Tag: Coronavirus

Coronavirus

  • Singapore Covid wave: সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ২৬ হাজার, চিন্তার ভাঁজ বঙ্গেও

    Singapore Covid wave: সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ২৬ হাজার, চিন্তার ভাঁজ বঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের আরেকটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পাড়ে? সেই আশঙ্কা নতুন করে দানা বাঁধছে। ভারতের পূর্বের একটি দেশ সিঙ্গাপুর। ছোট্ট এই দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিরেছে মাস্ক। নিতে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ। ভারতেও গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে কোভিড। মহারাষ্ট্রের পরেই দুই নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    কতটা ভয়ঙ্কর এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। শরীরের ইমিউনিটিকে ফাঁকি দিতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডির উপরে হামলা করে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে ৩০০ জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৫০ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Covid KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: সুগার কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে। ভারতীয় সার্স-সিওভি-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম ‘ইনসাকগ’  (INSACOG) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩২৪টি কেভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে কেপি.১-এর ৩৪টি কেস এবং কেপি.২-এর ২৯০টি রয়েছে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

    বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) কো-চেয়ারম্যান রাজীব জয়দেবন বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এমন কোনও রোগ নয় যা চলে যায়। এটি কোনও না কোনও আকারে ফিরে আসবেই। এই কেপি.২ সাব-ভেরিয়েন্টটি তার পূর্বপুরুষ এবং অন্যান্য ওমিক্রন রূপগুলিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেপি.২, বিশেষ করে, বেশি শক্তিশালী স্ট্রেন বলে মনে করা হচ্ছে, যা টিকা এবং পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে তৈরি অনাক্রম্যতাকেও (immunity) ফাঁকি দিতে পারে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    Corona KP2 Flirt: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর? কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দশেক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও করোনা ভাইরাস থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত নয় বিশ্ববাসী। নভেম্বর থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Corona KP2 Flirt) ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতির ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এই প্রজাতির নিকনেম ‘FLIRT’। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতাতেও শেষ ৭ দিনে ৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ওদিকে মহারাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৯১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন উপপ্রজাতি KP2-এর প্রকোপ বাড়বাড়ন্ত। কলকাতায় নতুন করে করোনার সংক্রমণের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন মানুষ করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কী এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট

    একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাসের JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Covid JN1 Virus) মিউটেটেড ভার্সন হল (Corona KP2 Flirt)। এটিকে ওমিক্রন লাইনেজের সাব-ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে। যার মধ্যে ক্রমাগত মিউটেশন হচ্ছে। মূলত দুটি ইমিউন থেকে বাঁচার জন্য যে মিউটেশন হয় তা এই ভাইরাসের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাস শরীরের অ্যান্টিবডিজের উপরে হামলা করে।

    ভারতে করোনা পরিস্থিতি

    জানা গিয়েছে, ভারতে আড়াইশো জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে (Covid JN1 Virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১২৮ জন মহারাষ্ট্রের। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের (Corona KP2 Flirt) জন্য করোনা নতুন করে চিন্তাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে এই ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর হার এখনও চিন্তাজনক নয়।

    আরও পড়ুন: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভ্যারিয়েন্ট (Covid JN1 Virus) থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    সংক্রমণ বুঝবেন কীভাবে?

    কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টে (Corona KP2 Flirt) আক্রান্ত হলে জিভের স্বাদ ও নাকের ঘ্রাণ সম্পূর্ণভাবে কিছুদিনের জন্য চলে যেতে পারে। এছাড়াও মাংসপেশীতে ব্যথা, কাশি হওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Covishield: কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    Covishield: কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০-২১ এর মহামারীর সেই দিনগুলোর স্মৃতি এখনও দগদগে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে তখন কোভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের (Covishield) মতো টিকাগুলোই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছিল। কিন্তু এবার সেই করোনার টিকা কোভিশিল্ড নিয়ে বড়সড় তথ্য ফাঁস হল। আদালতে পেশ করা নথি বলছে বিরল ঘটনা হলেও কোভিশিল্ড টিকার (covishield vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় টিটিএস বা ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ -এর মতো বিরল রোগ। কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় (Covishield) কি হতে পারে মৃত্যু? এই নিয়ে প্রশ্নের দানা বেঁধেছে।

    আইনি মামলা দায়ের (Covishield)

    বিরল এই রোগে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি আইনি মামলা করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা (Covishield Side Effect) প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার আদালতে অভিযোগ করেছে যে, কোভিশিল্ড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effect) মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা জানায়, তাদের তৈরি করা প্রতিষেধকের কারণে বিরল রোগ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে।

    আরও পড়ুনঃ প্রয়াত হলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ-সারদা মিশনের অধ্যক্ষা আনন্দপ্রাণা মাতাজি

