Tag: Dakshin Dinajpur

Dakshin Dinajpur

  • Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমকে রিকাউন্টিং করে জিতিয়ে দিতে হবে। এরকমই দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিডিও অফিসে চড়াও হয়। বিডিও অনুজ সিকদার প্রশাসনের পঞ্চায়েত ইলেকশন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্র ও কিছু সিসি টিভির ভিডিও নিয়ে সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করেছেন। আর তাই নিয়ে তোলপাড় জেলায়।  

    কোথায় ঘটল (Dakshin Dinajpur)?

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে  জানা যায়, বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম হেরে যাওয়ায়, পরদিন বিডিওকে রিকাউন্টিং করার চাপ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিডিও নিজে প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গণনার দিনেই এই বিডিওর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘ সময় গণনা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই বিডিওকেই চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বিডিও নিজে আতঙ্কিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে বিডিওকে সংবাদমাধ্যম ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের প্রার্থী জেতার পর থেকেই তাঁকে সার্টিফিকেট না দিয়ে নানান রকম চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল হবার পরও শেষ হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ফোন করে ধমকাচ্ছে। এই বিডিও জোর করে আমাদের বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই বিডিও তাঁর অফিসিয়াল গ্রূপে লিখতে বাধ্য হয়েছেন, তৃণমূলের কিছু গুন্ডা তাঁকে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, যাতে তিনি স্নেহলতা হেমব্রমকে সার্টিফিকেট দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও এই প্রহসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    এই বিষয় স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম রিকাউন্টিং-এর আবেদন করাতে এবং গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমি সঙ্গে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কোনও রকম চাপ দেওয়া হয়নি, বিডিও এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, সুকান্ত মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

    জেলাশাসক কী বললেন

    জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    Dakshin Dinajpur: ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা, জীবনের আঁধার আজও কাটল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের পর ভোট আসে, আসেন নেতারাও। তারপর ভোট যায়, আর দেখা পাওয়া যায় না তাঁদের। বছরের পর বছর সেই আঁধারেই থেকে যান সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। কাঁটাতারে আটকে গিয়েছে তাঁদের স্বাধীনতাও। ভারতীয় ভূখণ্ডে বাস করেও ভারতীয় হওয়ার স্বাদ নিতে পারেন না তাঁরা। সমস্যার সুরাহা হওয়ার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু সুরাহা মেলে না বলেই আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও ভোট আসছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এবার আর নিছক আশ্বস্ত হয়ে থামতে চান না তাঁরা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান চাইছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকার ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সেই সীমান্ত। তার মধ্যে এখনও ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। আর অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যা কাঁটাতারের ওপারে। ভারতীয় হলেও গ্রামগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন এক অদ্ভূত সঙ্কটে কাটাচ্ছেন। ফলে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও স্বাধীনতার স্বাদ অধরা তাঁদের কাছে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur)?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে ওই এলাকায় বাস করার কারণে তাঁরা সাধারণ ভারতীয়ের মতো সুযোগ পান না। বঞ্চিত হন অনেক সুবিধা থেকেও। স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ পর্যন্ত তাঁদের নেই। গ্রামবাসীরা (Dakshin Dinajpur) জানান, বিএসএফ-এর তল্লাশির সময় তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পানীয় জল বা রাস্তা, সব ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো মেলে না বলেও অভিযোগ। বিশেষত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামে প্রবেশ করতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (Dakshin Dinajpur)?

    বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত (Dakshin Dinajpur) এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো সবাইকেই মেনে চলতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে, আর সেগুলি থাকবে গ্রামগুলির পিছন দিয়ে। তাহলে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটের সময় নয়, সারা বছরই খোঁজখবর করা হয়। হিলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির সরকার বলেন, “ভোটের আগে এবং পরে আমরা নিয়মিত যাই গ্রামে। এবার গ্রামকে বাঁচিয়ে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হবে। তবে সীমান্তের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রের অধীন। সেখানে রাজ্যের কিছু করার থাকে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্যরকম ভোট প্রচারের দেওয়াল লিখন। ‘নির্দল, আরএসপি, বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ।’ শাসকদল তৃণমূলের এমন দেওয়াল লিখনে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বর্ধমানের ভাতারে এক জায়গায় দেওয়াল লিখনে এমনই ঘটনা চোখে পড়েছিল। সেখানেও লেখা ছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার মিলবে না। এই নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবার একই দেওয়াল লিখনের চিত্র মিলল তপনে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?

