Tag: Covid 19

Covid 19

  • Cowin: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    Cowin: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড (Covid 19) টিকাকরণ সংক্রান্ত পোর্টাল কোউইন (Cowin) সম্পূর্ণ নিরাপদ। দেশবাসীর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে একথা সাফ জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গতকাল প্রাথমিক তদন্তের পর তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে টেলিগ্রাম বট-এ যে ডেটা রয়েছে, তা কোউইন অ্যাপের নয়। সেই ডেটা হয় জাল ছিল বা তৃতীয় পক্ষের কোনও উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

    কেন্দ্রের বিবৃতি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোউইন (Cowin) পোর্টালের ডেভেলপমেন্ট টিম জানিয়েছে, ওটিপি ছাড়া টিকাপ্রাপ্তদের নাম, ফোন নম্বর, আধারকার্ড নম্বর, ঠিকানা কিংবা অন্য তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। যে এপিআইয়ের মাধ্যমে আইসিএমআর কোউইন ব্যবহারকারীদের তথ্য পেয়ে থাকে, সেটিও হোয়াইট লিস্টেড বলে জানিয়েছে ওই টিম। তা সত্ত্বেও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমকে নির্দেশ দিয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।

    স্রেফ গুজব

    কেন্দ্রের দাবি, টেলিগ্রাম বট-এর মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্তদের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই লিক হয়ে যাচ্ছে, যা স্রেফ গুজব। আধারকার্ডের নম্বরের সাহায্যে কোনওভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ওটিপির সাহায্যেই কোউইন পোর্টালে তথ্য পৌঁছায়। এই পোর্টালের সমস্ত ধাপই সুরক্ষিত।

    আরও পড়ুুন: ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    প্রসঙ্গত, টিকাপ্রাপকদের (Cowin) ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বর্তমানে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর অভিযোগ, এটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে পড় উদ্বেগের বিষয়। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেটা লিকের শিকার হয়েছেন কোউইন হাই পাওয়ার প্যানেলের চেয়ারম্যান রাম সেবক শর্মা, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। এটা যে স্রেফ গুজব, তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই তামাম বিশ্বকে সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডহানাম গেব্রেইসাস। তিনি বলেছিলেন, করোনার (Covid) চেয়েও ভয়ঙ্কর কোনও মারণ ভাইরাস হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে বিশ্বকে। হু-র প্রধানের সতর্কবার্তার পরেই চর্চা শুরু হয়েছে ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে। হু জানিয়েছে, ডিজিজ এক্স হল কোনও মারাত্মক মহামারি, যা ফের হামলা করতে পারে তামাম বিশ্বে। তবে ওই রোগের কারণ জানা যাবে না। ২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার হয় ‘ডিজিজ এক্স’ শব্দটি। ডিজিজ এক্সের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই  চিকিৎসক-গবেষকরা গবেষণা ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ফান্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।

    ডিজিজ এক্স (Disease X)

    হু-র কর্তাদের আশঙ্কা, ডিজিজ এক্সের প্রভাবে করোনার মতো আরও একটি আন্তর্জাতিক মহামারি হতে পারে। এর আগে হু-র ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯, ইবোলা, মারবার্গ, সার্স নিপা এবং জিকার মতো ভাইরাসগুলির নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ডিজিজ এক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিজ এক্স করোনার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে হতে পারে। এটা শুধু মানুষের মধ্যে নয়, মানুষ থেকে প্রাণী কিংবা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। প্রাণী থেকে প্রাণীতেও ছড়াতে পারে ডিজিজ এক্সের জীবাণু।

    ডিজিজ এক্সের (Disease X) উপসর্গ

    ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের গবেষক প্রণব চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের শেষের দিকে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। হু কর্তার মতে, ডিজিজ এক্সের কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। তাই আগাম কোনও প্রতিষেধক তৈরি কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। তাই ফের মহামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে ফের লকডাউনের মতো পথে হাঁটতে হতে পারে বিশ্বকে। করোনায় গোটা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ডিজিজ এক্সের (Disease X) প্রভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অতএব, সাধু সাবধান!

