Tag: Corruption

Corruption

  • Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) উপহার দেবেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত মাস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠদের গায়ে লেগেছে দুর্নীতির পাঁক।

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’য়ের নিবন্ধ (Bangladesh Crisis)

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’তে আনজুমান-এ-ইসলাম প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস দুর্নীতি নির্মূল করাকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মিশন হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করে নতুন যুগের সূচনা করা এবং বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করা। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বস্তুত, ইউনূসের প্রাথমিক ঘোষণা পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    অবাধে চলছে নিয়ম লঙ্ঘন

    ওই নিবন্ধে এও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে ইউনূসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত একাধিক গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। বাংলাদেশে একজন উপদেষ্টার জন্য শুধুমাত্র একটিই গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই নিয়ম আকছার লঙ্ঘন করেই উপদেষ্টারা ব্যবহার করছেন একাধিক গাড়ি। করদাতাদের অর্থে প্রাপ্ত সম্পদের এই অপব্যবহারে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

    সেখানে আরও বলা হয়েছে, একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল ইউনূসের অফিস তাঁর উপদেষ্টাদের এসব নিয়ম-বিরুদ্ধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি চাপাও পড়ে গিয়েছিল। মিথ্যার বেসাতির পর্দা ফাঁস করে ওই সংবাদপত্রটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেখারুজ্জামান এটিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh Crisis)। ইউনূস নানাভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনমানসে একটি ধারণার বীজ রোপণ করতে। সেটি হল, আওয়ামি লিগই দেশের একমাত্র দুর্নীতির উৎস। ইউনূসের এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে নোবেল জয়ীর পার্ষদদের কাণ্ডকারখানা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী (Muhammad Yunus)।

    আখের গুছোনোর কাজ শুরু!

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসে ইউনূস আখের গুছোতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ। তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স-ফ্রি করে দেওয়া হয়। আনজুমানের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউনূস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও অনৈতিকভাবে লাভ করেছে সরকারি বদান্যতা। এরকমই একটি অনুমোদনে হাইকোর্টের আগের রায়ের পরোয়া না করে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ সংস্থার ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনূস ঘনিষ্ঠদের স্বার্থে কাজ করছে (Bangladesh Crisis)।

    এদিকে, শ্রমিক অধিকার কর্মী, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক এবং আইনজীবীরা ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউনূসের নীরবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ আগস্টের (এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা) আগে দায়ের হওয়া এসব মামলা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দ্রুত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ইউনূস প্রশাসনের সততা সম্পর্কে আরও জোরালো সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে আগেও

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Muhammad Yunus) পর্দা ফাঁস করেছিল দি এশিয়াপোস্ট নিউজ। এই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, “এই প্রকাশনাগুলি (দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর) আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে (Muhammad Yunus) জানা গিয়েছিল, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামপন্থীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকিও দিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) হাল ধরেছেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। দেশ চালাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ‘ছাত্র কর্মী’ ও ‘উপদেষ্টা’রা ক্রিপ্টোকারেন্সির আকারে অজ্ঞাত উৎসের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

    এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর প্রতিবেদনে হইচই (Bangladesh)

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ) কর্তৃক বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের’ জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের ইউএসএআইডি প্রকল্প বাতিল করার কয়েক দিন পরে। ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’ তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের কাছাকাছি থাকা লোকেরা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ করে ফেলেছেন। এই অজ্ঞাত উৎসের অর্থ অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, বিনান্সে জমা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে ‘ছাত্র কর্মী’ এবং ‘উপদেষ্টা’রা এত অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘আখের গুছিয়ে’ ফেলেছেন!

    কী বলছে প্রতিবেদন

    দি এশিয়াপোস্ট নিউজ জানিয়েছে, “এই প্রকাশনাগুলি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে কী উঠে এল

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামবাদীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকি দিয়েছিলেন।

    কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হদিশ

    এশিয়াপোস্টের নিউজ অনুসারে, নাহিদ ইসলাম (যিনি পূর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েনও রাখতেন। এর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার (Muhammad Yunus)। কাকতালীয়ভাবে, রিপোর্ট প্রকাশের সময় নাহিদ ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে যোগ দেন নবগঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিভ ভূঁইয়া ১১৩ বিটকয়েন জমা করেছিলেন, যা ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল (Bangladesh)। এশিয়াপোস্ট নিউজ অনুসারে, ‘ছাত্র কর্মী’ খান তালাত মাহমুদ রাফির বাইনান্স অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে যে তাঁর ১১.০৯ বিটকয়েন রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারি, শফিকুল আলমও তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করেছেন।