    দেওয়াল লিখন নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তপনের ব্লক করদহে। তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ করদহ গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের তরফে বেশ কিছু দেওয়াল লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লিখে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি লেখা হয়েছে নির্দল, আরএসপি ও বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। এই নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভোটারদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায়, আপাত ভাবে শাসক দল নিজেদের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    এক গ্রামবাসী (Dakshin Dinajpur) বলেন, ‘আমার যে প্রার্থীকে পছন্দ হবে, আমি তাঁকেই ভোট দেব। কিন্তু বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ! এমন দেওয়াল লিখন দেখে অবাক হচ্ছি। মনে হচ্ছে, এমন দেওয়াল লিখে কি গ্রামের মানুষকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে তৃণমূল?’

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘শাসকদল আসলে বোঝে না সরকার আর দল কী। সরকার তো জনগণের জন্য। কিন্তু ভোট না দিলে সরকারি সুযোগসুবিধা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো গণতন্ত্রের অবমাননা হয়। বিষয়টি তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবেন বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এই ধরনের প্রচারকে তৃণমূল কখনও মান্যতা দেয় না। যদি জেলার কোথাও এই ধরনের প্রচার কেউ করে থাকেন, তবে তাঁদের আমরা নিষেধ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাতের অন্ধকারে বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর এলাকার। নির্বাচনের প্রচার কাজের জন্য তৈরি হয়েছিল এই অস্থায়ী কার্যালয়। নির্বাচনের প্রচার কার্য থেকে বিজেপিকে আটকাতে এমন কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি জেলার নেতৃত্ব।

    কী সমস্যা হয়েছে (Dakshin Dinajpur)?

    দলীয় অস্থায়ী পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই তুলেছে বিজেপি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। এদিকে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইদিন বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গারামপুরে (Dakshin Dinajpur)।

    আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা রাজ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে অস্থায়ী কার্যালয় করা হচ্ছে। নির্বাচনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েতে জিততে পারবে না তৃণমূল। তাই ভয় পেয়ে এই ধরনের কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভাবে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি এই রাজ্যে নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে নির্বাচনের প্রার্থী এবং দলীয় কার্যালয় কোনওটাই বর্তমানে সুরক্ষিত নয়। আমরা এই বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব, জানিয়েছেন জেলার বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, তৃণমূল এধরনের কাজ করে না। বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপির, তাই এমন অপপ্রচার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুর ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায়ের ব্লক কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) শাসকদলের মধ্যেই বেলাগাম গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে নিজেদের দলের গোঁজ প্রার্থীরাই ভয় ধরাচ্ছে শাসক শিবিরে।

    কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) কারা গোঁজ প্রার্থী

    তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি কুমারগঞ্জ (Dakshin Dinajpur) ব্লকে। প্রার্থী ঘোষণার পর এই ব্লকেই তৃণমূলে বেলাগাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জে তিনটি, হিলিতে দুটি সহ কুশমণ্ডি, হরিরামপুর সর্বত্রই তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল। বালুরঘাট মহকুমায় অবশ্য গোঁজ প্রার্থী মফিজউদ্দিন মিয়াঁ, সুধীরচন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে কুমারগঞ্জের গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে পারেনি তৃণমূল। ওই আসনে ধেনা টুডুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী দলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা। তাই গোঁজের কাঁটা নিয়েই সেখানে শাসকদলকে ভোটের ময়দানে নামতে হবে।

    দলের প্রতীক না পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর অঞ্চলে ১৭টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। প্রধানের স্বামী বাবুন টিগ্গাও দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। প্রধান অঞ্জলি টিগ্গা আবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। ওই অঞ্চলের উপ প্রধান জান্নাতুন বিবি মণ্ডল সহ পুরোনো তৃণমূলের সদস্যরাও এবার নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোঁওড় অঞ্চলের ১৪টি আসনের সাতটিতেও নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ছ’জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। হরিরামপুর ও কুশমণ্ডিতে নির্দলের সংখ্যা অনেক।

    হরিরামপুরে কারা গোঁজ প্রার্থী

    মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুরে (Dakshin Dinajpur) এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে নির্দল কাঁটা রয়েছে তৃণমূলের। এই ব্লকের শিরশি, পুগুরি, গোকর্ণ, সৈয়দপুর সহ সর্বত্র তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমনকী বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূলের চারজন প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দলের নির্দল প্রার্থীদেরই লড়াই হতে চলেছে। কুশমণ্ডি ব্লকের উদয়পুর, মালিগাঁও সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে।

