Tag: cough and cold

cough and cold

  • HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে চিনা ভাইরাসের দাপট। যার পোশাকি নাম হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV)। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সচেতন থাকলেই হবে। অযথা আতঙ্কের দরকার নেই। তবুও কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চিনা ভাইরাসের কবলে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশ আশ্বস্ত করছেন, বাড়তি আতঙ্ক অপ্রয়োজনীয়!

    কেন শিশুরাই এই ভাইরাসের সহজ টার্গেট? (HMPV)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনা ভাইরাসের দাপট শিশুদের দেহেই বেশি। ভারতের পাশপাশি চিনেও শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার প্রধান কারণ রোগ প্রতিরোধ শক্তিতে ঘাটতি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই যে কোনও ভাইরাস শিশুদের দেহে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস তাই সহজেই শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধতে পেরেছে। ভারতেও যেসব শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা অধিকাংশ সদ্যোজাত। জন্মের পরেই শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তেমন কিছুই থাকে না। ফলে এই ভাইরাস শিশুর দেহে সহজেই আক্রমণ করে।

    অধিকাংশ শিশু নিয়মিত স্কুল যায়। আবার মাঠে বা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে সংক্রমণ রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকছে।

    তাছাড়া, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই আবহাওয়ায় শিশুদের প্রত্যেক বছরই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবছরে সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই চিনা ভাইরাস। তাই বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকি থাকছে।

    তবে, শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। প্রাপ্তবয়স্ক বিশেষত প্রবীণদেরও ভোগাতে পারে এই চিনা ভাইরাস (HMPV)। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন‌ অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানান সমস্যায় ভোগেন। তাদের কো-মরবিটি রয়েছে। তাই যে কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

    সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এই সময়ে আবহাওয়ার তারতম্যের জেরে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কিন্তু শিশু বেশ কয়েকদিন সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁর পরামর্শ মতোই নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু (HMPV) ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আক্রান্ত হলে শিশুকে আলাদা ভাবে রাখাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাতে পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি শিশুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে স্কুল পাঠানো উচিত নয় বলেও‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া, যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। না হলে বাড়িতে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন এখনই উদ্বেগ নয়? (HMPV)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস নতুন নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে রোগ মোকাবিলা করা যাবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এই ভাইরাস এখনও নতুন প্রজাতি তৈরি করেনি। তাই এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। রোগ যাতে বেশি না ছড়ায়, সে দিকে সতর্কতা থাকা দরকার। হাঁচি-কাশি হলে হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকা দেওয়া উচিত। তাছাড়া বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরা, বাড়ির পরিবেশ‌ পরিষ্কার রাখার দিকে নজরদারি জরুরি। তাহলে সহজেই এই ধরনের ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। তবে আবহাওয়ার এই বদলে‌ বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণদের একাংশ বাড়তি ভোগান্তির শিকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ষাটোর্ধ্বদের অধিকাংশের হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানান উপসর্গ (Winter infections) দেখা দিচ্ছে। আবার ফুসফুসের নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরও হচ্ছে। 

    কেন এই আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা রোগের দাপট? (Winter infections)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। তবে এই বছরে বয়স্কদের ভোগান্তি বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক নানা ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরে আক্রান্ত। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে বক্ষঃরোগের দাপট। শ্বাসনালীতে সংক্রমণও দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশির মতো সমস্যা হচ্ছে। নানান অ্যালার্জি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত প্রবীণ রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

    এই ভোগান্তির অন্যতম কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। এর জেরে একদিকে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করেই কমে যায়। আবার, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সব মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক ভাইরাস। ফলে ভোগান্তি (Sneezing-cough-sore throat) বাড়ে। তার উপরে প্রবীণদের মধ্যে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই আবহাওয়াতে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষত বয়স্কদের সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভোগেন (Winter infections)। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই ওষুধের ডোজে হেরফের করা চলবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত কিছু শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে অনেকেই পেশি ও রক্ত সঞ্চালনের নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক কসরত নিয়মিত করা জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ পড়ে যাওয়ায় অনেকেই জল খেতে চান না। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Winter infections) ঝুঁকিও কমানো সহজ হয়।

