Tag: CPIM

CPIM

  • South 24 parganas: ভুতুড়ে কাণ্ড! মন্দিরবাজারে মোট ভোট ১২৪৮, কাউন্টিং হল ১৫৭৩!

    South 24 parganas: ভুতুড়ে কাণ্ড! মন্দিরবাজারে মোট ভোট ১২৪৮, কাউন্টিং হল ১৫৭৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ভোটের গণনায় অনেক জায়গায় কারচুপির অভিযোগ হয়েছে। মোট ভোটার, প্রদত্ত ভোটার এবং গণনার পর ভোটের সংখ্যা বদলে গেছে অনেক জায়গায়। আর এই অভিযোগে বিরোধীরা হাইকোর্টের পর্যন্ত দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গণনায় ভুতুড়ে ভোটার এবার মন্দিরবাজারে। ভোট কেন্দ্রে মোট ভোট পোলিং হয় ১২৪৭, সেই ভোট কাউন্টিং সেন্টারে বেড়ে হয় ১৫৭৩, যা ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটের থেকে ৩২৬ টি বেশি। এই নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা না মেলায়, অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মন্দিরবাজার (South 24 parganas) বিধানসভার পূর্ব মল্লিকপুর ৮৪ নং বুথের সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত।

    প্রার্থী কী বললেন (South 24 parganas)?

    সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত বলেন, পূর্ব মল্লিকপুর (South 24 parganas) এলাকার ৮৪ নং কেন্দ্রে দুটি বুথ, সেখানে মোট ভোট যা পড়েছে তা ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফর্ম নম্বর ১৮ তে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে কাউন্টিং হলে, সেখানে ব্যালট বাক্স খুলতেই অতিরিক্ত ভোট বেড়ে মোট সংখ্যার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ভোট গণনার দিন ব্লক প্রশাসনকে এই ভোটের কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ জানালে কোনও ভ্রুক্ষেপ করেননি। শুধু তাই নয়, ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে জোর করে বিরোধীদের বের করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও প্রথমে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বিডিও।

    কোর্টের দ্বারস্থ প্রার্থী

    অবশেষে ন্যায় বিচার চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ সিপিআইএম প্রার্থী মাসুদা পুরকাইত (South 24 parganas)। অবশ্য এরপর এই ঘটনায় মন্দির বাজারের বিডিওকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের গণনা এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যালট পেপার নিয়ে হাইকোর্টে মামাল হয়েছে। জ্যাংড়া-হাতিয়ারা গ্রাম পাঞ্চায়েতে ভোট কেন্দ্রে ছাপ্পা মারার অভিযোগে এলাকার মানুষ ভোট প্রদানে বয়কট করেছিলেন। কিন্তু গণনার দিনে দেখা যায় মোট ভোটারের থেকে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে। ফলে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ, গণনাও শেষ। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু শাসক দলের রক্তচক্ষু শান্ত হয়নি। বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও (Panchayat Violence) ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতায়। শুক্রবার ফের একাধিক জায়গায় হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

    ফের ভোট পরবর্তী হিংসা (Panchayat Violence) হুগলির গোঘাটে

    বিজেপি ও তৃণমুল সংঘর্ষে উত্তেজনা গোঘাটের সন্তা এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় গোঘাটের সন্তা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎ করে তৃণমুলের দলবল লাঠি, বাঁশ নিয়ে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা (Panchayat Violence) চালায়। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে রাতেই গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় গোঘাট থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৮ জনকে। রাতের পর শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের উস্কানিতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত (Panchayat Violence) গলসি

    এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা শাসক দলের লোকেরা সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের উপরে চড়াও (Panchayat Violence) হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এক মহিলা সহ চার সিপিএম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি ঘটনায় তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখকে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়।

    খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর (Panchayat Violence) 

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (Panchayat Violence) উত্তপ্ত খেজুরি। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েক জন। খেজুরি দুই ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামের ১৬১ নম্বর মহামায়া বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল জয় লাভ করায় তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার ফলে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি টহলও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার দিনও বদল হল না বাংলার চিত্র। শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থাকল জেলাগুলি। গণনা কেন্দ্রগুলি থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কমবেশি সব জায়গাতেই। কোথাও কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজির অভিযোগও এনেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) সন্ত্রাসেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়।

    ডায়মন্ড হারবারে সকাল থেকেই বোমাবাজির অভিযোগ বিরোধীদের

    গণনার শুরুতেই উত্তেজনার খবর আসতে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে। এখানকার ফকির চাঁদ কলেজে সিপিএমের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি করে তৃণমূল, এমন অভিযোগ সিপিএম-বিজেপি নির্বিশেষে সব বিরোধীদেরই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ সিপিএমের।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও ব্যাপক উত্তেজনা

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির নেতৃত্বের। প্রতিবাদে মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে ধর্নায় বসেছে বিজেপি।

