Tag: Corona

Corona

  • Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী,  নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে। শুক্রবারও দেশের করোনা গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।   
     
    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭০ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটা বেশি। সবচেয়ে চিন্তায় রাখছে দেশের পজিটিভিটি রেট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের পজিটিভিটি রেট ৩.৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহের পজিটিভিটির রেটও ৩.৭৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪১৩ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৮৯ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ৬৩৪ জন বেশি।

    তামিলনাড়ুতে ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,০৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু চেন্নাইতেই এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৯ জন। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪.৭৫ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পর পর দুদিন ১০০০ -এর ওপরে থাকল আক্রান্তের সংখ্যা। এরাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১,৫২৪ জন। পজিটিভিটি রেট ১২.৮৯ শতাংশ। বাংলায় এ যাবৎ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০.২৯ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের 

    মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। একদিনে আক্রান্ত ৩,৬৪০। এযাবৎ এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯.৭৬ লক্ষ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ জনের। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৫ জন। পজিটিভিটি রেট ৪.৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

     

  • Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid 19) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশবাসীকে। টানা দুদিন দেশে কোভিডে (Covid in India) আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে থাকলেও শনিবার এই সংখ্যা ১৩ হাজার পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,২১৬। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ১২,৮৪৭। দেশে এখনও দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৬৫। সংক্রমণের নিরিখে এর পরেই রয়েছে কেরল। কেরলে একদিনে আক্রান্ত ৩,১৬২। কেরলের পরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি (১,৭৯৭), হরিয়ানা (৬৮৯) ও কর্নাটক (৬৩৪)।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার       

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক কোভিড বুলেটিন (Covid Bulletin) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,১৪৮ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে কেরলেই মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। একদিনে কেরলে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে তিন জন, কর্নাটকে দুজন এবং উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪। 

    [tw]


     [/tw]

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৭৩ শতাংশ। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৬ কোটি ৪২ হাজার ৭৬৮ টিকাকরণ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ   

    পুরো বিষয়টির মধ্যে একটিই আশার আলো। আর তা হল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৬ কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল টিকা পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।    

     

  • Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশজুড়ে বিষ নিঃশ্বাস ছড়াচ্ছে করোনা (Covid-19)। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে গেল। বুধবার দেশে নতুন করে মোট ৭,২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত মার্চের পর থেকে যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশের বেশি।

    করোনা সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে। এতদিন এরকমই খবর ছিল। কিন্তু আচমকা কেরলেও খুব দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮,৮৫৭। মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০০০ জন। এছাড়াও করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেরলসহ কর্নাটক, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    চতূর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    বিশেষজ্ঞদের মতে চতূর্থ ঢেউ (4th Wave) আসছে এখনই এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই। এই মুহূর্তে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা হল ওমিক্রন। বছরের শুরুতেই এই ভ্যারিয়েন্টটি নিজের দাপট দেখিয়েছে। দ্বিতীয়বার এই একই ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখানোর সম্ভবনা খুব কম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “সংক্রমণের থেকেও সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। সেদিক থেকে এখনও ভয়ঙ্কর কোনও পরিস্থিতি দেখা যায়নি। এই ধরনের ভাইরাস খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় না। বহুদিন অবধি এরা টিকে থাকবে এবং সংক্রমণ ছড়াবে। কিন্তু আমরা ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো।”

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    কীভাবে বুঝবেন আক্রান্ত হয়েছেন কি না?

    হাঁচি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, বমি, ঘুম-ঘুম ভাব, গা ব্যথা এই লক্ষণগুলি ২-৩ দিনের বেশি থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারে অনীহা, মনযোগের অভাব, খিটখিটে মেজাজ, ঘুমে ঘাটতি, বুকে ব্যথা, র‍্যাশ, হাতে-পায়ে ব্যথা মূলত এগুলিই করোনার লক্ষণ।  

    কেউ করোনা পজিটিভ হলে, তার সংস্পর্শে আসা সকলকে বিষয়টি জানানো উচিত এবং তাদেরও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত এবং কোভিডবিধি মেনে নিভৃতবাসে যাওয়া উচিত।

