Tag: Dakshin Dinajpur

Dakshin Dinajpur

  • Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোট রাজনীতিকে সামনে রেখে ফের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থেকে বিমান চালুর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যদিও ভোট পেরোলে আবার সেই উদ্যোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। বুধবার তিনজনের একটি দল বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। যদিও খবর, বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত বহু ঘাটতি রয়েছে। উড়ান চালাতে গেলে আরও একাধিক পরিকাঠামো প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান আদৌ চলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েই গেল। তবে, জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিমান চলার সম্ভাবনা প্রবল। 

    ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাহিনগরে রয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর (Dakshin Dinajpur)। প্রায় ১৫২ একর জমির মধ্যে রয়েছে ১৩৮০ মিটার রানওয়ে। বড়মাপের বিমান না চললেও ছোট বিমান চলতে পারবে। তবে বৃহৎ এলাকার বিস্তীর্ণ জমি, এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক সহ বিমান পরিষেবার সমস্ত সুবিধাযুক্ত বালুরঘাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। প্রায় ৩৫ বছরের উপরে এই বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করেনি। বর্তমান রাজ্য সরকারের ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বিমানবন্দরের ভেঙে যাওয়া রানওয়ে থেকে শুরু করে এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক, ক্রু এবং পাইলটদের রেস্ট রুম, প্রয়োজন মতো রেস্তোরাঁ, রিফ্রেশমেন্ট কাউন্টার এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু একেবারে নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আধুনিকমানের পরিকাঠামো তৈরির পরেও বর্তমানে এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়া বাকি অংশ ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। দিনের বেলাতেও লোকে ঢুকতে ভয় পাবে। প্রকাশ্য দিবালোকে বিমানবন্দরে ঘুরছে শিয়াল। রানওয়ের আশেপাশেও গজিয়ে উঠেছে বড় বড় গাছ, ঘাসে ঢেকেছে অন্যান্য এলাকা। অথচ পরিকাঠামো উন্নয়নের খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

    সরাতে হবে ইটভাটা

    এরকম একটা পরিস্থিতিতেই এদিন বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক মানস গাঙ্গুলি ও রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসের আধিকারিকরা। রাজ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) সঞ্জয় পণ্ডিত প্রমুখ। বিমানবন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি পরিবহণ ও রাইটসের আধিকারিকরা জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেন এবং এনিয়ে আলোচনা করেন। এরপর আবার প্রতিনিধিদল বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। তবে উড়ান চালু করতে গেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে কোনও পুকুর বা ইটভাটা থাকার কথা নয়। কিন্তু বালুরঘাট বিমানবন্দরের (Dakshin Dinajpur) ভিতরে বেশ কয়েকটি ডোবা ও পাশেই ইটভাটা রয়েছে। এছাড়াও পাশে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন।

    কটাক্ষ বিধায়কের

    রাজ্য সরকারের এই পরিদর্শনকে কটাক্ষ করেছেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ি। তিনি বলেন, “এটা আনন্দের কথা হলেও, সবটাই লোক দেখানো। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার এই বিমানবন্দর চালুর চেষ্টা করছে, এটাই শুধু শুনছি। বিমানবন্দর চালু করতে যা যা উদ্যোগ বা যা যা প্রয়োজন, সেইসব কোনও কিছুই দেখছি না। সামনে ভোট, তাই হয়তো আবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।”

    কী জবাব মন্ত্রী এবং প্রশাসনের?

    রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “উড়ান চালুর জন্য বালুরঘাট বিমানবন্দরে যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে। কিছু পরিকাঠামো হয়তো বাকি রয়েছে। সেটা খুবই নগণ্য। মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমানবন্দর চালুর জন্য সবরকমভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন।” অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পণ্ডিত বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশমতো আজ আমরা বিমানবন্দরে (Dakshin Dinajpur) এসেছি। রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং রাইটসের কর্তারা বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। বিমানবন্দরে আর কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। সেই মতো পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই বন‍্ধের ডাক দিলেও সকলের অনুরোধে পিছিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পুজোর মরশুম পার হতেই আন্দোলনে নামলেন বালুরঘাট তহবাজারের ব্যবসায়ীরা (Dakshin Dinajpur)। আগামিকাল ৬ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাটের তহবাজারের পুরো ব্যবসার পাশাপাশি বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সবজি ব্যবসাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শহর জুড়ে মাইকে এই বন‍্ধের কথা প্রচার করা হয়।