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গণনাকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, ডিএন হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিএম এবং আইএসএফের এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেয় তৃণমূল। বিরোধী প্রার্থীদের গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ করা হয়েছে। ফুরফুরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। 

    হাওড়ার বাগনানেও সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে

    হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় গণনা কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসকদল এবং প্রশাসন একসঙ্গে এই কাজ করছে। বাগনান, জগদীশপুর, আমতার বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বাগনানে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয় এদিন। থানার সামনে অবস্থান বামেদের।

    হাওড়ার ডোমজুড়ে শাসকদলের ওপর হামলার অভিযোগ

    হাওড়ার ডোমজুড়ে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর ওপর হামলা। বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী শেখ সুলতানার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় একদল সিপিএম কর্মী। বাড়ি লক্ষ্য় করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী প্রার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট করতে এসে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে বহিরাগতরা। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল দুটি বাইকে। বাইক দুটি জনতার তাড়া খেয়ে ফেলে পালিয়ে যায় বহিরগতরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত আমলাজোড়া অঞ্চলের বাবনাবেড়া অঞ্চলের ৪৭১ নম্বর বুথের কাছে। উত্তেজিত জনতাকে সমর্থন দেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। অভিযোগ, ভোট লুট করতে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রানিগঞ্জ জেমারী পঞ্চায়েতের চলবলপুর ৩২ এবং ৩৩ নম্বর বুথে বুথ লুট করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরূদ্ধে। ভোট (Panchayat Election 2023) লুট রুখতে আসে সিপিএম। লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। পরে পুনরায় আবার ভোট লুট করতে আসে শাসক দলের লোক। ভোট লুট রুখতে গেলে হামলা চালায় শাসক দল। দু’জন সিপিএম কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ (Panchayat Election 2023)

    রানিগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হারাভাঙ্গা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ১৪০, ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথে সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলা প্রার্থীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হানা দেয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সিপিআইএমের নির্বাচনী এজেন্ট তথা প্রার্থী ময়না কর্মকারের স্বামী কল্লোল কর্মকার জানান, শাসক দলের কিছু দুষ্কৃতী এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাম পোলিং এজেন্টের কলার ধরে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সীমানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী ছন্দা গোপের স্বামী নির্মল গোপ দাবি করেন, অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে। কল্লোলবাবুর অভিযোগ, প্রার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি এজেন্ট নির্মল কর্মকারের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে ফোন করে জানানো হলে পুলিশ পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও আবারও অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, রাজনৈতিক হত্যা-সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হয়েছে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহারও। আর এরপর প্রচার অভিযান শুরু হতেই দিকে দিকে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, প্রার্থী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ থামছে না। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    রানিনগরে (Murshidabad) ব্লক ২ এর মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সিপিএম জোট প্রার্থী-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসুস্থ ছেলেকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমার বাড়ির সামনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে গেছে। এখানে মূলত সিপিএম সমর্থিত জোট এবং শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। দিনের বেলায় বাচ্চা ছেলেদের বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়, আর তারপরেই রাতের বেলায় এই বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের গুণ্ডারা বোমা নিয়ে আঘাত করলে জোটের ছেলেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ উল্টো আমার বাড়িতে তল্লাশি করে জোটের কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমার ছেলেকেও তুলে নিয়ে যায়। রাজ্যে স্বৈরাচারী আর দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রপতি পুরুস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। রানিনগর (Murshidabad) টু-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, গ্রামে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছেন শিক্ষক আতাউর রহমান। পরিকল্পনা মাফিক এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন-চারজন কর্মীকে মেরে আহত করেছেন ওই শিক্ষক। আমাদের বেশ কিছু কর্মী বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন ব্লক সভাপতি। বয়স্ক শিক্ষক মানুষ। আগে সিপিএম করতেন, কিন্তু ভালোমন্দের জ্ঞান নেই তাঁর। শিক্ষক আতাউর রহমান গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে গ্রামে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে মনোনয়নের পর থেকেই শুরু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি, আক্রমণ, বোমাবাজি। সর্বত্র চলছে এই চিত্র। শাসক দল সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বনগাঁয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে যেমন রাতের বেলায় বোমা ছুড়েছিল শাসক দলের দুষ্কৃতীরা, ঠিক তেমনি এবার সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    উত্তর মোহনপুর এলাকার জামালপুর (Purba Bardhaman) ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থী  হয়েছেন দেবিকা দেবনাথ। পাশাপাশি ১৪১ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত মণ্ডল। এরা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। দেবিকা দেবনাথের অভিযোগ, রবিবার ভোর ৩ টে ১৮ মিনিট নাগাদ তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করা বোমা ছোড়া হয়। এরপরেই একটি বোম ফাটে ঘটনাস্থলে। আর দু’টি বোম বাড়ির ভিতরে পড়ে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকে খবর দিলে দেড় ঘন্টা পরে পুলিশ আসে। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বারে বারে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। অপর দিকে দেবিকা দেবীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রূপালী বিশ্বাস। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তারক বিশ্বাস রীতিমত প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন সিপিএম প্রার্থী। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর বাড়ির পাশ থেকে পড়ে থাকা বোমা দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। জামালপুর (Purba Bardhaman) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। একই কথা বলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসও। তিনি বলেন, তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন প্রসেনজিৎ দাস।