    খাবারে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তবে ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। অর্থাৎ ভাত-রুটির সঙ্গে পরিমিত সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাছ-ডিম-মাংস নিয়মিত খাওয়া দরকার। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার। তাহলে শরীর সহজে এনার্জি পাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে ভাইরাসের দাপট! দীপাবলির পরেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    Cough and cold: ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে ভাইরাসের দাপট! দীপাবলির পরেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আট থেকে আশি, সর্দি-কাশির (Cough and cold) দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী! কদিন আগেই সকলে দীপাবলির উৎসবে মেতেছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঠিক তার পরেই কাশির দাপটে নাজেহাল অনেকেই। সঙ্গে নাক দিয়ে জল ঝরা, সর্দি ইত্যাদি। বিভিন্ন বয়সের মানুষ বেশি করে গলার নানান সংক্রমণের শিকার। অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়েছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে নানান সংক্রমণে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তার মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুদের সংখ্যা বেশি। তার মধ্যে আবার হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

    কেন বাড়ছে ভোগান্তি? (Cough and cold)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাতাসে বেড়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের মতো একাধিক বিষাক্ত উপাদান। বিশেষত কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া জেলায় বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে এই দূষিত উপাদানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর জেরেই ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাশি (Cough and cold) আসলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি থেকে হচ্ছে। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণের জেরেই উপসর্গ হিসেবে কাশি দেখা যাচ্ছে। আর এই দূষিত উপাদান হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বাজিকেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কালীপুজোর আগের রাত থেকেই শহর থেকে জেলা-সর্বত্র বাজির দাপট দেখা গিয়েছে। আকাশ জুড়ে আতসবাজির ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল রাতের আকাশ। আর ওই বিষাক্ত ধোঁয়ার জেরেই বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমাণ হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কমে গিয়েছে অক্সিজেন! ফলে হাঁপানি বা অ্যাজমা আক্রান্তদের ভোগান্তি বেড়েছে। ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদেরও বিপদ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় সবুজায়ন যথেষ্ট নয়। বিশেষত কলকাতার মতো বড় শহরে গাছের সংখ্যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। তার উপরে এই চরম অসচেতনতা বিপত্তি বাড়াচ্ছে।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল? (Change of season)

    চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, বিপদ (Cough and cold) আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়। একদিকে ঋতু পরিবর্তনের জেরে বাতাসে ভাইরাসের দাপট বাড়ে‌। তাই এই সময়ে ভাইরাস ঘটিত অসুখে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে‌। আবার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এই সময়ে বাড়ে। তাই ফুসফুস ঘটিত নানান সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বায়ুদূষণ। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে‌। তাঁদের আশঙ্কা, আরও বেশি সংখ্যক শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে। পাশপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতা কমতে পারে। ফলে প্রবীণ নাগরিকদের আরও ভোগান্তি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Change of season)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    Lemon in Winter: শীতে রোজ দেদার লেবু! অতিরিক্ত খেলে কি বাড়তি বিপদ হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের আমেজ চলে এসেছে। যদিও তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার খেসারত দিচ্ছে শরীর। কিন্ত বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের লেবু। শীতের সকালের জলখাবার হোক কিংবা দুপুরের খাবার শেষে, চলছে দেদার লেবু খাওয়া (Lemon in Winter)। কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা।‌ নানান রকমের লেবু এখন নিত্যদিনের মেনুতে থাকছে। এই অভ্যাস শরীরের জন্য বাড়তি কোনও উপকার করছে, নাকি নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীতে উদ্বেগ বাড়াবে? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। সবার জন্য লেবু উপকারী নয়।

