Tag: cultural Marxism

cultural Marxism

  • The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দানা বাঁধছে ভারত-বিরোধী আন্দোলন। এমতাবস্থায় ভারত-মুখী চিন্তাভাবনার প্রসার এবং দেশপ্রেমের গোড়ায় জল দিতে উদ্যোগী হল চেন্নাইয়ের ‘ভিজিল’ নামে একটি সংস্থা (The Rise Of Wokeism)। এরাই জাগরণবাদ ও সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদের প্রবণতা সম্পর্কে বিশিষ্ট বক্তাদের আলোচনার আয়োজন করেছিল।

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী প্রচার চলছে, তা প্রতিহত করা। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আরএসএস মতাদর্শী জে নন্দকুমার। কেরলের পান্ডালম থেকে আসা নন্দকুমার সে রাজ্যে আব্রাহামিক ধর্মের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘কেশরী’ এবং ‘প্রাগ্য প্রভার’ জাতীয় আহ্বায়ক হিসেবেও দেশজুড়ে হিন্দুত্বের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।

    নন্দকুমারের উল্লেখযোগ্য় গ্রন্থ

    তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে কয়েকটি হল ‘স্ব: স্ট্রাগল ফর ন্যাশনাল সেল্ফহুড পাস্ট’, ‘প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’, ‘হিন্দুত্ব ফর দ্য চেঞ্জিং টাইমস’, ‘কনটুরস অফ হিন্দু রাষ্ট্র’। এই বইগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় সম্পর্কে বিশদে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে (The Rise Of Wokeism) নন্দকুমারের উপস্থিতি এবং বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি কেরলের মালাবার এলাকায় বৃটিশ আমলে মোপলা মুসলমানদের দ্বারা হিন্দুদের যে গণহত্যা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেন। বর্তমানে ভারতে আদর্শগত যে যুদ্ধ চলছে, তার ওপরও আলোকপাত করেন নন্দকুমার।

    কর্মক্ষেত্রে যে জাগরণবাদের প্রয়োজন রয়েছে, একাধিক উদাহরণ দিয়ে তিনি তা বুঝিয়ে দেন। জাগরণবাদের ম্যানিফেস্টেশন নিয়েও আলোকপাত করেন তিনি। কীভাবে স্কুলে ছোট বাচ্চাদের তাদের নিজস্ব সর্বনাম (হি না শি) দাবি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কীভাবে জাগরণ তত্ত্বটি প্রমাণ করে যে লিঙ্গ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    জেগে ওঠা এবং সচেতন হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে নন্দকুমারের ভাষণে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উপনিষদের এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী “উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত, প্রাপ্য বরান্নিবোধত” (ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না) বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ করেন। ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সবাদের ব্যর্থতা থেকেই যে জাগণরবাদের উৎপত্তি, তাও জানিয়ে দেন নন্দকুমার। তিনি বলেন, “কমিউনিজম ধরাছোঁওয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় এর প্রবক্তারা তাদের ধারণাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয়া পথের সন্ধান করেছিল। এ থেকে কালচারাল মার্ক্সবাদের জন্ম হয়েছিল, যেটা শ্রমিক শ্রেণি থেকে শিফ্ট করেছিল বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রদের কাছে।” তার পরেই তিনি দেখান, কীভাবে তা ধীরে ধীরে পথ প্রশস্ত করেছিল জাগরণবাদের। তাঁর মতে, যাঁরা ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঐক্যকে মূল্য দেন, তাঁরা জেগে উঠুন, ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে সরব হোন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী হোন (The Rise Of Wokeism)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    Woke Culture: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! কিসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য নাকি আত্মকেন্দ্রিকতা! বিশ্বের যেকোনও দেশের সমাজ ব্যবস্থায় কোনটার গুরুত্ব সর্বাধিক হওয়া উচিত? দিনকয়েক আগে তারই ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ভাষণে। চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে নাগপুরে ভাষণ দিয়েছেন মোহন ভাগবত। সেখানেই সঙ্ঘ প্রধান নতুন একটি শব্দ প্রয়োগ করেন, ‘Woke’, যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, জাতিভেদ, লিঙ্গ বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, কুসংস্কার এসব কিছুর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে পৃথিবীর সব দেশেই ‘Woke Culture’ একটি ধ্বংসাত্মক তত্ত্ব হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, ‘‘এই ‘Woke Culture’ সাংস্কৃতিক মার্কসবাদের সমার্থক শব্দ। এটা একধরনের অপসংস্কৃতিও বটে। ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরা বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, বিভেদকামী হয়ে থাকেন।’’