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় গাফিলতি ও উপসর্গহীন রোগীরাই বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের

    Covid 19: রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় গাফিলতি ও উপসর্গহীন রোগীরাই বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার নতুন প্রজাতি শক্তি বাড়ালেও, স্বাস্থ্য দফতরের পরীক্ষা প্রক্রিয়ার শক্তি বাড়ছে না। আর তাতেই রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। দিন কয়েক হল করোনা সংক্রমণ (Covid 19) বাড়ছে। রাজ্যে করোনার পজিটিভিটি রেট ১৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি প্রক্রিয়াতেই ঢিলেঢালা মনোভাব। অভিযোগ, করোনা পরীক্ষা পর্যাপ্ত হচ্ছে না।

    বিপদ ঠিক কোথায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি আর্কটুরাসে আক্রান্তের অধিকাংশ কিন্তু উপসর্গহীন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২০-৪৫ বছরের মধ্যে। আর উপসর্গহীন রোগী হওয়ার জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলেই বিপদ বাড়ছে প্রবীণদের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কম বয়সী সদস্যরা বাইরে থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপসর্গহীন হওয়ার জেরে তাঁরা বুঝতেও পারছেন না। কিন্তু তাঁদের থেকেই রোগ সংক্রমিত হচ্ছে পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের মধ্যে। আর বয়স্কদের নানান কো-মরবিডিটি থাকার জেরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে! 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য কী বলছে? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে যে ৭ জন করোনা (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। সোম ও মঙ্গলবার, এই দুদিনে রাজ্যে যে নতুন করে ৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে ১৮ জন রোগীই ৬০-র চৌকাঠ পেরিয়েছেন। তাই করোনার এই নতুন প্রজাতির উপসর্গহীন রোগীরা বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের।

    ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা জরুরি

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক হারে করোনা (Covid 19) পরীক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত দু’সপ্তাহে কিন্তু সেই পরীক্ষা একেবারেই হয়নি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেও পরীক্ষা ঠিকমতো না হওয়ার জেরে সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। উপসর্গহীন রোগীদের থেকে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। কিন্তু পরে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবারেও প্রথম থেকে সেই একই রকম ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কিট পর্যাপ্ত নেই। কোনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির সময়ও আবশ্যিকভাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। যা বিপদ বাড়াচ্ছে। ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা না হলে এই সংক্রমণ আটকানো কঠিন হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ কী? 

    বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। তবে শুধু প্রবীণরাই নন, কম বয়সীদেরও সচেতন থাকতে হবে। তারা বাইরে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, তেমনি বাড়িতেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। বাইরে থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারে নজর দিতে হবে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ সামান্য দেখা দিলেও অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দেরি করলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। তাই দ্রুত করোনা (Covid 19) পরীক্ষা করাতে হবে।

    স্বাস্থ্যকর্তারা কী বলছেন? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য বলছেন, তাঁরা করোনা (Covid 19) মোকাবিলায় তৎপর। প্রয়োজনমতো পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে, করোনার টিকা না থাকার জেরেই পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যে ফের মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, আর গাফিলতি করা যাবে না। তাই শীঘ্রই মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা প্রকাশ করতে চলেছেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়

    একদিকে যেভাবে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ সকলকে রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে, অন্যদিকে করোনা ফের ব্যাট হাতে নেমে পড়েছে। আর শুধু নামাই নয়, ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যাটিংটাও করতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে একরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে করোনা ফের ভাবাচ্ছে, তাতে সকলের কপালেই ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। একে গরম অসহনীয় হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

    করোনা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাই সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার ওই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং ভালো করে হাত ধুতে হবে। সরকারি অফিসে ও অন্যত্র নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তিনি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সবাই মাস্ক পরুন। হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন নিয়মিত বাজার ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় স্যানিটাইজ করে। 

    হাসপাতালকে বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে

    সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে। তাই এই সতর্কতা। করোনা ঠেকাতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত কিনা, তা নিয়ে সম্প্রতি দেশ জুড়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকেও সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, পরিকাঠামোর দিক থেকে কোনও খামতি যেন না থাকে। বিশেষত, অক্সিজেন যেন থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    Covid: করোনা প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে দু’ দিনের মক ড্রিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid)। দেশে আবারও করোনার ঢেউ এলে তার মোকাবিলা যাতে করা যায় সেজন্য শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হল মক ড্রিলের কথা। এপ্রিলের ১০-১১ দুদিন ধরে দেশজুড়ে হবে ওই মক ড্রিল (Mock Drill)। কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, মূলত তা দেখতেই আয়োজন করা হচ্ছে মক ড্রিলের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি এই মহড়ায় অংশ নেবে। মহড়ায় দেখা হবে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে কিনা।

