Tag: Dakshin Dinajpur

Dakshin Dinajpur

  • Dengue: দক্ষিণ দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আক্রান্ত ১৩৬

    Dengue: দক্ষিণ দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আক্রান্ত ১৩৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় জমছে জল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে আবার বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

    ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ১৩৬ জন (Dengue)

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। গত দুদিনে ১৫ জন জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখন ডেঙ্গি পরীক্ষার পরিমাণ বেড়েছে। তাই আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এবার আরও সজাগ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। গতবছর কুমারগঞ্জ ব্লকের নানা প্রান্ত ও বালুরঘাটের বেশ কিছু এলাকা ডেঙ্গির হটস্পট জোন ছিল। এবারও বালুরঘাট, তপন, কুমারগঞ্জ সহ হিলি ব্লকে ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে গঙ্গারামপুর মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। মূলত সচেতনতামূলক প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্ষার মধ্যে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়লেও কোনও মৃত্যুর খবর নেই। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরকে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    স্বাস্থ্য দফতরের কী বক্তব্য?

    জেলার আটটি ব্লকেই ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ ও হিলি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে দফতর সূত্রে খবর। ফলে, সচেতনতার পাশাপাশি পরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “গতবারের তুলনায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। তবে, মৃত্যুর কোনও খবর নেই। গতবারের তুলনায় এবার জেলা হাসপাতালের সঙ্গে বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ডেঙ্গির পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর অনেকটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।” যদিও বালুরঘাট পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, “বালুরঘাট (South 24 Parganas) শহরে নতুন করে কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়নি। আমরা সব জায়গায় নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আমাকে ভোটে হারানো দলের বেইমান, গদ্দারদের জেলা ছাড়া করব”, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর

    Balurghat: “আমাকে ভোটে হারানো দলের বেইমান, গদ্দারদের জেলা ছাড়া করব”, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা আমাদের হারিয়ে দিয়েছে, সেই সব বেইমান, গদ্দারদের খুঁজে বের করুন। আমরা তাদের জেলা ছাড়া করব। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এভাবে হুঁশিয়ারি দিলেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির জেরে বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।  

    একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা (Balurghat)

    সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ভোটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। ভোটে পরাজয়ের পর থেকে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের দিকে আঙুল ওঠে। হারের কারণ নিয়ে দলের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। কিন্তু এবার হারের কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে ‘বেইমানদের’ খুঁজে বের করতে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী। বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার তপন রবীন্দ্র ভবনে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়। সভায় হাজির হন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা সহ অন্যন্যরা।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?

    দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব মিত্র বলেন, হেরে গেলেও আমার ব্যক্তিগত কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি মন্ত্রী ছিলাম। মন্ত্রী আছি। কিন্তু ক্ষতি হল দলের। আমরা এখানে জিতে গেলে বিজেপি দলটাকে তুলে দিতে পারতাম। বাংলায় বিজেপি টুকরো টুকরো হয়ে যেত। এই একটা সিটের এতটাই গুরুত্ব ছিল। বেইমানরা টাকা খেয়ে দলকে হারিয়ে দিল। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলে বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করতে হবে। ওদের আমরা দলটা করতে দেব না। যাক না সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে গিয়ে দিল্লিতে থাকুক। যে কোনও মূল্যে আমাদের গঙ্গারামপুর, তপন বিধানসভা জিততে হবে। তাই জোর করে হারিয়ে দেওয়া আমরা আর মানব না। বিপ্লব মিত্র আরও বলেন, আমরা যেমন বলি বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করব। আমরা এবার বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ছাড়া করব।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, এটা তৃণমূলের (Trinamool Congress) ব্যাক্তিগত ব্যাপার। দলের লোকেরা জানেন যে বিপ্লব মিত্র জিতলে জেলার কোনও লাভ হবে না, লাভ হবে তাঁর পরিবারের। তাই মানুষ ভালো বুঝে সুকান্ত মজুমদারকে ভোট দিয়েছেন। আর তিনি কাকে জেলা থেকে বের করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন

    Dakshin Dinajpur: মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। রোদে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের কচড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্কুলে হামলা চালানোর ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিফিন পিরিয়ডের (Dakshin Dinajpur) সময় সমস্ত পড়ুয়া মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রও মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই গরমে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বন্ধুরা তাকে ধরাধরি করে স্কুলের ক্লাসঘরে নিয়ে আসে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাকে ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে আসতে শুরু করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশের সামনেই শুরু হয় তাণ্ডব। স্কুল চত্বরে তুমুল ভাঙচুর করা হয়। শিক্ষকদের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বার বার ফোন করার পরেও যথেষ্ট সংখ্যক ফোর্স আসেনি। তার জেরে জনতা তাণ্ডব চালালেও কিছু করা যায়নি। সরকারি সম্পত্তিতে তুমুল ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকী স্কুলের লাইব্রেরিতেও ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হাইস্কুলের (School) দরজা,জানালাও ভেঙে ফেলা হয়।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

    প্রধান শিক্ষক (School) রানা দাস বলেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ পড়ুয়ারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা কিছুক্ষণ পরেই এসেছিলেন। ছাত্রের মাথায় জল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাকে বাঁচানো যায়নি। এরপরই এলাকার লোকজন স্কুলে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ (Balurghat) সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসের মধ্যেই রেল দফতরের হাতে এক-তৃতীয়াংশ জমি হস্তান্তর করার প্রশাসনিক দাবি থাকলেও, বাস্তবে কিন্তু ঘটেছে অন্যরকম। ৭০ শতাংশ জমিদাতাই এখনও টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, কত টাকা পাওয়া যাবে, ওই টাকা কবে ঢুকবে বা কবে জমি তাঁদের ছাড়তে হবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জমিদাতারা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে গতি আনার দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সুকান্তবাবু বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসনের। জমিদাতাদের বিঘা প্রতি কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বা কত টাকা তাঁরা পাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তাঁদের জানানো উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাই জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) কাজে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

    সমস্যায় ১০০টি পরিবার (Balurghat)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় বালুরঘাট ব্লকের যে সমস্ত এলাকার জমি রেল দফতরকে জুলাই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে প্রশাসনের, সেই সব এলাকার জমিদাতাদের অধিকাংশই এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে।

    বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে, সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনও তাঁদের জমির প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপুজোর মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমিদাতারা। তাঁদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে, সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান জমিদাতারা। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, জমি দান করতে সম্মতি জানালেও কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। বারবার জেলা প্রশাসনিক দফতরে গিয়েও তাঁরা জানতে পারেননি, কত টাকা পেতে পারেন বা কবে ঢুকবে টাকা। সেই কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ১০০টি পরিবার।

    কী বলছেন জমিদাতারা?

    জমিদাতা লোকনাথ হালদার বলেন, বছরখানেক আগেই কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা করে দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যত্র জমি কিনে নেওয়ার কথা। কিন্তু কত টাকা পাব বা কবে টাকা পাব, এই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছি না। এদিকে জমিও (Balurghat) কিনতে পারছি না, জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে।

    কী জানাল জেলা প্রশাসন?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের (Balurghat) টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। পুজোর আগে এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত জমিই রেলকে হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    সক্রিয় হওয়ার আর্জি সুকান্তর (Balurghat)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের কাজ হল জমি অধিগ্রহণ করা। তাদের উচিত, জমিদাতাদের সঠিক তথ্য জানানো, তাঁরা প্রতি বিঘার উপর কত করে দাম পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য। জেলা প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত (Land Acquisition)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ (আইসিপি)-এর জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছে। তাতে এই প্রশ্ন উঠেছে এবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে হিলিতে ‘আইসিপি’র জন্য জমি কিনতে ২১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা। হিলিতে ২৫ একর জমিতে ওই সুসংহত স্থলবন্দরের পরিকাঠামো গড়ে ওঠার কথা। উত্তরবঙ্গের মধ্যে হিলিতেই প্রথম এই প্রক্রিয়া শুরু হল। এখন রাজ্যের মধ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ বা সুসংহত স্থলবন্দর চালু রয়েছে কেবল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে।

    কম দামে মিলবে ‘পদ্মার ইলিশ’ (Dakshin Dinajpur)

