Tag: Crisis

Crisis

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    Bangladesh Crisis: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)? এক সময় যাঁরা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, তাঁরাই ক্রমে তাঁর পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণে স্বদেশেই ক্রমে জনপ্রিয়তা হাচ্ছাচ্ছেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ইউনূস।

    ইউনূসের সঙ্গে দূরত্ব (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাংলাদেশকে তীব্র অস্থিরতা ও ইসলামিকরণের দিকে নিয়ে গিয়েছেন ইউনূস। এই পর্বে তাঁর পাশে ছিলেন বাংলাদেশের এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ। এখন তাঁরাও ইউনূসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে দেখেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন ইউনূস। এজন্য তাঁকে তিরস্কার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও এ বিষয়ে তাঁর মতামত পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

    নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে

    যদিও সংখ্যায় কম, বাংলাদেশের তরুণদের একটি অংশ এখনই ইউনূস শাসনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। সেটা হয়তো বিরাট কিছু নয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে এটাই কাল হতে পারে ইউনূসের পক্ষে। ছাত্র আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরানোর যে ছক কষা হয়েছিল, তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। হাসিনার অপসারণ এবং ইউনূসকে (Muhammad Yunus) বসানোর পর অনেকেই ভেবেছিলেন দেশ চলবে স্বাভাবিকভাবে। তাঁদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জামাতে ইসলামির মতো সংগঠন, যা আদতে পাকিস্তানের অধীনে কাজ করে, এই সুযোগে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে লেগে পড়ে কোমর কষে।

    ডামাডোলের বাজারে চাকরির অবস্থাও করুণ

    অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ যাঁরা এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছে, তারা সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ করছেন। ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) চাকরির অবস্থাও করুণ। সন্ত্রাসের আবহে ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। এটাই ক্ষোভের সঞ্চার করছে তরুণ মনে। জীবন এবং জীবিকা বিপন্ন হওয়ায় ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরাই ফুঁসছেন ক্ষোভে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই ব্যুমেরাং হতে পারে ইউনূস প্রশাসনের। বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে তাঁর দলের সমর্থন কুড়িয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিএনপি আশা করেছিল, ইউনূসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার দ্রুত সাধারণ নির্বাচন করবে। কিন্তু কোথায় কি! গদি আঁকড়েই বসে রয়েছেন ইউনূস। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে এ বছরের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। ইউনূসের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে বিএনপির ক্যাডারদের মধ্যেও।

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, আমলা-পুলিশ-বিচারপতিদেরও হেনস্থা করা হয়েছে নানাভাবে

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর

    রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে, ইউনূস আমজনতার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, পরিস্থিতি ততই খারাপ হবে। সাধারণ নির্বাচনের পরে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের একটা বিরাট সমস্যার (Bangladesh Crisis) সম্মুখীন হতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে শুধু আইনশৃঙ্খলাই পুনর্বহাল করতে হবে না, পোক্ত করতে হবে অর্থনীতির ভিতও। ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে এগোচ্ছে এবং ঢাকা ক্রমেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে, তাতে আন্তর্জাতিক স্তরে আরওই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ইউনূস প্রশাসন। সেক্ষেত্রে তাঁর বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

    ইউনূস অন্যতম খারাপ নেতা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ইউনূসকে সে দেশের অন্যতম খারাপ নেতা বললেও ভুল বলা হবে না। তাঁর শাসনেই বেড়েছে হিংসার ঘটনা, মাথা তুলেছে উগ্রপন্থীরা, জাতীয় নীতি পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসবাদে। ভারতের বদলে ইউনূস সরকার ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। অর্থনীতিবিদ ইউনূসকে যথন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসানো হয়, তখন (Bangladesh Crisis) সবাই আশা করেছিলেন, দেশের ত্রুটি সংশোধন করে মজবুত করবেন দেশীয় অর্থনীতির ভিত। অথচ হল, ঠিক তার উল্টোটা। নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও ইউনূস বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে। মাত্র কয়েক মাস আগেও যে দেশটিকে বিশ্বের প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তা এখন শুধুই অতীত।

    ব্যর্থতা ঢাকতে ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা?

