেখানে তিনি তাঁদের নেতা হয়ে সকলকে পরিচালনা করতে পারবেন। তবে বিশ্বের আরও চারটি শক্তিধর দেশ ট্রাম্পের প্রস্তাব যে সহজে মেনে নেবে না, তাও ভালো করেই জানেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি ভারতের ওপর চড়া শুল্ক হার চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। তার জেরে ভারতের সঙ্গে যাতে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ না হয়, তা মাথায় রেখেই ‘ট্রাম্প কার্ড’টি খেলতে চলেছেন ট্রাম্প। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। তাই তাকে না চটিয়েই কাজ হাসিল করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই কারণেই ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে ভারতের জায়গা হলেও, ঠাঁই হয়নি পাকিস্তানের।

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর বেজায় রুষ্ট ট্রাম্প। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। কার্যত, এর পরেই তলানিতে ঠেকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। অথচ আমেরিকাবাসীর একটা বিরাট অংশই চাইছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর যে চড়া হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে, অবিলম্বে তা কমানো হোক (Donald Trump)। এ ব্যাপারে তাঁরা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই নিজের দেশেই বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই গাড্ডা থেকে উঠে আসতে মরিয়া ট্রাম্প। সেই কারণেই ভারতের মন রাখতে নয়াদিল্লিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুপার ক্লাবে।

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি (Core 5 Superbloc Idea) হানা কেলি জানান, এই পরিকল্পনার কোনও ব্যক্তিগত কিংবা লুকোনো কোনও ভার্সন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোর ফাইভ তৈরির বিষয়টি হতে পারে একেবারেই ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভাবনা (Donald Trump)।

LinkedIn
Share