Tag: dangerous

  • Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরেক আতঙ্ক হাজির! নাম গুলেন বারি (Gulen Bari)! মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন! বাদ নেই কলকাতাও! আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে! তাই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে! করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা! তার মধ্যেই আরেকটি জটিল রোগের প্রকোপ বেড়ে চলায়, আতঙ্ক বাড়ছে! কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং, সতর্ক থাকলেই মোকাবিলা করা যাবে এই রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, গুলেন বারি এক বিরল প্রজাতির স্নায়ুঘটিত রোগ! তবে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদের ঝুঁকিও কম। মহামারির (Epidemic) আকার নেবে না। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি।

    গুলেন বারি কী (Gulen Bari)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) একটা স্নায়ু ঘটিত রোগ। যাকে অটোইমিউন ডিজঅর্ডার বলা হয়। অর্থাৎ এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি, নিজের স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাত ও পায়ে অসাড়তা দেখা দেয়। আক্রান্ত খুব দ্রুত পক্ষাঘাতগ্রস্ত (Epidemic) হয়ে যেতে পারে।

    কেন হচ্ছে এই রোগ?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম্পাইলো ব্যাক্টেরিয়া, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মতো নানান জীবাণুর সংক্রমণ থেকে গুলেন বারি (Gulen Bari) সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। বিশেষত ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো সমস্যায় আক্রান্তদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগের সংক্রামক ক্ষমতা শক্তিশালী নয়। অর্থাৎ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগ ছড়ায় না। তবে, দূষিত জল এবং বিষাক্ত খাবার থেকেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই জল ও খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত শিশুদের পরিশ্রুত জল দেওয়া দরকার। যাতে এই রোগের প্রকোপ কমানো‌ যায়।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গ (Epidemic) সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি (Gulen Bari)। তাহলে এই রোগ মোকাবিলা সহজ হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। হাত ও পায়ে শিথিলতা দেখা যায়। হাঁটাচলার ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্কের ক্ষমতাও কমে। তাই দিনের স্বাভাবিক কাজের ক্ষমতা কমে যায়। আক্রান্ত হওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই সমস্যা জটিল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। রেসপিরেটরি যন্ত্রে অসাড়তা তৈরি হলেই আক্রান্ত শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তখন রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।

    এই রোগ মোকাবিলা সম্ভব?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) মোকাবিলা সম্ভব। যদি প্রাথমিক পর্বেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা শুরু হয় তাহলে সহজেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। আবার স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে আসা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাহলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই‌ রোগে আক্রান্ত (Epidemic) হলে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। আক্রান্তের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে। এর ফলে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন হয়। আর তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা দরকার। অনেক সময়েই রোগীকে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস হাসপাতালে থাকতে হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share