    করোনা (Covid) পরিস্থিতি…

    দিল্লিতে মক ড্রিলে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, যদি করোনা (Covid) সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তার জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবাই যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, তা নিশ্চিত করতেই এই মহড়া। এদিন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মহড়ায় যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণ জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে ধাপে ধাপে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে সিংহভাগ করোনা সংক্রমিতের খবর মিলেছে কয়েকটি রাজ্য থেকে। যেহেতু ব্যাপক করোনা টিকাকরণ হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হারও কম, তা সত্ত্বেও বাড়ছে সংক্রমণ।

    জানা গিয়েছে, মক ড্রিলের সময় দেখা হবে কোন জেলায় করোনা (Covid) চিকিৎসার কী ব্যবস্থা রয়েছে, করোনা সংক্রমিতদের জন্য হাসপাতালে কত বেড রয়েছে।এক সঙ্গে কতজন রোগীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব, হাসপাতালে কতজন করোনা সংক্রমিতকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে, তাও খতিয়ে দেখা হবে মক ড্রিলে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপের কী ব্যবস্থা রয়েছে, কী প্রয়োজন, তাও নথিভুক্ত করা হবে। কেবল হাসপাতালের বেড বা অক্সিজেন নয়, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কতটা প্রস্তুত, তাও দেখা হবে।

    আরও পড়ুুন: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    কোভিড মোকাবিলায় কতজন প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাও দেখা হচ্ছে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ব্যবহারে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কতজন রয়েছেন, তাও দেখা হবে এই মক ড্রিলে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট যাতে কোনওভাবেই না ছড়ায় সেজন্য বছর শেষে উৎসবের মরশুমে চূড়ান্ত তৎপরতা। মাস্ক পরার পাশাপাশি দেশবাসীকে কোভিড বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: করোনা আবহে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: করোনা আবহে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid 19) সংক্রমণ ঠেকাতে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল আসামি ও বিচারাধীন বন্দিদের একাংশকে। ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ভিড় থেকে ছড়ায় করোনা সংক্রমণ। তাই ভিড় কমাতে ও করোনা আবহে জেলগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে দোষী সাব্যস্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। পরে চোখ রাঙানি কমে মারণ ভাইরাস করোনার। পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ স্বাভাবিক।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ…

    এমতাবস্থায় বন্দিদের ফের আত্মসমর্পণ করার কথা ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালাত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চের নির্দেশ, যে বিচারাধীন বন্দিদের কোভিড আবহে জরুরি ভিত্তিতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। আত্মসমর্পণের পর তাঁরা আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতে যে দোষী সাব্যস্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর কোনও অপরাধে জেলবন্দি ছিলেন না। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্যের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ওই বন্দিদের।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছিল করোনা। করোনা সংক্রমণের জেরে অকালে প্রাণ হারান কয়েক লক্ষ মানুষ। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে কেন্দ্র। করোনা হানা দেয় সুপ্রিম কোর্টেও। দেশের শীর্ষ আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারপতি ও প্রায় দুশো কর্মী সংক্রমিত হন করোনায়। পরে ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। বেশ কয়েক মাস ধরে হয়েছে ভার্চুয়াল শুনানি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চালু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্বাভাবিক কাজকর্মও। দেশের করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল, তখনই বিচারাধীন বন্দি ও দোষী সাব্যস্ত বন্দিদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Covid Cases: ভাইরাল ফ্লু ঘরে ঘরে! বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও, আশঙ্কায় রাজ্যবাসী

    New Covid Cases: ভাইরাল ফ্লু ঘরে ঘরে! বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও, আশঙ্কায় রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওষুধের দোকানে সহজে মিলছে না ওষুধ। অনলাইনে ওষুধ কিনতে গেলে ভেসে উঠছে, “সোল্ড আউট” লেখা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। দেশ জুড়ে বাড়ছে ভাইরাল ফ্লু-তে (Viral Flu) আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর (fever) সারলেও থেকেই যাচ্ছে কাশি, গলা খুসখুস। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে H3N2 সংক্রমণ নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১১৩ দিন পরে রবিবার সারা দেশে একদিনে ৫২৪ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ২০২২-এর ১৮ নভেম্বর সারা দেশে ৫০০ জন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। রবিবারের সংখ্যা ধরে এই মুহূর্তে সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬১৮ জন। 

    বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা

    কেরলে করোনার সংক্রমণে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।  এই সংখ্যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ৫,৩০, ৭৮১। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত সাত দিনে সংক্রমণের সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে। গত সাত দিনে নতুন করে ২৬৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগেকার তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্বস্তির কথা এটাই যে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা বৃদ্ধি পায়নি। সুস্থ হওয়ার হার ৯৮.৮০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: সতেজ ও সুস্থ থাকতে আপনার শিশুকে দিন ‘হার্ট-হেলথি-ফুড’

    চিন্তা বাড়াচ্ছে H3N2 ভাইরাস

    কোভিডের থেকে এই মুহূর্তে সারা দেশে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে H3N2 ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা। সাধারণভাবে H3N2 ভাইরাসে কেউ সংক্রমিত হলে, তাঁর দুর্বলতা ও ক্লান্তি থেকে সেরে উঠতে সময় লেগে যায় প্রায় ২ সপ্তাহের মতো। এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য উপসর্গ কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার অতি সাধারণ উপরূপ এইচ৩এন২-এর আক্রমণে শিশুদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে। দিন দিন হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2: করোনার পর নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা, কী বললেন প্রাক্তন এইমস প্রধান?

    H3N2: করোনার পর নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা, কী বললেন প্রাক্তন এইমস প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। এবারে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা (H3N2)। কোভিডের মতই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণের পিছনে রয়েছে H3N2 ভাইরাস। এই ভাইরাস কোভিডের মতই ছড়িয়ে পড়ছে। আর এর জেরেই ভাইরাল ফিভারে কাবু হচ্ছে আট থেকে আশি সকলেই। সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগী দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও চিন্তিত। আইসিইউতে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে এবং স্বাস্থ্য কর্তারা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আর এর থেকে নিস্তার পেতে উপায় দিলেন প্রাক্তন এইমস প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া।

    কী বললেন রণদীপ গুলেরিয়া?

    ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড রেসপিরেটরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন এইমস প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “এই H3N2 ভাইরাসটি প্রতি বছর এই নির্দিষ্ট সময়ে রূপ পরিবর্তন করে। এটিও কোভিডের ন্যায় ড্রপলেটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জার কেসের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে দেখছি। এর উপসর্গ মূলত জ্বর, গলা ব্যথা, গা হাত পায়ে ব্যথা এবং সর্দি। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রূপ পরিবর্তন করে অ্যান্টিজেনিক ড্রিফ্ট তৈরি করছে। ভাইরাসের ক্ষতি করার ক্ষমতাও বেড়েছে। আমাদেরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। ফলে ভাইরাল ফিভার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।”

    আরও পড়ুন:ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের

    H3N2 প্রতিরোধের উপায় কী?

    দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তন প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইনফ্লুয়েঞ্জায় (H3N2) আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ। এছাড়া কোভিড-পরবর্তী সময়ে জনগণ আর মাস্ক পরছেন না। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কোভিডের মতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, “আমাদের বারবার হাত ধোওয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত।” বয়স্ক এবং যাঁদের ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. গুলেরিয়া।

    কতটা ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস?

    ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা (H3N2) বৃদ্ধি আরও আক্রমনাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর সেরে গেলেও কাশি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে জ্বর ও কাশি সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। আর এই ভাইরাসটি প্রথম থেকেই দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে এখন থেকেই বিভিন্ন সতর্কতা মেনে চলা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নভেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি। ছাঁটাই করা হয়েছে বহু কর্মীকে। এসবই করা হয়েছে করোনা (Covid 19) অতিমারি পরিস্থিতিতে। যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে পারে চিনা অর্থনীতি (China Economy)। ঋণের জালে জড়িয়ে একের পর এক দেশের অর্থনীতিকে সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এশিয়া মহাদেশের এই তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চিনা অর্থনীতির ফাঁসে আটকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। চিনা ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। এহেন চিনের অর্থনীতিই ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে সমস্যার মুখে।