    রোগের লক্ষণ

    এই বিরল রোগে শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে (Blood Clots) কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা। রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা কমে এলে তা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। ফলে  মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, পেটে যন্ত্রণা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট,  জ্ঞান হারানোর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    মূলত যাঁরা ভ্যাক্সজেভরিয়া বা অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন বা জনসন অ্যান্ড জনসন/জ্যানসেন-এর কোভিড টিকা নিয়েছেন, তাঁদেরই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি আছে। তাই উপরিউক্ত কোনোরকম সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    প্রসঙ্গত, করোনা পর্বের ভারতে কোভিশিল্ড সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ঘরে ঘরে মানুষ এই টিকার দুটি আবার কেউ কেউ তো তিনটি অর্থাৎ বুস্টার ডোজও (Booster dose) গ্রহণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন পর কোভিশিল্ড টিকা (Covishield) সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে আতঙ্কিত হচ্ছেন সকলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ফের দেশে বাড়ছে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ। লকডাউনের পরিস্থিতি যাতে ফের ফিরে না আসে, তাই আগে থেকেই কোভিড নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাল দিল্লি। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশু পন্থ চিঠি পাঠিয়েছেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মরশুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি জানাল, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে। 

    কেন নির্দেশিকা

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বর্তমানে যে সংশোধিত গাইডলাইন রয়েছে কোভিড (COVID-19) নিয়ে, তা মেনে চলার উপর প্রতিটি রাজ্যকে জোর দিতে বলা হয়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ সামান্য বেড়ে গিয়েছে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে ৭৯ বছরের এক মহিলার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তিনি জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা ভাইরাসের জেএন.১ উপপ্রজাতি। তাই, রাজ্যগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হানায় পাকিস্তানে খতম লস্কর জঙ্গি হাবিবুল্লা

    কেন্দ্রের পরামর্শ

    আসন্ন উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে জনস্বাস্থ্যের দিকটি নজর রাখা উচিত। রোগ যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে গাইডলাইন রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও অসুস্থতা বা শ্বাসজনিত কোনও অসুস্থতার উপর জেলাস্তরে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে সেই তথ্য ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফরমেশন পোর্টালে তোলার জন্য বলা হয়েছে। জোর দিতে বলা কোভিড পরীক্ষার গাইডলাইনের উপরেও। জেলাস্তরে যাতে নির্দিষ্ট অনুমাতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কোনও নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য বলা হয়েছে। যাতে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে কি না, তা আগে ভাগে শনাক্ত করা যায়। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তাও দেখে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।

    সতর্কবার্তা হু-এর

    দেশগুলিকে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্বে কোভিড কেসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে বলা হয়েছে দেশগুলিকে। পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য শেয়ার করতেও বলা হয়েছে।  সামনেই বর্ষশেষের উৎসবের মরসুম। ভিড় হবে। তাই সেই সময় অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেনে চলতে বলা হয়েছে কোভিড বিধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনার নয়া রূপ নিয়ে চিন্তা! উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, প্রস্তুত সরকারও

    Covid 19: করোনার নয়া রূপ নিয়ে চিন্তা! উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, প্রস্তুত সরকারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস (Covid 19)। সম্প্রতি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপের কারণে প্রস্তুতি পর্ব সারতে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসলেন৷ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ইংল্যান্ড জুড়ে শুরু হওয়া করোনার নতুন রূপ (ভ্যারিয়ান্ট) ইজি ৫.১ অথবা এরিসের বাড়াবাড়িতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় বৈঠক

    কোভিডের (Covid 19) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়৷ এই মিটিংয়ে ছিলেন, নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পাল, ছিলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা অমিত খারে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, শ্রী সুধাংশু পন্থ-সহ অনেকেই৷ একাধিক ভ্যারিয়্যান্ট বা প্রজাতির কোভিড সংক্রমণ নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন স্বাস্থ্য সচিব৷ দেশে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সংখ্যা বাড়াতে সক্রিয় হতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার সামগ্রিক সংখ্যা বাড়ানোতেও।

    নতুন ভ্যারিয়্যান্টের উপসর্গ

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এরিস রূপটিকে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে ইংল্যান্ডে করোনার (Covid 19) এই নয়া রূপে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইংল্যান্ডে ১০ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল এক জনের শরীরে এরিস রূপ মিলছে। কোভিডের উপসর্গের সঙ্গে এই  নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কিছুটা পার্থক্য আছে। গবেষণা মতে, স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পরিবর্তিত এই বিশেষ স্ট্রেইন কিছু নতুন উপসর্গ যুক্ত। তবে খুব একটা আলাদা নয়। সর্দি, হাঁচি-কাশি, হালকা জ্বর এবং মাথা ঘোরা হল করোনার নয়া রূপে আক্রান্তদের সাধারণ উপসর্গ। এর সংক্রমণের হার বেশি হলেও কোভিড-১৯ এর মত এটি ভয়াবহ নয়।

    আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামস্বামী?