    কেন বিদ্রোহ ঘোষণা ব্যবসায়ীদের? (Dakshin Dinajpur)

    মূলত সবজির খুচরো ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের নজিরবিহীন লড়াইয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকার অভিযোগেই এই বিদ্রোহ ঘোষণা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। যা আগামী দিনে বালুরঘাটবাসীকে নাজেহাল করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, করোনা কালে তহবাজার থেকে আলাদা হয়েছিল কৃষক বাজার। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই গত সেপ্টেম্বরে হওয়া বৈঠকে খুচরো ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ওই কৃষকদের মূল বাজারে ফিরে আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই পার হয়ে যাওয়ার পরেও, কৃষকরা তহবাজারে না ফিরে আসায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) পক্ষে আগামিকাল ৬ ডিসেমবর থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আবার মূল বাজারে ফিরতে যদি প্রশাসন জোর করে, তবে তাঁরাও ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। এমতাবস্থায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কীভাবে মেলবন্ধন করে বালুরঘাটকে স্বাভাবিক রাখা যাবে, তার সমাধানসূত্র বের করতে নাজেহাল প্রশাসনিক কর্তারা।

    কী করে তৈরি হল সমস্যা?

    বালুরঘাট শহরের তহবাজার এলাকায় কাঁচামাল অর্থাৎ সবজি এবং মাছের ব্যবসার জন্য পৃথক জায়গা করা রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই এলাকাতেই কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা ও জেলার বাইরের কৃষকরা এই বাজারে এসেই পাইকারদের কাছে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে যেতেন। ওই বাজার থেকেই পাইকারদের কাছ থেকে সবজি সহ অন্যান্য ফসলগুলি খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু ছন্দ কাটে করোনা কালে। ওই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খুচরা ব্যবসায়ীদের ওই ঘিঞ্জি বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাই স্কুল মাঠে। আর কৃষক বা পাইকারদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন সেতুর পাশে রাস্তাতে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই খুচরো সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ফের তহবাজারে ফিরে যান। কিন্তু কৃষক বা পাইকাররা আর ওই রাস্তা থেকে উঠে ফেরত যাননি তহবাজারে (Dakshin Dinajpur)। বরং দিন দিন ওই সকালবেলার প্রায় দু’ঘণ্টার এই রাস্তার অস্থায়ী বাজারে কৃষক বা পাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ, ধীরে ধীরে বালুরঘাটবাসীও তহবাজারের ওই ঘিঞ্জি পরিবেশে বাজার করতে না গিয়ে ফাঁকা রাস্তা থেকেই ওই বাজার করতে শুরু করে দেন। এতে যেমন তহবাজার ব্যবসায়ীরা মার খেতে শুরু করেন, তেমনি তাঁদেরও দোকান ছেড়ে এসে এই এলাকা থেকে সামগ্রী কিনতে আসতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ওই কৃষক ও পাইকারদের তহবাজারে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের সহযোগিতায় একাধিকবার বৈঠক করেও এই সমস্যা মেটানো যায়নি। ফলে এবার একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহর পথে দুই পক্ষই। প্রশাসনকে বাদ দিয়েই এবার দুপক্ষই দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে।

    কে কী বলছেন?

    বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, প্রশাসনও বেশ কয়েকবার বৈঠক করে ওই কৃষকদের তহবাজারে ফিরে আসার জন্য বলেছে। আমাদেরও আন্দোলনে না নামতে সময় চেয়ে নিয়েছে। কিন্তু বারবার সময় পেরিয়ে গেলেও ওই আন্দোলন সেতুর বাজার তহবাজারে ফিরে আসেনি। তাই এবার আমরা চরম পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তহবাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা গোপাল সাহা বলেন, কৃষকরা আমাদের বাজারে না থাকায় ব্যবসা অনেক কমে গিয়েছে। ওরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন বারবার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। তাই আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ৬ তারিখ থেকে বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সমস্ত সবজি বাজার বন্ধ। তহবাজারের সমস্ত রকম ব্যবসা বন্ধ। কৃষক সংগঠনের নেতা সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎপাদিত ফসল নিয়ে বালুরঘাটে আসি। আগে তহবাজারে আমাদের বসার জন্য ছাউনি, ওজন যন্ত্র ইত্যাদি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করোনাকালে আমাদের রাস্তাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা কয়েকজন মাত্র কৃষক ছিলাম, এখন সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই সময় তহবাজারে ফিরে গেলে জায়গার অভাব হবে। তাই আমরা ওই বাজারে আর ফিরে যেতে চাইছি না। আমাদের এই রাস্তা থেকে সরিয়ে আশেপাশেই কোথাও জায়গা করে দিক প্রশাসন। জোড়াজুড়ি করলে বা আমাদের  অন্যান্যা দাবি পূরণ না হলে, আমরাও দুধ, ডিম, সবজি সহ নানা কাঁচামালের কৃষকরা ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হব।

    বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, আমরা দুপক্ষের সাথেই কথা চালিয়ে যাচ্ছি। সমাধানসূত্র আশা করি বের হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৪৮০ জন। আর স্কুলে শিক্ষক মাত্র ২ জন। পড়াশুনা কার্যত শিকেয় উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জের তুলট উচ্চবিদ্যালয়ে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি একসঙ্গে চালানোর মত শিক্ষক নেই। ফলে. বেশিরভাগই সময়েই ক্লাস বন্ধ থাকছে। গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরেই এমনই শিক্ষক সংকটে ভুগছে কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের তুলট উচ্চবিদ্যালয়। স্কুলের দুর্দশা দেখে স্থানীয় কিছু যুবক যুবতী অবশ্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা মাঝে মাঝে স্কুলে গিয়ে ক্লাসও করাচ্ছেন। এদিকে স্কুলের এই বেহাল দশা দেখে দিন দিন কমছে পড়ুয়ারার সংখ্যা। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    একবছরে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া স্কুল ছেড়েছে (Dakshin Dinajpur)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের জাখিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তুলট গ্রামে রয়েছে এই স্কুল। কয়েক বছর আগে স্কুলটি অষ্টম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত হয়েছে। আগে থেকেই শিক্ষক কম ছিল। উৎসশ্রী পোর্টাল চালুর পর থেকে একের পর এক শিক্ষক চলে যায়। কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছেন। আরও একজন সহকারি অফিসের কর্মী রয়েছেন। তা বাদে এই স্কুলে আর কেউ নেই। ফলে, স্কুলের বেশিরভাগ কাজকর্ম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নিজেরা করে। এদিকে ওই স্কুলে এক বছর আগে ৫০০ এর বেশি পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, অষ্টম শ্রেণি ও নবম শ্রেণি থেকেই বেশি পড়ুয়া স্কুল ছাড়ছে। ফলে, একবছরে প্রায় ৫০ জন স্কুল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে দুজন শিক্ষক রয়েছেন, তাদের একজন ইংরেজি ও বিজ্ঞানের। ফলে, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, অংক সহ নানা বিষয়ে কার্যত ক্লাসই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই ক্লাসগুলিও হয়না বলেই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে। ফলে, অনেক সময় শুধুমাত্র মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

    ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুল চালাতে হচ্ছে, দাবি প্রধান শিক্ষকের

     দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তুলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ জোত্যি সরকার বলেন, স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকের অভাব ছিল। অনেকেই বদলি নিয়ে বাড়ির কাছে চলে গিয়েছে। যার ফলে এখন মাত্র দুইজন শিক্ষক ও একজন অফিস কর্মী দিয়েই স্কুল চলছে। এতজন পড়ুয়াদের আমরা ঠিকমত ক্লাস নিতে পারছি না। বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস বন্ধ থাকছে।

    পড়ুয়া ও অভিভাবকরা কী বললেন?

    এক স্কুল পড়ুয়া বলেন, আমাদের স্কুলে সব বিষয় পড়ানোর মতো শিক্ষক নেই। ফলে, ক্লাস হয় না। পড়ুয়াদের অভিভাবক পীযুষ কান্তি সরকার এবং এমাজুল মোল্লা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি তারা আগ্রহ হারাচ্ছে। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করি, তাই দূরের স্কুলেও ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে পারছিনা। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে না। দ্রুত এই স্কুলের হাল না ফিরলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজো (Kali Puja 2023)। রাস পূর্ণিমা তিথির পরের শুক্রবার এই রক্ষাকালী পুজো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবথেকে বড় কালীপুজো বলে পরিচিত বোল্লা কালী। এছাড়া বলিদান প্রথাও রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন অংশগ্রহণ করার জন্য। শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, সকলেই মনে করছেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।

    কোথায় এই মন্দির?

    বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লা কালীমন্দির (Kali Puja 2023)৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনও কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু-মুসলিম-দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

    বয়স তিনশো বছরেরও বেশি

    জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশো বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। পুজো সম্পর্কে নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারিমোহন চৌধুরী নামের জমিদার৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার তিনি ঘটা করে এই পুজো (Kali Puja 2023) শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

    সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা

    এবছর শতাব্দীপ্রাচীন বোল্লা মেলার মূল আকর্ষণ সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা (Kali Puja 2023)। সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন মা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় দু’ কেজির বেশি ওজনের গলার হার, কারুকার্যময় অপর একটি গলার মালা, দেড় কেজি ওজনের হাতের খড়্গ। মায়ের হাতের গোটা খড়্গ সোনার। দুই হাতে চুর, চিক, কানপাশা, মাথার টিকলি, বাজুবন্ধ। রুপোর অলঙ্কারের মধ্যে থাকছে কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সহ আরও বিবিধ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার। এবার নতুন অলঙ্কার হিসেবে থাকছে ভক্তের দেওয়া হিরের আংটি।

    সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো

    এই বিষয়ে বোল্লা মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই বোল্লা পুজো (Kali Puja 2023) খুবই জাগ্রত। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন ভোরে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হয়। সকাল ৬ টার পর থেকে পুণ্যার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হয়, যা সারাদিন চলে। রাত ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চণ্ডী পাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যে দিকটি এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতার পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতেন শিক্ষক। নিজের বেতনের টাকা থেকে পয়সা বাঁচিয়ে শিক্ষাদান করতেন শিশুদেরকে। দেখতে দেখতে হয়ে গিয়েছে ২৫টা বছর। ১৯৯৮ সালে ৩০ জন হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিয়ে পথচলা শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ সংস্থা। থাকা-খাওয়া, পড়াশোনা সবই একেবারের নিখরচায়। কিন্তু বারবার আবেদন করেও এখনও মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি। যা নিয়ে হতাশ কর্তৃপক্ষ, আবাসিকরা।

    কে এই শিক্ষক (Dakshin Dinajpur)?

    শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশনের টাকা টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছেন বালুরঘাটের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার দত্ত। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার অসহায় শিশুদের জন্য। বালুরঘাটে বাড়ি হলেও শিক্ষকতার সূত্রে রঞ্জিতবাবুর যোগাযোগ শুরু হয় কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে। তিনি বাগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস গেলে বেতন পাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধে ছিল না। কিন্তু স্কুলের ছাত্র সংখ্যার অভাব দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, কেন পড়ুয়ার সংখ্যা কম? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে স্কুলে এসে বেরিয়ে পড়তেন আশেপাশের গ্রামগুলোতে।

    কেন শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা?