    অভিযুক্ত ইউনূস

    এত বিপুল সম্পদের জন্য কোনও পরিচিত আয়ের উৎস না থাকায়, এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এই অর্থ অবৈধ উপায়ে রোজগার করা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে জনসেবার নামে দ্রুতই তার কর্মকর্তা এবং ‘ছাত্র কর্মীদের’ কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক অপসারণের নেপথ্যে ছিলেন। ইউনূসের ট্র্যাক রেকর্ডও উজ্জ্বল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার একটি শ্রম আদালত তাঁকে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে ৬ মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয় (Bangladesh)। ইউনূস এবং ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ আরও তিনজন পরিচালক কোম্পানির কর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।

    কী বলছে শ্রম আদালত

    শ্রম আদালতের বিচারক, শেখ মেরিনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ৬৭ জন কর্মীকে কোম্পানিতে স্থায়ী করার কথা ছিল, যা হয়নি (Muhammad Yunus)। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের ১০০টি অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য। তিনি আগে বাংলাদেশ সরকারের অবসর নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

    ২০১৩ সালে সরকারি অনুমতি ছাড়াই টাকা নেওয়ার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দরিদ্রদের অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এক্সক্লুসিভ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর, ‘রুমার স্ক্যানার’ নামে একটি প্রচার পোর্টাল, যা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ইউনূস শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘ছাত্র কর্মীদের’ বিরুদ্ধে উন্মোচিত তথ্য নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখে। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্ক্রিনশটগুলি ‘ডিজিটাল এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে’ এবং ‘একটি অবিশ্বস্ত উৎসের ভিত্তিতে’ প্রচার করা হচ্ছে (Bangladesh)।

    কী বলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক

    বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘রুমার স্ক্যানার’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারির অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই একই প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’-ও প্রকাশ করেছে। তার পরেই স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে কোমর কষে নামে। ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি উন্মোচন করে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মাস হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই বিষয়ে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। বরং, প্রতিবেদনটির সত্যতা চাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হতেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারেরই প্রধান হন ইউনূস। অভিযোগ, তার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। যার জেরে আদতে আখের গুচ্ছোচ্ছেন আন্দোলনের হোতাদের অনেকেই। দুর্নীতির এই পাঁকে আটকে গিয়ে (Muhammad Yunus) থমকে গিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন (Bangladesh)।

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) এই রায়ে চাপ বাড়ল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর। বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুর্নীতির প্রত্যকে বিষয়ে তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আরও আগে হওয়া উচিত। এনিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কোর্টের বক্তব্য তদন্ত হওয়া দরকার (Siddaramaiah)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ অগাস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার এখনও পর্যন্ত ৬টি শুনানি হয়েছে। তবে কোর্ট (Karnataka High Court) রায়দান স্থগিত রেখেছে। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) আবেদন খারিজ করে বলেন, “আবেদনে যে যে বিষয়গুলি এসেছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কর্মকাণ্ডের দ্বারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছেন, যাঁরা, তাঁরা হলেন মামলার আবেদনকারীর পরিবারের লোকজন। এখানে বাইরের কেউ নেই। আবেদন বাতিল করা হল।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মুডা দুর্নীতির অভিযোগ

    কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা। মূল অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নথিপত্র বদল করে স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ (মুডা) বা মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্প সস্তায় পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মোট জমির পরিমাণ ছিল ৩.১৪ একর। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে উচ্চ আদলাতে গেলে মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরে মামলার কয়েকটি শুনানি হয়।

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এই কারণেই গত মাসে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আইনি লড়াই থেকে রেহাই না পেলে গদি ছাড়তে হতে পারে সিদ্দারামাইকে। সূত্রের খবর, আগে আদালতের রায় আসুক তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী চান তদন্ত বহাল থাকলে তাঁর সরে যাওয়া দরকার। তবে সিদ্দারামাইয়া পদত্যাগ করলে ডিকে শিব কুমারের নাম উঠে আসছে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এদিকে, গতবছর গতিতে বসার পর থেকে কংগ্রেসের অপর একগোষ্ঠী সিদ্দারামাইয়াকে অপসারণের অভিযোগও তুলেছে। পরবর্তীতে মামলার গতি কোনদিকে এগোয় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকার অর্ডার দেওয়া হলেও সেই সিসিটিভি লাগানোই হয়নি। ঠিক এমনটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় প্রথম থেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এমনটাই অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেছে।

    ক্যামেরা থাকলে খোঁজ করা যেত (RG Kar Rape-Murder)

    চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করে বলেন, “প্রাক্তন অধ্যক্ষ আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসাননি। ক্যামেরা থাকলে ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে খোঁজখবর করা সম্ভব হত। আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি। তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য দেবেন। একই ভাবে খুন এবং ধর্ষণ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেবেন তাঁরা। এই সমস্ত ঘটনার পিছনে প্রাতিষ্ঠানিক সমঝোতা রয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের তদন্তে নজর দেওয়া উচিত। কারণ এই সিট তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে।”