     

     

     

     

  • Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিমারির সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অনেকটা সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে, বেড়াতে যাওয়া শিকেয় উঠেছে, সব মিলিয়ে একেবারে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পরিস্থিতি। সেই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে দ্রুত। ঘিরে ধরেছে অবসাদ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পেশায় আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাতে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, পেশায় টান পড়েছে। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। করোনা মহামারির কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, একাকীত্বের মতো মানসিক সমস্যার একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, এই ব্যাধির বিস্তার সর্বত্র। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঘটনা বেড়েছে বহুল পরিমানে।

    সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা অনেক বেশি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ একাকীত্বের  শিকার হয়েছে, যার ফলে সে সম্মুখীন হয়েছে হতাশা, দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যার। তবে দেখা যায়, যেসব ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগের বেষ্টনী সংকীর্ণ, তাঁদের উপর মানসিক স্বাস্থ্যর ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়

    এই সমস্যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেললেও সারাজীবনের জন্য তা মানতে নারাজ মনোবিদরা। তাঁদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর দীর্ঘতর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এর নিরাময় সম্ভব। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুকূল হলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ এবং অদম্য ইচ্ছে থাকা প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

    এই গোটা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এ (Union Budget 2022) বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলি-চিকিৎসা পরিষেবার (National tele-mental health programme) কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। সরকারের মতে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই অতিমারি এক প্রবল প্রভাব তৈরি করেছে। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই সঠিক মানসিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় স্তরে জাতীয় মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছে। 

  • West Nile Virus: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    West Nile Virus: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমূখী। এর মধ্যেই আবার দেশে মিলল ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus)। সম্প্রতি এই ভাইরাসের কবলে পড়ে কেরালায় (Kerala) মৃত্যু হয়েছে ৪৭ বছরের এক ব্যক্তির। এর আগে ২০১৯ সালে এই রাজ্যেরই কোঝিকোড়ে এই ভারাসের হানায় মৃত্যু হয়েছিল সাত বছরের এক শিশুর।  তারপর থেকেই এই ভাইরাস নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।  

    কী এই ভাইরাস: ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বা ডব্লিউএনভি (WNV) হল নাইল ভাইরাসের পুরো নাম। এটি একটি মশাবাহিত রোগ (vector borne virus)। সাধারণত কিউলেক্স (culex sp) মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। মূলত পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর আসে, মাথা যন্ত্রণা হয়, গায়ে র‌্যাশও বেরোতে দেখা যায় মাঝে মাঝে। এ ছাড়া হয় গ্ল্যান্ডের সমস্যা। এই লক্ষ্মণগুলি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

    কখন বিপদ: নাইল ভাইরাস যদি কোনও ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তাহলেই বিপদ। মস্তিষ্কে পৌঁছলেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। মস্তিষ্কে সংক্রমণ হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সংক্রমণ মস্তিষ্ক থেকে ছড়িয়ে পড়ে সুষুম্নাকাণ্ডে। যার জেরে মানবশরীরের স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে।

     বিপদ বেশি কাদের: যে সব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁরা সহজেই এই রোগের শিকার হন। সাধারণত শিশু ও বয়স্ক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তাই শিশু ও বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি।

    ওষুধ: মানুষের দেহে এই রোগ হলে তা নিরাময়ের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত নেই। স্নায়ুতন্ত্র (nervous system) যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পড়ে সে জন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই রোগের মোকাবিলা করা হয়। 

    ওষুধ নেই তাই এই রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হওয়া ভাল। এই রোগ থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা। বর্ষার আগে নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে শোয়াই বাঞ্ছনীয়।

     

  • Mask Mandatory in Flight: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক  

    Mask Mandatory in Flight: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশজুড়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। এর জেরে ফের করোনা বিধিতে কড়াকড়ি করল ডিজিসিএ (DGCA)। মাস্ক (Mask) বাধ্যতামূলক করা হল ফ্লাইটে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৫,২৩৩ জন। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ২৮,৮৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৪৫ জন। একদিনে একলাফে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ৯৩ দিন পরে করোনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০- এর গণ্ডি পেরলো।   

