মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ত্রিবেণী সঙ্গমের জল স্নানের উপযুক্ত ছিল। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে এই রিপোর্ট জমা করল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। একটি পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনায় এই তথ্য উঠেছে এসেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB Report)।
কী ভাবে হল পরীক্ষা (Mahakumbh 2025)
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, প্রথমে আলাদা আলাদা দিনে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের (Mahakumbh 2025) একটি ঘাটের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর একই দিনে আলাদা আলাদা ঘাট থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর ফলে পরিসংখ্যানগত তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল। পরিবর্তনশীল এমন নমুনা থেকে সম্পূর্ণ সঙ্গমের গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব ছিল না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
রিপোর্ট প্রকাশ পায় ২৮ ফেব্রুয়ারি
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইটে ৭ মার্চ এই রিপোর্টটি আপলোড করা হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’বার করে ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে পুণ্যস্নান তিথিগুলিতেও নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাকুম্ভের জল সংগ্রহ করা হয়। গঙ্গার পাঁচটি ঘাট এবং যমুনার দু’টি ঘাটের জল বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কী বলছে রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, ‘‘বিভিন্ন মাপকাঠিতে জলের নমুনায় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। পিএইচ লেভেল, অক্সিজেন, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড এবং ফিকাল কলিফর্ম কাউন্ট প্রতিটি নমুনার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ছিল। আলাদা আলাদা দিনে একটি ঘাট থেকে সংগ্রহ করা নমুনা এবং ভিন্ন ভিন্ন ঘাট থেকে একই দিনে সংগ্রহ করা নমুনার রেজাল্টে পার্থক্য দেখা গিয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, এই রিপোর্ট তৈরি করেছে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি।
৭ এপ্রিল মামলার শুনানি (Mahakumbh 2025)
জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমের যে ১০টি ঘাটে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্নান সেরেছেন, সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ১২ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ১০টি ঘাটের নমুনার জন্য ২০ রাউন্ড পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভের জল স্নানের উপযুক্ত ছিল না এই দাবিতে মামলা হয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে।