Tag: Darjeeling

Darjeeling

  • Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধসের কবলে রাস্তার পাশাপাশি বাড়িও রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং নয়, কিছুদিন আগে কেরলের কেরলের ওয়েনাডে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমি ধসের ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন দেশবাসী। এই বিপর্যয়ে ২০০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বার বার ধস কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ভূমি ধস প্রবণ এলাকা কোনগুলি? (Landslide)

    আরএমএসআই (RMSI) নামে একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা মূলত ভূমিধসের (Landslide) কারণ নিয়ে কাজ করে। তারা দেশের (India) অন্যান্য ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিধসের ধরণগুলি বিশ্লেষণ করে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আনুমানিক ৩০ শতাংশ জমি পাহাড়ি এলাকায়। ২২টি রাজ্য এবং পুদুচেরির কিছু অংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কেরল, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।   

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    ভূমিধসের কী কী কারণ রয়েছে?

    গবেষকদের মতে, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনই ভূমিধসের অন্যতম কারণ। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আগামী দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০৮০ সালের মধ্যে অসমের গুয়াহাটিতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা তৈরি ধসের (Landslide) অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল নাগাদ ভারতের রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩, ৯৯,৯৪২ বর্গ কিমি। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬২, ৯৫, ৭১৭ বর্গ কিমি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় চার লক্ষ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে প্রায় ৬৩ লক্ষ বর্গ কিমি হয়েছে। ফলে, প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

    ভূমিধসের তিন প্রধান কারণ

    ভূমিধসের মূলে প্রধানত তিন কারণ। মূল কারণগুলি হল ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের ওপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করলেও মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মত, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কী বললেন?

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র জোহারি বলেন, ‘‘যখন আমরা উন্নয়ন করার নামে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি। বিশেষ করে গাছপালা কেটে ফাঁকা করে, জল শোষণের ধরণগুলি পরিবর্তন করে বা নরম  জমিতে রাস্তা এবং বিল্ডিং তৈরি করে ভূমি ধসে (Landslide) প্রবণতা বাড়িয়ে দিই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস (Landslide) নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকদারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতার্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি। ফলে আরও দুর্ভোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা পাহাড়ে। পর্যটকরা উদ্বেগে। কারণ, যারা ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। 

    কোথায় লাল সতর্কতা? (Darjeeling)

    গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগন, নামচি-সহ একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।

    কালিম্পঙে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন

    শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং এবং মিরিকে নতুন করে ধস (Landslide) নেমেছে। সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরিকের ডাডা গ্রাম পঞ্চায়েতের থরবু গ্রামে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। বেশ কিছু বাড়ি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের ইয়াংমাকুম গ্রামে ট্রান্সফর্মার ধসের কবলে পড়ায় গোটা এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন। আগামী সাত দিনেও ওই পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। সেবক থেকে কালিঝোরা যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও (Darjeeling)। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হুহু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ

    পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা পূর্ত দফতরের। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি চললেও সমতলে তার প্রকোপ কমে আসতে পারে।” কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি সুব্রহ্মণ্যম সকলকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তায়। আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন’দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইনে’ ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা। 

    কতদিন চলবে বৃষ্টি? (Darjeeling)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারেও। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা না থাকলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। তিস্তা, সঙ্কোশ, জলঢাকা, তোর্সার মতো নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। সমস্যায় তিস্তাপারের বাসিন্দারাও। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    কোথায় কোথায় ধস?

