Tag: Dakshin Dinajpur

Dakshin Dinajpur

  • Smuggling: এ যেন পাচারের স্বর্গরাজ্য! গরু, কয়লার পর এবার মালবোঝাই লরিতে  ১২ কোটির হেরোইন

    Smuggling: এ যেন পাচারের স্বর্গরাজ্য! গরু, কয়লার পর এবার মালবোঝাই লরিতে ১২ কোটির হেরোইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফতানির আড়ালে কোটি কোটি টাকার হেরোইন পাচার (Smuggling) হিলি সীমান্তে। বিএসএফের গোপন খবরে দাঁড়িয়ে থাকা মালবোঝাই লরি থেকে উদ্ধার প্রায় ১২ কোটি টাকার হেরোইন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটও। যদিও এই ঘটনায় গাড়ির মালিক বা চালক কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বিএসএফ। গরু ও কয়লা পাচারে সাড়া ফেলে দেওয়া রাজ্যে এও এক নতুন ঘটনা।  

    সক্রিয় সীমান্তের কুখ্যাত পাচারকারীরা (Smuggling)

    ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের অন্যতম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি। যে স্থলবন্দরটি আমদানি ও রফতানির অছিলায় মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যেখান দিয়ে মাদক পাচার করছে সীমান্তের কুখ্যাত পাচারকারীরা (Smuggling)। নিত্যদিনই সামনে আসছে সেই কুখ্যাত কারবারীদের কর্মকাণ্ড। লরি চালক ও মালিকদের দিকে এক্ষেত্রে বরাবরই রফতানিকারকরা আঙুল তুললেও এর পিছনে যে হিলির বেশ কিছু কুখ্যাত পাচারকারীর রয়েছে, এদিনের ঘটনা তা যেন আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে পাচারকারীরা নিজেদের পরিচিত নামকে উহ্য রেখে কখনও লঙ্কা, ছোটকা, লেবু, লবণ এমন সব কোড নাম ব্যবহার করে থাকে। তাদের মদতেই মোটা টাকার বিনিময়ে একাজে যুক্ত হন লরি চালক ও মালিকরা। গত শনিবার বাংলাদেশে খইল বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপল পরিমাণ হেরোইন,যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে বিএসএফ।

    লরির চালকের কেবিনেই ১২ কোটির মাদক

    পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘ পুজো মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভুষি বোঝাই লরিতে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালান ৬১ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। যেখানে পৌঁছে গাড়ির চালকের কেবিনে তল্লাশি চালাতেই মেলে সাফল্য। উদ্ধার হয় ২২ প্যাকেট হেরোইন ও ৫ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ওই হেরোইনের বাজার মূল্য ১২ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে বিএসএফ। এদিন এই ঘটনাকে ঘিরে হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় সীমান্ত এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় লরির চালক বা মালিক কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বিএসএফ। ঘটনার পর থেকেই হিলির হাড়িপুকুরের বাসিন্দা তথা লরির মালিক অশোক মণ্ডল পলাতক। যদিও পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি (Smuggling) পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।

    পুলিশ অন্ধকারে

    ঘটনা নিয়ে বিএসএফের তরফে তেমন কিছু বলতে চাওয়া না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন, হিলিতে এধরনের একটি খবর (Smuggling) পেয়েছেন। পুলিশের হাতে বিষয়টি তুলে দেওয়া হলে তাঁরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে চাপে পড়ে ১০০ টাকায় অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তপনের নাথানিয়াল মুর্মু কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মাত্র ১০০ টাকায় অধ্যাপক! শিক্ষার এই মূল্যায়ন! কলেজের ওয়েব সাইট থেকে সারানো হল এই নিয়োগের বিজ্ঞাপন। বিরোধীরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্মান নেই। একই ভাবে কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস প্রতি ৩০০ টাকায় অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।পাশাপাশি একে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম খারাপ সময় বলে উল্লেখ করল বিজেপি।

    কলেজের বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছিল (Dakshin Dinajpur)?

