Tag: Cyclone Alert

Cyclone Alert

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটের দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোটের দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিশেষত, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির (Cyclonic Weather) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস। এই অবস্থায় আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) পরিচালনা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। 

    কবে, কখন বৈঠক

    বুধবার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Lok Sabha Election 2024)। সিইও দফতর সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে আলাদা আলাদা করে ওই বিষয়ে দু’টি বৈঠক করবেন সিইও আরিজ আফতাব। ওই বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিবও। আর ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের জেলাশাসকেরা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং নদিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।  আগামী শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ জঙ্গলমহল এলাকার নির্বাচন রয়েছে। ভোটের দিনে বৃষ্টি হলে অসুবিধায় পড়বেন ভোটাররা। কীভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চালানো হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।

    অতীত থেকে শিক্ষা

    এর আগে উত্তরবঙ্গে ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দুর্যোগের ফলে কয়েকটি বুথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সময় বুথ সারিয়ে ভোট করাতে হয়েছিল কমিশনকে। তাই ভোটের সময় দুর্যোগ দেখা দিলে বিভিন্ন বুথ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ফের আশঙ্কা করছে কমিশন। সেই মতো আগাম প্রস্তুতি নিতে বৈঠকে বসছেন কমিশনের আধিকারিক। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। থাকবে বজ্রপাতের সতর্কতা। আগামী ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার থেকে নিম্নচাপ (Cyclonic Weather) তৈরি হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    Cyclone Biparjoy: সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি ও গতি বাড়িয়ে শক্তিশালী থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjay)। ইতিমধ্যেই ভারতের (India) পশ্চিম উপকূলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর দিকে এগিয়ে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবার গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে সেটি আছড়ে পড়তে পারে।

    কোথায় কোথায় আসছে ‘বিপর্যয়’

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল বরাবর সমুদ্র প্রবল উত্তাল থাকবে। বৃহস্পতিবার আরও বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। বিশাল উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়বে। বৃহস্পতিবারই ‘বিপর্যয়’-এর (Cyclone Biparjay) ল্যান্ডফল হওয়ার কথা গুজরাট ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী মাণ্ডবী এলাকায়। এর ফলে গুজরাটের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড় হাওয়া, সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতও হবে। গুজরাট, কেরালা, কর্নাটক ও লাক্ষাদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ১৪ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গুজরাটের সৈকত। ইতিমধ্যেই কচ্ছ উপকূল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল রবিবারই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। গুজরাটের কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির সোমনাথ, পোরবন্দর ও দ্বারকা জেলাতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাকিস্তান সরকারও সিন্ধু ও বালুচিস্তানের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    সোমবার এই দুর্যোগ (Cyclone Biparjay) ঠেকাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সবিস্তারে প্রধানমন্ত্রীকে জানান সরকারি আধিকারিকরা। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ‘বিপর্যয়’-এর জেরে মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের নানা এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরের একাধিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। আবহাওয়ার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরে একটি রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Asani Update: শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পরিণত নিম্নচাপে, কোথায় কেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    Asani Update: শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পরিণত নিম্নচাপে, কোথায় কেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর নিম্নচাপে (Deep depression) পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone)। ওড়িশা (Odisha) উপকূলের কাছে এসেই শক্তি হারাবে ‘অশনি’। সমুদ্রের মধ্যেই ক্রমশ শক্তি হারিয়ে ফেলে ওই ঘূর্ণিঝড়। তাই ল্যান্ডফলের (Landfall) আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তাই ঝড়ের তাণ্ডব থেকে এ যাত্রায় মুক্তি পাওয়ার কথাই শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস। শেষ ছয় ঘণ্টায় শক্তিক্ষয় করে ছয় কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড় না হলেও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ইতিমধ্যই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্দ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার বিভিন্ন জেলায়।

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। কালো মেঘে দুপুরেই যেন আঁধার নেমেছে শহর কলকাতায় (Kolkata)। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহানগরের বিভিন্ন দিকে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে তাদের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটা বরোর জন্য একটা করে মোট ১৬টা দল তৈরি করা হয়েছে। যারা সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে। রাস্তায় গাছ পড়ে গেলে তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। শহর যাতে জলমগ্ন না হয় তার জন্য অন্তত ৯৫ শতাংশ পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে জেনেরেটর প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কলকাতা ছাড়াও নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়  বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে মানা করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফের (NDRF) টিম। দিঘায় পৌঁছেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য রয়েছে কড়া নজরদারি। চলছে মাইকে প্রচার। আজ থেকে মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    বিশাখাপত্তনমে সমুদ্র উত্তাল। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। দুর্যোগের জেরে চেন্নাই বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, জয়পুর, মুম্বই থেকে আসা ১০টি বিমান। বিশাখাপত্তনমেও বেশ কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম,পূর্ব গোদাবরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে। ‘অশনি’র প্রভাবে ওড়িশাতেও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওড়িশার খুরদা, গঞ্জাম, পুরী, কটক, ভদ্রকে বৃষ্টি চলছে। ‘অশনি’ পরিস্থিতিতে ওই চার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    গঞ্জামের সুনাপুরের কাছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মৎস্যজীবীদের নৌকা সমুদ্রে আটকে পড়েছিল। বুধবার গঞ্জা, খুরদা, পুরী, জগৎসিংপুর, কটকে বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার পুরী, জগৎসিংপুর, কটক, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে।” 

    ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) ও কোনারক মন্দিরে (Konark Temple)। ২০১৯ সালে সাইক্লোন ফণী (Fani) যখন আছড়ে পড়েছিল, তখন ক্ষতি হয়েছিল জগন্নাথ মন্দিরে। একইসঙ্গে ২০২০ সালে আমফান (Amphan) এবং ২০২১ সালে ইয়াসের (Yass) সময়ও জোরদার সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল পুরীর মন্দিরে। ঝড়ে যাতে মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

LinkedIn
Share