    জেলা তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে লিফলেট বিলি করিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানোর কথা চলছে।” এদিকে দলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “যারা নির্দলের হয়ে লড়াই করছে, তাদের কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের প্রতীক দেখেই ভোট দেবে। তবে যেসব নির্দল প্রার্থীর জন্য দলের ক্ষতি হবে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতের নির্বাচনে রক্তপাত, গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, এমনকী প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur)। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মনে ভেসে ওঠে এমন সব আতঙ্কের কথা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসকদলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর, সুখদেবপুর ও বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ওই পঞ্চায়েতের এক বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের হাতে প্রাণহানির ভয়ে আপাতত বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন দলীয় প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। নমিনেশন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই নিজেদের এলাকায় ফিরবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি পদপ্রার্থী খগেশ্বর বর্মন এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এই এলাকায় ভোট দিতে পারিনি। এবারে ভোটে বিজেপির টিকিটে মনোনয়ন দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা বাইক বাহিনী নিয়ে গোটা এলাকা শাসিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা সেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পার্টি (Dakshin Dinajpur) অফিসে আশ্রয় নিয়েছি। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীও দাবি করেছেন, গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী প্রাণে মেরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘শাসক দল ও প্রশাসন যৌথভাবে এমনটা করছে।’

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলার (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকী। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি জিততে পারবে না বলেই এত নাটক করছে। সব জায়গাতেই স্বেচ্ছায় মানুষ মনোনয়ন প্রত্যাহার করছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) বিডিও অফিসে বিজেপির পঞ্চায়েত স্তরের এক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। চাপ দিয়ে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শেষে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে জানা যায়।

    কীভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার?

    বিজেপি সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিনে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রার্থীকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জোর করে ব্লক (Dakshin Dinajpur) অফিসে নিয়ে আসে। তারপর তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসে গিয়ে বাধা দেয়। এরপর সেখান থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। গোলমাল শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছায়। এনিয়ে বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, গতকাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ১৪৪ নম্বর পাঠন বুথে (Dakshin Dinajpur) আমাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তৃণমূল এই ভাবে অত্যাচার করে যে বিজেপির যারা প্রার্থী হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মীদের আজ মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আজ নন্দনপুরের ৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে নিয়ে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে এবং আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়।

    তৃণমূল এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    অপর দিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বিডিও অফিসে আসে, তাহলে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি উল্টে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও বলেন, বিজেপিই বলেছিল তারা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে। অথচ বিজেপি তৃণমূলকে দোষারোপ করছে! এর মধ্যে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। যদিও গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) বিডিও দেওয়া শেরপা বলেন, একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছিল! তবে বড় কিছু হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।

    যোগদানকারীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট কাটার টাকা ছিল না বলে ক’টা দিন পরে যেতে বলেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু যাওয়ার জেদ চেপে বসেছিল ছেলের। নিজের মোবাইল বিক্রি করে যেতে চাইলে, শেষমেশ বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা ধার করে বাদলের (২০) হাতে দিয়েছিলেন বাবা বরুণ বিশ্বাস। নিজে টোটো চালিয়ে হাই রোড পর্যন্ত এগিয়েও দিয়েছিলেন ছেলেকে। বাদল আর তাঁর প্রতিবেশী বন্ধু অমিত রায়ের (২১) নিথর দেহ ওড়িশা (Train Accident) থেকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে রবিবার মাঝরাতে এসে পৌছায় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির কাঁঠালহাট গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন দুই পরিবারের লোকজন।

    কেন যেতে হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident)?

    দীর্ঘ পাঁচ বছর ভিন রাজ্যে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে অমিতের। দরিদ্র বাবার একমাত্র ছেলে অমিত, দিদির বিয়ের জন্য বৈশাখ মাসে বাড়ি এসেছিলেন। বিয়েতে খরচও করেছেন তিনি। ফের রোজগারের আশায় চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়ার জেদ ধরেছিলেন বাদলও। আর তাই বাদল বাবা-মায়ের বারণ উপেক্ষা করেই অমিতের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর পথে যেতেই ওড়িশায় (Train Accident) ঘটল ট্রেন দুর্ঘটনা।