    ব্যর্থতা ঢাকতে ইউনূস আপাতত ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা নিয়েছেন। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ তিনি পাকিস্তানকে প্রক্সি হিসাবে তাঁর দেশ শাসন করতে দিয়েছেন। প্যারিস-ভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বলেছে যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা চালানো এবং সংগঠিত করা হয়েছে, তা র‌্যাডিকালাইজড ভারত-বিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা। ইউনূস এগুলি (Bangladesh Crisis) প্রতিহত করতে প্রায় কিছুই করেননি। ইউনূস বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। তাঁর সাক্ষাৎকারগুলিতে স্পষ্ট হয় তাঁর ভারত-বিরোধী মনোভাব।

    অথচ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে নয়াদিল্লি অনেক পদক্ষেপ করেছে। ভারতীয় হাইকমিশন এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইস্যু করে। অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভারতে আসছেন। এগুলির দিকে না দৃষ্টি দিয়ে ইউনূস আসলে যে আচরণ করছেন, তা অকৃতজ্ঞের মতো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূস একটি বিপজ্জনক খেলা খেলছেন, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর নিজের দেশকে (Bangladesh Crisis) চরম মূল্য দিতে বাধ্য করবে। খেসারত দিতে হবে স্বয়ং ইউনূসকেও (Muhammad Yunus)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    Bangladesh Crisis: হাসপাতালে ভর্তি রবীন্দ্র ঘোষ, চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়বেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই আদালতে উঠবে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) জেলবন্দি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলা। তাঁর হয়ে লড়াই করার কথা ছিল যাঁর, সেই প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে (Rabindra Ghosh) ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীকে। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন মামলার শুনানিতে বর্ষীয়ান ওই আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রবীন্দ্রকে গ্রেফতারির ছক?

    রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণকে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আদালতে চলছে মামলা। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন রবীন্দ্র। চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। উঠেছেন ব্যারাকপুরে ছেলের বাড়িতে। ভারতে এসে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম আদালতের এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশের আচরণ সন্ত্রাসবাদীদের মতো।” মামলা লড়তে গিয়ে রীতিমতো আঘাতও পেতে হয়েছে তাঁকে। তাই চিকিৎসা করাতে এসেছেন ভারতে। তিনি বলেছিলেন, “ফিরে গিয়ে ফের সওয়াল করব চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে।” আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না বলেই খবর। তবে বাংলাদেশে পৌঁছলেই যে রবীন্দ্র মামলা লড়তে পারবেন, এমন কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে মামলা লড়ার অপরাধে একাধিকবার খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, প্রবীণ ওই আইনজীবী বাংলাদেশে পৌঁছলেই তাঁকে গ্রেফতার করবে মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। চিন্ময় কৃষ্ণকে যাতে বেশি দিন গারদে আটকে রাখা যায়, তাই এই ছক।

    আরও পড়ুন: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    কী বলছেন প্রবীণ আইনজীবী?

    রবীন্দ্র বলেন, “বুধবারই দেশে ফেরার কথা ছিল আমার। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশে ফিরতে পারব কিনা, নিশ্চিত নই। তবে (Bangladesh Crisis) আমি ২০ জন আইনজীবী দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমার দুজন জুনিয়র আইনজীবী এবং আরও ১৮ জন দাসের পক্ষে আগামিকাল আদালতে উপস্থিত থাকবেন। আমি তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব (Rabindra Ghosh)। সুস্থ হয়ে উঠলে আমি বাংলাদেশে ফিরে আসব।” বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য তাঁর লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী (India) স্লোগানে মুখর হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারই ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশকে। 

    পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশ যে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, তার অন্যতম বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সম্প্রতি করাচি বন্দর থেকে আসা দুটি জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তনের মাঝেও, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে চলেছে। জানা গিয়েছে, ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের একটি জাহাজ ২৬ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে। জাহাজটি ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে যাচ্ছে। উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চালানটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কেবল এই সাহায্যই নয়, বৈরিতা সত্ত্বেও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্কটকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Bangladesh Crisis)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক সঙ্কট অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার পরেও বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।

    হিন্দুর ঘরে আগুন

    বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হচ্ছে ব্যাপক অত্যাচার। কখনও কোনও হিন্দুর ঘরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন, কখনও বা হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মুসলমানরা। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বহু হিন্দু তরুণী। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে হিন্দুদের দোকানদানিতে। সে দেশের মুসলমানদের অত্যাচারে পূর্ব পুরুষদের (India) ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সেই ভিটে দখল করে নিচ্ছে অত্যাচারীরা। অভিযোগ, এই সব ঘটনার পেছনেও রয়েছে জমি হাঙরদের হাত (Bangladesh Crisis)। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ভারত বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

    ৫০ হাজার টন চাল 

    এই আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। যার জেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা থাকে অব্যাহত। ২৩ ডিসেম্বর ইউনূস অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সাহায্যের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দেয়। যার জেরে কঠিন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্বল্পসুদী ঋণ অনুমোদন করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলাকালীন ভারত অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। ৯ মার্চ, ২০২২ তারিখে ভারত সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া নজন বাংলাদেশি নাগরিককে সফলভাবে উদ্ধার করে।