    নিয়মিত লেবু খেলে‌ শীতে কী সুবিধা হতে পারে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি।‌ কমলালেবু হোক কিংবা মাল্টা, যে কোনও ধরনের লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়। এই আবহাওয়ায় অধিকাংশই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সর্দি-কাশির দাপট কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত লেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। 
    তাছাড়া, কমলালেবু কিংবা মাল্টা জাতীয় ফলে থাকে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত লেবু খেলে হাড়ের রোগের সমস্যা কমে। বিশেষত, মধ্যবয়সী মহিলারা‌ অনেকেই হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। শীতে তাঁদের সমস্যা বাড়ে। তাই শীতকালে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস (Lemon in Winter) তাঁদের জন্য বাড়তি উপকারী হবে।‌
    শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। শীতে শুষ্কতা বাড়ে।‌ শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমাতে লেবু বিশেষ সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন থাকলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমে। বিশেষত কমলালেবু নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতা কমে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাই মাল্টার মতো‌ লেবু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস কোনও বিপদ ডেকে আনছে কি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লেবু উপকারী।‌ কিন্ত তা সত্ত্বেও‌ পরিমিত খাওয়া (Lemon in Winter) জরুরি‌। তা না হলেই পরবর্তীতে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ তাই লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রে সেসবে নজর জরুরি। 
    কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া বিপজ্জনক।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুর উপাদান কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে‌ পারে। তাই কিডনি রোগীর দিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। 
    শীতে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পেটের ‌গোলমাল হলে‌ লেবু (Lemon in Winter) এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অনেক সময়েই অতিরিক্ত লেবু ‌খেলে হজমের সমস্যা হয়।‌ তাই পেটের সমস্যায় লেবু খাওয়া একেবারেই চলবে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি মাল্টা জাতীয় লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেও কতখানি খাওয়া হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাল্টা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত মাল্টা লেবু খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। তাই সেদিকে খেয়াল রেখেই খাওয়া জরুরি। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দিনে‌ একটা লেবু খাওয়া যেতেই পারে। কিন্ত উপকারী ফল বলে একাধিক লেবু খেলে সমস্যা হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তুরে হাওয়ার রেশ সবে শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিপদ (Winter Diseases)। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাবধানতা বজায় না রাখলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? (Winter Diseases)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শহরে আট থেকে আশি, সব বয়সীদের মধ্যেই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুর্গাপুজোর পর অনেকেই কাশি-সর্দিতে ভুগছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর-সর্দিকে কাবু করলেও, কাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অনেকের কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি হচ্ছে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময় অধিকাংশ শিশু কাশির সমস্যায় ভুগছে। দেখা যাচ্ছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা হচ্ছে। দু’বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংক্রমণ বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরে শুধু কাশির সমস্যা হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট। তাই দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের একাধিক শারীরিক জটিলতা (Winter Diseases) তৈরি হচ্ছে।

    কেন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হঠাৎ করেই বদলে যায়। গরম অনেকটাই কমে। তবে পুরোপুরি ঠান্ডা নয়। এর জেরে একাধিক ভাইরাস এই সময় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Winter Diseases)। শিশুদের ভাইরাসঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি বেশি হচ্ছে। আর এই ভাইরাসের হাত ধরেই আসছে কাশি। তবে, শ্বাসনালীর সংক্রমণের জটিলতা তৈরির আরেক কারণ বায়ুদূষণ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধি শ্বাসনালীর সংক্রমণের অন্যতম কারণ। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়তে থাকার জেরেই শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তবে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার জেরে হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে ভর্তি থাকা অধিকাংশ শিশু শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে আসছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। শয্যাসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের একেবারেই এসি ঘরে রাখা যাবে না। আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি-কাশির সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। দু’বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগলে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে শিশু সংক্রমিত (Winter Diseases) না হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Cough and Disease: কাশি কি রোগ নাকি রোগের ইঙ্গিত? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শেষ হোক কিংবা বর্ষার শুরু, অল্প জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিতে (Cough and Disease) জেরবার হতেই হয়। আট থেকে আশি, কমবেশি সব বয়সীরাই কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রেই জ্বর কিংবা সর্দি কমে গেলেও ভোগান্তি বাড়ায় কাশি। কিন্তু কাশি কি কোনও রোগ নাকি কাশি জানান দেয়, শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি লাগাতার হলে সতর্ক হন। কারণ, বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে কাশি।

