Tag: Covid 19

Covid 19

  • Covid 19: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    Covid 19: করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, উপসর্গ মৃদু, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (Covid 19)। বৃহস্পতিবার দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৮৯৩ জন৷ বুধবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৭,১৩৫৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত ৪,৮০,৮৭,০৩৭। দেশে দৈনিক মৃত্যু ৫৩৷ এর মধ্যে কেরালাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের৷ এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৬,৩৫৭। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কর্ণাটক৷ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০,৪১৯ জন৷ সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ৷

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ওপরের দিকে উঠলেও তাতে এখনই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট ডাঃ নিখিল মোদি বলেছেন, “করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এটা ঠিক, কিন্তু উপসর্গ মৃদু। একদিন আগেই দিল্লিতে ২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms) রয়েছে।”

    যাদের কোমর্বিলিটি রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে ডাঃ মোদি বলেন, “৮০-৯০ বছরের রোগীরা, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদেরও অত্যন্ত মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ধীরেন গুপ্ত বলেছেন, “যারা কোভিড বিধি মেনে চলবেন না তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। অনেকেই কোভিড বিধি সম্পর্কে জানেন না। যখন সমস্যা অনেক বেড়ে যায় তখন টেস্ট করান তাঁরা।”

    তিনি আরও বলেন, ” কোভিড সংক্রমণ এত দ্রুত বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ মানুষের অসচেতনতা। অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। আবহআওয়া পরিবর্তনও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।” 

    তিনি বলেন, “বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি সাধারণ ভাইরাল ফ্লু- এর মতো। ২- ৩ দিন জ্বর থাকছে। ৫-৭ দিন পরে আর সেভাবে কোনও উপসর্গ লক্ষ করা যাচ্ছে না।”

    ডাঃ গুপ্ত বলেন, “কোভিড এখনই শেষ হয়ে যায়নি। যারা তিনমাস আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা নতুন করে আবার আক্রান্ত হচ্ছেন।”

     

     

  • Covid 19: ভাবাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সতর্ক করলেন হু প্রধান

    Covid 19: ভাবাচ্ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সতর্ক করলেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করলেন হু (WHO) প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। মার্চ মাসের দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে কমতে শুরু করেছিল করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। অতিমারীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এখনই নিষ্কৃতি দিচ্ছে না করোনা। এমনটাই জানিয়েছেন হু প্রধান। উল্টে বিশ্বের একাধিক জায়গায় সংক্রমণ বাড়বে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    ডাঃ ঘেব্রেইসাস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীকে আরও একবার সাবধান করে বলেছেন যে, দুবছর অতিক্রান্ত হলেও করোনা ভাইরাসের একের পর এক নয়া স্ট্রেনের দাপটে সারা বিশ্বেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে যা নতুন করে এই ভাইরাসকে নিয়ে ভাবাতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের  

    হু প্রধান বলেন, “ভারত সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন! কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের যে ভাবেই হোক আটকাতে হবে তা না হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর ফের চাপ আসতে শুরু করবে। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও যা নিয়ে নতুন করে সারা বিশ্বের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে”।

    তিনি আরও বলেন, “যে সকল দেশে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সেই সকল দেশের সরকারের উচিত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড আক্রান্তদের খুঁজে বের করা। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিকাহীনদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা। আমরা আগের থেকে বর্তমানে অনেক ভাল আছি আমাদের প্রত্যেকের টিকা নেওয়া এবং কোভিড বিধি মেনে চলা উচিৎ।” 

    BA.4 এবং BA.5 ভ্যারিয়েন্টের প্রসঙ্গে হু প্রধান এদিন বলেন, “এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। টিকাহীনদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের টিকার আওতায় আনা উচিত।”    

    গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যেকদিনই কার্যত দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা ১৫ হাজারের উপরে। যা দেখে উদ্বিগ্ন দেশের চিকিৎসকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হয়নি। 

     

     

  • Covid 19 Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    Covid 19 Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয় ধরাচ্ছে দেশে করোনা (Covid 19) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা পেরিয়েছে এক লক্ষের গণ্ডি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮১৯ জন। ফের করোনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসা মহলের। ১৩০ দিন পরে আবার এক লাখের সীমা অতিক্রম করেছে সক্রিয় সংক্রমণ। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। দেশে এযাবৎ করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৫,১১৬। মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।

    [tw]


     [/tw]

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে পরাজিত করে সেরে উঠেছেন ১৩,৮২৭ জন। এই অবধি গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,২৮,২২,৪৯৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৫%। 

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,০৪,৫৫৫। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.১৬%। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৩.৭২%। এ পর্যন্ত মোট কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬.২৩ কোটি জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,৫২,৪৩০ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। টিকা দেওয়া হয়েছে মোট  ১৯৭.৬১ ডোজ।

