Tag: CV Ananda Bose

CV Ananda Bose

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি লিখে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনকে “বেআইনি” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, যে যেহেতু নিয়মিত ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তাই সমাবর্তনটি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?(CV Ananda Bose)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে এই দিন ধার্য করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর বা নির্ধারিত যে কোনও তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি উল্লেখ্য যে ১৭ ডিসেম্বর একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা তাড়াহুড়ো করে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।” রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং এই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য রাজভবনে তলব করেন। চিঠিতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, “এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে বাইপাস করেছে। সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে। পর্যাপ্ত নোটিশ দিয়ে আদালতকে ডাকতে হবে। একইসঙ্গে এই ত্রুটি সমাবর্তনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। আপনার ১৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে, আপনি স্বীকার করেছেন যে বিশাল আর্থিক জড়িত থাকার সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। যা আইনত প্রদত্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মতো বেআইনি।”

    ভাইস চ্যান্সেলর জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”

    চিঠিতে গভর্নর (CV Ananda Bose) আরও বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”। কারণ ভাইস চ্যান্সেলর আইন এবং বিধিতে বর্ণিত আইনি বিধানগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথাযথ অধ্যাবসায় প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Beldanga Issue: বেলডাঙাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্তর 

    Beldanga Issue: বেলডাঙাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বেলডাঙাকাণ্ডে (Beldanga Issue) এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Cv Ananda Bose)। প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুই গোষ্ঠীর হিংসার কারণে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। পুলিশের অবশ্য দাবি, সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যদিও বেলডাঙা ইস্যুতে (Beldanga Issue) মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে ‘নির্দেশ’ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতায় থেকেই রাজ্যপাল পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির দুই মুখ শুভেন্দু-সুকান্ত।

    ফের সংঘাত রাজ্য-রাজ্যপালের

    শিক্ষা থেকে দুর্নীতি-প্রতিটি ইস্যুতেই (Beldanga Issue) রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত খবরের শিরোনামে এসেছে। এবার বেলডাঙা ইস্যুতে ফের একবার সামনে এল রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত। রাজভবনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মুর্শিদাবাদে ক্রমেই বাড়ছে হিংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। তাঁর যে সকল সফর ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি (Cv Ananda Bose) কলকাতাতে থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন।’’

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    বেলডাঙার (Beldanga Issue) ঘটনা নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এক্স হ্যান্ডলে তিনি পুলিশকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘দুটি ভিডিও দেওয়া হল যা দেখে সাম্প্রতিককালের ২টি ঘটনা আপনাদের স্মরণে আসে। একটিতে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, যিনি কয়েকমাস আগে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন, হিন্দুদের হত্যা করে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেবেন বলে। দ্বিতীয়ত এক ব্যক্তি শনিবার রাতে বেলডাঙায় জেহাদ ঘোষণা করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।’’

    নিজের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন সুকান্ত

    সুকান্তর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্মরণ করে বলতে হচ্ছে, বেলডাঙায় যা ঘটেছে, তার পর থেকে হিন্দুরা নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘হিন্দু হিসেবে এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি জানতে চাই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ করার জন্য কি এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? নাকি, মুখ্যমন্ত্রীর তোষণ-নীতি নিশ্চিত করেছে যে বাংলার ‘দুধেল গাই’-দের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না?’’

    রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর

    রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করার সাহস আপনাদের আছে?’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সংঘর্ষ হল সেটা যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। কিন্তু, বেলডাঙায় যা ঘটেছে, সেখানে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। একটা গোষ্ঠী হিন্দুদের ঘর-বাড়ি-সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে।’’

    তদন্ত না করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছে পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর 

    শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘সঠিক তদন্ত না করেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছিল, শয়ে শয়ে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, ‘অপকর্ম’। পরে আসল সত্য বেরিয়েছিল।’’ শুভেন্দুরও প্রশ্ন, ‘‘যাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, হিংসায় উসকানি দেওয়ার জন্য, তাকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? যদি করা হয়, তাহলে আমার পোস্টে উত্তর দিয়ে জানাবেন।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার রাতেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা (Beldanga Issue)। এই আবহে সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্যে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিনীতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বিনীতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিনীতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজভবনও এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে ওই অভিযোগের পর আইপিএস অফিসার বিনীত সম্পর্কে রাজ্যের অবস্থান কী, তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    রাজভবনের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবার রাজভবন (CV Ananda Bose) থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিনীত গোয়েল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর বেশ গুরুতর। প্রতিবেদনগুলিতে বলা হচ্ছে, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার গত ১১ নভেম্বর (সোমবার) শিয়ালদা আদালতে হাজিরার সময়ে দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করা হয়েছে।” তাছাড়া গোয়েলকে নিয়ে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থান কী এবং রাজ্য সরকার ওই অভিযোগ নিয়ে কী ভাবছে, তা শীঘ্রই জানতে চান রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    ঠিক কী বলেছিলেন আরজি করকাণ্ডে ধৃত সিভিক?

    বস্তুত, আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে গোয়েলকে সরিয়ে দেয় রাজ্য। সোমবার বিচারের দ্বিতীয় দিন নিম্ন আদালত থেকে বের হওয়ার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আরজি কর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। প্রিজন ভ্যান চলতে শুরু করলে চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, “আমি নাম বলে দিচ্ছি। বড় বড় অফিসার রয়েছে। বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে আমায়।” তার আগেও অভিযুক্ত দাবি করেছেন যে, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। গত ৪ নভেম্বর আদালত চত্বরে ধৃত দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সে বারও প্রিজনভ্যানের জানলা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড(এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে।”

    শাহের কাছে নালিশ

    এর আগেও গোয়েলকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বোস। পদকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ করা হয় কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গোয়েল এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের পদে বসে এমন কাজ একেবারেই শোভনীয় নয় বলে আমি মনে করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক জলাধার থেকে জলছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার (Flood) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আবহে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ২০ সেপ্টেম্বর চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    রাজভবনের তরফে কী বার্তা দেওয়া হল? (CV Ananda Bose)

    সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। এই সংক্রান্ত যে তহবিল রয়েছে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বন্যা মোকাবিলা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির ওপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিত, যাতে ক্ষতি আটকানো যায়। বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।”

    আরও পড়ুন: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ জানানো হয়েছে

    জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল কর্মসূচির কথা জানিয়ে লেখা (CV Ananda Bose) হয়েছে, “১৫তম অর্থ কমিশন জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এনডিআরএমএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এসডিআরএমএফ) তৈরি করার সুপারিশ করেছে। ২০২১-২৬-এর জন্য এসডিআরএমএফ-এ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিলের জন্য ৮০ শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ৩২ হাজার ৩১ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২৬-এ এনডিআরএমএফ-এর বরাদ্দ ৬৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য ৫৪ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা (৮০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ১৩ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে।” বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য প্রাসঙ্গিক, তীব্র ভাঙন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা পথে নেমে সরব হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) সামাজিকভাবে বয়কট করার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে রাজ্যপাল জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন ছাড়া কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির থাকবেন না তিনি। ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টেনে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, হুগলি নদীর সব জল দিয়েও তিনি তাঁর নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।

    মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট ঘোষণা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)

    বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে ৫ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সড়কে হিংসা, ঘরে হিংসা, ক্যাম্পাসে হিংসা, হাসপাতালে হিংসা, গ্রামে হিংসা, শহরে হিংসা। সব জায়গায় হিংসা। আর মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহুমত গণতন্ত্রের অংশ। চুপ করাবেন না। এই নিঃস্তব্ধতাও হিংসা। লোকে বলছে, আজকে বাংলা কোন নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হয়েছে? এর দায়িত্ব তো কাউকে নিতে হবে। যতদিন বাংলার মানুষ বিচার না পাচ্ছেন, দোষীদের গ্রেফতারির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া না হচ্ছে, যতক্ষণ মানুষের মনে এই আস্থা না জন্মায় যে সুবিচার হয়েছে — আমি রাজ্যপাল হয়ে অপেক্ষা করতে পারি না। তাই আমি সংকল্প নিচ্ছি যে, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও প্রকাশ্য মঞ্চে থাকব না। আমি এমন কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে থাকব না যেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাজির রয়েছেন। রাজ্যপাল হিসেবে আমার ভূমিকা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর থেকে কমও না বেশিও না।” শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যপাল তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। নিঃসন্দেহে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজভবন তরজাই নয়, রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও একটা টানাপোড়েন চলে এল।

