Tag: death sentence

death sentence

  • Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আমার মায়ের ওপর চালানো হত্যার চেষ্টা প্রতিরোধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।” এর পাশাপাশি তিনি ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং যে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর মায়ের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন। ওয়াজেদ থাকেন আমেরিকায়।

    ওয়াজেদের অভিযোগ (Sheikh Hasina)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, বিচারকদের বরখাস্ত করছে এবং শেখ হাসিনাকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সব সময়ই আমাদের ভালো বন্ধু। সঙ্কটের সময়ে ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশ না ছাড়তেন, জঙ্গিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।”

    হাসিনার প্রত্যর্পণ

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এহেন বার্তা এমন একটা সময়ে এল, যখন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বাংলাদেশে যেমন খুশির হাওয়া দেখা গিয়েছে, তেমনি সঞ্চার করেছে ব্যাপক ক্ষোভেরও। বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওয়াজেদের অভিযোগ, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ধাপে আইনি প্রক্রিয়াকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, “প্রত্যর্পণ ঘটতে হলে বিচার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার রয়েছে, তা অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং বেআইনি (PM Modi)। আমার মাকে দোষী সাব্যস্ত করতে তারা আইন সংশোধন করেছে, যাতে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা যায়। তাই এই আইনগুলিও বেআইনিভাবে সংশোধন করা হয়েছে। আমার মাকে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের (Sheikh Hasina) আইনজীবী নিয়োগ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাঁর আইনজীবীদের আদালতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”

    হাসিনা-পুত্রের দাবি

    হাসিনা-পুত্রের দাবি, ট্রাইব্যুনালের গঠনই এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে পূর্বনির্ধারিত রায় নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, “বিচারের আগে আদালত থেকে সতেরোজন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। নিয়োগ করা হয়েছিল নতুন বিচারকদের। এঁদের মধ্যে আবার কয়েকজনের বিচারকের আসনে বসে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। এঁরা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই সেখানে কোনওরকম যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। অথচ কাউকে প্রত্যর্পণ করতে যথাযথ প্রক্রিয়া থাকা বাধ্যতামূলক।”

    প্রসঙ্গত, ট্রাইবুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (Sheikh Hasina) একটি প্রক্রিয়া বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাসিনা স্বয়ং-ও। তিনি বাংলাদেশছাড়া হওয়ার পর ক্ষমতার রশি যায় ইউনূসের হাতে। তারপর থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। সেই সব মামলার বিচার হয় ট্রাইব্যুনালে। হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত (PM Modi)।

  • Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের (Bangladesh) পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফাঁসির সাজা দিয়েছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হিংসায় উসকানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা – এই তিন অভিযোগে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, হাসিনাকে দেশে ফেরাতে চেয়ে ভারতের কাছে ফের চিঠি দেবেন তাঁরা। তবে ভারত তাঁকে আদৌ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি (Sheikh Hasina)

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক, আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অন্য দেশের হাতে তুলে দেবে। ২০১৩ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রে তখন মনমোহন সিংয়ের নেতৃ্ত্বাধীন ইউপিএ সরকার, ঢাকার মসনদে হাসিনা স্বয়ং। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যে অপরাধের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ করা হবে, তা দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য হতে হবে। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সহজতর করতে চুক্তি সংশোধন করা হয় ২০১৬ সালে। সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়, কারও নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। সংশোধিত এই চুক্তি অনুসারেই হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক

    ওই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে (Bangladesh) বলা হয়েছে, অপরাধটির যদি রাজনৈতিক চরিত্র থাকে, তাহলে প্রত্যর্পণ করা হবে না। খুন, গুম করা ও অত্যাচার রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। ওই চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনও উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না। হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করার জন্য এই যুক্তিগুলি খাড়া করতে পারে ভারত। হাসিনা নিজেও বারংবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ তুলেছেন বিচারের নামে প্রহসনেরও।

    ভারতকে চিঠি ইউনূসের

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মহম্মদ ইউনূস সরকারের ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি পেয়েছেন তাঁরা (Bangladesh)। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনই করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনও দেশের অন্তর্বর্তী সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি শর্তের জন্যই ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয়। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি থাকলেও, সেখানে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার জন্য নয়াদিল্লি সেটি মানতে বাধ্য নয়।” প্রত্যর্পণ চুক্তির ওই শর্তের জেরে হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণে ভারত বাধ্য নয় বলেই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়িও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে চুক্তি রয়েছে ঠিকই (Sheikh Hasina)। তবে সোমবারের ওই রায়ের পর বাংলাদেশে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে হাসিনার। তাই ওই চুক্তিতে থাকা নিয়ম অনুসারেই ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয় (Bangladesh)।”

