Tag: Cough Syrup

Cough Syrup

  • Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফ সিরাপ (Cough Syrup Row) খেয়ে ১০ শিশুর মৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) গ্রেফতার ডাক্তার। যে সব শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ওই চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ খেয়েছিল। বিষাক্ত ওই ওষুধের নাম তিনিই লিখেছিলেন প্রেসক্রিপশনে।

    গ্রেফতার চিকিৎসক (Cough Syrup Row)

    মধ্যপ্রদেশের ওই চিকিৎসক প্রবীণ সোনির বিরুদ্ধে আগেই দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এফআইআরে নাম রয়েছে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষেরও। এই সংস্থাই বিতর্কিত কোল্ডরিফ নামক কাশির সিরাপের প্রস্তুতকারক। একের পর এক শিশুমৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার পরাসিয়া কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অঙ্কিত সহলাম চিকিৎসক সোনি এবং কফ সিরাপ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

    কোল্ডরিফ সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিক

    এদিকে, বিতর্কিত কোল্ডরিফ সিরাপটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল গবেষণাগারে। শুক্রবার মিলেছে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট। দেখা গিয়েছে, ওই সিরাপে রয়েছে ৪৮.৬ শতাংশ ডাই-ইথাইল গ্লাইকল। এটি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি বিকল করে দিতে পারে। ঘটতে পারে মৃত্যুও। মধ্যপ্রদেশের ১০ শিশুর ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবারই মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোল্ডরিফ। তবে এই বিতর্ক কেবল একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তার আগে পদক্ষেপ করেছে রাজস্থান সরকারও। কেসন ফার্মা নামের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সরবরাহ করা কাশির সিরাপ-সহ ১৯টি ওষুধ বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে, সে রাজ্যের সরকার। রাজস্থানে নিম্নমানের সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই সিরাপ। অনেকেই এখনও অসুস্থ। ড্রাগ কন্ট্রোলার রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান সরকার। কোল্ডরিফ নিষিদ্ধ করেছে কেরল সরকারও। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, যে ব্যাচের সিরাপ খেয়ে অন্য দুই রাজ্যে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা কেরলে এখনও বিক্রি করা হয়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিরাপ (Cough Syrup Row) নিষিদ্ধ করা হল।

    অন্যদিকে, এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব ভিডিও কনফারেন্স করেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য সচিব এবং ড্রাগ কন্ট্রোলারের সঙ্গে। এই বৈঠকে তিনি কফ সিরাপের যথাযথ ব্যবহারের (Madhya Pradesh) ওপর জোর দেন। কফ সিরাপের মান যাতে ঠিক থাকে, নিশ্চিত করতে (Cough Syrup Row) বলেন তা-ও।

  • Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে একাধিক শিশুর মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা সামনে এল রাজস্থানে। এই ঘটনাগুলি রাজস্থান (Rajasthan Cough Syrup Case) সরকারকে তৎপর করে তুললেও, দৈনিক ভাস্করের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

    ‘নকল ওষুধে’র সংজ্ঞা বদল (Rajasthan Cough Syrup Case)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ড্রাগ কন্ট্রোলার (Drug Controller) রাজারাম শর্মা সরকারি নথিতে ‘নকল ওষুধ’-এর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। রাজ্যের কিছু ফার্মা কোম্পানির সুবিধা করে দিতেই তিনি এটা করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান সরকার রাজারাম শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং কেসন ফার্মার সরবরাহ করা ১৯টি ওষুধ বিলিবন্দেজ করা স্থগিত করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজারাম শর্মার হস্তক্ষেপের কারণে ওষুধের উপাদানের মানদণ্ড কমিয়ে আনা হয়েছিল, যা ওষুধের গুণমানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

    নকল ওষুধের তথ্য

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ওষুধ বিভাগ যে নকল ওষুধের তথ্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর নির্দেশে লোকসভায় পাঠিয়েছিল এবং পরে নীতি আয়োগে পাঠিয়েছিল, তাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংখ্যাগত গরমিল ছিল। রাজস্থান বিধানসভার জন্য তৈরি আর একটি প্রতিবেদনে আবারও একই ধরনের সংখ্যা ও তথ্যের গরমিল ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan Cough Syrup Case) ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল কমিশনারেট ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার (প্রথম ও দ্বিতীয়), ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বিভাগের একজন জুনিয়র লিগ্যাল অফিসার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে প্রকাশ পেয়েছে যে ড্রাগ কন্ট্রোলার (দ্বিতীয়) রাজারাম শর্মা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এ নির্ধারিত মানদণ্ডের বিরোধিতা করে নিজের মতো করে নকল ওষুধের সংজ্ঞা যোগ করেছিলেন। ভাস্কর জানিয়েছে, তাদের কাছে ওই বৈঠকের মিনিট-টু-মিনিট বিবরণী রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থানে তিনটি শিশু কাশির সিরাপের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে (Drug Controller)। আরও দু’জনের অবস্থাও সংকটজনক। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। তাই গোটা দেশেই কাশির সিরাপের গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Rajasthan Cough Syrup Case)।

  • Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশির ওষুধ (Cough Syrup for Children) খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ১২ জন শিশুর। তারপরই শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যে কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তার নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে কোনও বিষাক্ত পদার্থ নেই।

    তদন্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে (Children Death in MP) কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর (Cough Syrup for Children) ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাশির ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই সিরাপের মধ্যে শিশুদের জন্য ‘বিষাক্ত’, এমন কোনও পদার্থ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। শুক্রবার জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য যে কাশির সিরাপকে দায়ী করা হচ্ছে, তার নমুনায় কোনও বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে কাফ সিরাপের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে ডাইথাইলিন গ্লাইকল বা ইথালিন গ্লাইকলের কোনও উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যা থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। যে সব জায়গায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকেই এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    কিছু কাশির সিরাপ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা

    এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে শিশুদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিডনি বিকল হয়ে। আরও পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে নাগপুরে। জানা যাচ্ছে, ওই শিশুদের মৃত্যুর আগে বমি, দুর্বলতা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কোনও কোনও শিশু অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দিষ্ট কিছু কাশির সিরাপ (Cough Syrup for Children) বিতরণের উপরেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।

  • Cough Syrup: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু উজবেকিস্তানে, তদন্ত শুরু কেন্দ্রের

    Cough Syrup: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু উজবেকিস্তানে, তদন্ত শুরু কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে ১৮ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উজবেকিস্তান ভারতের একটি কাশির সিরাপের (Cough Syrup) সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল। এদিন উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যে সকল শিশু মারা গেছে তারা Doc-1 Max নামের কাশির সিরাপ খেয়েছে, যেটি তৈরি হয়েছে নয়ডার Marion Biotech সংস্থায়।

    ইতিমধ্যে ভারত সরকার এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং কাশির সিরাপের (Cough Syrup) প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন ওই সংস্থার তৈরি স্যাম্পল চন্ডীগড়ের “রিজিওনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে” পাঠানো হয়েছে এবং পরীক্ষার পরেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

    অন্যদিকে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সেদেশের ল্যাবরেটরিতে যে পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে সিরাপে (Cough Syrup) ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে যা একটি ক্ষতিকর উপাদান। এটা দেখা গেছে যে সাধারণভাবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাড়ির অভিভাবকদের পরামর্শ মতোই ওই কাশির সিরাপগুলি (Cough Syrup) শিশুদের পান করানো হয়েছিল। দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত ওই সিরাপ শিশুদের দেওয়া হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর। ১৮ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নয়ডার সিরাপ (Cough Syrup) প্রস্তুতকারক সংস্থার সমস্ত কাশির সিরাপকে উজবেকিস্তান থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আফ্রিকার গাম্বিয়া থেকেও একই অভিযোগ এসেছে, ওষুধের ভুয়ো সিন্ডিকেট ভাঙতে তৎপর কেন্দ্র

    সম্প্রতি গাম্বিয়াতে ভারতের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক শিশুর। যা নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভুয়ো ওষুধ তৈরির কারবার এবং সিন্ডিকেট গুলো ভাঙতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে কেন্দ্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ছটি দল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিতে গিয়ে তল্লাশির কাজ করবে এবং এই কেন্দ্রীয় দলকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবে “সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।”
    এখনও পর্যন্ত সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশের বারোটিরও বেশি ওষুধ কারখানায় এই অভিযান চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কমবয়সি শিশুদের জন্য সর্দি-কাশি কম করার জন্য নানা ধরনের সিরাপকে (Cough Syrup) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের ওষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা— সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কাশির সিরাপে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে মোট ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই ভারতে সতর্কতা জারি করে বেশ কিছু কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ, তাকেও এক নির্দেশিকায় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন সিরাপ নিষিদ্ধ (Cough Syrup)?

    শীতের সময় ঠান্ডা লাগলেই থাকে সাধারণ ভাবে। আর তাই ঠান্ডা আর কাশি (Cough Syrup) থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপের ব্যবাহার ব্যাপাক ভাবে বেড়ে যায়। তবে সব সিরাপ ব্যবহার যোগ্য এমনটাও নয়। শিশুদের জন্য ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন বা এফডিসি-র অন্তর্গত কোনও সিরাপ ঠান্ডায় ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ক্লোরোফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন— এই দুই ধরনের উপাদান মিশ্রিত ওষধ বন্ধ করতে হবে। এমনকী, নিজের উৎপাদনের উপর সতর্কতা জ্ঞাপক কথা হিসাবে “৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এফডিসি ব্যবহার করা উচিত নয়” লিখতে হবে বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ওষধ প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়েছে সিডিএসসিও। 