    লেডি ম্যাকবেথ বলে কটাক্ষ

    এদিনের ভিডিও বার্তায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) মুখে শোনা গিয়েছে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ প্রসঙ্গও। রাজ্যপাল বলেন, “আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন? আমি সংবিধান, জনতা ও মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। সরকার বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রবলভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সব থেকে বড় বিড়ম্বনা হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনিই আবার মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে তাদের বিরোধিতা করছেন বাংলার লেডি ম্যাকবেথ। হুগলি নদীর সব জল দিয়েও বাংলার লেডি ম্যাকবেথ নিজের নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।”

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে দ্রুত কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই এ কথা বলেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই জনগনের দাবি মতো, পুলিশ কমিশনারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

    সিদ্ধান্ত নিক নবান্ন

    প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেরি করে এফআইআর দায়ের করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পর প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন আরজি করে (RG Kar Incident) যখন ভাঙচুর চালানো হয়, তখনও পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি ক্রমে জোরালো হয়েছে। কিছু দিন আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপির পদত্যাগ চেয়ে লালবাজার অভিযান করেছিলেন চিকিৎসকেরা। লালবাজারের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিপির সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। রবিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতাকে। আরজি কর আবহে জনতার দাবি প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ

    রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সরকার তাতে চুপ করে থাকতে পারে না। সরকারকে সংবিধান এবং আইনের শাসন মেনেই চলতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে। রাজ্যপাল মনে করেন যে রাজ্য সরকার নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose) বলেন, ‘সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে রাজ্যের কাজ করা উচিত। সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজ্য সরকারের।’ মৃত মহিলা চিকিৎসকের বিচারের আশায় সাধারণ মানুষ যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ অপরাজিতা বিল, সঙ্গে নেই টেকনিক্যাল রিপোর্টও, অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ধর্ষণ বিরোধী বিল ধাক্কা খেল রাজভবনে। এই বিল পাশ হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী, তা গিয়েছে রাজভবনে। কিন্তু, বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। সেই রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য। অভিযোগ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠানো হয়নি। যা না থাকলে রাজ্যপাল কোনও বিলেই সম্মতি দিতে পারেন না। একটি সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানিয়েছেন রাজভবনের এক আধিকারিক।

    কী এই ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’? (CV Ananda Bose)

    নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ, এই বিলের ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ এখনও হাতে পাননি রাজ্যপাল। বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের ওপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    রাজ্যপালের কী বক্তব্য?

    রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিক্যাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে এই বিল সই করবেন না, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির দরবারে আটকে রয়েছে বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না পাঠিয়ে রাজ্য সরকার পরে বিল পাশ না হওয়ার জন্য রাজভবনের ওপর দোষারোপ করে। যা সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী, ওই রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল কোনও বিলে সম্মতি দিতে পারেন না। ‘অপরাজিতা’ বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও কেন রাজ্য ‘হোমওয়ার্ক’ করেনি, কেন ওই রিপোর্ট বিলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ফলে, এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবন চাপানউতর তৈরি হচ্ছে তা বলাইবাহুল্য।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বিল পাস হওয়ার দিন বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি। এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

    বিধানসভার স্পিকারের কী বক্তব্য?