    মুক্তিযুদ্ধ

    করোনা অতিমারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য করে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আইএনএস সাবিত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সরবরাহ করে। মহামারির সংকটময় পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ভারত বাংলাদেশে পাঠায় ১.২ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়। কেবল এখনই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত মুক্তি বাহিনীকে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক সহায়তা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের এই হস্তক্ষেপের ফলে ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে (Bangladesh Crisis)। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিধ্বংসী ঘূর্ণঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময়ও ভারত ১ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দেয়। এর মধ্যে ছিল খাবার, ওষুধ, তাঁবু এবং কম্বল-সহ জরুরি জিনিসপত্র।

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    এহেন সাহায্যের পরেও ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে চলেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন (India)। ২০২৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার (Bangladesh Crisis) কাশাডাঁপুর শ্মশানঘাটের পাশে ৫৫ বছর বয়সী এক মন্দিরের পুরোহিত তরু কুমার দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরোহিতকে হত্যা করার আগে হামলাকারীরা মন্দিরের দানবাক্সগুলি লুট করে। তারই আগের দিন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় তিনটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে চারটি মূর্তি। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে কুষ্টিয়া জেলায় একটি হিন্দু পরিবার প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে জনৈক আকাশ দাসের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কনের দুটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর এত অত্যাচার সত্ত্বেও পড়শির প্রতি দায়িত্ব পালনে অটল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা গিয়েছিলেন ক্রিসমাসের প্রার্থনায় যোগ দিতে। সেই সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি বাড়িতে (Christian Homes) আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান এলাকার ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই খ্রিস্টান পরিবারগুলি।

    ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন

    গৃহহীনদের দাবি, অগ্নিকান্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ বাংলাদেশি টাকারও বেশি। বড়দিনের সকালে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি দিয়েছিলেন শান্তির বার্তা। তার ঠিক আগের দিন রাতের ঘটনায় ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা বান্দরবানের লামা সারাই অঞ্চলের একটি এলাকায়, যা এসপি গার্ডেন নামে পরিচিত, বসবাস করছিল। আগে এই জমিটি টংঝিরি পাড়া নামে পরিচিত ছিল, যা হাসিনা সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা বেনজির আহমেদ দখল করেছিলেন। আহমেদের পরিবার এই জমির নাম পরিবর্তন করে রাখে এসপি গার্ডেন।

    ক্রিসমাস ইভে বাড়িতে আগুন

    ৫ আগস্টের পর বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে, ত্রিপুরা পরিবারগুলো বসতিতে ফিরে আসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিসমাস ইভে, যখন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি জমিটি তাদের ন্যায্য অধিকারভুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই জমিতে তাঁদের বসতি ছিল, যা আহমেদের লোকজন দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গামণি ত্রিপুরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: বাজয়েপীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “কয়েকজন লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমরা বারবার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি পেয়েছি, কিন্তু যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, আমরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের যা কিছু ছিল, সব হারিয়েছি।” লামা থানায় স্টিফেন ত্রিপুরা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চরমে উঠেছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরও (Christian Homes)। তার পরেও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus Minorities) ওপর অত্যাচার বেড়েছে (Bangladesh Crisis)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে শুক্রবার তার পরিসংখ্যান দিল বিদেশমন্ত্রক।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে হাসিনা-পরবর্তী কালে। এই বছরে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। রাজ্যসভায় এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের কাছেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার এই ঘটনাগুলিকে গভীরভাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই উদ্বেগ শেয়ারও করেছে। ভারতের আশা, বাংলাদেশ সরকার হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। পাকিস্তান সরকারকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক হিংসা, নিয়মিত নিপীড়ন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। ভারত পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনাও ঘটেছে।

    আরও পড়ুন: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    এদিকে, ২০২২ সালে পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ২৪১টি। তার পরের বছর ১০৩টি। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সরকার এই ঘটনাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” তিনি বলেন, “ভারতের আশা, বাংলাদেশ হিন্দু (Hindus Minorities) ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ (Bangladesh Crisis) করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। চিঠিতে তাঁদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে (Bangladesh) চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্যরাও।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Bangladesh Crisis)