    বর্ষার সময় ‘পদ্মার ইলিশ’ পেট্রাপোল (আইসিপি) হয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পৌঁছতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই দাম অনেকটা বেড়ে যায়। হিলি (Dakshin Dinajpur) স্থলবন্দর তৈরী হলে পদ্মার ইলিশ এপথে শিলিগুড়ি পৌঁছবে অন্তত ২৫০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়ে। কেবল ইলিশ নয়, ব্যবসায়ীদের দাবি, আরও বেশ কিছু সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি শুরু হবে, তেমনই বহু জিনিসের রফতানি বাড়বে। স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    হিলি (Dakshin Dinajpur) রফতানি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, “হিলিতে আইসিপি-র দাবি দীর্ঘদিনের। হিলিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আইসিপি হলে, যদি কিছুটা বাড়ে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, হিলি স্থলবন্দরের জন্য প্রথমে জমি চাওয়া হয়েছিল ১০০ বিঘা। কিন্তু অতটা জমি নেই বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়। এখন তার চেয়ে কিছুটা কম জমিতেই (প্রায় ৭৫ বিঘা) হিলি সুসংহত স্থলবন্দর তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে ওই জমি জেলা প্রশাসনের কিনে দেওয়ার কথা।

    হিলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত আইসিপি-র কথা জানতে পেরে, প্রচুর জমিদাতা জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে হিলিতে স্থলবন্দর রয়েছে। যদিও যাত্রীদের জন্য সেখানে সুবিধা কম। পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা থাকলেও হিমঘর, পণ্যের মান পরীক্ষা বা যাচাইয়ের (টেস্টিং ল্যাব) সুযোগ নেই। রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের। সুসংহত স্থলবন্দর চালু হলে, তাতে মিশে যাবে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পুরনো সব ব্যবস্থা। সঙ্গে একছাতার তলায় মিলবে আরও বাড়তি ও আধুনিক পরিষেবা।

    আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “অসুসংহত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তা শেষ হলেই, জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আগের দিন করা রাস্তা, টান দিলেই পিচ উঠে যাচ্ছে চাদরের মতো! ব্যাপক বিক্ষোভ

    Dakshin Dinajpur: আগের দিন করা রাস্তা, টান দিলেই পিচ উঠে যাচ্ছে চাদরের মতো! ব্যাপক বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতে করা রাস্তা সকালেই দফারফা। রাস্তার উপরে দেওয়া পিচ টানলেই উঠে আসছে। এলাকার মানুষের দাবি, নোংরা-আবর্জনার উপরে করা হয়েছিল ম্যাস্টিকের রাস্তা। তার ওপর তা করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের ২ নম্বর করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাহিট এলাকায়। পূর্ত বিভাগে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান আধিকারিক। এরপর সরকারি গাইডলাইন মেনে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিক।

    কোন রাস্তায় চলছিল কাজ (Dakshin Dinajpur) ?

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশমণ্ডি ব্লকের চৌপতি থেকে মহিপাল পর্যন্ত ম্যাস্টিক রাস্তার কাজ চলছিল। নাহিট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে রাতের বেলায় ব্রিজের উপর রাস্তার কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা বানানোর পর পিচ টানলেই চাদরের মতো উঠে যাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার মানুষের প্রতিবাদের ফলে সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তার জবাবদিহি চান এলাকার বাসিন্দারা। এই নিয়ে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মানুষের মুখে মুখে ঘুরতে থাকে দুর্নীতির কথা।

    গ্রামের মানুষের অভিযোগ

    এলাকার (Dakshin Dinajpur) মানুষের অভিযোগ, “গতকাল সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় জল, আবর্জনার স্তূপ ছিল। এগুলির উপরেই পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়। ফলে পিচে হাত দিলে উঠে যাচ্ছে। ঘটনা জানাজানি হতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর আমরা তাঁকে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাই।”

    পূর্ত দফতরের বক্তব্য

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) পূর্ত দফতরের আধিকারিক বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি নিজেই এসেছি। সবটাই খতিয়ে দেখছি। রাস্তার প্ল্যান যে ভাবে করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। আপনারা আমাদের উপর ভরসা রাখুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি?” তৃণমূল প্রার্থীকে সরাসরি আক্রমণ সুকান্তের