    সিপিএমের বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ ভোরে তাঁদের দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে বোমা ছোড়া হয়। আসলে ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ভয় পেয়ে তৃণমূল এসব করছে। তিনি আরও জানান, গতকালই টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হয় দেবিকা দেবনাথ ও সুশান্ত মণ্ডলকে। ৮ই জুলাই  নির্বাচন কেমন কাটে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) উঠেছে বারবার। ফের তার প্রমাণ মিলল একটি প্রাণের বিনিময়ে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঝরল আরও একটি প্রাণ। চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গুরুতর জখম মনসুর আলমের মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের।

    কী হয়েছিল?  

    গত ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। মাঝপথে তাদের সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়। রক্ত ঝরে। জখম হন একাধিক। তিনজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’ জন, মনসুর আলম ও নাইমূল হককে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

    কারা আক্রমণ করেছিল, কী বলছে মনসুরের পরিবার

    মনসুরের পিসেমশাই মজফফর আলম বুধবার শিলিগুড়িতে বলেন, আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ মিছিল করে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) জমা দিতে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎই রাস্তা আটকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়। তার মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছিল। নাইমূল হক ও মনসুরকে শিলিগুড়িতে আনা হয়। মনসুরের মাথায় গুলি লেগেছিল। এজন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন এই ঘটনার পর আমাদের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    চিকিৎসকরা কী বলছেন

    শিলিগুড়ির যে বেসরকারি নার্সিংহোমে মনসুর মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মনসুরের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মনসুরের মাথায় সেদিন গুলি (Panchayat (Election 2023) লেগেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সবটা জানা যাবে। তার আগে তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ মার্চ হল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস (Nandigram dibas)। ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম শাসনের রক্তচক্ষুর প্রত্যক্ষ শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। খুন, ধর্ষণ, জমি লুট কী হয়নি। আজ এই দিনকে স্মরণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের নারী নির্যাতনের সঙ্গে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

    কী বলেন শুভেন্দু (Nandigram dibas)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) সেই দিন মা-বোনের ভূমিকা দেখেছি। এখন তৃণমূলের শাসনে সন্দেশখালিতে মা-বোনদের অবস্থা দেখেছি। সেই দিনও জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল। আজও জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়েছে। খেজুরি থানায় কয়েকশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। মমতা পুলিশ আর বামশাসনের পুলিশের মধ্যে কোনও আচরণ গত পার্থক্য নেই। নির্যাতনই তাঁদের শেষ কথা।”

    কী ঘটেছিল

    ২০০৭ সালে রাজ্যে বাম শাসন চরম শিখরে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৬ টি বছর। নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়েছিল। মারা গিয়েছে ১৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই দিনকে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, নন্দীগ্রামে যেমন বাম শাসকেরা অসহায় মা-বোনের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক এক দশকের বেশি সময় ধরে মা-মাটি-সরকারও এই রাজ্যে একই আচরণ করে চলেছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ছবিটাও নন্দীগ্রামের চিত্রকেই উপস্থাপন করে।

    কী বললেন মমতা?

    আজ নন্দীগ্রামের শহিদ (Nandigram dibas) দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদদের প্রণাম জানাই। কৃষক ভাইবোন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামের এই শহিদ দিবস, কৃষক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) বাম কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ বহরমপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দলেনের ডাক দিয়েছিল বামেরা। এরপর বামকর্মীরা পুলিশের উপর ইট ছুড়লে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক লাঠচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তিনি পোস্ট অফিসে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের মারে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দাবি কী ছিল (Murshidabad)?

    শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পক্ষ থেকে আজ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলাশাসকের (Murshidabad) দপ্তর অভিযান করা হয়। আইন অমান্য ও জেলভরো আন্দোলনে সামিল হন সিপিএমের সমস্ত সহযোগী দলগুলি। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। প্রথমে বাধা দেয় বহরমপুর পুলিশ প্রশাসন। এরপর পুরো এলাকাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। মিছিল রুখতেই রীতিমতো শুরু হয় সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, তাতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ছোড়া হয়ে টিআর গ্যাস, মিছিল বাঞ্চাল করাই উদ্দেশ্যে ছিল।

    পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, বিদুৎ বিল, স্মার্টমিটার বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি হল বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সি.আই.টি.ইউর আহ্বানে আইন অমান্যের কর্মসূচীর জন্য জিটি রোডে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো বর্ধমানেও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি চলে আন্দোলনকারীদের। তারপর বাদামতলার মোড়ে ব্যারিকেডে আটকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।সেখানেই পথসভা করা হয় সিটুর পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share