    সংক্রমণের নিরিখে প্রথমেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের।

    দেশে দেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অতিমারি পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও তা শেষ হয়ে যায়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ১১০টি দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। 

    আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তে ফের বিধিনিষেধে কড়াকড়ি করেছে কেন্দ্র। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর ফের কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ২ শতাংশের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।   

     

  • Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। প্রতিদিন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হয়ত চতুর্থ ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল বলে! কোভিড ঘিরে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশ্বাস, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ঘিরে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, আক্রান্তরা যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনটা কিছুই হয়নি। কারণ করোনা হয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কম, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, একইসঙ্গে করোনার থেকে বাঁচতে কোভিড নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। 

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সোমবার দিল্লিতে একদিনে কোভিডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬০, আর মৃত্যু হয় ৬ জনের। শুক্রবারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯৭ যা বিগত চার মাসের মধ্যে  সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল।

    চিকিৎসকদের মতে, গত সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়লেও এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর সমস্যাও কম দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র বয়স্ক অথবা যাঁদের ইমিউনিটি কম বা যাঁদের আগের থেকে অসুখ রয়েছে তাঁরাই একমাত্র ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

    বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাধারণ মানুষকে এই ভাইরাস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি কোভিডবিধি পালন করতে হবে। যেমন— মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাঁদের শরীরে কোভিডের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের আগে থেকে আইসোলেশনে (Isolation) চলে যাওয়া উচিত বলেও পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    অসতর্কতা বা সচেতনতার অভাবেই গ্রাফের এই উত্থান বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কোভিড পুরোপুরিভাবে না যাওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ ভ্যাকেশনে (Vacation) চলে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়েও কোনওপ্রকার কোভিড নিয়ম মেনে চলছেন না। তাঁদের মতে, মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং সামাজিক দূরত্ব (Social Distancing) বজায় না রাখার সঙ্গে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি (Health Guidelines) ঠিকঠাক করে না মেনে চলার জন্যই করোনার গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি।

    ফলে করোনা নিয়ে চিন্তা না থাকলেও প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের (Mask) ব্যবহার মাস্ট এবং এতেই হবে সমস্যা দূর। এছাড়া শারীরিক দূরত্ববিধিও মেনে চলা থেকে শুরু করে নিয়মিত হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

  • Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী,  নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    Covid 19 Update: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে। শুক্রবারও দেশের করোনা গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।   
     
    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭০ জন। যা গতকালের থেকে অনেকটা বেশি। সবচেয়ে চিন্তায় রাখছে দেশের পজিটিভিটি রেট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের পজিটিভিটি রেট ৩.৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহের পজিটিভিটির রেটও ৩.৭৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪১৩ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৮৯ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ৬৩৪ জন বেশি।

    তামিলনাড়ুতে ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,০৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু চেন্নাইতেই এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৯ জন। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪.৭৫ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পর পর দুদিন ১০০০ -এর ওপরে থাকল আক্রান্তের সংখ্যা। এরাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১,৫২৪ জন। পজিটিভিটি রেট ১২.৮৯ শতাংশ। বাংলায় এ যাবৎ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০.২৯ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের 

    মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। একদিনে আক্রান্ত ৩,৬৪০। এযাবৎ এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯.৭৬ লক্ষ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ জনের। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৫ জন। পজিটিভিটি রেট ৪.৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

     

  • Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এর মধ্যেই এল এক খুশির খবর। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। ভারত বায়োটেকের তৈরি নেজাল কোভিড ভ্যাকসিনের (Nasal Vaccine) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল (Third Trial) শেষ। ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella) জানান, আগামী মাসেই ট্রায়াল সংক্রান্ত সব তথ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছি। এখন আরও কিছু পরীক্ষা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাব। আর তাহলে এটাই হবে বিশ্বের করোনার প্রথম ক্লিনিক্যালি টেস্টেড নেজাল ভ্যাকসিন।”  

    ডাঃ এল্লা আরও বলেন, “এই ভ্যাকসিন যদি মান্যতা পায়, তাহলে ভারতের জন্যে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশের ৬৫টি স্টার্টআপ এই গবেষণায় এগিয়ে এসেছে। এই সবকটি সংস্থাই সম্ভবনাময়। আমরাও ১৯৯৭ সালে স্টার্টআপই ছিলাম। ভারত বিশ্বের জন্যে কী করতে পারে তা এই কাজ থেকে প্রমাণিত।”

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    এই বছরই জানুয়ারি মাসে ভারত বায়োটেকের এই নেজাল ভ্যাকসিনকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল ডিসিজিআই। ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছমাস সময় লেগেছে।    