    এলাকায় (Dakshin Dinajpur) পড়াশোনার ভাবনা একেবারই ছিল না। দারিদ্রতা ছিল এর প্রধান কারণ। তাই নিজের বেতনের পয়সা থেকে একটা করে ব্ল্যাকবোর্ড কিনে ষোলোখানা টোল খুলেছিলেন সেই সময়। সন্ধ্যায় পাড়ার শিক্ষিত ছেলেদের তুলে এনেছিলেন পড়ানোর কাজে। যাঁরা পড়াতেন তাঁদেরকেও বেতন দিতেন ৫০, ১০০ করে টাকা। বালুরঘাট ছেড়ে নিজেও রাত্রিবাস করা শুরু করেন বাগডুমা গ্রামে। সুফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। ১৯৯৮ সালে অসহায় শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলবেন বলে ঠিক করেন। এগিয়ে আসেন বাগডুমা স্কুলের পাশে মস্তৈল গ্রামের কাইচালু সরকার। তাঁর দান করা পতিত ৮৪ শতক জমিতে পাটকাঠির বেড়ায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ প্রতিষ্ঠান। আশেপাশের জেলা থেকে ছাত্ররা আসতো। এলাকার দরিদ্র ছেলেদের ওই প্রতিষ্ঠানে রাখার ভাবনা থাকলেও পাশের জেলার গাজোল, দৌলতপুর বুনিয়াদপুর কিংবা ইটাহার ব্লক থেকেও অনাথ শিশুরা চলে আসতে শুরু করে।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘কারও বাবা, কারও মা নেই। তাই যতদিন চাকরি করেছি ওদের তিনবেলা খাওয়া-থাকা সমস্ত খরচ নিজের বেতন থেকে চালিয়েছি। এখন অবসর নিলেও হাল ছাড়িনি। পেনশনের টাকা দিয়ে আশ্রমের কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার (Dakshin Dinajpur) পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য নিই। আর বাকিটা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে চলে সব খরচ। এই পরিস্থিতিতে অনাথ শিশুদের তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে হয় বলে ছাত্রবৃদ্ধির কোনও ভাবনায় নেই। ৩০ জনের তিনবেলা খাওয়া, মাস গেলে ইলেক্ট্রিক বিল, তিনজন শিক্ষকের সাম্মানিক ছাড়াও আরও অজস্র খরচ”।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    আজ ২৫ বছর হলেও নীলকণ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ব্লক বা জেলা প্রশাসন (Dakshin Dinajpur) কেন আশ্রমের স্বীকৃতি দেয়নি? রাজ্য সরকার সুপারিশ করেনি কেন? উত্তরে রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘১৫ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দিয়েছি অফিসে সরকারি স্বীকৃতি পাবো বলে। মনমতো হয়নি, তাই স্বীকৃতি দেয়নি।’ এমন আক্ষেপের সুর তাঁর গলায় বাজতে থাকে। তিনি চান প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: অনুমোদন মেলেনি ৬টি বিএড কলেজের! ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়়ুয়ারা

    Dakshin Dinajpur: অনুমোদন মেলেনি ৬টি বিএড কলেজের! ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলার প্রক্রিয়া পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলতি বর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছয়টি বিএড কলেজ ছাত্র ভর্তি নেওয়ার অনুমোদন পেল না। এদিকে আগেই ওই কলেজগুলি অফলাইনে ভর্তি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না মেলায় অনলাইনে ভর্তি হতে পারেনি পড়ুয়ারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ছয়টি কলেজে সবমিলিয়ে ৪০০ আসন রয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, সব আসনেই ভর্তি করে ফেলেছে কলেজগুলি। এখন ওই পড়ুয়ারা অন্য কলেজেও ভর্তি হতে পারছে না। ফলে, একবছর নষ্টের পথে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ পড়ুয়ারা। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। এদিকে ক্ষুদ্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষরাও। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন।

    তালিকায় কোন কোন কলেজ রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ১৭ টি বিএড কলেজ রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১২০০ সিট রয়েছে। এই কলেজগুলি বর্তমানে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অধীনে রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজগুলি ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার সহ নানা নির্দেশ ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমোদন না মেলার তালিকায় এই জেলার ছয়টি কলেজ রয়েছে। যেগুলি হল, বালুরঘাট ব্লকের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, তপনের বলিপুকুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গঙ্গারামপুরের ফান্ডামেন্টাল ইন্সটিটিউট অফ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুশমন্ডির আজাদ ডিএড ট্রেনিং কলেজ, বুনিয়াদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং ফুলবাড়ির দক্ষিণ দিনাজপুর বিএড কলেজ। ওই কলেজগুলিতে মোট ৪০০টি আসন রয়েছে। এই ছয় কলেজের বেশিরভাগ গুলিতে ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত ঠিক নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাই এই বছর ছাত্র ভর্তির অনুমোদন মেলেনি।

    অনুমোদন না পাওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাটের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্ণধার অক্ষয় বর্মন বলেন, যে সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছিল। তার প্রায় সবই পূরণ করেছি। শিক্ষকের অভাব পূরণ করার জন্য নিয়োগের সময়সীমাও দেওয়া হয়নি। তাই আমাকে অনুমোদন দেওয়া হল না। অথচ অন্য কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। আমি এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।

