Tag: Cow

Cow

  • Cow Dung: গোবর থেকে তৈরি হচ্ছে ত্বক-বান্ধব রং, ভয় ছাড়াই মাতুন হোলিতে

    Cow Dung: গোবর থেকে তৈরি হচ্ছে ত্বক-বান্ধব রং, ভয় ছাড়াই মাতুন হোলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই দোল উৎসব। রংয়ের এই উৎসবে শামিল হয়ে অনেকেই আক্রান্ত হন ত্বকের রোগে। মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল মেশানোর ফলেই অনেকেই স্কিন ডিজিজে ভোগেন। তবে এবার স্কিন ডিজিজের ভয় ছাড়াই (Cow Dung) মাততে পারবেন রংয়ের উৎসবে (Uttar Pradesh)। আজ আপনাদের শোনাব সেই গল্পই।

    গোবর থেকে গুলাল (Cow Dung)

    উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে রয়েছে শ্রী শাকম্ভরী কানহা উপভন গোশালা। এবাই গোবর থেকে গুলাল তৈরি করেছে। এই রং ব্যবহার করলেও চামড়ার কোনও ক্ষতি হবে না। গোশালা কর্তৃপক্ষ এই রং পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।

    প্রাকৃতিক গোবর গুলাল’

    পুর নিগমের দাবি, এটি রাজ্যের প্রথম গোশালা যেখানে ‘প্রাকৃতিক গোবর গুলাল’ তৈরি করে এমন একটি অনন্য পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সঞ্জয় চৌহানের তত্ত্বাবধানে এই গুলাল তৈরি করা হয়েছে। গোবর থেকে তৈরি এই গুলাল হোলিতে সিন্থেটিক রঙের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করবে। রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী এ কে শর্মাকেও এই গুলাল পাঠানো হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। চৌহান জানান, শ্রী শাকম্ভরী কানহা উপভন গোশালা একটি আইএসও সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠান, যা দেশজুড়ে তার নতুন নতুন পরীক্ষার জন্য পরিচিত। গোবর থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি এখানে পরিবেশবান্ধব রংও তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কানহা উপভন গোশালা রাজ্যের প্রথম গোশালা যেখানে গোবর থেকে গুলাল প্রস্তুত করা হয়েছে (Cow Dung)।”

    গৌশালা চিফ ইঞ্জিনিয়ার (নির্মাণ) বিকে সিং জানান, “গৌশালায় প্রস্তুত গুলালে গোময় গুঁড়ো, অ্যারারুট, সুগন্ধি, ফলের রঙ, বিটরুট, পালং শাক এবং হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কোনও রাসায়নিক নেই, তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি উচ্চমানের প্রাকৃতিক গুলাল। সিং জানান, প্রাকৃতিক গোময় গুলাল চারটি রঙে প্রস্তুত করা হচ্ছে — গোলাপি, সবুজ, হলুদ এবং নীল। গৌশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং কর্পোরেশনের ভেটেরিনারি ওয়েলফেয়ার অফিসার ডঃ সন্দীপ মিশ্র জানান, এই গুলাল ব্যবহারে ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না (Uttar Pradesh)। এই গুলাল পুরসভার স্টল, বাজার এবং অনলাইনেও পাওয়া যাবে। গুলাল মিলবে ১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম এবং ৫০০ গ্রামের প্যাকেটে (Cow Dung)।

  • VHP: গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP: গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ (Rashtra Mata) এবং ‘রাষ্ট্রধরোহর’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP)। প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা এলাকায় গৌ রক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ। সেখানেই এই দাবি জানানো হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা গোরুর লালন-পালন ও সুরক্ষার জন্য একটি অভয়ারণ্য গড়ে তোলার দাবিও জানান।

    গৌ রক্ষা প্রধানের বক্তব্য (VHP)

    অখিল ভারতীয় গৌ রক্ষা প্রধান দীনেশ উপাধ্যায় বলেন, “সংগঠনের গৌ রক্ষা শাখা জনসাধারণের মধ্যে গৌ পালন, গৌ রক্ষণ এবং গৌ সম্বর্ধনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনটি বিষয় ছিল – গোরু, গ্রাম এবং দরিদ্র। এখন আমাদের প্রধান দাবি, গোরুকে রাষ্ট্রমাতার মর্যাদা দিতে হবে।” ভারতীয় গৌ রক্ষা প্রধান বলেন, “যদি গোরু রক্ষা পায়, তবে বিশ্ব রক্ষা পাবে। যখন লক্ষ লক্ষ ভক্ত মহাকুম্ভে যোগ দিচ্ছেন, আমরা সেই বার্তাও ছড়িয়ে দিতে চাই যে যারা গোরুকে দুর্ঘটনার মুখে ছেড়ে দেন, তারা কখনও মুক্তি পান না।” তিনি বলেন, “গৌ মাতার গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এবং গোরুই আমাদের শারীরিক, অর্থনৈতিক এবং মানসিক উন্নয়নের ভিত্তি।”