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মঙ্গলবারই মুম্বাইয়ে একদিনে ১,২৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও এদিন করোনায় মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেও দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ছিল ০.৯১ শতাংশ। বর্তমানে তা পৌঁছেছে ১.৬২ শতাংশে। যে রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে প্রায় ৮১ শতাংশ। 

    করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন তীব্র সংক্রামক। এর ফলেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে ওমিক্রনের বি.এ.৫- এ আক্রান্ত এক রোগীও পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। করোনা সংক্রমণের এই আকস্মিক বৃদ্ধিতে জনসাধারণের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    পালঘর, থানে ও মুম্বাইয়ে বিপুল পরিমাণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ৮৩ শতাংশ। সোমবারে আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কম ছিল। রবিবার অপেক্ষাকৃত কম করোনা পরীক্ষা হয়েছে, এটি তার বড় কারণ হতে পারে। 

    দিল্লিতেও একদিন নতুন করে আক্রান্ত ৪৯০ জন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওড়িশা, মিজোরাম, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।

     

     

     

  • Covid 19: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Covid 19: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাত হাজারের গণ্ডি। শুক্রবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে রীতিমতো কপালে ভাঁজ  বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে করোনাবিধি লাগু করার পরামর্শ দিলেন তাঁরা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৮৪ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছইলেন  ৭ হাজার ২৪১ জন।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ২৬৭। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৪৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৭৯১ জন। দেশজুড়ে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। দেশে পজিটিভিটি রেট ২.২৬ শতাংশ। যদিও এই মুহূর্তে সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট এক দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৪,৭৪৭।

    [tw]


    [/tw]

    মারণ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংক্রমণ প্রবণ রাজ্যগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যগুলির সঙ্গে। ভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র নিয়ে সবচেয়ে চিন্তিত মোদি সরকার। চিন্তা বাড়াচ্ছে বাণিজ্য নগরী মুম্বাই।  

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    এছাড়াও রাজধানী দিল্লি, কেরল, কর্নাটকেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। যদিও সংক্রমণের মোকাবিলা করতে আগেভাগেই তৈরি ভারত সরকার।   

     

  • Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Covid-19)। মুম্বাইয়ে (Mumbai) একদিনে আক্রান্ত ৭৩৯ জন। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই প্রথম এত বেশি সংক্রমণ নথিভুক্ত হল। কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে মুম্বাইবাসীর। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের ডাক দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। যাতে লকডাউনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল। 

    মঙ্গলবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০৬ জন। বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৯ জন। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৩৩। এই নিয়ে পরপর দু’দিন মুম্বাইয়ের কোভিড সংক্রমণ ছিল ৫০০-র উপরে। বিষয়টিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক পরায় অনীহা এবং কোভিড বিধিনিষেধ মেনে না চলা এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের একটা বড় কারণ হতে পারে। এই মুহূর্তে স্বপ্ননগরীতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩০০০। বহুদিন পরে প্রায় ১০০ জন কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। টানা চার মাস এই দৃশ্য দেখেনি শহর।

    আরও পড়ুন: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    আরও চিন্তার খবর, বুধবারই ধারাভি বস্তিতে ১০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই মুহূর্তে সেই বস্তিতে ৩৭ টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এই অবধি মুম্বাইয়ে মোট ১০,৬৬,৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৯,৫৬৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টার কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

    মুম্বাইয়ে এই মুহূর্তে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন। এযাবৎ ১০,৪৪,০০৫ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৭৯২ জনের টেস্ট করানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক   

    আকস্মিক কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) কর্তারা। কোভিডের মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণের নির্দেশ জারি করেছে বিএমসি। বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিমএসি জানিয়েছে, শহরে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী,  চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩৬। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭০০-র ঘর ছাড়িয়েছে।

    সংক্রমণ রুখতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে বিএমসি এবং রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের হাসপাতালগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আশঙ্কা, ‘‘বর্ষা প্রায় আসন্ন। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে।’’    

    কোভিডের সংখ্যায় রাশ টানতে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় মহারাষ্ট্র। পাশাপাশি, বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে সরকার।       

    হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলিকেও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। 

    গত সপ্তাহেই মুম্বাইয়ের গার্ডিয়ান মিনিস্টার আসলাম শেখ বলেছিলেন, কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আসলাম বলেন, “যেভাবে ব্যপকহারে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে আবার জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে। প্লেনে যাতায়াতে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাড়বাড়ন্ত হলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে।” 

     

  • India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) করোনা অতিমারীতে (Corona pandemic) প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু (covid deaths) হয়েছে। এমনটাই অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, অনেক দেশই করোনায় (Covid-19) মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি। বিশ্বে মাত্র ৫৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু আদতে সেই সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি বলে আশঙ্কা করছে ‘হু’।    

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সরকারি হিসেবের চেয়ে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। করোনায় মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Registrar General of India) তাদের রিপোর্টে করোনায় ৫ লক্ষ দেশবাসীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আর সেই রিপোর্টেরই বিরোধীতা করছে হু- এর দেওয়া সংখ্যাতত্ত্ব।    

    সরাসরি কোভিডের কারণে মৃত্যু না হলেও, এর প্রভাবে হাসপাতালে যেতে না পেরে যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেসব মৃত্যুও এই গণনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অতিরিক্ত ৯৫ লক্ষ মৃত্যুর মধ্যে ৫৪ লক্ষের বেশি মৃত্যু হয়েছে সরাসরি ভাইরাসের প্রভাবেই। 
     
    দেশে করোনভাইরাস-সম্পর্কিত মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে ৪৭ লক্ষ অতিরিক্ত মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার সেই পরিসংখ্যানকে স্বীকৃতি দেয়নি!  
      
    কেন্দ্রের (Central Government) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণে যে মডেলিং অনুশীলন প্রক্রিয়া (World Health Organisation on excess mortality estimates) ব্যবহার করা হয়েছে তার পদ্ধতি এবং ফলাফলের প্রতি ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই তথ্য প্রকাশ করেছে হু৷ এমনকি পুরো প্রক্রিয়াতে ভারতের তরফে তোলা প্রশ্নের সমাধান না করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতিরিক্ত মৃত্যুর অনুমান প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেলের (Registrar General of India) সহযোগিতায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম-এর মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আগেই জানানো হয়েছিল।

    কেন্দ্র সরকার, হু-কে স্পষ্ট জানিয়েছে ভারতে (India) জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং বিধিবদ্ধভাবে সংগ্রহ করা হয়। তাই সেই ব্যবস্থায় ভুলের সুযোগ কম। ভারত সরকারের মতে, ৩ মে পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯- এ মৃত্যুর সংখ্যা ৫২২৭৬৭। 

  • Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Register General of India) দেওয়া  তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল ৭৬.৪ লক্ষ, অর্থাৎ ৬.২% কম।  
     
    ২০২০ সালে কোভিডের (Covid 19) কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৮ লক্ষ মানুষ। পরের বছর সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে মহামারির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩.৩২ লক্ষ মানুষের।  

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ থেকে এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫,২৩,৮৮৯ জন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্যবধান ছিল সবথেকে বেশি।  সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই রাজ্যগুলিতে করোনার কারণেই এই বাড়তি মৃত্যুগুলি হয়েছে।   

    ২০২০ সালে জন্মের নিবন্ধীকরণের সংখ্যাও, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ২.৪% হ্রাস পেয়েছে।   

    ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে ৯০%- এর বেশি নিবন্ধীকরণ হয়েছে। সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৮০%- এর কিছু বেশি কিন্তু ৯০%- এর সমান বা কম, সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%-৮০%। বাকি নয় রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর নীচে।     

    ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্মের ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমায় জন্ম নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৯০% -এর বেশি।  আরও দুটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই সংখ্যা ৮০%- এর বেশি কিন্তু ৯০%- এর কম বা সমান। ৯ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর বেশি কিন্তু ৮০%- এর সমান বা কম। বাকি সাত রাজ্যে প্রদত্ত সময়সীমা, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৫০%- এরও কম।   

LinkedIn
Share