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) মিরিক, ঘুম, সুখিয়াপোখরি রোডে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ধস নেমেছে লোয়ার শিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সারানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার সিংথাম-রংপো রোডের ২০ মাইলে পাহাড় থেকে বোল্ডার নেমে আসায় সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একই পরিস্থিতি বিরিক ধারায়। পাহাড় থেকে বড় আকৃতির বোল্ডার নেমে আসার ফলে সেই রাস্তাও বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণের জেরে বৃহস্পতিবারও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছিল। কালিম্পং জেলার মেল্লি বাজারের কাছে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতলে তো বটেই, শরতে পাহাড়েও অধরা হিমের পরশ। সকালের দিকে হালকা হিমেল হাওয়া থাকলেও বেলা বাড়তেই হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল অবস্থা শৈলশহর দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। পরিস্থিতি এমন যে, ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও দিনের বেলায় হোটেলের বাইরে বেরই হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট শুনশান। শীতল আবহাওয়ায় (Weather) অভ্যস্ত পাহাড়বাসীর গলদঘর্ম অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যে, স্থানীয়রা এখন এসি কিনতে ছুটছেন! কালিম্পং, সিকিমেও একই পরিস্থিতি। ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্পও। শৈলশহরে এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।

    পুড়ছে পাহাড়! (Darjeeling)

    সাধারণত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকেই পাহাড়ে (Darjeeling) শীতের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু এবার যেন উলটপুরাণ। দুপুরে রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকলেও বিকেলের পর ভিড় বাড়ছে ম্যাল সহ শহরের অন্যত্র। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে পাহাড়ে সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রির আশপাশে। এবার প্রায় ৩০ বছরের উষ্ণতার রেকর্ড ভেঙেছে পাহাড়। আবহাওয়া দফতর বলছে, ক্রমশ উষ্ণতা বাড়ছে পাহাড়ে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি- কোথাও তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি, তো কোথাও ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সিকিমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দার্জিলিংয়ে দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের পর থেকে বিক্ষিপ্ত জায়গায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এমন বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

     পাহাড়ে এমন তাপমাত্রা কেন?

    পরিবেশবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন বছরের পর বছর ধরে পাহাড়ে হয়ে চলা অপরিকল্পিত নির্মাণকে। আর এই নির্মাণ বাড়ার কারণে গরমও বাড়ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত মনে করছেন, কোনও জায়গায় বাধা না পেয়ে সূর্যরশ্মি পড়লে গরম বাড়ে। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) গরমের কারণ এটাই। দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপ ছিল। উত্তরের আকাশের পরিষ্কার হওয়ার কারণে গরম বেড়েছে।

    গরমে কমছে পর্যটক!

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, গরমের কারণেই পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। দিনের বেলায় ম্যাল মোটামুটি ফাঁকাই থাকছে। দাজিলিং (Darjeeling) শহরে তাপমাত্রা বাড়লেও পাহাড়ের গ্রামীণ জায়গাগুলোতে তাপমাত্রা কিন্তু স্বাভাবিকই রয়েছে। আর ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার ফলে পর্যটকদের একাংশ হয়ত ভাবছেন, দার্জিলিংয়ে যাতায়াত এখন বন্ধ। কিন্তু সেটা তো নয়।

    পর্যটকরা কী বললেন?

    দার্জিলিং (Darjeeling) বেড়াতে এসে তীব্র গরমে হতাশ পর্যটকরা। এক পর্যটক বলেন, গরমে একটু স্বস্তির জন্য দার্জিলিং এসেছিলাম। কিন্তু এখানে গত দু’দিন ধরে যা গরম, তাতে হোটেলের বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। আর এক পর্যটক বলেন, এই সময়ে আগেও দার্জিলিতে এসেছি। কিন্তু এরকম আবহাওয়া দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই হুঁশ ফিরল পুলিশ-প্রশাসনের। অবশেষে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আশরফ আনসারি। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জমি কারবারের সঙ্গে যে তৃণমূল নেতারা জড়িত তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কেন গ্রেফতার? (Darjeeling)

    জানা গিয়েছে, জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামীকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি (Darjeeling) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার ফের তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই গত ১২ জুলাই নকশালবাড়ির সেবদেল্লা মৌজায় ধৃত তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজনের নামে সরকারি জমি দখলের বিষয়ে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে ১৯ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সোমবার গ্রেফতার করা হয় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারিকে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ধৃত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Darjeeling) পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারি বলেন, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি নাকি জমির দালাল। আসলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছি বলেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসুবিধায় পড়ে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে। আমাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।”

    দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা!