    কী বলছেন আইনজীবী

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “হাসিনা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু দেশে না থাকার জন্য হাসিনাকে যদি তা করতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তা হবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হলেও, ভারত তা মানতে বাধ্য নয় বলেও জানান তিনি। বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী যদি কোনও দেশে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া দেশ তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। হাসিনার ক্ষেত্রেও এই আইনের কথা তুলে ধরতে পারে ভারত (Sheikh Hasina)।”

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই রায় সরাসরি সম্প্রচারিতও হয়েছে। হাসিনার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। রাজসাক্ষী হওয়ায় শাস্তি ছোট করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আল মামুনের। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক, উসকানি দেওয়া, দুই হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। ঢাকা আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হাসিনা। সোমবার রায় ঘোষণার পরেই তিনি আদালতের এই রায়কে কারচুপিপূর্ণ, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা এবং গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন, অনির্বাচিত সরকারের সৃষ্টি বলে অভিহিত করেন।

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি (Sheikh Hasina)

    রায় ঘোষণার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর দাবি, এই রায় দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফল মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে (Bangladesh)।”

    অভিযোগ অস্বীকার

    হাসিনা লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইব্যুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেজন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবীও বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হাতিয়ার করেছে দেশের বিচার বিভাগকে। এভাবে তারা একজোট হয়েছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের এই রায় সমর্থন করবেন না।”

    ইউনূসের আমল

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী একটি শাসন ব্যবস্থায় পরিণ হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এতদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন আওয়ামি লিগকে।” বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, “বৈধ ট্রাইব্যুনালে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। তবে আমি জানি, অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ মানবে না। কারণ তারা জানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা গেলে তারা আমায় অব্যাহতি দেবে (Bangladesh)।”

    এই আদালত অবৈধ

    বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এখনও পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে (Sheikh Hasina)। ৩৯৭ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে ওই মামলায়। ট্রাইব্যুনালের রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক বলেন, “এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যতক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম ততই তীব্র হবে। একদিন হাসিনা বীরের বেশে বাংলার জনগণের প্রিয় দল হিসেবে ফিরবেন। আমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।”

    প্রতিক্রিয়া হাসিনা পুত্রের

    ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদও। তিনি থাকেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমার মা ভারতে নিরাপদ আছেন। ভারত তাঁকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।” ওয়াজেদ বলেন, “আমরা আওয়ামি লিগ ছাড়া নির্বাচন হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে, আরও বিস্তৃত হবে এবং আমরা যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু না করলে, নির্বাচনের আগে হিংসা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিবার্য হয়ে উঠবে মুখোমুখি সংঘর্ষ।‘’ তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “দলীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও আন্দোলন হবে।” যদিও সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Bangladesh)।

  • Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফিসফিস করে কথাগুলি বলছিলেন বছর ঊনত্রিশের শাহজাদি খান (Shahzadi Khan)। উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা শাহজাদি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ফোনে কথাগুলি বলছিলেন আবুধাবির (Abu Dhabi) একটি জেল থেকে। এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় শাহজাদির।

    মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক (Shahzadi Khan)

    ছোট থেকে শাহজাদির মুখে পোড়া দাগ ছিল। সেই দাগগুলি তাঁকে পীড়া দিত। বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও কটু কথা শুনতে হত তাঁকে। তিনি চেয়েছিলেন মুখের দাগ মুছে ফেলতে। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহজাদির সঙ্গে পরিচয় হয় আগ্রার উজাইরের। সে তাকে প্লাস্টিক সার্জারি করার আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আবুধাবিতে পৌঁছান শাহজাদি। অস্ত্রোপচার না করিয়ে উজাইর তাঁকে তার আত্মীয় ফয়েজের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানে শাহজাদিকে গেরস্থালির কাজ করতে হত। পরের বছর অগাস্টে ফয়েজের স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহজাদিকে। ৭ ডিসেম্বর শিশুটিকে টিকা দেওয়া হয়। রাতে মৃত্যু হয় তার। এর পরেই শাহজাদির বিরুদ্ধে শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৩১ জুলাই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় শাহজাদিকে। তার পরেই তাঁকে (Shahzadi Khan) পাঠিয়ে দেওয়া হয় আল ওয়াথবা জেলে।