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতিকে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার সঙ্গে দেখেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশ জুড়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ (পুলিশ সহ), শিক্ষা জগৎ এমনকি সংবাদমাধ্যমও। পুলিশ বাহিনী এখনও পূর্ণ শক্তিতে দায়িত্বে ফিরে আসেনি এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি এবং পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, স্বাভাবিকতা এখনও ফিরে আসেনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভারতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের দেড় কোটি শক্তিশালী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর (Bangladesh Crisis) মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পাশাপাশি রয়েছে শিয়া, আহমদিয়া এবং অন্যান্যরা। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সীমান্তের ওপারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভারতে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি যে এটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জনগণকে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার পথে এক সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে (Bangladesh), যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের টিকিয়ে রেখেছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” চার দিনে কলকাতা বা আগরতলা বা সেভেন সিস্টার্স কব্জা না করতে পেরে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতারা। যার ফলস্বরূপ, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ফাঁকা বুলি।

    মৌলবাদী নেতার হুমকি (Bangladesh Crisis)

    মঙ্গলবার ঢাকার রিপোর্টার্স কার্যালয়ে এমনই ফাঁকা বুলি আওড়ালেন ইসলামি মৌলবাদী বক্তা মুফতি কাজি ইব্রাহিম (Bangladesh Crisis)। তিনি বলেন, “মুসলমানদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে ছিনিয়ে নিয়েছে। যার জিনিস তাকে তো ফেরত দিতে হয়। নিয়েছ আমার থেকে, ফেরত দেবে কাকে? তুমি তো অন্যায় করেছ।” এর (India) পরেই হাওয়া গরম করতে তিনি বলেন, “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” কলকাতা, আগরতলা, সেভেন সিস্টার্স দখলের ফাঁকা বুলি আওড়ানোর পর এবার দিল্লি ধরে টান দেওয়ার হুমকি এল বাংলাদেশ থেকে। এই মৌলবাদী বক্তা বলেন, “ভারতকে বলব, তুমি তোমাকে নিয়ে থাক। যদি আমারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কর, তাহলে তোমারটা নিয়ে টান দেব। আমরা ডিফেন্সিভ জাতি। আক্রান্ত হলে আমরা সবাই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ভারতকে বলছি, মোদিকে বলছি, খামোখা আমাদের নিয়ে নাক গলাবেন না। ইউনূস আছেন। তাঁকে দেশটা চালাতে দিন। আপনি আপনার দেশ নিয়ে ভাবুন।” মুফতি বলেন (Bangladesh Crisis), “ভারতকে তো কেউ দেখতে পারে না। মলদ্বীপের মতো দেশকেও তারা বন্ধু হিসেবে ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ কখনও ভারতকে শত্রু বানায়নি। তারা বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: মণিপুরে বিদ্রোহীদের ডেরায় মিলল স্টারলিঙ্ক ডিশ-রাউটার! কী বললেন ইলন মাস্ক?

    ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা

    হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা। হিন্দু-সহ সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। কখনও ভাঙচুর করা হচ্ছে মঠ-মন্দির-গির্জা। কখনও আবার বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। বাড়ির মেয়ে-বউদেরও তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের দোকানদানিতে লুটতরাজ চালানো হচ্ছে বলেও নানা সময় উঠেছে অভিযোগ। খোদ রাষ্ট্রের মদতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসলামি ও বক্তা। তিনি বলেন, “এখানে হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে না। তাদের ভালোবাসার আবহে রাখা হয়েছে। হিন্দু বলছে, আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি। কিন্তু ভারত বলছে তারা সুখে (India) নেই।” কট্টরপন্থী এই ইসলামি নেতার দাবি, “বাংলাদেশ নিয়ে ভারত বহির্বিশ্বে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের”, বাংলাদেশের ভালো কীসে, বলে দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের”, বাংলাদেশের ভালো কীসে, বলে দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগের বিষয়।” শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি এও বলেন, “বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের।” সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। নতুন সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    বাংলাদেশে এখন হিন্দু-নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’’ এই পরিস্থিতিতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য কোনটা ভালো, সেটা সংসদে দাঁড়িয়ে আকারে-ইঙ্গিতে ইউনূসকে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আশা করি, বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচার আটকাবে।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সম্প্রতি ভারতের বিদেশ সচিব ঢাকা সফর করেন। তাঁর বৈঠকে এই বিষয়টিও উঠেছে।” পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি (S Jaishankar) বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের জন্য প্রতিবেশী দেশকে দেখাতে হবে যে তারা সন্ত্রাসবাদমুক্ত।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পরেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। এহেন আবহে সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠক করে এসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কাছে তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের পরেই সুর নরম করে ইউনূসের তদারকি সরকার। ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ৮৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০ জনকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় কাঠগড়ায় খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়েও উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। এই পরিস্থিতিই নীরবতা ভাঙলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share