    এই সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে কলেজে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, চারটি বিষয়ে মোট অধ্যাপক নিয়োগ হবে ছয় জন। নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে ১৫টির বেশি ক্লাস করতে পারবে না। অধ্যাপকদের যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে অতিথি অধ্যাপকদের মাসিক বেতনের পরিমাণ মোট দাঁড়ায় মাত্র ৬০০০ টাকা। এত কম টাকায় অধ্যাপকদের পারিশ্রমিককে ঘিরে শিক্ষামহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আর এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ (Dakshin Dinajpur) এই বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়।

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায় বলেন, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশ কম। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাসের সংখ্যাও অনেক বেশি করাতে হচ্ছে। তাই অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম  বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কলেজ ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। 

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “কলেজের অতিথি অধ্যাপকদের বেতন ১০০ দিনের কাজের থেকেও কম। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিখোঁজ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ। আর সেই কলেজে অতিথি শিক্ষকের ক্লাস পিছু পারিশ্রমিক শুনলে চমকে উঠবেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন নাথালিয়ান মুর্মু কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অতিথি শিক্ষকের বেতন ১০০ টাকা প্রতি ক্লাস! সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাস করা যাবে। দেওয়া হবে না যাতায়াত ও বাড়তি কোনও খরচ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই একথার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

    কলেজে কতজন গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে?

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তপনে এই কলেজ স্থাপিত হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১৮০০ জন। এ বছরও ৫৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন এ কলেজে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই কলেজে যত সংখ্যক পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক আছেন তা যথেষ্ট নয়। তাই গেস্ট লেকচারার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২ জন বাংলা, ২ জন এডুকেশন, ১ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ১ জন দর্শনের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হবে। আগামী ২০ তারিখ ইন্টারভিউ। তার আগেই এই বিতর্ক দানা বেধেছে। বালুরঘাটের নেট পাশ যুবক অসীম বর্মন এ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের মাইনে ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা? আবার বলছেন ১৫টির বেশি ক্লাস দেবেন না। সে হিসাবে মাসে তো ৭ হাজার টাকা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে পড়াশোনার কোনও দামই নেই।’

    কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণয় নারাজিনারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায়ের বক্তব্য, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ক্লাসের চাপ বাড়ছে। তাই গেস্ট টিচার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম মানছেন তিনি। তবে, একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। আমাদের কলেজের অত সামর্থ্য নেই। বাধ্য হয়েই এই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, কলেজে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষকের অভাব থাকায় কলেজের পরিচালন সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকেই বেকার রয়েছেন যাঁরা স্কুল বা কলেজে পড়াতে ইচ্ছুক। তাঁরা এখানে শিক্ষকতা করতে পারবেন। তারজন্য সামান্য কিছু সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে অনেকেরই উপকার হবে। অনেকেই তো বিনা পয়সায় নানা জায়গায় পড়ান। সেক্ষেত্রে কলেজের যা সামর্থ্য, তাই দিচ্ছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে। তাকে ১০০ দিনের কাজের চেয়ে কম টাকা দেওয়া হচ্ছে, এর থেকে লজ্জার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসব দেখতে পাননা। তারা বিদেশে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এটাতেই স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ফের ভাঙন তৃণমূলে, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: ফের ভাঙন তৃণমূলে, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপির একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভাতে তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে ২০০ জনের বেশি যোগদান করেন বিজেপিতে। যার মধ্যে শতাধিক সংখ্যালঘু  ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী ও বিশিষ্ট অভিনেতা কৌশিক রায়। বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি, তাঁদের দলে যোগদানকারীরা তৃণমূলের অপশাসন ও দুর্নীতির কারণে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাদের দল থেকে কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি।

    দলে দলে বিজেপিতে যোগ (Dakshin Dinajpur)

    গত বুধবার তপন বিধানসভার (Dakshin Dinajpur) পশ্চিম মহেশপুর এলাকায় দলীয় সভায় প্রায় ১০০ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। লোকসভা ভোটের আগে দলে দলে সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ গেরুয়া শিবিরে যোগদান করায় আগামী দিনে তাঁরা আরও ভালো ফল করবেন বলে মনে করছে বিজেপির নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Dakshin Dinajpur)?