    অন্যদিকে, কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে এদিন ডাঃ এল্লা জানান, “করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়া অবশ্যই উচিত। যারা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাঁরা বুস্টার ডোজ নিন এবং নিশ্চিন্ত থাকুন।” 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৯। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত চার হাজারের বেশি। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে সরকার।        

    ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) প্রস্তাব দিয়েছে, দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানোর। দ্বিতীয় ডোজের ছমাস পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নমাস। একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।  

    দেশে যখন নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা, তখন এই নেজাল ভ্যাকসিন বাজারে এলে অনেকটাই স্বস্তি পাবে দেশবাসী, বলে মনে করছে চিকিৎসকমহল। যদিও কবে এই টিকা বাজারে আসবে, সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।   

     

     

     

  • Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের(Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে এবার গবেষকরা করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের (New Coronavirus Symptoms) সন্ধান পেয়েছে। বিজ্ঞানী-গবেষকরা কোভিড নিয়ে গবেষণা করেই এই নতুন উপসর্গের উল্লেখ করেছেন। শরীরে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা এগুলোই হল কোভিডের নতুন লক্ষণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত ৩জনের মধ্যে একজনের গায়ে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসস্থার(World Health Organization) একটি রিপোর্টে বিশ্লেষণ করে দেখা হয় যে, প্রায় ৫৬০০০ জন কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীদের গায়ে, পেশীতে ব্যথা আছে।

    শরীরের কোথায় ব্যথা হতে পারে?

    শরীরের  সাধারণত কাঁধে, কোমরে ও পায়ে ব্যথা দেখা গিয়েছে। তবে এইসব উপসর্গের সঙ্গে মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে।

    ব্যথার ফলে কীভাবে বুঝবেন যে আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দেহে, পেশীতে  ব্যথা তো থাকবেই, এর সঙ্গে পেশী সঞ্চালন করলেও এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন। অথবা পেশীকে ছুঁলেও ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

    কতদিন কোভিডের এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে?

    গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি করোনার প্রাথমিক উপসর্গ ও এটি ২-৫ দিন থাকতে পারে। তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধবয়সীদের ৭-৮ দিন এই ব্যথা থাকতে পারে।

    গায়ে ব্যথা কীভাবে আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের গায়ে ব্যথা হলে দেহে স্ফীতাভাব দেখা যেতে পারে, সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটিও  কমে যেতে পারে। তাছাড়াও ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তিভাব দেখা যেতে পারে ও আপনার হাঁটাচলাতেও অসুবিধা হতে পারে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ব্যথা থাকলে আপনার পেশীর কোষগুলিও নষ্ট হয়ে যাোয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এর প্রতিকার কীভাবে করবেন?

    যদি আপনার শরীরে কোনও ব্যথা অনুভব হয়, তবে এটি করোনার লক্ষণ হতে পারে। তাই আপনাকে টেস্ট করে নেওয়া উচিত ও আইসোলেশনেও থাকা উচিত। ব্যথার জন্য সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন ও খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

  • Joe Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই

    Joe Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড আক্রান্ত (Covid-19) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বৃহস্পতিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস (White House)। বর্তমানে নিভৃতাবাসে (Isolation) রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রোগের খুব সামান্য উপসর্গ রয়েছে প্রেসিডেন্টের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। দ্রুত সেরে উঠবেন। চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর সবকটি টিকা নেওয়া আছে তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।

    আরও পড়ুন: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    ফাইজারের তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ট্রিটমেন্ট ‘প্যাক্সলোভিড’ (Paxlovid) নেওয়া শুরু করেছেন ৭৯ বছর বর্ষীয় জো বাইডেন। এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন বাইডেন। প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর (Dr. Kevin O’Connor) জানিয়েছেন, বাইডেনের সর্দি লেগেছে, সামান্য শুকনো কাশি রয়েছে এবং ক্লান্তিও রয়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিডজনিত সমস্য়া কমানোর জন্য বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে জো বাইডেনকে। 

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান? 