    কর্তব্যবোধ বনাম আত্মকেন্দ্রিকতা 

    পরিবারই হল সমাজের একক, আর মানুষ সেই পরিবারের একটি অঙ্গ, যেখানে সে তার কর্তব্য পালন করে, কেবলমাত্র অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে না। অপরদিকে, মার্কসবাদ শুধুই অধিকারবোধ আর আত্মকেন্দ্রিকতার কথা বলে। সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ অথবা ‘Woke Culture’ এই দুটোই ব্যক্তি স্বার্থের কথা বলে। ব্যক্তির শরীর ও মনের যাবতীয় চাহিদা পূরণের কথা বলে। এখানেই বাধে ব্যক্তির সঙ্গে পরিবার ও সমাজের সংঘাত। ব্যক্তির মধ্যে কর্তব্যবোধ লোপ পেয়ে তখন প্রাধান্য পায় আত্মকেন্দ্রিকতা। নিজের স্বার্থ, তৃপ্তি, বাসনা, জীবন উপভোগ তখন ব্যক্তির কাছে মুখ্য হয়ে যায়, গৌণ হয় পরিবার ও সমাজের প্রতি কর্তব্যবোধ। সঙ্ঘ প্রধানের মতে, মার্কসবাদ বা ‘Woke Culture’-এ বিশ্বাসীরাই এদেশে বিভেদ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং দুর্নীতির বীজ পুঁতছে। কার্ল মার্কস যেখানে ব্যক্তি স্বার্থের পক্ষে সওয়াল করেছেন, সেখানে সঙ্ঘের দৃষ্টিতে পরিবারই হল সমাজ ব্যবস্থার একক। 

    পেরিয়ারের আদর্শের বিরোধ ও আম্বেদকরের ভাবনাকে প্রশংসা

    ঠিক এই কারণেই সঙ্ঘ দক্ষিণ ভারতে পেরিয়ারের আন্দোলনকে সমর্থন করেনা, কারণ তা সমাজে বিভেদ ছড়ায়। সর্বোপরি তারা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার বিরুদ্ধে তোপ দাগে, যা ভারতীয় পরম্পরা ও সংস্কৃতির বিরোধী। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ অনেকভাবে সমর্থন করে বিআর আম্বেদকরের চিন্তাধারাকে। কারণ তা বঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার অখণ্ড ঐক্যের কথাও বলে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এই ‘Woke Culture’কে প্রতিহত করতে তিনটি নীতি পালন প্রয়োজন বলে মনে করে – প্রথমত, দেশের কাজে সবসময় নিজেকে উৎসর্গ করা। দ্বিতীয়ত, দেশের মহান পূর্বসূরিদের সর্বদা স্মরণ করা। তৃতীয়ত, একটি সাধারণ সংস্কৃতি গড়ে তোলা। প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ প্রধানের মতোই পূর্বতন ‘ট্যুইটার’ বর্তমানে ‘এক্স’-এর মালিক ইলন মাস্কও তোপ দেগেছেন সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ বা  ‘Woke Culture’ এর বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘Woke Culture সমাজে বিভেদ ছড়ায়। এটা মানুষকে নিষ্ঠুর করে তোলে। মানুষের মনে ঘৃণার জন্মও দেয় এই ধরনের সংস্কৃতি।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share