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আজ আমাদের কুশমন্ডিতে একটি জনসভা ছিল। সেই জনসভাতে ২০০র বেশি মানুষ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে।তার মধ্যে শতাধিক সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল।এই পরিবারগুলি তৃণমূলের অপশাসন ও দুর্নীতি দেখে বিজেপিতে আজ যোগদান করলো। এরা বিজেপিতে যোগদানের ফলে বিজেপি জেলাতে আরও ভালো ফলাফল করবে। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমরা বিজেপির জেলা সভাপতির (Dakshin Dinajpur) হাত ধরে ২০০ জন বিজেপিতে যোগদান করলাম। এই দলের উন্নয়ন দেখে যোগদান করলাম।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের (Dakshin Dinajpur)?

    যদিও এই বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কোনও তৃণমূল কর্মীই বিজেপিতে যোগদান করেনি। অন্য কোনও দলের কেউ যোগদান করেছে কিনা, তা বলা মুশকিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনীতি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই দুই মহিলার ক্ষোভের ঘটনা বাড়তে থাকায় ঘরে বাইরে কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসী মহিলাদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের ছক কষতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী মহিলাদের ধারাবাহিক ভাবে এমন ক্ষোভ বাড়তে থাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও তাদের চাপে পড়ার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ কল্পনা কিস্কু?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্পনা কিস্কু, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তপন আসন থেকে অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসাবে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডুর কাছে পরাজিত হন। কল্পনার হয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচনী ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। সে সময় থেকেই অর্পিতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন কল্পনা। কল্পনাকে এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    কী বললেন সেই দণ্ডিকাণ্ডের নির্যাতিতা?

    অন্যদিকে তপনের গোফানগরের তিন আদিবাসী মহিলা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে দণ্ডি কাটার মাধ্যমে শাস্তি পেয়েছিলেন। মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যে ঘটনায় কার্যত দোষী প্রমাণিত করে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, আদিবাসী সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে দণ্ডি-কাণ্ডের নির্যাতিতা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েতের (Dakshin Dinajpur) প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। অর্পিতার অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন নির্যাতিতা। নির্বাচনে জয়লাভের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই শুরু ঝামেলা। নির্যাতিতা শিউলির দাবি, তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তা না করায় শুধু তাঁর সাথেই নয়, আদিবাসী সমাজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

    কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদার এবং অর্পিতা ঘোষের?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আদিবাসীদের সাথে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। যে সবের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবারের লোকসভার ফলাফলেই ঘটবে।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘এধরনের কোনও ব্যাপার নেই। দল তাঁদের নিয়েও ভাবছে। এক ব্যক্তি চিরকাল এক চেয়ারে থাকতে পারেনা। তৃণমূলই এ জেলার দুটো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী মহিলাকে বসিয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    Balurghat: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে অতি বামপন্থী কিছু সংগঠন আছে, যারা বিজেপির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেছে। শুক্রবার বালুরঘাটে (Balurghat) স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, যে ছেলেটি মারা গেল, তার পিছনে কি বিজেপির কোনও কানেকশন আছে? কানেকশন আছে সেই অতি বামপন্থীদের। আর এর পিছনে আছে তৃণমূলের অঙ্গুনি হেলন। সুকান্ত বলেন, এই বামপন্থী, অতি বামপন্থী সংগঠনগুলোই ২০২১ সালে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ অভিযান চালিয়েছে। তারা এসেছিল বিশৃঙ্খলা করতে। সাধারণ মানুষ তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

    কেন বালুরঘাটে (Balurghat) ১৮ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস? 

    আজ ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাটে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া সহ বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন এলাকা তৎকালীন পাকিস্তান না ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই এলাকাগুলি নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং এইসব এলাকায় ১৪ই অগাস্ট পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। এই সমস্ত এলাকার সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ১৮ ই অগাস্ট ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটও সেই নোশনাল এরিয়া বা ধারণাকৃত এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বালুরঘাটের (Balurghat) কৃতি সন্তান সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি ১৯৪৭ সালের ১৮ই অগাস্ট বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে পাকিস্তানের সবুজ পতাকা নামিয়ে ভারতের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এদিন বালুরঘাট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Balurghat)?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বালুরঘাটের সরোজরঞ্জন চ্যাটার্জি সহ বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিদের অদম্য লড়াইয়ের কাছে সেই সময় পরাজিত হয়েছিল একটা কু-পরিকল্পনা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামতকে অস্বীকার করে, জনবসতির ঘনত্বকে অস্বীকার করে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ শাসকদের বোঝাতে সক্ষম হন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বালুরঘাট (Balurghat) ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই দিনটিকেই পালন করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরসভার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরসভার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আবহে, তা রোধে কতটা সচেতন? তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভা। বিরোধীদের দাবি, সময় মতো নর্দমা ও জঞ্জাল পরিষ্কার না করায়, বৃদ্ধি পাচ্ছে মশা। অপর দিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদাসীন বালুরঘাট পুরসভা বলে অভিযোগ বিজেপির। বামেদের দাবি, সাফাইয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ হচ্ছে। যদিও শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক চাপন-উতোরে শোরগোল জেলায়।

