Tag: corruption case

corruption case

  • RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির (Corruption Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলে রয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার, সিবিআই হাসপাতালের আলমারি ভেঙে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। মনে করা হচ্ছে দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও-তে(RG Kar Case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন (Corruption Case) শাখার গোয়েন্দারা হাসপাতালে (RG Kar Case) গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ফাইল উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে পরে সিজিও-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। এই উদ্ধার হওয়া নথি সন্দীপ ঘোষের সময়কালের বলে জানা গিয়েছে। দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলি। ২০২৩ সালে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনও রকম তদন্তের ইঙ্গিত মেলেনি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই দুর্নীতির বিষয়ে ওই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীরা একাধিক বিষয়ে আন্দোলনে নামেন। এরপর সন্দীপ ঘোষের একাধিক কুকর্মের বিষয় প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই  অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুনঃ সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মৃতদেহ পাচার করতেন সন্দীপ?

    সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে আক্তার আলি আরও বলেছিলেন, “আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। তিনি টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। মৃতদেহ পাচার, স্বাস্থ্য খাতে খরচ, সিসিটিভি, রেস্টরুমের জন্য টাকার ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি। ডাক্তারি পড়ুয়াদের টাকার বিনিময়ে পাশ-ফেল করানো, টাকা নিয়ে পছন্দের বিষয়ে গবেষণা করানোর কাজ-সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। অত্যন্ত প্রভাবশলী ব্যক্তি। থ্রেট কালচারের মধ্যমণি ছিলেন।” আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। অপর দিকে চিকিৎসক তরুণীকে খুনের মামলায়ও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চিঠির পর এবার সটান রাজভবনে সুকান্ত, ‘খেলা হবে দিবসে’ তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ বিজেপির 

    Sukanta Majumdar: চিঠির পর এবার সটান রাজভবনে সুকান্ত, ‘খেলা হবে দিবসে’ তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি (BJP) নেতাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এজন্য রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবির। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিল রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার দলীয় নেতাদের নিয়ে সটান রাজভবনে গিয়ে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়েই নিশানা করলেন তৃণমূলকে (TMC)। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, আদর্শের লড়াইয়ে পেরে উঠবে না জেনেই তৃণমূল পুলিশকে সামনে রেখে হিংসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তের।

    ফালাকাটায় বিজেপি নেতার বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাগনানেও এক বিজেপি নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এজন্য তৃণমূলের খেলা হবে (Khela Hobe) স্লোগানকেই দায়ি করে এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে উপস্থিত হন সুকান্ত। বেরিয়েই তিনি বলেন, আশঙ্কা নিয়েই রাজ্যপালের কাছে এসেছি। গতকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী, তৃণমূলের নেতারা চুরি, গরুপাচার এবং টাকা রাখার দায়ে ধরা পড়ছেন, তাতে আগামী দিনে হয়তো আরও বাড়বে। গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে। বাংলার বাসে ট্রামে চোর চোর শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হিংসাই একমাত্র আশ্রয় তৃণমূলের। গণতান্ত্রিকভাবে লড়তে না পেরে আদর্শের লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে পুলিশকে সামনে রেখে এই কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের মুখে খেলা হবে স্লোগান শোনা যায়। ভোটের পর ১৬ অগাস্ট দিনটি খেলা হবে দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন সুকান্ত বলেন, তৃণমূল খেলতে চায়। তাদের খেলার লোকের অভাব নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যত গুন্ডা মস্তান রয়েছে, তারা সব তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। সব থেকে বড় গুন্ডা তৃণমূলের পুলিশ। তিনি বলেন, খেলতে আপত্তি নেই আমাদের। কিন্তু সমানে সমানে খেলা হওয়া উচিত। সমান মাঠ তৈরি করে দিন, বিজেপি ভাল খেলে দেবে। আমাদের বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। ভাল ব্যাটিং করবে। সুকান্ত বলেন, পুলিশকে সরিয়ে দিন না, দেখি কত বড় খেলোয়াড় তৃণমূল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি, সেই লড়াই চলছে, চলবে। বাংলা নয়, গোটা দেশে রাজনীতি যে রোজগারের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা ভাঙতে চাই। দু চারটি সেতু, রাস্তা তৈরি করতে আসেননি প্রধানমন্ত্রী। ভারতবর্ষের রাজনীতিকে পরিবর্তন করতে ভারতবাসীর চিন্তাধারা পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক পরিবার অন্য পরিবারের ক্ষতি করবে না, এই প্রথা থেকে ভারতের রাজনীতিকে বার করে আনতে হবে। পারিবারিক রাজনীতি থেকে বার করে আনতে হবে দেশকে।

    অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, সায়গল পুলিশের সাধারণ সাব ইন্সপেক্টর। তার পক্ষে এই চক্র চালানো সম্ভব নয়, যদি না পিছনে রাজনৈতিক মদত থাকে। তাই সায়গল যে চক্র চালাত, বকলমে তা চালাতেন অনুব্রতই। তাঁকে দায় নিতে হবে। অপরাধী যিনি, তিনি সাজা পাবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, গরু, কয়লাপাচার প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রশাসন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। কেউ ছাড় পাবে না। সকলকে আইনের আওতায় আনা উচিত। আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই, মুখ্যমন্ত্রীও নন। যদি দেখা যায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, তাঁর বাড়িতেই সিবিআই, ইডি যাবে। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, চোর বাঁচাও আন্দোলন চলছে।

    এদিকে, ১৬ অগাস্ট তৃণমূলের খেলা দিবস পালনের কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইটবার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ অগাস্ট দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন খেলা হবে দিবস হিসেবে। এই দিনেই মুসলিম লিগ ডিরেক্ট অ্যাকশন শুরু করেছিল। যা পরে গণহত্যার আকার নেয়। এতে প্রাণ হারান লক্ষ লক্ষ বাঙালি হিন্দু। তাঁর এই প্রচেষ্টা ভয় জাগাবে। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায় যেভাবে ভারত জাতীয় বাহিনী গড়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বিজেপিও তেমনি করবে।  

     

LinkedIn
Share