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “একই কথা বারবার বলার যে দক্ষতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছোট ছোট কাককে গ্রেফতার করে দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমি ২০২৬ সালে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সমস্ত কাক ও দাঁড়কাকের বিসর্জন দেখতে চাই। ছোট নয় বড় মাথাদের কবে গ্রেফতার করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: কফিনবন্দি হয়ে দার্জিলিংয়ে ফিরল নিহত ক্যাপ্টেনের দেহ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য

    Darjeeling: কফিনবন্দি হয়ে দার্জিলিংয়ে ফিরল নিহত ক্যাপ্টেনের দেহ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফিনবন্দি হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনি থেকে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হল ব্রিজেশ থাপা। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ (Army Martyr) হন দার্জিলিঙের সেনা জ‌ওয়ান ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা। তাঁর মৃতদেহ বুধবার বিকেলে বাগডোগরায় আনা হয়। শহিদের কফিনবন্দি দেহ ফিরতেই পাহাড়-সমতল সর্বত্র শোকের ছায়া। এদিন কার্শিয়াং হয়ে ব্রিজেশের মৃতদেহ দার্জিলিংয়ে লেবংয়ের বাড়িতে শায়িত থাকবে। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

    শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল শহিদ সেনা জওয়ানকে (Darjeeling)

    বুধবার দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে  বাগডোগরা বায়ুসেনার ছাউনিতে অবতরণের পর ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাখা হয় এই বীর শহিদের মৃতদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় শহিদ সেনা জওয়ানকে। শহিদ ব্রিজেশ থাপাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দার্জিলিংয়ে র সাংসদ রাজু বিস্তা, দার্জিলিং (Darjeeling) জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ, জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা, শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক অবোধ সিঙ্ঘল ও সেনাবাহিনীর আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    কী বললেন নিহত সেনা জওয়ানের মা?

    শহিদ জওয়ানের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ছেলের দেহ ফিরতেই কান্না ভেঙে পড়েন মা। শহিদ ছেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ছেলের সঙ্গে আর দেখা হবে না। তবে, দেশের জন্য ওঁর মৃত্যু গর্বেরও। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন, আপনারা আপনাদের সন্তানদের সেনা বাহিনীতে পাঠান। তাহলে আমাদের দেশ সুরক্ষিত হবে।

     পাকিস্তানকে রাজু বিস্তার হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ফের একবার এয়ার স্টাইক করা দরকার। পাকিস্তান  ক্রমাগত ভারতকে উত্ত্যক্ত  করে চলেছে। ভারত সরকারের তার কড়া জবাব দেওয়া উচিত। আর এজন্য আরও একটা এয়ার স্ট্রাইকের প্রয়োজন রয়েছে। সীমান্তে জীবন দিয়ে আমাদের জওয়ানরা (Army Martyr) আমাদের সুরক্ষা দেন। আমাদেরও কর্তব্য, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doda Encounter: ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ দার্জিলিঙের ছেলে ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ, ‘আক্ষেপ নেই’ বাবার

    Doda Encounter: ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ দার্জিলিঙের ছেলে ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ, ‘আক্ষেপ নেই’ বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৭ বছর। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। বি-টেক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কোনও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে সহজেই কাজ করতে পারতেন দার্জিলিঙের (Darjeeling) ছেলে ব্রিজেশ থাপা (Brijesh Thapa)। কিন্তু ছোট থেকেই সেনার পোশাক তাঁকে টানত। বাবা ভারতীয় সেনার কর্নেল। ছোট বেলা থেকেই ‘জয় হিন্দ’ ছিল ব্রিজেশের মন্ত্র। সেই মন্ত্র জপ করতে করতেই সোমবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) ডোডা জেলায় (Doda Encounter) জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ। হঠাতই গুলির পর গুলি, ঝাঁঝরা হয়ে গেল শরীর। শহিদ হয়ে গেলেন বাংলার ছেলে। শহিদের রক্তে চোখে জল পড়তে নেই তাই মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়েও বাড়ির বাইরে থমথমে, উদাস ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা। বললেন, ‘‘কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আক্ষেপ নেই। আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে।”