    ডেঙ্গির কেমন অবস্থা বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur)?

    রাজ্য জুড়েই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সে ভাবে সংক্রমণ না বাড়লেও, সতর্কতা জারি রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় গত জানুয়ারি মাস থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ৫০ জনের সংক্রমণের খবর রয়েছে। এর মধ্যে বালুরঘাট শহরের তিনজন সংক্রমিত হয়েছিল। বর্তমানে জেলায় মাত্র দু’ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এবং একজন গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বালুরঘাট পুরসভা ডেঙ্গি সংক্রমণ রোধে উদাসীন বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির বালুরঘাট শহর মণ্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত জানান, শহরের যত্রতত্র আবর্জনায় ভরে উঠেছে। নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার, মশা মারার তেল স্প্রে করছে না বালুরঘাট পুরসভা (Dakshin Dinajpur)। রাজ্যে যেভাবে ডেঙ্গি বেড়ে চলেছে, তাতে পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।

    সিপিএমের বক্তব্য

    বালুরঘাট পৌরসভার (Dakshin Dinajpur) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলার প্রবীর দত্ত বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গি সার্ভে সহ স্প্রে, নর্দমা পরিষ্কারের কাজ চলছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ব্লিচিং পাওয়া যাচ্ছে না। ডেঙ্গি রোধে আরও বেশি করে কাজ করা প্রয়োজন। পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধনে প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ হচ্ছে বলে তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রবীর দত্ত।

    বালুরঘাট পুরসাভার বক্তব্য

    বালুরঘাট পুরসভার (Dakshin Dinajpur) চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, বালুরঘাট পুরসভা শহরের পরিচ্ছন্নতার কাজ নিয়মিতভাবে করছে। ডেঙ্গি রোধে সচেতনতা, বাড়ি বাড়ি সার্ভে সহ অন্যান্য কাজ চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ রেখে, স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন মেনে, ডেঙ্গি রোধে সমস্ত কাজ করছে বালুরঘাট পুরসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আমেরিকার ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার ডাক পেলেন প্রত্যন্ত এলাকার যুবক

    Dakshin Dinajpur: আমেরিকার ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার ডাক পেলেন প্রত্যন্ত এলাকার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ বিজ্ঞানী হওয়ার হাতছানি! আমেরিকার শিকাগোতে যাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এলাকার যুবক। কুমারগঞ্জের (Dakshin Dinajpur) সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা বয়স ২৩ এর যুবক আব্দুল মোতাকাব্বের সরকারের এমন সাফল্যে বেজায় খুশি প্রতিবেশীরা। অবাক হয়েছেন খোদ পরিবারের লোকেরাও। যাকে দেখতেই এখন ভিড় জমছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কৃষ্ণপুর গ্রামে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের কৃতী ছাত্র আব্দুল মোতাকাব্বের শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আমেরিকার পাঁচ-পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করার ডাক পেয়েছেন। যেখান থেকে মিলেছে মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা স্টাইপেন্ডের প্রতিশ্রুতিও। আর যার খুশিতেই রীতিমতো উৎসবের আমেজ সীমান্তবর্তী ওই গ্রামে। এদিকে ছেলের এমন সাফল্যের খবরে আবেগে আপ্লুত মা-বাবা চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি। দেশের জন্য, সমাজের জন্য ও পরিবেশের জন্য কিছু করে দেখাক আব্দুল মোতাকাব্বের, চাইছে গোটা কৃষ্ণপুর গ্রাম। একাধিক শিক্ষকের পরামর্শ ও এপিজে আব্দুল কালামের আদর্শকে পাথেয় করেই গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করতে চান আব্দুল মোতাকাব্বের।

