Tag: Death Case

Death Case

  • Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sushant Singh Rajput: ৪ বছর পর স্বস্তি রিয়ার, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ বছর পর স্বস্তি পেলেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলায় রিয়া এবং তাঁর পরিবারের আরও ২ সদস্যকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তরুণ অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা বলিউড জগতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। তবে এই মৃত্যুর মামলায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রী রিয়া এবং তাঁর বাবা ও ভাইয়ের।

    নির্দোষ ঘোষণা আদালতের (Sushant Singh Rajput)

    সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু ছিল রহস্যজনক ও আকস্মিক। এই মৃত্যুতে অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন রিয়া, বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর পরে রিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত অভিনেতার বাবা। এই অভিযোগের মামলা প্রথম দায়ের হয় পাটনাতে। এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ভার নেয়। তারপর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবার আদালতের নির্দেশে সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছেন। বিচারপতিদ্বয় তাঁদের পরিবারের দুই সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। 

    আরও পড়ুনঃ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল

    ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের মুম্বইতে। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) দেহ। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আঙুল ওঠে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও মৃত্যুর মাত্র কিছু দিন আগেও উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল। রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর একমাস কারাবাসে ছিলেন তিনি। তবে মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশ বলেন, “মানসিক অবসাদ থেকে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন।” তবে পরিবারের দাবি এটা আত্মহত্যা নয়, গভীর ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তি বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যে মোড়া।” একইভাবে বলিউডে স্বজন পোষণ বা নেপোটিজেমের বিরুদ্ধে ব্যাপক আলোড়ন হয়। বড় বড় চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতাদের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একই ভাবে তরুণ অভিনেতা সুশান্তের ভক্তরাও ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চাঁচলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম সইদুল আলি (৩০)। বাড়ি চাঁচলের (Malda) জালালপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। একে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চাঁচলের জালালপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলেও অভিযোগ।

    কেন খুন (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে জমি বিবাদের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় সইদুল আলিকে। এই জমিতে বহুদিন ধরে সইদুলরা দখল ভোগসত্ত্ব করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ বিবাদ হয় এই জমি নিয়ে। পাল্টা প্রতিবেশীদের দাবি, এই জমি তাঁদের। এরপর বাদানুবাদ থেকে আজ সকালে বন্দুকের গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষকে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলে, পুলিশকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে জানা গেছে। পরিবার এবং গ্রামবাসীদের বক্তব্য একটাই, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    মৃতের পরিবারের বক্তব্য

    মৃতের মামা আকসার আলি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে এলাকায় বিবাদ চলছিল। জমির মালিকানা সত্ত্বর উপর নির্ভর করে এই বিবাদ কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। জমিতে গেলে প্রায় মারধর করে অন্যপক্ষের গুন্ডারা। তাঁর অভিযোগ ঠিক এমনিই। গত সপ্তাহেও এমনই মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও বলেন, মোস্তফা, আহত আলি, দুলাল এবং নিজামুল মেম্বার মিলে আমার ভাগ্নাকে গুলি করে খুন করছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কীভাবে গুলি করে খুন করতে পারে! এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের পক্ষ থেকে মামা। দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পরিবার (Malda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সিঙ্গার গ্রামে গোবিন্দ ঘোষ নামে এক ব্যাক্তির পাশের প্রতিবেশীর বাড়িতে বেশ কয়েক ভরি সোনা এবং লক্ষাধিক টাকা চুরি যায়। জানা যায়, সন্দেহবশত গ্রামেরই সাতজনের নামে অভিযোগ করেন মালপত্র চুরি যাওয়া পরিবার। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নবগ্রাম থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর এরপরেই থানায় পটিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হয় পরিবার এবং গ্রামবাসী। আপাতত নবগ্রাম থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    পরিবারের লোকেরা থানায় গেলে, থানা থেকে জানানো হয় যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই ছেড়ে দেয়া হবে। যেদিন এই চুরির ঘটনা ঘটে, সেদিন গোবিন্দ ঘোষ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিল বলে থানায় জানানো হয়। সেই সব প্রমাণ পত্র সেনা ছাউনি থেকে নিয়ে এসে নবগ্রাম থানায় জমা দেওয়া হয়। কিন্তু নবগ্রাম থানা (Murshidabad) কোনও প্রমাণপত্রের ধার ধারে না। নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করত গোবিন্দ ঘোষ। গত শুক্রবারও সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজে গিয়েছিল সে। আর তার নথিপত্র সব পুলিশকে দেখানো হয়। পুলিশ বাড়ির লোককে জানিয়েছিল যে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, সেইমতো বাড়ির লোকেরা সকাল থেকেই থানার সামনে বসেছিলেন, কিন্তু কার্যত দেখা গেল সন্ধ্যের দিকে গোবিন্দ ঘোষকে পুলিশের গাড়িতে করে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপরেই তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মৃত বলে ঘোষণা করে।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ চুরির সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তার উপর অত্যাচার চালায়। আর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যু হয় বলে পরিবার দাবি করে। গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আনুমানিক রাত্রি সাড়ে আটটা থেকে নটার সময় গ্রামের একাংশ এবং পরিবারের লোকজন নবগ্রাম থানায় (Murshidabad) ভিড় জমায় এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। গোবিন্দ ঘোষের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পুলিশকে সমস্ত তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ সেগুলি বিশ্বাস না করে থানায় পিটিয়ে খুন করে। তাই দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করে পরিবার।