    শাহজাদির শেষ ইচ্ছে

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার আগে জেল কর্তৃপক্ষ শাহজাদির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো একবার কথা বলতে চান। ১৪ তারিখ রাতেই প্রস্তুত করা হয় ফাঁসির মঞ্চ। তার পরেই শুরু হয় তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ-পর্ব। ফোনে শাহজাদি তাঁর বাবা সাব্বির খানকে জানিয়েছিলেন, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। তার পরেই তিনি বলেন, “বাবা, এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়।” মৃত্যুর আগে উজাইরকে ক্ষমা করে দিতে বলেন শাহজাদি।

    তিনি বলেন, “উজাইরকে দয়া করে ক্ষমা করে দিও বাবা। ওর বিরুদ্ধে করা মামলাটা তুলে নাও। এখন আর এই মামলার মানে কী? আমিই যখন থাকব না, তখন আমি আর কোনও শত্রুতা চাই না।” এরপর আর শাহজাদির সঙ্গে (Abu Dhabi) কোনও কথা হয়নি তাঁর পরিবারের। শাহজাদির পরিবার জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে তারা একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল। তারাই সোমবার শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করে (Shahzadi Khan)।

  • Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরলের নার্স (Kerala Nurses Death Sentence) জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। গত সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর জীবন সংশয় হওয়ায় বিচলিত দেশ।

    খুনের দায়ে জেলবন্দি (Kerala Nurses Death Sentence)

    ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের দায়ে ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। বছর ছত্রিশের এই নার্সকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে পরিবারের তরফে। প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। গ্রেফতার হওয়ার পরের বছরই ওই নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। আদালতের সেই রায়েই সিলমোহর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যেই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা নার্স ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও, নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনেই। ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক খোলেন ভারতীয় ওই নার্স। পরে শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এই সময় নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

    পাসপোর্ট ফেরাতেই খুন!

    মাহদির কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। পরে অন্য একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ইয়েমেন থেকে পালানোর পথে ধরা পড়েন ওই নার্স। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেন নিমিশার মা। ইয়েমেনে আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে (Kerala Nurses Death Sentence)। দেশের শীর্ষ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিলই। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাস নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লা আমির প্রাক-মীমাংসা পর্বেই ১৬.৬ লাখ টাকা দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁকে সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে পারিশ্রমিক বাবদ দু’দফায় ৩৩ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। এই টাকা পেলেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করা যাবে বলে জানান (Yemen) তিনি। তাতেই দীর্ঘায়িত হয় বিষয়টি (Kerala Nurses Death Sentence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে (Police Custody) মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। তার জেরে ইরানে (Iran) অব্যাহত প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সে দেশে ফাঁসি দেওয়া হল আরও একজনকে। গত বছর সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে মৃত্যু হয় বছর বাইশের আমিনির। অভিযোগ, ইরানের ড্রেস কোড মানতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। তাতে অংশ নেওয়ায়ই জাভেদ রাউহি নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পৃথিবীতে দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি।

    হিজাব…

    ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এই হিজাব না পরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমিনিকে। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরেই ইরানে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলন দমন করতে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। এদিকে, এদিন আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও চার্জশিটে বলা হয়েছে, ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তাঁরা। যার সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড।

    আরও পড়ুুন: অস্কারের দৌড়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘‘লাপিড যোগ্য জবাব পেলেন’’, বললেন মিঠুন

    প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত তিন মাসে ১৭ জনকে প্রাণদণ্ডের সাজা দেওয়া দিল ইরান (Iran) সরকার। এর মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। এদিন যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সালে মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সইদ ইয়াগুবি। এই তিনজনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় জেল হয়েছে আরও দুজনের।

    শনিবারই মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান সরকার। ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহানাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকেও। হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। ইরানের (Iran) এই সাজা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভোলকের টার্ক। তিনি বলেন, যাঁরা মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের দমন করতে মানুষ খুন করছে খোদ রাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Teesta Setalvad: মোদির যাতে ফাঁসি হয়, তার ছক কষেছিলেন তিস্তা শেতলবাদ? চার্জশিটে শিট