    কীভাবে এল এই ডাক?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের সীমান্তবর্তী গ্রাম কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছোট ছেলে আব্দুল মোতাকাব্বের সরকার। ছোট থেকেই মেধাবী আব্দুল মোতাকাব্বের প্রথমে স্থানীয় মাদ্রাসা ও তার পর হাইস্কুল থেকে পড়াশুনা করে ৯৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে ২০১৮ সালে বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ বছর রসায়ন বিভাগ নিয়ে পড়াশুনা করে ইউএস-এর অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপরেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার ডাক পান কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার ওই মেধাবী ছাত্র।

    ৬ অগাস্ট আকাশপথে আমেরিকায় পৌঁছাবেন

    যদিও আব্দুল মোতাকাব্বের শিকাগোতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এলিনয়েজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেখান থেকে পাঁচ বছর গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও অপ্রচলিত শক্তির উপরই গবেষণা করবেন তিনি। চুক্তি হিসাবে আমেরিকা সরকার ভারতীয় টাকায় প্রতি মাসে তাঁকে দু’ লক্ষেরও বেশি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যে খবর দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) সীমান্ত অধ্যুষিত গ্রামে পৌঁছাতেই খুশির আমেজে মেতে উঠেছে গোটা গ্রাম। আবেগে আপ্লুত হয়েছে আব্দুলের গোটা পরিবারও। আগামী ৬ অগাস্ট আকাশপথে আমেরিকায় পৌঁছাবেন কুমারগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামের ওই যুবক। মেধাবী ওই কৃতীকে দেখতেই যেন সকাল থেকে সন্ধ্যা উপচে পড়ছে গ্রামবাসীদের ভিড়।

    কী বললেন ওই যুবক এবং তাঁর বাবা-মা?

    আব্দুল মোতাকাব্বের সরকার (Dakshin Dinajpur) বলেন, দেশের জন্য, সমাজের জন্য কিছু করার ভাবনা তাঁর ছোট থেকেই। গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও অপ্রচলিত শক্তির উপর গবেষণার জন্য আমেরিকার শিকাগোতে ডাক পেয়েছেন তিনি। পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডাক পেলেও আমেরিকার শিকাগোতে ইউনিভার্সিটি অফ এলিনয়েজেই যোগ দিচ্ছেন। বাবা তোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, তাঁর ছেলে এপিজে আব্দুল কালামকে অনুসরণ করেই এপথে এগিয়ে চলেছে। দেশের জন্য, সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করুক, তাঁরা সেটাই চান। মা মেহেবুবা বিবি বলেন, ছোট থেকেই একটু আলাদা তাঁর ছোট ছেলে। পড়াশুনায় যথেষ্টই ভালো সে। তবে একটা অচেনা শহরে যাচ্ছে, এটা নিয়েই কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বনবিজ্ঞানীর কৃতিত্ব অর্জন করলেন বালুরঘাটের রেখা মাহাতো, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Dakshin Dinajpur: বনবিজ্ঞানীর কৃতিত্ব অর্জন করলেন বালুরঘাটের রেখা মাহাতো, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়ে বন বিভাগের বিজ্ঞানী হওয়ার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন পরীক্ষায় পাশ করেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন রেখা মাহাতো। দেশের মধ্যে ২৭ জন এই সফল তালিকায় আছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র বায়ো টেকনোলজিরই আছেন চারজন। তার মধ্যে রেখা অন্যতম। আগামীতে দেশের বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে গবেষণা করবেন তিনি। রেখা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার বোর্ডে চাকরিও পেয়েছেন। গ্রামের মেয়ের বনবিজ্ঞানী হওয়ার সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রাম। কৃষক পরিবারের বছর পঁচিশের তরুণীর এমন সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার মানুষ।

    কী বললেন রেখা মাহাতো (Dakshin Dinajpur)?