    গো রক্ষার প্রয়োজন

    উপাধ্যায় বলেন (VHP), “একমাত্র হিন্দুরাই গোরুকে মা বলেন এবং বিশ্বকল্যাণের অনুভূতি পোষণ করে।” সম্মেলনের সভাপতি তিরুপিতা স্বামীজি বলেন, “সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, গোরুর জন্য কাজ এবং সংরক্ষণ করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে ৯৮ শতাংশ গোরু দেশীয়, যার মধ্যে ৩০০-রও বেশি প্রজাতি রয়েছে।” গোরু রক্ষা এবং সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজকে গোরুর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের তাদের দায়িত্ব বুঝতে এবং গোরু সংরক্ষণের জন্য পরিকল্পনা নেওয়ার ডাক দেন।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (গৌরক্ষা শাখা, কাশী প্রান্ত) আঞ্চলিক সম্পাদক লালমণি তিওয়ারি বলেন, “গোরুর জন্য নির্দিষ্ট জমি উন্নয়নের প্রয়োজন এবং সমস্ত কারাগারে গোশালা খোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত (Rashtra Mata)।” প্রসঙ্গত, সারা দেশ থেকে ৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন (VHP)।

  • Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু তুমি কার! গরুর প্রকৃত মালিক খুঁজতে ঘুম ছুটেছে পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) থানা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গরুর প্রকৃত মালিক কে, তার ফয়সালা করতেই গলদ ঘর্ম দশা পুলিশের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুর দাবিদার দুজন। দুপক্ষই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ একবার ফয়সালার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, দুপক্ষই গরুর সম্পর্কে গোপন কিছু কথা তুলে ধরা এবং প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য দেওয়াতে পুলিশ আরও সমস্যায় পড়েছে। প্রকৃত গরুর মালিক কিভাবে  চিহ্নিত করা যাবে,  সেই বিষয়েও পুলিশকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিচ্ছেন। বালুরঘাট (Balurghat) শহরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোরু নিয়ে বিবাদ শুরু হয় মাস তিনেক আগে। গরুর আসল মালিক বলে যিনি দাবি করছেন সেই কল্পনা ঘোষ,  তার বাড়ির গরুগুলিকে ছেড়ে দিতেন মাঠে খাওয়ার জন্য।  সকালে গোরুগুলি ছেড়ে দেওয়া হলেও, প্রতিদিন রাতেই কল্পনা ঘোষের কংগ্রেসপাড়ার বাড়িতে ফিরে আসত গরুগুলি।  কিন্তু,  মাস তিনেক আগে অন্য গরুগুলি ফিরে এলেও, বিতর্ক তৈরি হওয়া গরুটি ফেরেনি। এরপর  তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাস কয়েক ধরে তিনি খোঁজাখুঁজির পর সেটাকে না পেয়ে, সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বালুরঘাট শহরের নেপালি পাড়া এলাকার সাবিত্রী সাহার বাড়িতে  তাঁর গোরুটি বাঁধা রয়েছে। এর পর ওই বাড়িতে গিয়ে তাঁর  গোরুটি খুলে আনতে গেলে বাধা পান তিনি। যদিও ছেলেদের সহায়তায় জোর করে কল্পনা ঘোষ ওই গরুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

    দুই দাবিদারের কী বক্তব্য?

    কল্পনা ঘোষ নামে এক দাবিদার বলেন,  আমার বাড়ির এই  লাল সাদা রঙের গরুটিকে আমরা মাস তিনেক ধরে খুঁজে পাচ্ছিনা। দুদিন আগে খবর পেয়ে ওই সাবিত্রী সাহার বাড়ি থেকে গরুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এরপরেই সাবিত্রী বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের গরু বেঁধে রেখে, আবার আমাদের নামেই অভিযোগ করেছে।  সাবিত্রী সাহা নামে অন্য এক দাবিদার বলেন, লকডাউনের সময় আমি বাছুরকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর থেকে সেটির কোনও হদিশ পাইনি। অবশেষে মাস কয়েক আগে বাছুরের কানে জন্মের দাগ রয়েছে, তা দেখেই চিনি। সেখান থেকেই বাড়িতে নিয়ে যাই। কিন্তু, আচমকা ওরা আমার বাড়ি থেকে জোর করে গরুটিকে নিয়ে গেল। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন,  ‘গরুর তো আর মালিকানার কাগজপত্র হয় না। দুজনই দাবি করছেন, গরুটি তাঁদের। এতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি, বিষয়টি কী ভাবে সমাধান করা যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের  ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভলবো বাসে করে গরু ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ ফের গরু উদ্ধার হল তেলের ট্যাঙ্কার থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পুলিশের নাকা চেকিং থেকে এই গরু বোঝাই তেলের ট্যাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল।

