Tag: coromandel express accident

coromandel express accident

  • Coromandel Express Accident: হুগলিতে অন্য কেরালা স্টোরি, দুর্ঘটনায় জখম ৪, নিখোঁজ ১

    Coromandel Express Accident: হুগলিতে অন্য কেরালা স্টোরি, দুর্ঘটনায় জখম ৪, নিখোঁজ ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই ভিন রাজ্যই ভরসা। কাঠের কাজের ভালো কদর কেরালাতে। আর তাই হুগলির হরিপাল থেকে বেশ কিছু আদিবাসী যুবক এই রাজ্যে কাজ না পেয়ে কাঠের কাজ করতে যেত কেরালাতে। গতকাল এমনই ৪ জন যুবক ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) গুরুতর জখম হয়ে বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর একজন নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে। কেরালায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ যুবক ছাড়াও হুগলির পোলবা থেকে চন্দনা ঘোষ নামে আরও এক মহিলা নিখোঁজ বলে জানা গেছে।  

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) হুগলীতে নিখোঁজ

    রাজ্যে যেমন কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে, ঠিক তেমনই বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করার পথ খুঁজে নিচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকের দৈনিক পারিশ্রমিকও ভালো পান শ্রমিকেরা। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে কাজ করে ভালোই উপার্জন করেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার দুপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) চেপে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন হরিপাল থানার পানিশেওলা জোতমাধব গ্রামের রোহিত হেমব্রম, অতনু কিস্কু, গোপাল হেমব্রম, তাপস কিস্কুরা। কিন্তু গতকাল রাতেই খবর আসে যে দেশের অন্যতম বৃহৎ রেল দুর্ঘটনার কবলে তাঁরাও পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত গোপালের কোন খোঁজ মিলছে না বলে জানা গেছে। বালেশ্বর হাসপাতাল থেকে গোপালের আত্মীয়দের বলা হয়, সকাল অবধি হাসপাতালেই ছিলেন তিনি কিন্তু তারপরই ছুটি করে বেরিয়ে যান। আর এরপর থেকেই গোপালের কোন খবর মেলেনি। 

    পরিবাদের উদ্বেগ

    গতকাল ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবরে ওই হতদরিদ্র পরিবার গুলির কাছে আসতেই, মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা হয় পরিবারের সদস্যদের। গভীর রাতেই টাটা সুমো ভাড়া করে দুর্ঘটনা স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আহত পরিবারের সদস্যরা। 

    জেলা শাসকের ভূমিকা

    হুগলির জেলাশাসক পি. দীপাপ প্রিয়া জানান, জেলাতে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম (Coromandel Express Accident)  খোলা হয়েছে। আপাতত ১২ জনের লিস্ট পাওয়া গেছে যারা অল্পবিস্তর জখম। আরও বলেন জেলা শাসক, এখনো অবধি জেলার কারোর মৃত্যুর খবর নেই। ১২ জনের মধ্যে ২ জনের অফিসিয়ালি কোন খোঁজ মেলেনি। যারা আহত হয়েছেন তাদের জেলায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় (Train Accident) বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সুজয় সিংহ রায় নামক এক ব্যাক্তি। সরকারি ঘর পেলে আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।

    নদীয়ার কে ছিলেন ট্রেন (Train Accident) দুর্ঘটনায়?

    নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিনখাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ সুজয়ের বাবা। কোনরকম ভাবে আধপেটা খেয়ে সংসার চলে, তার উপর পড়াশুনার খরচ! চালাবেন কী করে? তাই বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে, কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয়কে। দেড় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, আর সেই কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার সে দেখিয়েছিল। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়।

    পরিবারের উদ্বেগ এবং বোনের বক্তব্য

    বাড়িতে খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রূপসা সিংহ রায় বলে, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর, দাদা নিজেই বলে, আমি দুর্ঘটনায় (Train Accident) পড়ে আহত হয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি! শুধু এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। রূপসা আরও বলে, প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    মায়ের প্রতিক্রিয়া

    সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গিয়েছিল, প্রথমে মেয়ে পড়া থেকে এসে আমাকে বলে দাদার দুর্ঘটনা (Train Accident) হয়েছে। মা আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে এবং ঘরকে পাকাপোক্ত করতেই ছেলে একবছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথার কারণে ছেলে বাড়িতে আসতে চাইছিল। আমরা চাই, প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক।

    বাবার বক্তব্য

    সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় বলেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জনেই এই সংসার চলত। তার উপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পাইনি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘর তৈরির জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে (Train Accident) যেতে হয়েছে। আজ যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার উল্টোসুর

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ বলেন, আমি জানিই না যে আমার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। সুজয়রা কেন ঘর পায়নি? সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামেমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যা। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। দুর্ঘটনার কবলে থাকা সুজয় এখন কবে ফেরে, সেই আশায় উদ্বিগ্ন পরিবার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশনে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভদ্রকের দিকে যাচ্ছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের অভিমুখ ছিল বালেশ্বরের দিকে। করমণ্ডলের বাঁ দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষে তালগোল পাকিয়ে যায় ৩টি ট্রেন। খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেনের একের পর এক কামরা। 

    এখনও পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৬৫০ পার করেছে। দুর্ঘটনার ফলে এখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ওই শাখা। ফলস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া, শিয়ালদা থেকে পুরীগামী একাধিক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ঘুর পথে চালানো হচ্ছে আরও অনেক ট্রেন।

    এক নজরে বাতিল হওয়া ট্রেন—

    হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
    হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস 
    হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস
    হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হাওড়া-এসভিএমটি বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। 
    হাওড়া-তিরুপতি এক্সপ্রেস
    হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-চেন্নাই মেল
    হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস
    হাওড়া-যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    সাঁতরাগাছি-পুরী স্পেশাল
    শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হায়দরাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস
    দিঘা-পুরী সমুদ্রকন্যা এক্সপ্রেস
    ত্রিবান্দ্রম-শালিমার এক্সপ্রেস
    চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস 
    শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস
    শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
    শালিমার-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়া, বাতিল হয়েছে—

    খড়গপুর-জয়পুর-কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর বেলদা মেমু স্পেশাল
    খড়গপুর খুরদা রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর ভদ্রক মেমু
    হাওড়া জয়সলমীর মেমু স্পেশাল
    বাংরিপোপোশি-ভুবনেশ্বর ইন্টারসিটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ট্রেন টাটানগর দিয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর (Odisha Train Accident)

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮-ঘণ্টা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। একদিকে প্রতি ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়। এরমধ্যেই, দুর্ঘটনার জেরে করমণ্ডল ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায় ফিরল বিশেষ ট্রেন। আরও ১০০০ যাত্রীকে নিয়ে পরে আরও একটি ট্রেন আসবে বলে জানা গিয়েছে। 

    হাওড়া পৌঁছল বিশেষ ট্রেন

    শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছল হাওড়ায়। শুক্রবার রাতভর হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের আত্মীয়-পরিজন, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল চরমে। দূরপাল্লার দুই ট্রেন মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সারা রাত ধরে হাজির হতে দেখা গেল হাওড়ার রেল স্টেশনে। হাওড়া পৌঁছনোর খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার দেওয়া হয়। হাওড়া পৌঁছতেই স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তাঁরা। রেলসূত্রে খবর, আরও যাত্রী নিয়ে হাওড়া ফিরছে স্যর এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, একটি বিশেষ ট্রেন আটকা পড়া যাত্রীদের নিয়ে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভদ্রক থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর দ্রুততার সঙ্গে একাধিক হেল্পলাইন খোলা হয়েছে রেলের তরফে। পাশাপাশি চালু হয় ২৪ ঘণ্টার হেল্প ডেস্ক। সরাসরি দুই ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ির লোক রেলের সাহায্য নিতে পারবেন। 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে  পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামাশোল গ্রামে বাড়়ি ফিরলেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা শুক্রবারই কেরালা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একসঙ্গে তাঁরা একটি কামরায় ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। শনিবার একটি গাড়ি ভাড়়া করে তাঁরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ৯ জনকে দেখতে এদিন গ্রামে ভিড় উপচে পড়ে।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন যাত্রীরা