    কাশি (Cough and Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কোনও রোগ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, কাশি আসলে উপসর্গ। অন্য কোনও রোগের উপসর্গ হিসাবে কাশি হয়। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের (Cough and Disease) কারণ একাধিক হতে পারে।

    কোন কোন রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি (Cough and Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো ভাইরাস ঘটিত সমস্যায় শ্বাসনালির উপরের অংশে ভাইরাস সংক্রমণ হয়, আর তার জেরেই কাশি হয়। আর এই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সংক্রমণ কমতে সময় লাগে। দেহের তাপমাত্রা সহজে স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই সংক্রমণ ভোগান্তি বাড়ায়। সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রমণ কমে। তবে, লাগাতার কাশি হলে সব সময় সাধারণ ভাইরাসঘটিত সমস্যা নয়। তা একাধিক জটিল রোগের ইঙ্গিত হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ফুসফুস ও শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত হল কাশি (Cough and Disease)। হাঁপানি কিংবা শরীরে কোনও ধরনের অ্যালার্জি হলেও কাশি হয়। তাছাড়া, ব্রংকাইটিস কিংবা ফুসফুস, গলার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয় কাশি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত রোগ ছাড়া অন্য যে কোনও সমস্যায় কাশি হলে তা তিন সপ্তাহের বেশি থাকে। এছাড়াও যক্ষ্মার মতো রোগের জানান দেয় কাশি। তাই লাগাতার কাশি কিংবা কাশি থেকে রক্তপাত হলে তার জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেই কাশি কমাতে সিরাপ খান। কিন্তু সিরাপ আদৌ প্রয়োজন কিনা, তা আগে যাচাই করা জরুরি।

    কাশি (Cough and Disease) কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাশি কেন হচ্ছে, সেই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। কাশির (Cough and Disease) কারণ না জানলে এর মোকাবিলা করা কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকে কাশি হয়। ওষুধের পাশপাশি কিছু ঘরোয়া উপকরণও এই কাশিতে আরাম দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি সাধারণত রাতের দিকে ঘুমের সময় বেশি হয়। যার জন্য ঘুমে অসুবিধা হয়। শরীর আরও দূর্বল হয়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলমরিচ কিংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা আরাম দেয়। খুসখুসে কাশিতে গোলমরিচ আর লবঙ্গের ঝাঁঝ আরাম দেয়। তাছাড়া সকালে তুলসী পাতা মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তুলসী পাতা ও মধু গলা ও ফুসফুস সুস্থ রাখে। তাই কাশির প্রকোপ কমে। তবে, একটানা কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    Healthy Food: খামখেয়ালি আবহাওয়া! শরীর সুস্থ রাখতে কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে। গরমের আমেজ ইতিমধ্যেই হাজির। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় জেরবার বঙ্গবাসী। আর আবহাওয়ার এই যখন-তখন পরিবর্তনের জেরে সবচেয়ে গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। সর্দি-কাশি আর জ্বরে কাবু সকলেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু আর বয়স্কদের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে। বক্ষঃরোগের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। পাশপাশি শ্বাসনালীতেও সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস (Healthy Food) নিয়মিত সঙ্গী করলেই ভোগান্তির ঝুঁকি কমবে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    নিয়মিত সঙ্গী হোক মধু আর তুলসী পাতা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে দু’চামচ মধু আর তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে এই পরিবেশে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তুলসী পাতা এবং মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু আর তুলসী পাতা খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পাশপাশি, তুলসী পাতা ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত তুলসী পাতা (Healthy Food) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রত্যেক দিন প্রাতঃরাশের পরে অন্তত একখানা লেবু থাকুক (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া খুবই শুষ্ক। শীতের শেষ আর গরমের শুরুর এই সময়ে প্রত্যেক বছর একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়ে। নানান রোগে মানুষ কাবু হন। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে। তবে খালি পেটে লেবু খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবারের পরে নিয়মিত একটা করে লেবু (Healthy Food) খাওয়া দরকার। এর জেরে একদিকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার লেবুর রস শরীরে জলের জোগান দেবে। ফলে শুষ্ক আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে।

    ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তরকারিতে থাকুক এলাচ
     
    তরকারিতে অনেকেই এলাচ দেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ে। সুন্দর গন্ধ হয়। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়। এলাচ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত তরকারিতে এলাচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ (Healthy Food) খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এলাচ ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

    নিয়মিত চারখানা খেজুর কমাতে পারে ভোগান্তি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান‌ ঠিকমতো থাকলে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন ঘটলেও শরীরে রোগের প্রকোপ কম হয়। আর খেজুর থেকে সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ থাকে খেজুর (Healthy Food)। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই মরশুমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে নিয়মিত চারখানা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ (Healthy Food)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ হল সুষম খাবার। অর্থাৎ, শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান দুধে থাকে। আবার হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে এতে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। রাতে এই খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়। ফলে শরীরের হরমোন ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে রোগের দাপট, শিশুদের বাড়তি ঝুঁকি চিকেন পক্স

    Winter Disease: তাপমাত্রার ওঠানামায় বাড়ছে রোগের দাপট, শিশুদের বাড়তি ঝুঁকি চিকেন পক্স

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে‌। দুপুর বাড়তেই গরম লাগলেও, রাতে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর নিয়মিত এই তাপমাত্রার ওঠানামার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বাতাসে সক্রিয় হচ্ছে একাধিক ভাইরাস (Winter Disease)। আর তার জেরেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ বিশেষত শিশুদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই আবহাওয়া। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই রকমফেরের জেরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার জেরেই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আট থেকে আশি, সব বয়সীরাই এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। ভাইরাসঘটিত জ্বরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে। তবে, করোনার দাপট দেশ জুড়ে বাড়ছে। তাই এই সময়ে জ্বর-সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তবে, এই পরিবেশে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার এই ওঠানামার জেরে চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষত শিশুদের খুব দ্রুত এই ধরনের রোগে আক্রান্ত (Winter Disease) হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই এই আবহাওয়ায় শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে? (Winter Disease)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় বিপদ এড়ানো‌ মুশকিল হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বছর শেষে নানান উৎসব উদযাপনে অনেকেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি। গরম পোশাক পরা দরকার। বিশেষত রাতে বাইরে থাকলে গলা, কান ঢেকে রাখা দরকার। যাতে হঠাৎ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন না হয়। কারণ, হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেকের শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়। তার জেরে কাশি-সর্দি-জ্বরের মতো একাধিক ভোগান্তি হয়। 
    খাওয়ার দিকেও বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার। বিশেষত শিশুদের খাবারে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু, কিউইয়ের মতো ফল খাওয়া দরকার। কমলালেবু, মাল্টা বা কিউই জাতীয় যে কোনও ফল দিনে একটা খেলে, শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, সর্দি-কাশির মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ে। রোগ (Winter Disease) প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই এই ধরনের ফল নিয়মিত খেতে হবে। 
    পাশপাশি এই আবহাওয়ায় একেবারেই আইসক্রিম খাওয়া চলবে না। উৎসবের মরশুমে অনেকেই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এক চামচ মধু খেলে শরীর ভালো থাকবে। পাশপাশি দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। পক্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।
    সবুজ সব্জি ও মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তবে, দিন কয়েক টানা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।‌ করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি, মত বিশেষজ্ঞদের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share