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজভবন এখনও এ বিষয়ে বিধানসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা করা হয়, তবেই আমি এ বিষয়ে আমার মতামত জানাব।’’ অন্য দিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বক্তব্য, ‘অপরাজিতা বিল’ স্পিকার রাজভবনে পাঠিয়েছেন। তাই বিষয়টিও তিনিই বুঝে নেবেন। উল্লেখ্য, ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশের পর তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিলটি বিধানসভায় পাশ করার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বিল সমর্থন করছেন। কিন্তু বিল কার্যকর করার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে’’, মমতার সরকারকে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে’’, মমতার সরকারকে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশের হামলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর কীভাবে আক্রমণ চালাল পুলিশ? এতে জাতীয় পতাকাকে অপমান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যপালের মতে, কলকাতার রাস্তায় যা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক ভাবে জয়ী সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

    জাতীয় পতাকার অবমাননা!

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার থেকে এটা প্রত্যাশা ছিল না। নিরীহ প্রতিবাদীরা সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক দলের ছিলেন না। তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। কিন্তু, তাঁদের ওপর আক্রমণ চালাল পুলিশ। ‘উই ওয়ান জাস্টিস’ স্লোগানে মুখরিত প্রতিবাদকারীদের জলকামান দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। লাঠিপেটা করা হয়েছে পুলিশ দ্বারা। তাঁদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিল। জল কামান চালিয়ে জাতীয় পতাকা ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন প্রতিবাদীরা। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। জাতীয় সম্মানকে অপমান করা হয়েছে। এটা শেষের শুরু। তা-ই হওয়া উচিত। বিদায় হিংসা, খুন। বাংলা হিংসামুক্ত হওয়া উচিত। এখানে সরকার অপরাধীদের রক্ষা করছে। এই খুনের খেলা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ কী পেল?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ কী পেল? লাঠিচার্জ, মারধর, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান! মনে রাখতে হবে, বিচার চেয়ে এই দাবি উঠে এসেছে কবিগুরুর বাংলায়। অথচ রবীন্দ্রনাথের বাংলায় তিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।’ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে নবান্ন চলো ডাক দিয়েছিলেন নিরীহ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু, তাঁদের ওপরে আক্রমণ চালানো হল। খুন, ধর্ষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সমস্তটাই বন্ধ করতে হবে। বাংলাকে অন্যায় অত্যাচার খুন, ধর্ষণ মুক্ত হতে হবে। এই নৃশংসতা ধ্বংসের খেলা বন্ধ করতে হবে। বিচারের দাবিতে, মানুষ সরব হয়েছেন। মানুষকে বিচার দিতেই হবে। বিচার পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। মনে রাখবেন সত্য এবং অপরাধ চিরদিন চাপা রাখা যায় না। একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। ঠিক তেমনি আরজি করে নির্যাতিতাও বিচার পাবেন। আমরা এই পরিবেশ থেকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার কণ্ঠরোধ করা নয়।’’ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) আগে রাজ্যকে সতর্কবার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই কর্মসূচিকে সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। 

    রাজ্যপালের সতর্কবার্তা

    রাজভবন থেকে ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও-বার্তায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে রাজ্যপাল বোসের (CV Ananda Bose) মন্তব্য, ‘‘বাংলার ছাত্রদের তরফে যে প্রতিবাদ কর্মসূচি (Nabanna Abhijan) নেওয়া হয়েছে তা ঠেকাতে সরকার বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে বলে আমি খবর পেয়েছি। আমি রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী ছিল তা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বলতে চাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে পশ্চিমবঙ্গে যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে নীরব করে দেওয়া নয়।’’ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আদালত মনে করিয়ে দেয়, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না।’’ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এই কথাই নবান্নকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশের দমননীতি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহর জুড়ে প্রতিটি এলাকাতেই রাস্তার মোড়ে বড় বড় জমায়েত হয়েছিল। পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, এই সব জমায়েত নেতৃত্ববিহীন ছিল। ফলে কোথায় কত লোকের জমায়েত হতে পারে তা আন্দাজ করা মুশকিল ছিল। ২৭ তারিখের মিছিল নিয়েও তেমনই উদ্বেগে রয়েছে সরকার। তাই নবান্নের (Nabanna Abhijan) নিরাপত্তায় থাকছেন প্রায় ১০০ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। ২ হাজার কনস্টেবল। এছাড়াও কলকাতা ও হাওড়া ঘিরে রাখবে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share