    রেখা মাহাতো বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। গাছের প্রতি একটা আলাদা টান রয়েছে। তাই ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। খুব ভালো লাগছে। আগামীতে গাছ নিয়েই গবেষণা করব। পাশাপাশি দেশের জন্যও কাজ করব। রেখার বাবা বিষ্ণুপদ মাহাতো ও মা জয়ন্তী মাহাতো বলেন, আমরা কৃষক পরিবারের হলেও খুব কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। তবে মেয়ে এত দূরে পৌঁছবে কল্পনাও করতে পারিনি। মেয়ের জন্য খুব গর্ব হচ্ছে। রেখার বাড়ি বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। শুরু থেকেই লড়াইটা সহজ ছিল না। আত্মীয়ের বাড়িতে কিংবা ভাড়া বাড়িতে থেকেই স্কুলের গণ্ডি পার করেছেন। পরবর্তীতে কলকাতা ও দিল্লিতে থেকে পড়াশুনা করেছেন। বর্তমানে চাকরি সূত্রে থাকেন অসমে। তবে খুব শীঘ্রই দেরাদুনে বায়ো টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    রেখার দুই দাদা অনুপ মাহাতো ও মানস মাহাতো বলেন, সীমান্তবর্তী এই গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে বোনকে। আজ ওর সাফল্যে গোটা গ্রাম খুশি। বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) শিক্ষক দীপক মণ্ডল বলেন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে মানুষ সাফল্য পাবেই। রেখা তারই প্রমাণ। কিছুদিন আগেও বালুরঘাটের একছাত্র বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবার বালুরঘাটের মেয়ে বিজ্ঞানী হচ্ছেন। জেলার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।

    কীভাবে পড়াশুনা করেছেন?

    জানা গিয়েছে, রেখা ২০১৩ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের বাদামাইল হাইস্কুল থেকে ৮৮.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বালুরঘাট গার্লস স্কুল থেকে ৯২ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। কল্যাণীতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তারপর দিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে এমএসসি পাশ করেন। ২০২২ সালে পরীক্ষা দিয়ে ভারত সরকারের অধীন রাবার বোর্ডে চাকরি পান। কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন থেকে সরে আসেননি। ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও ইন্টারভিউতে পাশ করেননি। অতঃপর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের পরীক্ষায় পাশ করে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নপূরণ করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর পেতে তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের অডিও ক্লিপ ফাঁস। সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের রাজনৈতিক মহলে। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। বিজেপির শহর মণ্ডল সোমবার বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মহকুমা শাসককে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

    কে সেই তৃণমূল যুব নেতা (Dakshin Dinajpur)?

    টাকা চাওয়ার অভিযোগ যে তৃণমূল যুবনেতার বিরুদ্ধে, সেই কল্লোল সরকার হলেন বালুরঘাট যুব তৃণমূল টাউন কমিটির সদস্য। সেই সঙ্গে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকারের পুত্রও তিনি। কল্লোল সরকারের সাথে তাঁদের দলের এক কর্মীর কথাবার্তার অডিও শোনা যায়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে পঞ্চাশ হাজার, পরে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা দিতেই হবে বলে দাবি করতে শোনা গেছে অডিওতে। এই তৃণমূল নেতার যুক্তি, মিউনিসিপ্যালিটিতে দুজন আছেন, যাঁরা এই টাকার ভাগ নেবেন। আর বাকি টাকা দিতে হবে জেলা ট্রেজারি দফতরে। কারণ টাকাটা ওখান থেকেই অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়। অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা কেমন হবে, সেটাও বলতে শোনা গেছে অভিযুক্ত কল্লোল সরকারের কণ্ঠে। আর এই নিয়েই বিজেপি অভিযোগ দায়ের করেছে বালুরঘাট মহকুমা শাসকের কাছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুঘাট (Dakshin Dinajpur)  শহর মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কল্লোল সরকারের ৫০০০০ টাকা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়ে ৩০ হাজার টাকার রফা হয়েছে। অডিও ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া গরিব মানুষের কোনও কাজ করে না তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকার বলেন, আমার দুর্নাম ছড়াতেই চক্রান্ত করে এই অডিও ক্লিপ করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। বালুরঘাট টাউন তৃণমূল কমিটির সভাপতি মহেশ পারেখ বলেন, অডিও ক্লিপ পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই যুব তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহকুমা (Dakshin Dinajpur) শাসক সুমন দাসগুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক স্তরে এবং দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share