    কী বলছে কেন্দ্র 

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে পৃথিবীর ৫০টি দেশে এই এরিস প্রজাতি ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২১৯টি কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের খবর মিলেছে শেষ সাত দিনে৷ এর মধ্যে ভারতে এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে মোটে ২২৩ জন, মোট আক্রান্তের ০.০৭৫ শতাংশ৷ দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে ৫০-এর নীচে৷ পজিটিভিটি রেট ০.২ শতাংশ৷ পাশাপাশি করা হচ্ছে জিনোম সিকোয়েন্সিংও৷ তিনি বলেছেন, সারা দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু যে কোনও জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেই সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষো দিতে তৈরি আছে প্রশাসন৷ বিশেষজ্ঞরা এ-ও জানাচ্ছেন, এই প্রেক্ষিতে ‘বুস্টার শট’ নেওয়া খুব জরুরি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Eris Covid: আবার করোনা! ‘এরিস’ ভেরিয়্যান্ট পাওয়া গেল ভারতে, কতটা বিপদের?

    Eris Covid: আবার করোনা! ‘এরিস’ ভেরিয়্যান্ট পাওয়া গেল ভারতে, কতটা বিপদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়্যান্ট ‘এরিস’ (Eris Covid)। পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রে। মে মাসে প্রথম এই রূপটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। আর এটিই এখন অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে যে ভাবে ঘরে ঘরে অসুখ ছড়াচ্ছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, কর্নাটকে প্রতি তিনজনে অন্তত একজন, দিল্লি-এনসিআর-এ প্রতি পাঁচজনে একজন এবং মহারাষ্ট্রে প্রতি ছ’জনে একজন ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। অথবা, তাঁদের কোভিডের মতো উপসর্গ রয়েছে।

    ‘এরিস’-এর উপসর্গ

    করোনার রূপ ওমিক্রনেরই একটি ভাগ এই ‘এরিস’ (Eris Covid)। ইংল্যান্ডে ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। হাসাপাতেল রোগীদের ভিড় বেড়েছে। এর পিছনে রয়েছে এই এরিসেরই ভূমিকা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগের রূপগুলির যা যা উপসর্গ ছিল, এক্ষেত্রেও প্রায় তেমনই আছে। কাশি, জ্বর, সর্দি, গলায় ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা এগুলিই মূলত এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের লক্ষণ। তবে এই নতুন রূপটি নিয়ে যেটি ভয়ের, তা হল এটির সংক্রমণের হার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলি বা সাবভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 

    আরও পড়ুন: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    সমীক্ষার রিপোর্ট

    সম্প্রতি দিল্লি-এনসিআর, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের প্রায় ১৯ হাজার বাসিন্দার মধ্যে একটি সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। মোট ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ মহিলা উত্তরদাতাকে পাওয়া গিয়েছিল। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ১৬ শতাংশ পরিবারে ভাইরাল জ্বর বা কোভিড-এর মতো লক্ষণ রয়েছে। দিল্লি-এনসিআর-এর ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ পরিবারের কেউ না কেউ জ্বরে ভুগছেন। কর্নাটকের এই পরিমাণটা প্রায় ৩৩ শতাংশ। তবে চিকিৎসকদের কথায়, ভারতে এই নতুন করোনা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। সেটি ঠিক থাকলে এখানে ভয়ের বিশেষ কারণ নেই। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে বলছেন। নিয়ম করে টিকা নিতে হবে। করোনার টিকা তো বটেই, যাঁদের অন্য টিকা নেওয়ার কথা, তাঁদেরও সেগুলি নিতে হবে। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জীবনযাত্রার মান উন্নত রাখতে হবে। বেনিয়ম করা যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোভিড (Coronavirus) আসলে চিনের (China) তৈরি জৈব অস্ত্র। ইচ্ছে করেই সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল চিন।” এমনই দাবি করলেন ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষক চাও শাও। তাঁর মতে, কোভিড ১৯ জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাতে মানুষ সংক্রমিত হয়, বিপদে পড়ে। এভাবেই সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। ওই গবেষক জানান, করোনা ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন দেওয়া হয়েছিল তাঁর সহকর্মীদের। কোন স্ট্রেনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছিল।

    চাওয়ের দাবি

    আন্তর্জাতিক প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেনিফার ঝেংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই দাবি করেন চাও। তাঁর দাবি, তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব চেয়ে কার্যকরী স্ট্রেন খুঁজে বের করতে। সেটি বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষের ওপর প্রয়োগ করে বের করতে বলা হয়। ২০২১ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ওই চিনা গবেষক জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাঁর অনেক সঙ্গী নিখোঁজ রয়েছেন। পরে তাঁর এক সতীর্থ জানান, তাঁকে যে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল সেখানে তখন ছিলেন উহানে আয়োজিত মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদরাও। যাতে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি খেয়াল রাখা হয়। ভাইরোলজিস্টরা স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করেন না। এটা তাঁদের কাজ নয়।

    ভাইরাস ছড়াতেই হোটেলে?