    আরও পড়ুনঃ অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশ এখন উত্তাল। সমাজের সকল স্তরের প্রতিবাদীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। এদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পড়াশুনা করেছিলেন বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলে। সেখানে কৃতি ছাত্রদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এবার ওই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, প্রধান শিক্ষককে চিঠি লিখে বলেন, অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে। এক প্রাক্তনী সৌম্যদীপ সরকার বলেন,“সন্দীপ ঘোষ কোনও না কোনও ভাবে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। আজ তাঁকে রাজ্য পুলিশ ডাকছে, সিবিআই তলব করছে। সেই কারণে আমাদের আর্জি স্কুলের কাছে ওঁর নাম কৃতি ছাত্রদের বোর্ডে যেন না থাকে। বনগাঁ হাইস্কুলের গৌরব নষ্ট করেছেন তিনি।” অপর দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেছেন, “প্রাক্তন ছাত্ররা একটা আবেদন জমা দিয়েছে। সন্দীপ ঘোষ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তখন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি খোয়াতে চলেছেন মলদ্বীপের (Maldives) চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু! রবিবার এই দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছে সংসদীয় নির্বাচন। তার আগেই পর্দা ফাঁস প্রেসিডেন্টের কেলেঙ্কারির। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। তাতেই দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মুইজ্জু। রিপোর্ট ফাঁস হতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন সে দেশের বিরোধী নেতারা। দাবি জানিয়েছেন ইমপিচমেন্টেরও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুইজ্জু।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Maldives)

    ২০১৮ সালের ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। অন্ততপক্ষে ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। এই রিপোর্টেই ইঙ্গিত মিলেছে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ও সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই কেলেঙ্কারিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। পরম মিত্র ভারতের পাশ থেকে সরে গিয়ে চিন-প্রীতি দেখানোয় এমনিতেই প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষিপ্ত মলদ্বীপের বিরোধীরা। তাঁদের হাতেই অস্ত্র তুলে দিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই রিপোর্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠার পাশাপাশি তদন্তের দাবি জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার বিরোধী দুই দল এমডিপি এবং পিএনএফ। প্রাক্তন (Maldives) ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামিল আহমেদ দাবি তুলেছেন, ইমপিচমেন্ট করা হোক প্রেসিডেন্টকে। রবিবার মলদ্বীপে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে চিনপন্থী মুইজ্জু।

    কারা চালায় নজরদারি?

    মলদ্বীপের অর্থনৈতিক বিষয়ে নজরদারি চালায় সরকারি সংস্থা মলদ্বীপজ মানিটারি অথরিটিজ-এর গোয়েন্দা শাখা। এই শাখা এবং মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস যৌথভাবে তৈরি করেছে ওই রিপোর্ট। এক্স হ্যান্ডেলে ফাঁস হয়ে যায় সেই রিপোর্ট। রিপোর্টটি উদ্ধৃত করে পোস্টে লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রশাসনের একাধিক স্তরে দুর্নীতি হয়। মুইজ্জুর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। অর্থ তছরুপ-সহ মোট দশটি বিষয়ে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে হইচই ফেলে দেওয়া ওই রিপোর্টটিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘এই নির্বাচন উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের বিশেষ চিঠি মোদির

    ভারত-মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ইতি টেনেছিলেন এই চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট। কুর্সিতে বসার পরেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুইজ্জু সরকারের জুনিয়র তিন মন্ত্রী আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু প্রশাসন। এঁদের মধ্যেই একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়েই সংসদ তোলপাড় করেন বিরোধীরা। এহেন আবহে রবিবার হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্রে সাধারণ নির্বাচন (Maldives)।