    Teesta Setalvad: মোদির যাতে ফাঁসি হয়, তার ছক কষেছিলেন তিস্তা শেতলবাদ? চার্জশিটে শিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে চেয়েছিলেন তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ছকও কষেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী হিংসায় মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম, সংক্ষেপে সিটের (SIT) চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সম্প্রতি তিস্তা শেতলবাদ, পুলিশের প্রাক্তন ডিজি আরবি শ্রীকুমার এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। আহমেদাবাদ মেট্রো কোর্টে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সিটের জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হিংসার ঘটনার জেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ছক কষেছিলেন অভিযুক্তরা। আরও মারাত্মক অভিযোগ হল, সরকারের অংশ হওয়া সত্ত্বেও আরবি শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাট তিস্তার জন্য জাল নথিপত্র বানিয়েছিলেন। পরে সেগুলিকে সরকারি নথির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

    কেন তাঁরা এরকম করেছিলেন? চার্জশিটে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে। এজন্য একদল আইনজীবীকে ভাড়া করা হয়েছিল যাঁরা জাল নথিপত্র ও হলফনামা তৈরি করেন। সিটের দাবি, গোধরা পরবর্তী ওই হিংসার শিকার বলে যাঁদের বলা হচ্ছে, তাঁদের প্রভাবিত করা হয়েছে। জোর করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে মনগড়া বিবৃতিতে। যেহেতু ওই বিবৃতির পুরোটাই ইংরেজিতে, তাই হিংসার শিকার বলে যাঁদের বলা হচ্ছে, তাঁরা বুঝতে পারেননি কোথায় স্বাক্ষর করছেন তাঁরা। তাঁকে যদি সমর্থন না করেন, তাহলে বিপদ হবে বলেও হিংসার সাক্ষীদের হুমকি দিয়েছিলেন তিস্তা শেতলবাদ।

    আরও পড়ুন : আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    সিটের আরও দাবি, তিস্তার সঙ্গে আরও যে আইপিএস অফিসাররা জড়িত তাঁরাও তিস্তাকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। একবার আরবি শ্রীকুমার এক সাক্ষীকে হুমকিও দিয়েছিলেন। শ্রীকুমার এক সাক্ষীকে বলেছেন, আপনি যদি তিস্তাকে সমর্থন না করেন, মুসলমানেরা আপনার বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং আপনি সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট হয়ে যাবেন। আমরা যদি আমাদের মধ্যে লড়াই করি, শত্রুরা লাভবান হবে। একইভাবে উপকৃত হবেন মোদিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও দেশে চালু রয়েছে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty)। কারও কারও মতে, প্রথাটি বর্বরোচিত। কেউ আবার বলেন, দোষী ব্যক্তিকে এমন সাজাই দেওয়া উচিত। তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরির জন্য এবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench) গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার ওই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কোন মানদণ্ডে, সেটাই স্থির করবে দেশের শীর্ষ আদালতের এই বেঞ্চ। 

    কেন হঠাৎ প্রয়োজন হয়ে পড়ল এহেন বেঞ্চ গঠনের? দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজন ছিল কারণ এতদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল না। বিভিন্ন জনের নানা দোষের মাপকাঠি ছিল আলাদা। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে নানান সময়। সেই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তাই প্রয়োজন একটা সমতা। দেশের শীর্ষ আদালতের মতে, সেই মাণদণ্ড তৈরি করতেই গঠন করা হয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

    এদিন যে তিন বিচারপতি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ঢুলিয়া। কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বিরলের মধ্যে বিরলতম কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে। এদিন ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ১৯৮৩ সালে বচ্চন সিং মামলায় আলাদা একটি বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। সেখানে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছিল বচ্চনের। 

    আরও পড়ুন : ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধীর ক্ষেত্রে মামলার পৃথক শুনানি হওয়া প্রয়োজন। বেঞ্চ এও জানায়, ১৯৮৩ সালের বচ্চন সিং মামলার রায় পৃথক শুনানির সেফগার্ড স্বরূপ। বিশেষত মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত অপরাধীর ক্ষেত্রে। সেই সময় আদালত বলেছিল, এই সেফগার্ড একটি মূল্যবান অধিকার। এটা অপরাধীকে বুঝিয়ে দেয়, কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share