    ওই গবেষকের সন্দেহ, ভাইরাস (Coronavirus) ছড়াতেই ওই হোটেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁর সতীর্থদের। করোনা কালেই একবার চাওকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ওই গবেষকের প্রশ্ন, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কী? তিনি মনে করেন, ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। চাওয়ের দাবি, চিন বাস্তবে কী করছে আর কী বলছে, তা বড় ধাঁধার একটি ছোট অংশ মাত্র। এই অতিমারি তামাম বিশ্বে ৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধ ও প্রতিষেধক খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (Coronavirus) কোনও জৈব অস্ত্র নয়। এটি যে জৈব অস্ত্র, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা (Covid-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ জন, যা গতকালের আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। দেশে একদিনেই ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৬২২-তে পৌঁছেছে। বিগত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে, দেশে একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু (COVID Deaths) হয়েছে ২৯ জনের। 

    নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে (Covid-19) মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখলেও ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। যে রাজ্যগুলির সংক্রমণ সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৭.৭৭ শতাংশ। সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৪ জন।

    আতঙ্কের কারণ নেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনার সাময়িক প্রভাব বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশ জুড়ে আগামী আট থেকে দশ দিনে ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়লেও তার পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আগামী মাসের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনার পরীক্ষা করানোর মতো বিধির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ভাবেই অসাবধান হওয়া যাবে না। 

    আরও পড়ুুন: শুরু সলতে পাকানোর কাজ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    এরই মধ্যে নতুন কোভিড (Covid-19) গাইডলাইন প্রকাশ করেছে হরিয়ানা। সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হসপিটাল, অফিস-সহ সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে থার্মাল টেম্পারেচার স্ক্যানার বসাতেই হবে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভিড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কিডনি, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অধিক সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে, যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি মেনেই করতে হবে। পাশাপাশি, কোনওরকম সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই সরকারি কর্মীদের অফিস না এসে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কোভিড টেস্ট করানোর কথাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রখর দাবদাহ, অন্যদিকে করোনা (Covid-19)—সাঁড়াশি আক্রমণে নববর্ষের প্রাক্কালে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস ওঠার উপক্রম। কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। নতুন বছরের গোড়ার দিকে করোনা নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারও। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। তবে আবার উদ্বেগ বাড়ল এক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘিরে। 

    কলকাতায় মৃত্যু

    কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ভাস্কর দাস (৭৬) করোনায় (Covid-19) সংক্রামিত হয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাঘাযতীনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। ওই দিনই বৃদ্ধর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনের দাবি, তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। তার মধ্যে কলকাতায় ১৭ জন। দিন কয়েক আগেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ষাটের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিক থেকে এটাই ইতিবাচক যে, সংক্রামিতের সংখ্যা কমছে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭০। তার মধ্যে কেউ বাড়িতে থেকে কেউ বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও।

    আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ

    গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩০ জন। বুধবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠায় করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ভিড় এলাকায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। শুধু তাই নয়, আম জনতার করোনার টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার (Covid-19) বাড় বাড়ন্তের পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়স্ক ও শিশুদের পক্ষে। তাই যাঁরা গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের অবিলম্বে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন মহলে করোনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, রাজ্যে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে, তা হল ওমিক্রন XBB.1.16। যা মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকতে পারছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে দিন পনেরোর মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    Covid-19: আবার করোনার চোখ রাঙানি! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনার (Covid-19) প্রকোপ। সংক্রামিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একদিনে দেশে কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। বুধবার, দেশে আগের দিন অর্থা‍ৎ মঙ্গলবারের তুলনায় দৈনিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭,৮৩০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি রাজ্যে ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা দেখে অনেকেই শঙ্কিত। কারণ, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। নড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।

    ফের করোনার দাপট

    দেশে করোনার (Covid-19) সংক্রমণ নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়ায় কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই ঠিক হয়, কীভাবে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব, তার রুপরেখাও স্থির হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে ফের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে আপাৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।

    কেরল অগ্রগণ্য

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশের যে রাজ্যগুলিতে করোনার (Covid-19) প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে কেরল অগ্রগণ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের এই রাজ্যে ১৮৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। তার পরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৮০ জন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। পশ্চিমের রাজ্যটিতে ৯১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। পশ্চিবঙ্গে সংখ্যাটা কম। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ৫৯ জন গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। তবে রাজ্য সরকার যদি চোখে ঢুলি বেঁধে থাকে, তাহলে অতীতের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যবাসীকেও।

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত ২২০.৬৬ কোটি কোভিড (Covid-19) টিকা দেওয়া হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে ২ জন করে এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের ১ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share