    পড়ুয়াদের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের দুই পড়ুয়া চন্দন কর্মকার ও রাখি বর্মন বলেন, আমরা এই কলেজগুকিতে অফলাইনে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন অন্য কলেজেও আসন নেই। ফলে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। একবছর আমাদের পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল।

    বিএড কলেজ সংগঠনের কর্মকর্তারা কী বললেন?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বিএড কলেজ ঐক্যমঞ্চ সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা সংগঠনের তরফ থেকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি, যাতে সকলেই অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে ঘুষের বিষয়টি আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ব্রিজ হয়েছে, পাকা রাস্তা নেই! প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনছে আমজনতা

    Dakshin Dinajpur: ব্রিজ হয়েছে, পাকা রাস্তা নেই! প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনছে আমজনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক উদ্যোগের পরেও ১৫ বছর ধরে রাস্তা পায়নি ডাঙা ও জঙ্গলপুরের মানুষ (Dakshin Dinajpur)। ফলে বালুরঘাট শহর এড়িয়ে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না পূর্বদিকের গ্রামগুলির মানুষজন। তাঁদের শহর হয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে। এমনকি বালুরঘাট সদর হাসপাতাল ওই গ্রামগুলির খুবই কাছে হলেও শহর এড়িয়ে রোগী নিয়ে সেখানে যাওয়া যায় না। ২০০৮ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের উদ্যোগে জঙ্গলপুর থেকে ডাঙা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ তৈরি করতে ভাঙা খাঁড়ির উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গলপুর, হাতিশালা, এক মাইল ও মালঞ্চার উত্তরদিকের গ্রামগুলির সঙ্গে রঘুনাথপুর হয়ে বালুরঘাটের সঙ্গমে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানো। ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে ২০০৮ সালে। তার উদ্বোধনও হয়েছে। মানুষ তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পাকা রাস্তা না থাকায় কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ব্রিজ উদ্বোধনের পর অ্যাপ্রোচ রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেসব উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। সাইকেল বা মোটরবাইক অনেক কষ্টে নিয়ে যাওয়া গেলেও টোটো সহ কোনও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে যোগ্য নয় রাস্তাটি।

    একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত (Dakshin Dinajpur)

    ভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে বালুরঘাট শহর দিয়ে ডাঙা খাঁড়ি প্রবাহিত হয়ে গিয়ে মিশেছে আত্রেয়ী নদীতে। একদিকে জঙ্গলপুর, অন্যদিকে ডাঙা ফরেস্ট। এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাঁড়ির উপরেই ব্রিজ নির্মাণ করেছিল তৎকালীন জেলা পরিষদ। প্রস্তাব ছিল তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার। কিন্তু সেই প্রস্তাব আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্কুল-কলেজ কিংবা বাজারে যাতায়াতে সমস্যা হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আশ্বাস মিলেছে বারবার। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাস্তা হয়নি (Dakshin Dinajpur)। পঞ্চায়েত দায় ঠেলেছে জেলা পরিষদের ঘাড়ে, জেলা পরিষদ রাজ্যকে দেখিয়েই দায়িত্ব সেরেছে।।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? (Dakshin Dinajpur)

    এক টোটোচালক কালু দাস বলেন, ‘বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে ফরেস্ট রোড হয়ে জঙ্গলপুর পর্যন্ত রাস্তাটিতে দীর্ঘ বছর ধরে ইট পড়েনি। অথচ এই রাস্তাটি পাকা করা হলে খুব সহজে জঙ্গলপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে যাতাযাত করা সুবিধে হত। গ্রামবাসী শুটকু পাহান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলি বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তাটির কাজ কেউ করে না। আমরা অনেকবার ভোট বয়কটের ডাকও দিয়েছি। কিন্তু বয়কট করার আগেই নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আন্দোলন থেকে মানুষকে সরিয়ে দেয়। রাস্তা আর হয় না।’ উজ্জ্বল দাস নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে দশতলা হাসপাতাল দেখা যায়।  সেখানে যেতে আমাদের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) হয়ে ঘুরে আসতে হয়। শুধুমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় আমাদের বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”

    কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা? (Dakshin Dinajpur)