    অমিতের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার রাতে যখন বাড়িতে খবর আসে, সেই থেকে অমিতের মা কল্পনা রায় খানিকক্ষণ পরপর অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। খাওয়াদাওয়া বন্ধ, বলছেন না কোনও কথাও। অমিতের মৃতদেহের সামনে বসে দিদি নমিতা বলতে থাকেন, একটাই ভাই ছিল! আমার বিয়ের জন্য ভাই এসেছিল। ওর বিয়ে দেব, বাড়িঘর সাজাব, কত স্বপ্ন ছিল! সব শেষ হয়ে গেল। শনিবার অমিতের বাবা নকুল রায়, বাদলের মামা এবং জামাইবাবুরা বালেশ্বরে (Train Accident) যান। শনিবার সারাদিন বিভিন্ন মর্গে ঘুরে অবশেষে রবিবার দিন রাতে দেহ খুঁজে পান তাঁরা।

    বাদলের বাবা-মায়ের বক্তব্য

    অমিতের সঙ্গে যাওয়াটা যে শেষ যাওয়া হবে, বুঝিনি! ভাঙাচোরা মাটির বাড়ির দরজায় বসে এই কথাই বারবার বলছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত বাদলের বাবা বরুণ রায়। কাঁঠালহাটের বাসিন্দা বাদলের বাড়িতে বাবা, মা ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট ভাই রয়েছে। বাবা টোটো চালক। বাদলের মা পলিদেবী ফুঁপিয়ে কেঁদে বললেন, কত বার বললাম, কিছু দিন পরে যা। কিন্তু শুনল না। আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!

    প্রশাসনের বক্তব্য এবং আরও ১ মৃতদেহ আশার অপেক্ষায়

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, কুশমণ্ডির দুজনের দেহ রাতে এসেছে। আমরা নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে। এদিকে, গঙ্গারামপুরের লালচন্দনপুরের নিখোঁজ সুমন রায়ের দেহ সোমবার শনাক্ত (Train Accident) করেছেন তাঁর বাবা রমাকান্ত রায়। বাবা বলেন, প্রশাসন থেকে মৃতদের ছবি পাঠিয়েছিল। ছবি দেখে চিনতে পেরেছি আমার ছেলেকে। সুমনের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ধ্বংসের মুখে বানগড়! পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    Dakshin Dinajpur: ধ্বংসের মুখে বানগড়! পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ ধ্বংসের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার (Dakshin Dinajpur) ঐতিহাসিক স্থান বানগড়। গঙ্গারামপুর শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। বানগড়ে এলেই পাল, সেন সহ বিভিন্ন যুগের স্থাপত্য নজরে আসে। কথিত রয়েছে, বান রাজার থেকেই এই নামকরণ হয়েছে। বান রাজার মেয়ে ঊষার সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ছিল শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধের। কিন্তু রাক্ষস বংশের রাজা বান অনিরুদ্ধকে মেনে নেননি। ঊষাকে অপহরণ করে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা “ঊষাহরণ” রাস্তা নামে পরিচিত। ঊষা-অনিরুদ্ধের বিয়ের ছাদনা তলার চারটি কলা গাছ পাথর স্তম্ভে পরিণত হয়েছে, যা এখন পবিত্র স্থান বলে পরিচিত।

    প্রথম খননকার্য ১৯৩৭ সালে (Dakshin Dinajpur)?

    আরও কথিত রয়েছে, ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামীর নেতৃত্বে বানগড়ে প্রথম খননকার্য হয়। সেই সময় মাটির নিচ থেকে ইতিহাসের নানা ধ্বংসাবশেষ মেলে। তার থেকে গুপ্ত, মৌর্য, পাল ও সেন যুগ এবং মুসলিম আমলের বিভিন্ন স্থাপত্য সামনে আসে। পরবর্তীতে ২০০৭, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালেও বানগড়ে খননকার্য চালানো হয়। তাতে পাল, সেন সহ অন্য বংশের নানা মূর্তি এবং মুদ্রা উদ্ধার হয়। তবে তারপর আর খননকার্য চালানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বানগড়ে (Dakshin Dinajpur) খননকার্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে জায়গাজমি সব দখল হয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে চুরি হচ্ছে মাটি।

    দাবিপত্র বিজেপি বিধায়কের (Dakshin Dinajpur)

    এদিকে বানগড় উৎখনন করার দাবিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের হাতে এক বিশেষ দাবিপত্র তুলে দিলেন গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। মঙ্গলবার বানগড় পরিদর্শনে এলে আধিকারিকদের কাছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ বানগড়কে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জোরালো দাবি তোলেন তিনি। এই দাবিপত্র খতিয়ে দেখে আগামিদিনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। এই বিষয়ে বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রায়গঞ্জ সার্কেলের আধিকারিকরা এসেছিলেন। বানগড় উৎখননের পাশাপাশি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পর্যটনকেন্দ্র তৈরির মতো কিছু দাবি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share