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের (Jean-Pierre) বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এখন কিছুদিন আইসোলেশনে থাকবেন বাইডেন। আর সেখান থেকেই দায়িত্ব সামলাবেন। সকালে হোয়াইট হাউসের স্টাফসহ অন্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। নির্ধারিত মিটিং করেছেন ফোন এবং জুমে। চারদিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে শেষে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তারপরেই রোগে আক্রান্ত। 

    ট্যুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস থেকে সমস্ত কাজ করবেন। তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে কোভিড আক্রান্ত। সামান্য উপসর্গ রয়েছে। আমার কোভিড ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজসহ দুটি বুস্টার ডোজ নেওয়া রয়েছে। আপনাদের আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখে আমি অভিভূত। আমি ভালো আছি। অনেক কাজ করছি। খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে।”  

    [tw]


     [/tw]

    যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে কোভিডবিধি (Covid Guidelines) মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।   

     

     

     

  • Covid 4th Wave: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী 

    Covid 4th Wave: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই নিস্তার নেই করোনার (Covid 19) হাত থেকে। আরো বেশ কিছু ছোট-ছোট ঢেউ প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ব। এমন আশঙ্কার কথাই শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)।  

    হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথন (Dr Soumya Swaminathan) বলেন, “করোনার আরও একটা ছোট ঢেউয়ের সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তা এই পরিস্থিতিতে বলা যাচ্ছে না। রোজই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ যে বাধ্যতামূলক। ৬০ বছরের ওপরের সকলের বুস্টার ডোজ গ্রহণ এবং কোভিড বিধি মেনে চলা দেশে পরবর্তী ঢেউকে আটকাতে পারে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অনেকে বাড়িতেই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন সেক্ষেত্রে সংখ্যার হের-ফের হওয়া স্বাভাবিক। পাশাপাশি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্বিক মৃত্যুহারের ওপর বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন।”    

    আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর  

    এর আগে আইআইটি কানপুরের ম্যাথমেটিক্স এবং স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের গবেষণায় করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভবনার কথা বলা হয়েছিল। গবেষণায় উঠে আসে, চলতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা যাবে। সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে ১৫ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। এই তরঙ্গের প্রকোপ কমবে অক্টোবরে। এই তরঙ্গের ভয়াবহতা নির্ভর করবে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্টের চরিত্রের উপর। এছাড়া দেশের কত মানুষ টিকা পেয়েছেন ও কতজন বুস্টার ডোজ পেলেন, তার উপরেও ভাইরাসের ভয়াবহতা নির্ভর করবে। এবার কী তাহলে সেই সম্ভবনাই সত্যি হতে চলেছে? 

    গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।  

    আরও পড়ুন: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    গত ডিসেম্বরেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে ফের চার দেওয়ালে আটকে পড়েছিল গোটা দেশ। তাকে করোনার তৃতীয় ঢেউ বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরিস্থিতি সবেমাত্র নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। তার মধ্যেই ফের চতুর্থ ঢেউ-য়ের আশঙ্কা। 

    প্রায় রোজই দেশজুরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাতহাজারেরও গণ্ডি পেরিয়েছে। সক্রিয়  রোগীর সংখ্যাও ৩০ হাজার পার করেছে। 

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “প্রতি চার থেকে ছমাস পরপর একের পর এক নতুন স্ট্রেন আসবে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বাড়বে। তবে যদি কেউ টিকা এবং বুস্টার ডোজ নিয়ে থাকেন এবং কোভিড বিধি যতটা সম্ভব মেনে চলেন তাহলে তার অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তৃতীয় ঢেউয়ের মত নয়া এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকবে। তবে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে।”      

     

  • Covaxin: শিশুদের জন্যে কতটা নিরাপদ কোভ্যাক্সিন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী?

    Covaxin: শিশুদের জন্যে কতটা নিরাপদ কোভ্যাক্সিন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাদের নির্মিত করোনা টিকা (Covid-19 vaccine) “কোভ্যাক্সিন” শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ, সহনীয় এবং রোগকে প্রতিরোধ করে। এই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রায়াল হয়েছিল গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর অবধি। এমনটাই দাবি করল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।

    সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২-১৮ বছর বয়সি শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের উপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে টিকার নিরাপত্তা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella) এবিষয়ে বলেন,”শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুবই ভালোভাবে সফল হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকরী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। দেশের ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।”

    ইতিমধ্যেই ‘ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিন’ (Universal Vaccine)- এর তকমা পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের শরীরেও সমান কার্যকর এই টিকা। বাচ্চাদের শরীরে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ হলেও, এই টিকা নেওয়ার পরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে শিশু এবং কিশোরদের। এমনকি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাও এরকম কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে।

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সংস্থার দাবি, এই টিকা নেওয়ার পর মাথা ব্যথা, হালকা জ্বর, ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথা, গা ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাতে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত বায়োটেক গবেষণায় জানিয়েছে, বিশেষ কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি। মোট ৩৭৪টি কেসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করা হয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই হালকা প্রকৃতির এবং এক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গাতে ব্যথার কথাই সবচেয়ে বেশি জানা গিয়েছে। সংস্থাটির দাবি, তাদের কাছে ৫ কোটিরও বেশি ডোজের কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে।

     

LinkedIn
Share