    কীভাবে উদ্ধার হল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু বোঝাই একটি তেলের ট্যাঙ্কার যাচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) হেঁড়িয়া ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়ক ধরে। কিন্তু গাড়ির গতিপ্রকৃতি দেখেই সন্দেশ করে পুলিশ। এরপর গাড়িকে আটক করতে চাইলে গাড়িকে নিয়ে চালক আচমকা ছুট দিতে চায়। এরপর পুলিশ আরও তৎপর হলে ট্যাঙ্কারকে ধাওয়া করে গাড়িকে পাকড়াও করে। গাড়িটিকে ইটাবেড়িয়া বাজার থেকে ভূপতিনগর থানার পুলিশ আটক করে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি।

    ট্যাংকার খুলতেই পুলিশের চোখ কপালে!

    ইটাবেড়িয়া বাজারে (Purba Medinipur) তেলের ট্যাঙ্কার খুলতেই পুলিশের চোখ একাবারে কপালে উঠে যায়। গাড়ির ট্যাঙ্কারে তেল নেই, এক দম ফাঁকা। লাইন করে বাঁধা রয়েছে প্রচুর গরু। এরপর পুলিশ, চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু তাদের বক্তব্যে অসঙ্গগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিজে অত্যন্ত তৎপর হয়ে বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে নাকা চেকিংয়ে এই ভাবে গরু আটক হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবার অনেক স্থায়ীবাসিন্দা বলেছেন, এই ভাবে গরু পাচার হল এক অভিনব কায়দায় গরু পাচার।

    ভলভো বাসের উদ্ধার গরু

    গতকাল শুক্রবার, যে বিলাস বহুল বাসে মানুষ যাতায়ত করে সেই বাসে করেই গরু পাচার করা হচ্ছিল। বর্ধমানের মেমারিতে জিটি রোডর কাছেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বাসের দুই পাশেই ভিতর থেকে পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। পর্দার রঙ রঙিন হওয়ায় বাইরে থেকে বাসের ভিতরের অংশ দেখা যাচ্ছিল না। আর সম্ভব এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের সচেতনতায় পাচার হওয়া গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকালকের পর আজ পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) গরু পাচারের ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Allahabad High Court: ‘গো-হত্যাকারীরা নরকে পচে, গরুকে সংরক্ষিত জাতীয় পশু করা হোক’, মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: ‘গো-হত্যাকারীরা নরকে পচে, গরুকে সংরক্ষিত জাতীয় পশু করা হোক’, মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে গো-হত্যা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে বহু মানুষ। আর এবারে গো-হত্যা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল এলাহাবাদ আদালত (Allahabad High Court)। গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পক্ষে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের বিচারপতি শামিম আহমেদ। এক মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “গরু পবিত্র, হত্যাকারীরা নরকে পচে। আশা করব কেন্দ্রীয় সরকার গো-হত্যা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং গরুকে ‘সংরক্ষিত জাতীয় পশু’ হিসেবে ঘোষণা করবে।”

    কোন মামলায় এমন বললেন বিচারপতি?

    সম্প্রতি গো-হত্যা প্রতিরোধ আইনে মহম্মদ আবদুল খালিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে গো-মাংস উদ্ধার করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন তিনি। খালিকের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, “গরুর প্রতি হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁরা এটিকে সবচেয়ে পবিত্র প্রাণী বলে মনে করেন। গরুকে হিন্দুরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবেও গণ্য করেন।” এছাড়াও বিচারপতি বলেন, “হিন্দু ধর্ম অনুসারে, গরুর মধ্যে ৩৩ ধরণের দেব-দেবীর অধিষ্ঠান রয়েছে। গরুর পা থেকে সমস্ত জ্ঞান আহরণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।”

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কী জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    এর পর রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শামিম আহমেদ বলেছেন, “আমরা এক ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীদের গরুকে নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, গরু ঈশ্বরের প্রতিনিধি। ভগবান শিব, কৃষ্ণ এমনকী দেবরাজ ইন্দ্রের সঙ্গেও গরুর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে গরুকে অবশ্যই রক্ষা করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “যে কেউ গরুকে হত্যা করে বা অন্যকে হত্যা করার অনুমতি দেয়, তারা নরকে পচে যাবে বলে  মনে করা হয়।” এই সব মন্তব্য করেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চ আবদুলের জামিন খারিজ করেছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share