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের বক্তব্য

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, “২১০৪টি পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ১২৮টি সংস্থার মধ্যে ৫৪টি ওষধ কাশি (Cough Syrup) নিরাময়ে সাফল্য লাভ করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ওষধের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা গিয়েছে নিম্নমানের ওষধ খাওয়ার কারণেই। এর পরে পরেই আমেরিকা এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে কাশির সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপর থেকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশি সিরাপ ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cough Syrup: কফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর জের, নয়া গাইডলাইন তৈরি করতে তদন্ত শুরু হু-র

    Cough Syrup: কফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর জের, নয়া গাইডলাইন তৈরি করতে তদন্ত শুরু হু-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) তৈরি কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনশো শিশুর। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সংক্ষেপে হু (WHO)। তারা জানতে চাইছে এই তিনশো শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে ওই কফ সিরাপের ভূমিকা কতখানি। সোমবার এক বিবৃতি জারি করে হু জানিয়েছে, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তানে ৩০০রও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই শিশুদের বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল। ওষুধগুলিতে উচ্চ মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল ছিল। আরও মৃত্যু রোধ করতে ১৯৪টি সদস্য দেশকে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। জারি করা হয়েছে তিনটি মেডিক্যাল অ্যালার্ট।

    শিশুমৃত্যু…

    প্রসঙ্গত, গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারতে তৈরি তিনটি সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু। ওই সিরাপ (Cough Syrup) তৈরি করেছে যে সংস্থা, সেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় সিরাপ তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকারও। হরিয়ানার সোনিপতেই কারখানা রয়েছে ওই সংস্থার। ভারতে তৈরি ওই কফ সিরাপে (Cough Syrup) মাত্রাতিরিক্ত লেভেলের টক্সিন ছিল বলে জেনেছে হু। তবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার যে ছটি ম্যানুফেকচারার কফ সিরাপ তৈরিতে যে নির্দিষ্ট কাঁচামালগুলি ব্যবহার করছে, সেগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চায় হু। ওই ওষুধ সরবরাহকারীদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিচ্ছে হু। যদিও তাঁরা কারা, সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না হুয়ের বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি আরও একটি জিনিস করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে হু। সেটি হল, বিশ্বজুড়ে শিশুদের কফ সিরাপের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া যায় কিনা।যতক্ষণ না এই কফ সিরাপগুলি সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শিশুদের কখন এই ওষুধগুলি প্রয়োজন, আদৌ প্রয়োজন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন হুয়ের বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে অ্যাকিউট কিডনি সমস্যার জেরে গাম্বিয়ায় শুরু হয়েছিল শিশুমৃত্যু। তার পরে পরেই শিশু মৃত্যুর খবর আসতে থাকে ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তান থেকেও। হু জানিয়েছে, এই মৃত্যুর সঙ্গে সাধারণ অসুখে মাত্রাতিরিক্ত কফ সিরাপ খাওয়ানোয়। এতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিনও ছিল। তার পরেই তদন্তে নামে হু। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার ছটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়। এই সংস্থাগুলিই ওই কফ সিরাপ তৈরি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে ভারতীয় কাফ সিরাপ, এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেই কেন্দ্র সরকার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুরো তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এবারে বুধবার অর্থাৎ গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার চার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেছে। ভারতে তৈরি চারটি কাফসিরাপের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার ভিত্তিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করবে এই বিশেষ প্যানেলটি। তারপরে সেই রিপোর্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

    এই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন, প্রজ্ঞা যাদব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের বায়োসেফটি লেভেল ল্যাবের প্রধান, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এপিডেমিওলজি বিভাগের আরতি বাহল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর জয়েন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার এ কে প্রধান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটির মেডিসিনস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন ওয়াইকে গুপ্ত।

    আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সোনিপাত ইউনিটে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হুয়ের তরফে মনে করা হচ্ছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ ভারতে তৈরি চারটি কাশির ওষুধ। তাই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও গতকাল আবার কেন্দ্র সরকার প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এর আগেই হু-এর তরফে পাঠানো সতর্কতায় জানানো হয়েছিল, চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। হুয়ের তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন হরিয়ানার রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ও তারপরেই তদন্ত শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর হু সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে পণ্যের নুমনার পরীক্ষার ফলাফল বিস্তারিতভাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু মৃত্যুর সঙ্গে চারটি সিরাপের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অন্যদিকে হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Cough Syrup: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    Cough Syrup: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) স্ক্যানারে ভারতের তৈরি চারটি কাশির সিরাপ (Cough Syrup)। সিরাপগুলি ব্যবহারে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে হু। হু-র দাবি, এই সিরাপগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গেছে। দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই সতর্কতা জারি করেছে হু। হরিয়ানা ভিত্তিক সিরাপ প্রস্তুতকারক মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর কারখানায় উৎপাদনে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    ডাব্লুএইচও বিবৃতি জারি করে বলে, “গাম্বিয়াতে যে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে তার সঙ্গে সরাসরি এই কাশির সিরাপের যোগসূত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে সাবধানতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। সিরাপগুলি হল, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই সমস্ত সিরাপগুলি হরিয়ানার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি। হু- এর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে চারটি পণ্যের প্রতিটির নমুনার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এই সিরাপগুলিতে ক্ষতিকারক ডায়েথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন রয়েছে। যেগুলি খেলে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।    