    মুইজ্জুর গদি টিকবে তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ বা একশো দিনের কাজ নয়, এবার অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ সামনে এলো রাজ্যে। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির পর এবার কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় নয়ছয় হয়েছে। আর এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও বিডিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি। অপর দিকে পালটা তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। কিন্তু ফের একবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    মূল অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয় হয়েছে। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি। তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে ব্লকের নামখানা, বুধাখালি, হরিপুর, শিবরামপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে ২০২২-‌২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অর্থ কমিশনের টাকা এলাকার রাস্তা, নিকাশি এবং পানীয় জলের প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের টেন্ডার এবং লেনদেনে মোট ১৬৫টি বেনিয়ম হয়েছে।” এবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার বিডিও। যদিও ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব দুর্নীতি মানতে নারাজ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার জেলা সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, “এই যোজনার টাকা সবটাই লুট হয়েছে। অবিলম্বে চোরেদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিডিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তৃণমূলেরই পক্ষ নিয়েছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নামখানার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা অভিষেক দাস এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাকে প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে নিয়ম মেনে কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে। কোনও অভিযোগের বাস্তব ভিত্তি নেই। তদন্ত হলে সত্যতা প্রমাণ হবে।”     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে পিলার! স্কুলে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    Malda: হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে পিলার! স্কুলে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল তৈরিতে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগে তীব্র শোরগোল পড়েছে মালদায় (Malda)। নির্মাণের জন্য যে লোহার রড বা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। হাত দিতেই ভেঙে যাচ্ছে স্কুলের নতুন ভবনের অংশ বিশেষ। ফলে নির্মীয়মাণ স্কুল ঘর, ক্লাস ঘর, ছাত্র-ছাত্রী জন্য কতটা সুরক্ষিত? তাই নিয়েই অভিযোগ উঠেছে এলাকার মানুষের। ঘটনা ঘটেছে মনিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রজলালটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে(Malda)

    স্কুলে ভেঙে পড়ছে দেওয়াল, কঙ্কালসার ছাদ আবার কোথাও গাছতলায় চলছে ক্লাস। সম্প্রতি এই ধরনের খবরের কথা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের একই অবস্থা। এমন কী প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনও রকম ভাবে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কার্যত একই চিত্র দেখা গিয়েছে মালাদা (Malda) জেলাতেও। স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য ২৩ লক্ষ টাকা এসেছে। অথচ স্কুলের নির্মীয়মাণ ঘরের পিলার, দেওয়ালে হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বরাদ্দ টাকাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আর এই দুর্বল নির্মাণের মধ্যে পড়ুয়াদের পাঠানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনিক তদন্তেরও।

    গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য

    এলাকার (Malda) গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অচিন্ত্য মণ্ডল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্মাণ কাজে খুবই খারাপ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। হাত দিলে ভেঙে যাচ্ছে পিলারের অংশ। আমরা সকলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের কথা বলেছি।” অপরদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ মণ্ডল জানিয়েছেন, “সঠিক ভাবে কাজ হোক। আমরা ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি টাকারও বেশি তছরুপের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির খাড়ি এলাকায়। সমবায় ব্যাঙ্কের নাম ‘ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’। ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগর ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। অভিযোগ, শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। আর শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু’য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই তৃণমূল নেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি। মোহনলাল হালদারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    মথুরাপুর-২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, মোহনলাল এক সময় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন দলের কোনও দায়িত্বে নেই। সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপ করা ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ঘরবন্দি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার। দলের এক অংশের নেতারা এলাকায় ব্যাপক তোলাবাজি করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক দে’র বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় মারধর, হেনস্থার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলে বিস্ফোরক হন এই কাউন্সিলার। এমনকি বাড়ির বাইরে বের হলে কটূক্তি এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হয় তাঁকে। অবশেষে থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কাছে খোদ তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলারই সুরক্ষিত নন। ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    ঠিক কী অভিযোগ করলেন কাউন্সিলার (South 24 Parganas)?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে যে কারণে মানুষ নির্বাচিত করেছেন সেই কাজ আমি করতে পারছি না। এমনকি আমি ঘর থেকে এলাকায় বাইরে বের হতে পারছি না। আমাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে দলের কিছু দুষ্কৃতী। আমাকে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গ দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হয় তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে হবে আমাকে। আর যদি আমি তা না করি, তা হলে বাড়ির বাইরে বের হলে মারধর করা হবে আমাকে। এমনকি আমার সমস্ত অফিস তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি আমার এক অফিসে গেলে আমার সামনেই অফিসে তালা মেরে অফিস থেকে বের করে দেয় আমাকে। সাধারণ মানুষের জন্য এলাকায় আমি কোনও কাজ করতে পারছি না। অত্যন্ত ভয়ে রয়েছি। ”

    মূল অভিযুক্ত কে?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রতীককুমার দে নামক যুব তৃণমূল নেতার কথা বলেন। এই তৃণমূল নেতা এলাকার প্রভাবশালী। তিনি আগে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। পাপিয়া হালদার আরও বলেন, “আমার বাড়ির সামনে এসে রাতের বেলায় আমাকে এবং পরিবারকে হুমকি দেয়। মাদকাসক্ত হয়ে বাড়ির সামনে অশ্লীল মন্তব্য করে। আমি মানসিক ভাবে খুব বিপর্যস্ত। পুলিশের কাছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সেই সঙ্গে দলকে পাশে থাকার কথা বলেছি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    অপরদিকে অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা প্রতীককুমার দে বলেন, “দল তদন্ত করলে সমস্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে। দলের যা সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেবো। আমি যে কোনও রকম তদন্তের জন্য প্রস্তুত।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share