    পটু সেখ নামে এক যাত্রী বলেন,” ৩.২০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে আমাদের ট্রেন (Coromandel Express Accident) ছাড়ে। আমাদের গন্তব্য ছিল কেরালা। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকের কনফার্ম টিকিট ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমাদের ট্রেনটি বালেশ্বর স্টেশনে ঢোকে। তারপরও আরও ৪০ কিলোমিটার যায় আমাদের ট্রেন। ট্রেনের গতি ভালই ছিল। আমরা কামরার মধ্যে খোশ মেজাজে গল্প করছিলাম। আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কেঁপে ওঠে। তখনই বুঝে গিয়েছি, মৃত্যু অবধারিত। একের পর এক কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ছে। আমাদের কামরাটি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। আমরা জানলার কাচ ভেঙে কোনওরকমে বেরিয়ে আসি। বাইরে বেরিয়ে দেখি, মৃত্যু মিছিল। চারিদিকে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কেউ বাঁচানোর জন্য চিত্কার করছে। কামরা থেকে বেরিয়ে মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে কোনওরকমে লাইনের ধারে এসে বসি। পরে, অন্যদের খোঁজ নিই। ৯ জনই বেঁচে ফিরেছি। আমার হাতে খুব চোট লেগেছিল। ঘটনাস্থলে খেলনার মতো ট্রেনের কামরাগুলি পড়েছিল। আমরা এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না। আমরা কোনওরকমে সেখান থেকে হাইওয়ে চলে আসি।”

    কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে বাড়়ি ফিরলেন?

    শেখ নজরুল বলেন,”ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। আমাদের ৯ জনের মধ্যে দুজনের চোট গুরুতর। বাকিরা সকলেই জখম হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা আমি কোনওদিন দেখিনি। কত মানুষ মারা গিয়েছে তার হিসেব নেই। চোখের সামনে এসব হতে দেখেছি। আমাদের ট্রেনের (Coromandel Express Accident) একের পর এক কামরা অন্য ট্রেনের উপরে চেপে রয়েছে। গোটা এলাকা মৃত্যুপুরী হয়ে রয়েছে। হাইওয়ের ধারে সারারাত কাটিয়েছি। গ্রামে সুরজ নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই গাড়িতে করে আমরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরি। এভাবে বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবতে পারিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ঘটল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা? উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    Odisha Train Accident: কীভাবে ঘটল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা? উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বালাসোর। যাকে বলা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৫০। রেলের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল?

    উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তিন-তিনটি ট্রেন— দুটি যাত্রী ও একটি মালগাড়ি একসঙ্গে এক জায়গায় চলে আসে। জট পাকিয়ে যান তিন গাড়ির কামরা। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই তত্ত্বগুলো—

    তত্ত্ব ১: প্রথমে ১২৮৬৪ ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। সেই লাইন দিয়ে আসছিল ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলোতে সজোরে এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কামরাগুলি পাশের লাইনে দাঁড়ানো মালগাড়ির ওপর গিয়ে পড়ে। মালগাড়ির ওপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। দেশলাইয়ের বাক্সের মতো উল্টে যায় একের পর এক কামরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘গোড়ায় গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সেবা’’, বালাসোরে রেলমন্ত্রী

    তত্ত্ব ২: নির্ধারিত গতিতে চলছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হঠাৎ করেই মালগাড়িটি সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা, বাকি কামরা রেল লাইনের উপরে উল্টে যায়। কিছু কামরা পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। তাতে এসে ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।

    তবে কি করমণ্ডল ও বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস জোড়া ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সিগন্যাল ত্রুটি? নাকি চালকের ভুলেই ঘটে গেল ভয়াবহ ও মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকৃত কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে রেল। সেই রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে, ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়।

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল এমার্জেন্সি(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল এনক্যোয়ারি(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share