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ডব্লিউএইচও-র বিবৃতির জবাব দিয়ে বলে, “এই চারটি কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি হয়নি। এই পণ্য রপ্তানির অধিকার শুধুমাত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের। কোম্পানি এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে এবং শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে রপ্তানি করেছে। গাম্বিয়াতে রপ্তানি করা কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি বা বিতরণ করা হয় না। কোম্পানি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরিই রিপোর্ট আসবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”     

    কেন্দ্রীয় ও হরিয়ানা সরকারের ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগের যৌথ পরিদর্শনের পরে উৎপাদন সংক্রান্ত প্রায় ১২টি ত্রুটি নজরে এসেছে। এসবের ভিত্তিতে সকল প্রকারের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সরকারকে জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই সংস্থাকে। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, ওষুধ কোম্পানির নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি, তার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যে জবাব না দিলে সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।     
     
    অনিল ভিজ আরও বলেন, “আপাতত ওই সংস্থার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই সংস্থা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামের লগবুক দেখাতে পারেনি। সিরাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কোনও নথি বা প্রমাণপত্রও দিতে পারেনি তারা।  

    আর এর পরেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে বলা হয়, “সকল প্রকার গাইড লাইন মেনেই সংস্থা ওষুধ প্রস্তুত করে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে কাশির সিরাপগুলোকে (Cough Syrups) নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলো ভারতে বিক্রি হয়নি। হরিয়ানার ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি করা কাশির সিরাপগুলোকে ‘হু’ থেকে নিষেধ করার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার অবিলম্বে এই ওষুধগুলোকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই এর উপর তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সিরাপগুলির (Cough Syrups) একটিও ভারতে বিক্রি হয় না। শুধুমাত্র রপ্তানির জন্যই এই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়। এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওষুধগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিডিএসসিও। হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সংস্থাটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ (Cough Syrups) পাঠিয়েছে। ভারতের কোথাও এই চারটি কাশির ওষুধের (Cough Syrups) একটিও বিক্রি করা হয় না।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    অন্যদিকে মেডেনের ডিরেক্টর নরেশ কুমার গয়াল বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কথা শুনেছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। আমরা এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি কারণ এটি শুধুমাত্র আজই হয়েছে। আমরা ক্রেতাদের এবং ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা ভারতে কিছু বিক্রি করছি না।” এই সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার তৈরি করা ওষুধ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশে রপ্তানি করা হয়। যদিও তারা বর্তমানে ভারতে বিক্রি করছে না। আবার এই পরিস্থিতিতে মেডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই সংস্থার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন (Promethazine Oral Solution), কোফেক্সম্যালিন বেবি কাফ সিরাপ (Kofexmalin Baby Cough Syrup), ম্যাকফ বেবি সিরাপ ( Makoff Baby Cough Syrup) এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ (Magrip N Cold Syrup)-এই চারটি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। কারণ, এগুলিতে (Cough Syrups) রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল। যা শরীরে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, এমনকি কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। যার জন্য শিশু মৃত্যুর পেছনে এই ওষুধগুলো রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘হু’ (WHO)।

  • WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করার পরেই কেন্দ্র থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ওষুধগুলো নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের হরিয়ানার সোনেপতের একটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা। আর এই ওষুধগুলোর জন্যই গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করায় বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “দয়া করে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করবেন না।” আর এরপরেই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে তদন্তের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশে তৈরি কাফ সিরাপগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার সোনেপতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক সংস্থার তৈরি কাফ সিরাপে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও অবধি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থা থেকে একমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ওষুধ অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের থেকে জানা গিয়েছে যে, হু ২৯ সেপ্টেম্বর কাশির সিরাপ সম্পর্কে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) কে সতর্ক করেছিল। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অবিলম্বে হরিয়ানার ওই সংস্থার ওপর নজর রাখতে এবং তদন্ত শুরু করেছে। হরিয়ানার ওই সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলো শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই পাঠানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওষুধ তৈরির সংস্থাটি। 

    এরই মধ্যে চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। যা মানবদেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। যে চারটি ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলো হল- ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকঅফ বেবি কাফ সিরাপ ও ম্যাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই ওষুধগুলোতে যে উপাদানগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো মানব শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই ওষুধগুলির গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই বলেই জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share