    Balurghat: “বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি?” তৃণমূল প্রার্থীকে সরাসরি আক্রমণ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বেহিসেবি দণ্ডিকাণ্ড যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রচারের অস্ত্র, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। সেটাই ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সুকৌশলে ওই তির ছুড়ে দিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তপনের গোফানগর অঞ্চলের বাদ সনইকর এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি সেই ঘটনাকে তুলে ধরেন। দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে এদিন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব মিত্রও এক সময় বিজেপিতে যান। বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরেন। যদি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলে ফেরার প্রায়শ্চিত্ত এটা হয়, তাহলে বিপ্লববাবুকে কেন দণ্ডি কাটিয়ে ঘরে ফেরানো হয়নি? আদিবাসী মহিলাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম, বিপ্লব মিত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকা উচিত।’

    “আদিবাসীদের নিচু চোখে দেখে তৃণমূল”

    উল্লেখ্য, গোফানগর অঞ্চলের তিন আদিবাসী মহিলাকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দণ্ডি কাটানোর ঘটনা ঘটে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন।পরে পুরনো ঘরে ফিরে আসতে চান। তাই দণ্ডি কাটিয়ে, প্রায়শ্চিত্ত করিয়ে তাঁদের তৃণমূলে নেওয়া হয়েছিল। সেই খবর প্রচার হতেই গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। বিজেপি অভিযোগ তোলে, আদিবাসীদের নিচু চোখে দেখে তৃণমূল। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে কী হয়েছে সেটা আমার থেকে আপনারা ভালো জানেন। ভোট কম হয়েছে। ছাপ্পা বেশি হয়েছে। কিন্তু এই ভোট চিন্তা করে দিতে হবে। আপনার একটি ভোট ঠিক করবে ভারতবর্ষ কার হাতে থাকবে? নরেন্দ্র মোদির মতো শাসকের হাতে, নাকি যারা নিজের ভাই, ভাতিজাদের কথা ভাবে সেই চোরেদের হাতে? আজ গোটা পৃথিবী নরেন্দ্র মোদিকে ভরসা করে।’ বক্তব্যে বিনামূল্যে রেশন, ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

    “বিজেপি আদিবাসীদের সম্মান দেয়”

    দণ্ডিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই এলাকার আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানো হয়েছিল। কিন্তু একই কাজ করেও বিপ্লব মিত্রকে দণ্ডি কাটানো হয়নি। এটা কেন হবে? জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা আমার বোনের মতো। সেও তো বিজেপিতে গিয়েছিল। সে কেন দণ্ডি কাটবে না? কিন্তু আমাদের দুই নিরীহ বোনকে দণ্ডি কাটানো হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি আদিবাসীদের সম্মান দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছে।’

    দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে, দাবি তৃণমূলের

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ওই সময় দল ওই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালতেও মামলা হয়েছে। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে। সুকান্তবাবুর কথায় তৃণমূল দল চলবে না।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর প্রসারে আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ নিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এই স্টেডিয়াম গড়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে। তবে, জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে রেলের ছাড়পত্র না মেলায় এই প্রকল্প এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই ওই ছাড়পত্র দ্রুত দেওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বুনিয়াদপুরে রেলের যে জমি রয়েছে, সেখানে জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র বা স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে তাঁর হাতে চিঠি তুলে দেন তিনি।

    রেলের জমিতেই স্টেডিয়াম! (Sukanta Majumdar)

    শিল্পবিহীন সীমান্ত জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৩০ অগাস্ট বুনিয়াদপুরে রেলের ওয়াগন কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা যে ১৭টি বড় মাপের রেল কারখানা ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল বুনিয়াদপুরের কারখানাটি। জানা গেছে, ২০১০-১১ সালে ঘোষিত ওই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে ১৩২.৮২ কোটি টাকা খরচ ধরেছিল রেল। শুধু প্রতিশ্রুতিই ছিল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিলান্যাসের পর থেকেই নানা কারণে প্রকল্পটি ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। আদৌ কোনওদিন ওই জমিতে ফ্যাক্টরি গড়া হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তাই ওই রেলের জমিকেই কাজে লাগাতে এবার উদ্যোগী হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর পরিকল্পনা মতো এই এলাকায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকার হাল বদলে যাবে বলে আশা সুকান্তবাবুর।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করার বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রক স্টেডিয়াম করার ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু, জমির জন্য ইতিমধ্যেই ক্রীড়া দফতর রেল দফতরকে চিঠি দিয়েছে। রেলের জমির এনওসি পাওয়ার পর সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল পেয়েছে রাজ্যের সেরা হাসপাতালের তকমা। অথচ ‘সেরা’ হাসপাতালে একাধিক রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। কলকাতা থেকে ডাক্তারবাবুরা এসে সামাল দেন। তারা যে নিয়মিত আসেন, তাও নয়। সমস্যায় রোগী এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা।