    পুলিশের বক্তব্য

    নবগ্রাম (Murshidabad) থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, জমায়েত করে গ্রামবাসীরা থানার মেন গেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ভিতরে ঢুকতে না পেরে ইটবৃষ্টি শুরু করে। রাস্তার মধ্যে কাচের বোতল ভেঙে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানো গ্যাস ফাটানো হয়। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, আইনশৃঙ্খলা জনিত একটা সমস্যা নবগ্রাম থানা এলাকায় হয়েছে, আর সেই কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ভার প্রাপ্ত কোনও অফিসার যদি ঘটনায় জড়িত থাকেন তাহলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভগতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। থানায় খুনের অভিযোগে উত্তাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের রাধিকাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এর পর আজ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ঘটনাস্থল চাঁদগা গ্রামে পরিদর্শনে যান। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে সেদিনের ঘটনার স্কেচ তৈরি করা হয়। তবে এদিনের তদন্ত নিয়ে মহকুমা শাসক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আজও ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে গ্রহণ হল সাক্ষ্য (Kaliyaganj)?

    এদিন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) জয়েন্ট বিডিও এবং স্কেচ তৈরিতে পারদর্শী একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে পৌঁছান। মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে সেই রাতের ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন মহকুমা শাসক। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহকুমা শাসক।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়, ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে ওইদিন রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরকেও আসার জন্য বলা হয়। ৬ জুন ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় মহকুমা শাসকের (Kaliyaganj) উপস্থিতিতে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই তদন্তের কাজ থেমে থাকে। নির্বাচন পর্ব মিটতেই এই তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরপর তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে ঘটনার দিন এই গ্রামে অভিযানে নিযুক্ত প্রত্যেক পুলিশকর্মীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এরপর স্কেচ ফাইনাল করে মহকুমাশাসক তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliyaganj) বর্মনের দাদা মৃণালকান্তি বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসকের আজকের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের উপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আধিকারিকদের যেসব ঘটনা সামনে এসেছে তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা মমতা ব্যানার্জির সাথে মিলে রয়েছেন।  বিভিন্ন আধিকারিকরা আসছেন, সিআইডি এসেছেন। তাঁরা সব তথ্য নিয়ে গেছেন।  কিন্তু আদৌ এই সমস্ত তথ্য হাইকোর্টে পেশ করবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।”

    অপরদিকে, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসককে ঘটনার সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু সিআইডি কিংবা পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পুলিশের গুলিতে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পৌঁছাল। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য শুনলেন কমিশনের সদস্যরা। পরিবারের দাবি পুলিশের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। আর তাই দোষীদের ফাঁসি দিতে কমিশনের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার।

    কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পৌঁছে কী করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন?

    সোমবারেই কমিশনের সদস্যরা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুরে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে গিয়ে, স্ত্রী গৌরি বর্মনের সঙ্গে দেখা করে, মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বিষদ তথ্য সংগ্রহ করলেন বলে জানা গেছে। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা মৃণাল কান্তি বর্মন এবং খুড়তুতো দাদা বিষ্ণু বর্মনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। শুধু বয়ান রেকর্ডই নয়, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পরিবারের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ডের পর প্রত্যেকের কাছেই স্বাক্ষর করে নিয়েছে বলে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য দাদা বিষ্ণু বর্মন জানিয়েছেন। এরপর ওই দিন রাতেই নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী দলটি। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তদন্তকারী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দলের সদস্যরা। 

    কীভাবে হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু?

    উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের সাহেবঘাটা এলাকার গাঙ্গুয়া গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষন করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধোর এবং থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। গত ২৬ এপ্রিল রাতে বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়ি চাঁদগাঁ গ্রামে যায় পুলিশ। পুলিশ বিষ্ণু বর্মনকে না পেয়ে, তাঁর বাবা এবং জামাইকে গ্রেফতার করতে গেলে, পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসিরা পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ বেগতিক দেখে গুলি চালালে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। পরে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত্যঞ্জয়ের (Kaliaganj) বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এখানকার থানার পুলিশ অফিসার নিজে মাথায় ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে শুয়ে নাটক করছেন। প্রকৃত দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সিআইডি তদন্তের নামে রোজ বিরক্ত করছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, যদি পুলিশের গুলিতে মৃত্যঞ্জয়ের মৃত্যু না হয়ে অন্য কিছু দিয়ে হতো, তাহলে আমাদের পরিবারের মানুষকে আগে গ্রেফতার করত পুলিশ। মৃত্যঞ্জয়ের বাবার একটাই দাবি, আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। মৃত্যঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরি বর্মন বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। মৃত্যুর তদন্ত সিবিআই করবে বলেই আশা রাখি। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূল দোষীর ফাঁসি চাই। মৃত্যুঞ্জয়ের খুনীদের শাস্তি কবে হয়, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারের একমাত্র রোজগার করতেন মহিউদ্দিন শেখ। তাঁর বাড়ি ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর এলাকায়। কাজ করতে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। গতকাল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) প্রাণ কেড়ে নেয় তাঁর। পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া বর্তমান।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃত্যু হল কাকদ্বীপ বাসিন্দার

    মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা সহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে যান কাজের উদ্দেশ্যে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাত আট জনের একটি দল, ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে। শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস করে যাচ্ছিলেন সকলেই। হঠাৎ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয়, পরিবারের একমাত্র রোজগার করা মহিউদ্দিন শেখের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকে মহিউদ্দিনকে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে তৎক্ষণাৎ ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। আরও কিছুক্ষণ পর সহকর্মীদের মধ্যে থেকে একজনের ফোন আসে বাড়ির ফোনে এবং পরিবারকে জানানো হয়, মহিউদ্দিন আর নেই! ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) প্রাণ গেছে তাঁর! এরপর হোয়াটস্যাপে ছবি দেখে মহিউদ্দিন শেখকে শনাক্ত করে পরিবার। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও বেশ কিছুজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ট্রেনের এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    দাদা আব্দুল সালাম বলেন, গতকাল রাতে ১২ টায় আমি মহিউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করি, কিন্তু প্রথমে কেউ ধরে নি ফোন। পরে অন্য একজন ওর ফোন থেকে ফোন করে বলে যে দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মারা গেছে সে। পরিবারকে চালানোর জন্য মহিউদ্দিন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেই যাচ্ছিলেন। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন মহিউদ্দিন। দাদা আরও জানান, মহিউদ্দিনের বাড়িতে বর্তমানে তিন ছেলে এবং স্ত্রী বর্তমান। তাঁরই রোজগারে তাঁর পরিবারের সংসার চলত। কিন্তু এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর শ্রমিকের পরিবারের এই সংসার, কীভাবে চলবে, তাই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করছেন দাদা আব্দুল সালাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা নাকি খুন? উঠতি অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যুতে বিভক্ত টলি পাড়া। রবিবারে যখন ছুটির মেজাজে কলকাতা তখনই আকাশ ভেঙে পড়ল টলি পাড়ায়। খবর এল তাদেরই এক সহকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। এই তো কালই কথা হল মেয়েটার সাথে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তো কাল রাতেও অ্যাক্টিভ ছিল, হেসে হেসে পোজ দিচ্ছিল ক্যামেরায়। এক রাতে এমন কী হল প্রাণবন্ত মেয়েটার? সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন।      

    রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়েই কাল চলল দিনভরের টানাপোড়েন। পল্লবীর পরিবার তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে গড়ফা থানায়। তাদের বক্তব্য, ‘খুনই করা হয়েছে ওকে। কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবে, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চায়?’ পল্লবীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর যদিও দাবি,  যদিও পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীর দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টেও দাবি, আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী।  

    গড়ফার আবাসন থেকে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’-র নায়িকার ঝুলন্ত দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে  ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেন পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।  

    রবিবার সন্ধ্যায় পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে মুখ খোলা হয়নি। আপাতত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে সূত্রের খবর।

    পল্লবীর পরিবার বার বার অভিনেত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। হাওড়ার রামরাজাতলার মেয়ে পল্লবীর বাবার দাবি, শনিবারই নাকি ফোন করে মায়ের কাছে ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। তারপরই তাদের প্রশ্ন, কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবেন, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চান? অভিনেত্রীর বাবা আরও বলেন, পল্লবী খুব বুঝদার মেয়ে ছিলেন। আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নন তিনি।  

    সাগ্নিক যদিও নিজের দাবিতে অনড়। তাঁর বক্তব্য আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। তাঁর সহকর্মী এবং বন্ধুদেরও দাবি পল্লবী আত্মহত্যা করার মতো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন না। পল্লবীর পরিচিত অনেকেই দাবি করেছেন, পল্লবীর সাথে প্রেমিকের বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সেটাই মৃত্যুর কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।    

     

     

LinkedIn
Share