    ব্রিজেশের স্মৃতিচারণায় বাবা ভুবনেশ

    ব্রিজেশের জন্ম দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) লেবংয়ে। সেখানেই প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। কিন্তু ভুবনেশকে কর্মসূত্রে যেতে হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেতে হয়েছে পরিবারকেও। ২০১৪ সালে সেনা থেকে অবসর নেন কর্নেল ভুবনেশ। তার পর তিনি দার্জিলিংয়ের লেবংয়েই এক্স সার্ভিসম্যান হেলথ্ সার্ভিস স্কিমে কাজ করেন। বাবা-মা ছাড়াও ব্রিজেশের এক দিদিও রয়েছেন। বর্তমানে সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন নিকিতা থাপা। স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ব্রিজেশ। সেখান থেকে বি-টেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তিনি। ২০১৮ সালে ব্রিজেশ ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করেন ও ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তারপর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি হন। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ-কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা! নিহত মেজর-সহ চার জওয়ান, ডোডায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    ব্রিজেশকে শ্রদ্ধা

    সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাড়িতে ব্রিজেশের শহিদ (Doda Encounter) হওয়ার খবর এসে পৌঁছেছে। বুধবার ব্রিজেশের দেহ বিশেষ বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হবে। এর পর তাঁকে বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হবে। সেখান থেকে তাঁর দেহ সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হবে লেবংয়ে তাঁর বাড়িতে। সেখানে রয়েছেন ব্রিজেশের মা নীলিমা। দেশ মা-য়ের জন্য ব্রিজেশ বলিদান দিলেও মঙ্গলবার থেকে সারা জীবন পুত্র হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই যে বাঁচতে হবে নীলিমাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি দার্জিলিং (Darjeeling) বা কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? এই বর্ষায় প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কীভাবে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন, তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন পথ নিরাপদ এবং কোন কোন পথ বিপজ্জনক, তা আগে জানা দরকার। বুধবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেতি ঝোরা থেকে চিত্রে যাওয়ার জাতীয় সড়ক ১০ বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার রবি ঝোরা থেকে তিস্তা বাজার যাওয়ার রাস্তায় চলছে মেরামতির কাজ। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। তাই পর্যটকদের বেড়াতে যাওয়ার আগে একবার পর্যটন কেন্দ্র এবং যাওয়ার পথ সম্পর্কে তথ্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ (Darjeeling)

    বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের (Darjeeling) জেলাগুলি ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে নাজেহাল। উত্তরবঙ্গে পাহাড়, ডুয়ার্স, তরাই অঞ্চল এবং সমভূমির অধিকাংশ এলাকা বর্ষা কবলিত। ইতিমধ্যে তিস্তায় সর্তকতা জারি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধসের কারণে স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বহু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই কোন কোন রাস্তার কেমন পরিস্থিতি, তা পর্যটকদের জানা একান্ত প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস!

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং জেলার (Darjeeling) পানবু রোড হয়ে কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকবে। একই ভাবে খোলা রয়েছে মনসং হয়ে রংপো থেকে লাভা যাওয়ার রাস্তা। তবে জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস এবং বৃষ্টির জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শুধু যে রাস্তায় ধস বা জল জমে রয়েছে তাই নয়, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের জন্য দৃশ্যমানতাও কমে গিয়েছে। টেলি কমিউনিকেশনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয় ঘটেছে। কাঁচা বাড়ি এবং নদীর উপর কাঁচা বাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জমির ফসলের উপর বন্যার জলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে অপসারণের দাবি জানালেন দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভার সাংসদ রাজু বিস্তা। তিস্তার গতিপথ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজ্য সড়কের উপর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার উদাসীন, তাই জাতীয় সড়কের দায়িত্ব এবার রাজ্য সরকারের হাত ছাড়া হতে বসেছে। ঠিক এমনটাই দাবি করলেন এই বিজেপি সাংসদ। উল্লেখ্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং কিছু দিন আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করে, বাংলার অধীনে থাকা এই সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নেওয়ার দাবি করেন।

    বিজেপি সাংসদের দাবি (Darjeeling)