    ডাক্তার অভাবে ধুঁকছে হাসপাতাল! (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল চত্বরে তৈরি করা হয়েছে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। ভবন ১০ তলার। চিকিৎসা পরিষেবার জন্য হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে খুঁকছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। মেডিসিন, প্রসূতি, অর্থোপেডিক এবং আরও কয়েকটি বিভাগে ডাক্তার রয়েছেন। ডাক্তারের অভাব রয়েছে ইউরোলজিস্ট বা নিউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রো বিভাগের। এমনকী কার্ডিওলজি বিভাগও ডাক্তারহীন। সামান্য প্রস্টেটের সমস্যার জন্য হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পরিষেবা। প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাইরে থেকে দেখিয়ে নেওয়ার। বালুরঘাট পুরসভার আওতায় পুর হাসপাতাল ‘মাতৃসদন’। এর নীচে একটি বেসরকারি সংস্থার ল্যাব রয়েছে। সেখানে বাইরে থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখতে আসেন। কিন্তু তাও মাসে একবার। একই অবস্থা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কুমারগঞ্জের বাসিন্দা কমল বিশ্বাস বলেন, ‘তিনদিন আগে বাবার প্রস্টেটজনিত সমস্যায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। শুক্রবার বাবাকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ইউরোলজিস্ট না থাকায় সেখানে বাবার চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। কলকাতা থেকে একদিনের জন্য আসা ডাক্তারবাবুই ভরসা। অবিলম্বে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে আসা উচিত।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, সেরা তকমা তো দিদিমণির হাতে। তিনি চেয়েছেন তাই সেরা তকমা পেয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল। হাসপাতাল সেরা তকমা পেলেও হাসপাতালে কোনও ভালো চিকিৎসার ব্যাবস্থা নেই। রোগীদেরকে চিকিৎসা করাতে জেলার বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সবটাই লোক দেখানো।

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, ‘এই মুহূর্তে জেলায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জন্য আবেদন জানিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের যাতে পোস্টিং করানো যায়, তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বহু জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে এখনও অনেকের জমির কাগজ ও নানা নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টাকা দেরিতে ঢুকছে। তাই প্রতিদিনই হিলি ও বালুরঘাটে জমি দাতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর সুযোগেই বেশকিছু দালাল চক্রের সক্রিয় হয়ে এমন কাজ করছে বলে এক অডিও কল রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। যদিও বা ওই অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অডিও কলে কী রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    ওই অডিও কলে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক জমিদাতাকে ফোন করেছেন। ওই জমিদাতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ওই জমিদাতা ব্যক্তির অভিযোগ, ঘুষ দিলে টাকা ঢুকবে। শুধু একজনই নয়, এমন একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।  যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ফোন প্রশাসনের কোনও কর্মী নয়। এর পিছনে দালালচক্র কাজ করছে বলেই মত প্রশাসনের একাংশের। তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগকারী জমিদাতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল। জমি দেওয়ার টাকা দ্রুত আমার অ্যাকাউন্টে দেবে বলে সেই ব্যক্তি জানিয়েছিল। আমাকে ফোন করে জানায় যে আজ কালের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। তাই ওই ব্যক্তিকে যেন ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা ঘুষের টাকা। তাই প্রমাণ রাখার জন্য  ওই কল রেকর্ড করেছি। আর কারও কাছে  এই ধরনের টাকা যাতে না চাওয়া হয়, তাই আমি অভিযোগ দায়ের করব।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে এখনও এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এমনটা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব সুকান্ত

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে টাকার গল্প থাকে সেখানেই এক প্রকার দালাল চক্র শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের  টাকা নিয়েও দালালি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সঠিকভাবে নজর দিচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার, প্রশাসন নিশ্চয়ই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বিজেপির কাজ। আসলে বিজেপির মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share