Tag: Death

Death

  • Jammu Kashmir: নেপথ্যে পাক-যোগ! জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সেনা কনভয়ে হামলা, শহিদ ৫ জওয়ান

    Jammu Kashmir: নেপথ্যে পাক-যোগ! জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সেনা কনভয়ে হামলা, শহিদ ৫ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কাঠুয়ায় (Kathua) সেনার কনভয়ে গ্রেনেড হামলা। রুদ্ধশ্বাস লড়াই ভারতীয় জওয়ানদেরও। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন সেনাকর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও ছ’জন। অতর্কিতে হামলা চালাতে অত্যাধুনিক মার্কিন হাতিয়ার প্রয়োগ করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। প্রাথমিকভাবে এমনই অনুমান ভারতীয় সেনার। সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকেছিল। সেখানেই স্থানীয় সাহায্য পেয়েছে তারা। হামলা চালাতে জঙ্গিরা এম৪ কার্বাইন রাইফেল ব্যবহার করেছিল। অত্যধিক উন্নত এই অস্ত্র তৈরি করেছে আমেরিকান সংস্থা।

    সেনা কনভয়ে হামলা (Jammu Kashmir) 

    সোমবার জম্মুর (Jammu Kashmir) কাঠুয়া (Kathua) থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বিল্লাওয়ার তহসিলের লোহাই মলহারের বদনোটা গ্রামে ভারতীয় সেনার কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রথমে আর্মি ট্রাক লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চলে। পালটা জবাব দিতে থাকে সেনাবাহিনীও। রাতভর জারি থাকে এই গুলির লড়াই। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একাধিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখে খোঁজ চলছে জঙ্গিদের। সেনা সূত্রে খবর, যে স্থানে হামলা চালানো হয়, সেখানকার রাস্তা ভাল ছিল না। গাড়ি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারের বেশি বেগে চালানো সম্ভব ছিল না। কনভয়ের গাড়ি গুলি খুব আস্তে চলছিল। সে সময়ই হামলা চালায় জঙ্গিরা। 

    অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার

    হামলার (Jammu Kashmir) পর পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্মি ট্রাকে গ্রেনেড এবং গুলি ছোড়ার পর জঙ্গিরা কাছেই জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকেই গুলি চালাতে থাকে। জঙ্গি নিকেশে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ করেছিল। তারপর উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে আস্তানা গাড়ে। অনুমান করা হচ্ছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হাতিয়ার রয়েছে জঙ্গিদের কাছে।

    উপত্যকায় সাম্প্রতিক হামলা

    গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে উপত্যকায় দ্বিতীয় বার সেনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল জঙ্গিরা। রবিবার রাজৌরিতে সেনাশিবিরে হামলা চালানো হয়, যাতে এক জওয়ান আহত হন। পাশাপাশি, ২৪ ঘণ্টা আগে কুলগামেও জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলে সেনার, যাতে ছয় জঙ্গির মৃত্যু হয়। শনিবার থেকে গুলি বিনিময় শুরু হয়, দুই জওয়ানও প্রাণ হারান তাতে, আহত হন এক জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood situation)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীগুলোর জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল অসমের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ এর ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। রাজ্যে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাণহানি হয়েছে পশুদেরও৷ এছাড়া বহু মানুষ ঘরছাড়া। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

    রাজ্যজুড়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত (Assam Flood 2024) 

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির (Assam Flood situation) আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৩০টি জেলার ৩৬১৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল কামরূপ, করিমগঞ্জ, ধেমাজি, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, কাছাড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর ইত্যাদি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। 

    জলের তলায় কাজিরাঙা

    গ্রামের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মরসুমে গন্ডার, হরিণ-সহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় (Assam Flood situation)ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশুকে। তার মধ্যে ৫০টিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। 
    রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিও গত ৯ দিন ধরে জলের তলায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে (Assam Flood 2024) বলেছেন, ”ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সকলে মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।”

    আরও পড়ুন: সর্বত্র প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ নেই, নিট-ইউজি বাতিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

     অন্যদিকে নতুন করে ফের আতঙ্কে (Assam Flood situation) দিন গুনছে রাজ্যবাসী। কারণ আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ৯ জুলাই পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অসম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর (Air Pollution) বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

    ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? 

    সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই। এখানে মৃত্যু সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে,  চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যান। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।  

    আরও পড়ুন: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    এর থেকে বাঁচার উপায় কী? (Air Pollution) 

    এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ুদূষণের (Air Pollution) প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক, মৃত বেড়ে ৪৮

     Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক, মৃত বেড়ে ৪৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম ও মণিপুরের (Assam-Manipur floods) বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক! লাগাতার ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্বের এই দুটি রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮। এই দুই রাজ্যে মানুষ প্রাণ যেমন হারিয়েছে, তেমনি বন্যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন। 

    উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে লাল সতর্কতা (Assam-Manipur floods)!

    অসমএবং মণিপুর (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যের নানা জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) এই সপ্তাহে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে নৌকায় করে সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, রাজ্য পুলিশ, মণিপুর ফায়ার সার্ভিস, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যা-দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি প্যাকেটজাত পানীয় জলের বোতল এবং খাবার বিতরণ করছে।

    ১৬ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ!

    এখনও পর্যন্ত অসমে (Assam-Manipur floods) ৪৬ জন এবং মণিপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অসমে বন্যায় ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ২৯টি জেলার ১৬.২৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে, মণিপুরের ২০০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৮০০টি গ্রাম এখনও প্লাবিত হয়েছে এবং বন্যার জলে (Heavy Rain) ৩৯৪৫১.৫১ হেক্টর চাষের জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। আসামে ৩.৮৬ লাখেরও বেশি মানুষকে, ২৪টি বন্যা কবলিত জেলায় প্রশাসনের দ্বারা নির্মিত ৫১৫টি ত্রাণ শিবির কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ হাথরস কাণ্ডে গ্রেফতার ৬, মধুকরকে ধরতে লাখ টাকার পুরষ্কার

    ইম্ফল নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে

    গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জল (Heavy Rain) মণিপুর ও অসম (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যে শতাধিক রাস্তা, কয়েক ডজন সেতু এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর উপনদীর জলের স্তর এই সপ্তাহে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। ইম্ফল নদীর পশ্চিমের সিংজামেই ওইনাম থিঙ্গেলে তার বাঁধ ভেঙ্গেছে। বৃষ্টির মধ্যে কংবা ইরং এবং ইম্ফল পূর্বের কেইরাওয়ের কিছু অংশে কংবা নদী বন্যার জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একই ভাবে উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশও ত্রাণ পাঠিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lonavala waterfall: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    Lonavala waterfall: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরতে গিয়ে বিপত্তি। মুম্বইয়ের কাছে লোনাভালা জলপ্রপাতে (Lonavala waterfall) ঘুরতে গিয়ে স্রোতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের সাত জন। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু (Lonavala Drowning Death) হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা। আছে একাধিক শিশুও। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। যা দেখে নেটাগরিকেরা অনেকেই শিউরে উঠেছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Lonavala Drowning Death) 

    মহারাষ্ট্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লোনাভালার ভুশি বাঁধ। রবিবার ছুটির দিনে সেখানেই পিকনিক করতে গিয়েছিল পুনের সায়েদ নগরের আনসারি পরিবার। দুপুরে জল খানিকটা কম থাকায় নিচে নামে ওই পরিবারের সাত জন। তখনই কয়েক মুহূর্তে খরস্রোতা নদীর আকার নেয় জলপ্রপাত (Lonavala waterfall)। জলের একেবারে মাঝখানে আটকে পড়েন ওই তাঁরা। একে অপরকে আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও তাঁরা প্রবল জলের তোড়ে মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে যান। আশেপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কিছুই করে উঠতে পারেনি।

    জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে ওই সাত জনের মধ্যে দুজন সাঁতরে ডাঙায় উঠতে পেরেছিলেন। পুলিশ এসে তিন জনের দেহ উদ্ধার (Lonavala Drowning Death) করে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি দুজনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন, সাহিস্তা লিয়াকত আনসারি (৩৬), আমিমা আদিল আনসারি (১৩), উমেরা ওরফে সালমান আদিল আনসারি (৮)। এখনও নিখোঁজ আদনান শাবাত আনসারি (৪), এবং মারিয়া আনসারি (৯)। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ভারী বৃষ্টি আর বজ্রপাতের জন্য তল্লাশিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় লোনাভালায় (Lonavala waterfall) পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    আরও পড়ুন: স্বামীর আনন্দের দিনে পাশে স্ত্রী অনুষ্কা! স্ত্রীর বার্তার জবাব দিলেন বিরাট

    স্থানীয়রা কী জানালেন? 