    এনিয়ে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার বলেন, ‘মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, তাদের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্যেই চেয়ারে বসা। ২০০৮ সালের নেওয়া প্রকল্প কেন বাস্তবায়িত হল না তার খোঁজখবর নেব (Dakshin Dinajpur)। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টাও করব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fertilizers: সারের কালোবাজারিতেও তৃণমূলের দুর্নীতি! কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    Fertilizers: সারের কালোবাজারিতেও তৃণমূলের দুর্নীতি! কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে চলছে সারের (Fertilizers) কালোবাজারি। এই চক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, “শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের মদত ছাড়া কালোবাজারি করা সম্ভব নয়। না হলে পুলিশ একদিনেই এই কালোবাজারি বন্ধ করে দিতে পারত। তাই এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই।”

    কী বলছেন কৃষকরা? (Fertilizers)

    বালুরঘাটের কৃষক সুবল মণ্ডল বলেন, ‘যখনই আলু কিংবা অন্য ফসল চাষের সময় আসে, তখনই সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছরই সরকারি সার কালোবাজারি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে লোক দেখানো সার ব্যবসায়ীদের শো-কজ করা হচ্ছে। কিন্তু সারের (Fertilizers) দাম কিছুতেই কমছে না।’ বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতরের তরফে এই ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা জায়গায় মজুত সারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৬২ জন সার ব্যবসায়ীকে শো-কজ করেছে জেলা কৃষি দফতর। এছাড়া চার ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    কী বললেন সুকান্ত? (Fertilizers)

    সারের কালোবাজারি নিয়ে বিরক্ত সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘গঙ্গারামপুরে এসসি মোর্চার সদস্যরা সারের কালোবাজারির কথা বলেছে। সবটা শুনেছি। আমি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দেব। তাঁরা এসে সব খতিয়ে দেখুন। সারের ক্ষেত্রেও কতটা দুর্নীতি হচ্ছে, তা দেখুন। সারের কালোবাজারিতে পুলিশ ও শাসকদল সরাসরি যুক্ত রয়েছে।’

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল এবং সরকারি আধিকারিকদের? (Fertilizers)

    সারের কালোবাজারি কথা অকপটে স্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন, ‘যে সারের চাহিদা তুঙ্গে, সেই সারেই কালোবাজারির অভিযোগ পেয়েছি। বিকল্প সার ব্যবহারের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা দরকার।’ তাঁর দাবি, “যেখানে যেখানে সারের কালোবাজারির খবর মিলছে, সেখানেই প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি, ১০:২৬ সারের বদলে অন্য সার ব্যবহারেও একই ফলন পাওয়া যে সম্ভব, তা নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।’ জেলা কৃষি আধিকারিক প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ২৫২টি সারের (Fertilizers) দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে।’ বালুরঘাট ব্লক কৃষি আধিকারিক তনয় সাহার বক্তব্য, ‘কয়েক মাস ধরেই সারের কালোবাজারি নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি সরব হয়েছে। জেলায় এনপিকে (২৬:২৬:২৬) সারের চাহিদা সব থেকে বেশি। এই সারের দাম সবচেয়ে বেশি। ওই সারের পরিবর্তে এনপিকে (১৫:১৫:১৫, ১৬:১৬:১৬, ১৬:২০:০:১৩) এই বিকল্প সারগুলি বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে চোখে ধুলো দিয়ে বহু প্রাচীন সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। হাতেনাতে পাকড়াও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায়। ঘটনার পরেই উদ্ধার হওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছের গুড়িগুলি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এনে, বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই গাছের পাচার নিয়ে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গাছ চুরির অভিযোগ (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায় রাতে দুটি গাছ বোঝাই ভুটভুটিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। যা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হতেই গাছের গুড়ি বোঝাই ভুটভুটি দুটিকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর চলে ভুটভুটি চালকদের ঘেরাও করে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভও। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে ভুটভুটি বোঝাই গাছের গুড়িগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কালাইবাড়ি সংসদের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস গোপনে সরকারি ওই গাছগুলি হিলির তিওড়ের এক গাছ বিক্রেতার কাছে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে। এদিন হাতেনাতে ধরা পড়তেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয় গ্রেফতারিরও। যদিও এই ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা জ্যোৎস্না দাস।

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) ভুটভুটি চালক বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস ৩২ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছগুলি বিক্রি করেছেন। যেগুলি কাঠ মালিকের নির্দেশে তিওড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।” আবার গাছ পাচার বিষয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, সরকারি গাছগুলি কার্যত পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। যেগুলি তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় একলক্ষ টাকার কাছাকাছি।”

    কী বললেন সুকান্ত?