    বিজেপি সাংসদ রাজুবিস্তা জানিয়েছেন, “উত্তরে সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway 10)। এই সড়ক শুধু লাইফ লাইন নয়, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের গোটা অর্থনীতি, পর্যটন শিল্প এই সড়কের উপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু এই সড়ককে ঠিক মতো মেরামত এবং সংস্কারের কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। গ্রিফ, এনএইচআইডিসিএল (ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট) বা এনএইচআই (ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)-র মতো সংস্থাকে যেন ওই সড়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী রাজ্যের পূর্ত দফতর থেকে সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ হাওড়ার উন্নতি ও চন্দননগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    ব্যবসায়ীদের দাবি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক

    এই জাতীয় সড়কের (National Highway 10) উপর নির্ভর করে আছে উত্তরের পর্যটন ব্যবসা। শিলিগুড়ি (Darjeeling) থেকে সিকিম পর্যন্ত অনেক মানুষের ব্যবসা জড়িয়ে রয়েছে এই সড়কের উপরই। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, “উত্তর সিকিমের প্রধান দুটো পর্যটনস্থলের মধ্যে লাচেন প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ। আর লাচুং গত ডিসেম্বরে খুললেও আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা দাবি জানাই, কেন্দ্রীয় সরকার এই সড়কের উপর হস্তক্ষেপ করুক। সিকিম রাজ্য সরকার এবং আমাদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে জিয়োলজিকাল সার্ভে করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: চোপড়াকাণ্ডের ছায়া যেন শিলিগুড়িতেও! সালিশি সভায় মারধরের পর আত্মঘাতী গৃহবধূ

    Siliguri: চোপড়াকাণ্ডের ছায়া যেন শিলিগুড়িতেও! সালিশি সভায় মারধরের পর আত্মঘাতী গৃহবধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতেও (Siliguri) যেন চোপড়া কাণ্ডের ছায়া! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বসেছিল সালিশি সভা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিন্তু এই সালিশি সভায় অত্যাচারের পরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। অপামানে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এলাকার মহিলারা নির্যাতন করেছে বলে স্বামীর অভিযোগ। ইতিমধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের বকরাভিটা এলাকায়।

    যাচ্ছেতাইভাবে মারধর করা হয়েছে (Siliguri)!

    মৃত মহিলার (Housewife) স্বামী, বাড়ির পাশের কয়েকজন মহিলা সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেছেন, “আমাকে স্বপ্না এবং টুম্পা বলেছিল, তুই বউকে সঙ্গে করে নিয়ে আয়, আমরা একটু সাবধান করে দেবো। এরপর আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আসি। তারপরই আমাকে ভয় দেখিয়ে ওরা বলে, বউকে ঘরে তুললে তোকে শেষ করে দেব, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেবো। এরপর যাচ্ছেতাইভাবে মারধর করেছে আমার স্ত্রীকে। সেই সঙ্গে আমাকেও মারধর করেছে ওরা। এরপর আমি এনজেপি (Siliguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

    পুলিশ সূত্রে খবর

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকরাভিটে গ্রামের নিগৃহীত মহিলার সঙ্গে পাশের গ্রামেরই এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে পরিবারের তরফ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও খবর দিতে পারেনি। পরে জানা গিয়েছে ৮ দিন পর স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন মহিলা। স্বামীও তাঁকে ফিরিয়ে নেন। এরপর এলাকার মানুষ সালিশি সভা বসায়। এই সভায় মারধর করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ঠিক তারপরই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন মহিলা।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে একেরপর এক গণপিটুনির ঘটনার মাঝেই ডাইনি অপবাদে বধূকে মারধর!

    মহিলারা দু’-তিনটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে (Siliguri)

    স্থানীয় (Siliguri) তৃণমূল নেতা শম্ভু রায় বলেছেন, “অতীতেও মহিলা (Housewife) অন্য আরও এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবার ফিরে এসেছিলেন। বারবার এই ঘটনা ঘটায় আশেপাশের মহিলারা দু’-তিনটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে। সে দিতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share