    মারণ ভাইরাস…

    চিনের উহান প্রদেশেই প্রথম খোঁজ মেলে মারণ ভাইরাস  করোনার। পরে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। করোনার থাবায় মৃত্যু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের। তার পরে জরুরি ভিত্তিতে টিকা আবিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণে জোর দেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার জেরে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে পৃথিবীর অনেক দেশেই। যদিও চিনে রোগের প্রকোপ কমেনি। সম্প্রতি চিনে ফের দাপট বাড়তে থেকে করোনার। প্রতিদিনই দীর্ঘ হতে থাকে মৃতের তালিকা। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা রোগীর দীর্ঘ লাইন। শেষকৃত্যস্থলে লাশের পাহাড়। যদিও সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি বললেই চলে।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    করোনা রুখতে জিরো কোভিড টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল সে দেশের সরকার। তার কার্যত গৃহবন্দি দশা কাটাতে বাধ্য হন চিনা নাগরিকরা। গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় মজুরি (China Economy)। বেসরকারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ছাঁটাই করে। সম্প্রতি জনতার চাপে পড়ে লকডাউন শিথিল করে চিনা সরকার। এর পরেই বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তার জেরে ক্রমেই বাড়ছে জনরোষ। যা বিস্ফোরণ ঘটলে চাপ পড়তে পারে অর্থনীতিতে।

    চিনের চংকুইংয়ের সাউথ ওয়েস্টার্ন শহরে চাকরি খোয়ানো শতাধিক মানুষ বকেয়া মজুরি ও কাজের দাবিতে (China Economy) বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর করেন মেশিনপত্র। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। দিন দিন এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ২০২২ সালে চিনা অর্থনীতির বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্ধ শতাব্দীতে যা এদেশে প্রথম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • New Zealand: নিউজিল্যান্ডের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস, কেন জানেন?

    New Zealand: নিউজিল্যান্ডের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস (Chris Hipkins)। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তাঁকে কোভিড ১৯ (Covid 19) মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর পদক্ষেপ উচ্চ প্রশংসিত হয়। তার জেরেই দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। লেবার পার্টির ৬৪ জন সাংসদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তবে এখনই প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না ক্রিস। কারণ ৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Ardern)। তার পরেই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বছর চুয়াল্লিশের হিপকিনস। দলের মনোনয়ন পেয়ে দৃশ্যতই খুশি হিপকিনস। বলেন, আমরা অবিশ্বাস্যভাবে একটা শক্ত দল। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যের ভিত্তিতে এই জায়গায় এসেছি। এবং আমরা সেটা চালিয়ে যাব। আমি সত্যিকারের ভাগ্যবান। কারণ এই সব (মন্ত্রিসভার সদস্য) মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে পারব। এই মানুষগুলি নিজেদের উৎসর্গ করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের স্বার্থে।

    চিপ্পি…

    হিপকিনস দলে চিপ্পি নামে পরিচিত। জনপ্রিয়ও বটে। কোভিড-১৯ মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী। তবে এই দফতরের চেয়ে তাঁকে বেশি মাইলেজ দিয়েছে কোভিড মন্ত্রিত্বের পদ। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে তাঁর মনোনয়ন হয়েছে অনায়াস। অথচ দৌড়ে এগিয়েছিলেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী গ্যান্ট রবার্টসন। তবে জেসিন্ডা পদত্যাগ করার পরে পরেই রাবার্টসন জানিয়ে দিয়েছিলেন লেবার পার্টির দলনেতা হওয়ার কোনও বাসনাই নেই তাঁর।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আচমকাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন জেসিকা আর্ডের্ন। তিনি জানিয়েছিলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রিত্ব পদ ছাড়তে চলেছেন তিনি। অক্টোবর মাসে হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ট্যাঙ্কে আর জ্বালানি নেই। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কঠিন সাড়ে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। কিন্তু তিনিও তো মানুষ। তাই তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে। আগামিকাল, রবিবার হিপকিনসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদে লেবার পার্টির সাংসদদের সমর্থন পেতে হবে। তার পরেই তিনি হতে পারবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে তার আগে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে আর্ডের্নকে। যা এখন কেবল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share