    তৃণমূলের গাছ পাচার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ (Dakshin Dinajpur) সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বললেন, “তৃণমূলের পুরো দলটাই চোর। তৃণমূলের এক সদস্যার বর গাছ চুরি করে বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমাদের কর্মীরা জানতে পেরে সেই গাছের গুড়িটিকে আটকায়। সেই সঙ্গে পুলিশ-বনদপ্তরকে খবর দিলে তাঁরা গাছের গুড়িটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূল সদ্যসার বর আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো।”

    একই ভাবে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, “গাছগুলো সরকারি গাছ। পুলিশ তদন্ত করে চোরদের গ্রেফতার করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: “লোকসভা নির্বাচন এলেই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো”, চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদারের

    Dakshin Dinajpur: “লোকসভা নির্বাচন এলেই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো”, চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুন্ডামি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। সেসব পর্ব চলে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে গুন্ডামি করতে চাইলে তাদের জায়গা হবে জেলে। সুকান্ত মজুমদার সেই গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি আপনাদের পাশে আছি।” গঙ্গারামপুর ব্লকের (Dakshin Dinajpur) গোচিয়ার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে এসে শাসকদলকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে এই এলাকায় আমাদের কর্মীরা কাজ করতে পারেন না। কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। আপনারা গুন্ডাদের তালিকা তৈরি করুন, আমরা ব্যবস্থা নেব।” লোকসভা নির্বাচনের এখনও দেরি। কিন্তু নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে ইতিমধ্যে ঘর সাজাতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল দৃঢ় করতে এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, লোকসভা নির্বাচন এলেই এই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো।”

    এজির পদত্যাগ

    পাশাপাশি তিনি রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এদিন কথা বলেন। এক সরকারের আমলে বদল তিন এজির। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Dakshin Dinajpur) বলেন, “সৌমেন্দ্রনাথ মুখার্জী প্রথিতযশা একজন আইনজীবী। তাঁর পক্ষে এই অশিক্ষিত সরকারের সঙ্গে বেশি দিন কাজ করা সম্ভব নয়। অনেকেই আগে ছেড়ে দিয়েছেন, এবার সৌমেন্দ্রবাবু ছেড়ে গেলেন। এর আগে গোপালবাবু নামে একজন ছিলেন, যিনি প্রকাশ্যে কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে এই ধরনের আচরণ রাজ্য সরকারের শোভা পায় না। অর্থাৎ এই সরকারের সঙ্গে শিক্ষিত মানুষরা বেশিদিন একসাথে চলবে না।”

    ধান কেনায় কেলেঙ্কারি

    ধান কেনার কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডি স্ক্যানারে কলকাতা পুলিশ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Dakshin Dinajpur) বলেন, “যে মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন, সেই মামলার সূচনা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের দ্বারাই। কোনও এক জায়গায় বেআইনি চাল ও চালের গুঁড়ো পাওয়া গিয়েছিল। তার তদন্তে নামে বেঙ্গল পুলিশ এবং সেটা দ্রুত ধামাচাপা দেওয়া হয়। অভিযোগ যায় ইডির কাছে। ইডি যাতে তদন্ত করতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছি, কিন্তু কিছু হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইডি খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এখন শুধু পুলিশ কেন, বেশ কিছু আমলা এবং আধিকারিকেরও জেল হবে।”

    কী বলল তৃণমূল?

    এদিকে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজ্য সভাপতির জমানত জব্দ করবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি মিথ্যে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। তিনি নিজের এলাকায় (Dakshin Dinajpur) হেরেছেন। জেলা পরিষদে একটি আসনও পায়নি তাঁর দল। তাই তিনি এসব ভুলভাল বকছেন। তাঁর উচিত রাজ্য রাজনীতিতে নজর দেওয়া। কারণ, জেলার মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁকে চায় না। রাজ্য সভাপতির এই হুমকির জবাব আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেবে মানুষই। ক্ষমতা থাকলে তিনি এবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে থেকে দাঁড়ান। যদি তাঁর জামানত জব্দ করতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share