    উল্লেখ্য, প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বর্ষার সময়ে লোনাভালায় ভিড় জমান। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে বাঁধের জল। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু সব নিয়ম উপেক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় চলে যায় ওই পরিবার। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। তবে এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলপ্রপাতের (Lonavala waterfall) সামনে শ্যাওলা জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন তা পরিষ্কার করা হয় না। তার জেরে হামেশাই অনেকে পা পিছলে পড়ে যান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: বর্ষার মরসুমে দেশজুড়ে ডেঙ্গি আতঙ্ক! প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল বেঙ্গালুরু প্রশাসন

    Dengue Death: বর্ষার মরসুমে দেশজুড়ে ডেঙ্গি আতঙ্ক! প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল বেঙ্গালুরু প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরম এবং তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি দিতে বর্ষার আগমন ঘটেছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে নানা অসুখ-বিসুখ নিয়ে দুশ্চিন্তা। প্রতিবছর বর্ষার মরসুমে দেশজুড়ে ডেঙ্গি আতঙ্ক ভয় ধরায় দেশবাসীকে। জমা জল থেকে জন্ম নেওয়া মশার কামড়ে বহু প্রাণের বলি হচ্ছে। আর এরই মধ্যে বর্ষা আসতে না আসতেই চলতি বছরে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর (Dengue Death) খবর নিশ্চিত করল বেঙ্গালুরু প্রশাসন। জানুয়ারি মাসের পর গত বৃহস্পতিবার এই প্রথম বেঙ্গালুরুতে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু হল।  

    ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Dengue Death)

    জানা গিয়েছে ২৭ বছরের মৃত যুবক সিভি রমন নগরের বাসিন্দা। গত ২৫ জুন জ্বর নিয়ে বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই যুবককে। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্মক্ষমতা হারিয়ে বিকল হয়ে যেতে শুরু করে। এরপর ২৭ জুন মারা যান যুবক। যদিও শুক্রবার আরও দুই রোগীর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের তরফে সেই খবরে এখনও নিশ্চয়তা মেলেনি। 
    অন্যদিকে বছর ৮০-র আরেক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরও এসেছে। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার স্তন এবং কোলন ক্যান্সার ছিল এবং ডেঙ্গির লক্ষণও ছিল।  যদিও, হাসপাতালের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি নয়। 

    ডেঙ্গির ছোবলে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব

    এডিস মশার একটা কামড় থেকেই ছড়ায় ডেঙ্গি রোগ। শুধু ভারত নয়, ডেঙ্গির ছোবলে গোটা বিশ্ব আক্রান্ত। ২০২৪ সালেও বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত (Dengue Death) হন মানুষেরা। চিকিৎসকের কথায়, ডেঙ্গি রোগের ভেক্টর হল এডিস মশা।‌ এই মশা কিছুটা উষ্ণ ও আর্দ্র এলাকায় জন্ম নেয়‌। আর ভারতে এমন স্থানের কোনও অভাব নেই। সেই কারণেই ডেঙ্গির এত বাড়বাড়ন্ত। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) পাশাপাশি কর্ণাটক জুড়েও ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু রিপোর্ট প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। 

    আরও পড়ুন: রবিনা ট্যান্ডন থেকে বরুণ ধাওয়ান! বিশ্বকাপ জয়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসল রোহিত শর্মার দল

    কী নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর?  

    জানুয়ারি থেকে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) এখনও অবধি ১,৭৪৩টি ডেঙ্গি সংক্রমণের কেস নথিভুক্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গোটা কর্ণাটক জুড়ে ২৪ জুন পর্যন্ত ৫,৩৭৪টি ডেঙ্গির কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এমত পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া গত মঙ্গলবার রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এদিন বৈঠকে ডেঙ্গির সংক্রমণ সনাক্তকরণ এবং তার চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Rain: জলের তলায় রাজধানী! বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা

    Delhi Rain: জলের তলায় রাজধানী! বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেও তাপপ্রবাহে পুড়ে যাচ্ছিল দিল্লি (Delhi rain)। আর শুক্রবার রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় চলে গেল গোটা শহর। প্রবল বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা। বৃষ্টি বিপর্যস্ত রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ছজনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টির জমা জলে ডুবে। মৃতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট চত্বর সহ দিল্লির একাধিক মেট্রো স্টেশনে জল জমেছে। আন্ডাপাসে জলে ডুবেছে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। গত দুদিনে ছজনের মধ্যে দুজনের প্রাণ কেড়েছে আন্ডারপাসের নীচের জমা জল। এ ছাড়া রাস্তায় খেলতে খেলতে জলে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

    বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা (Delhi rain)

    দিল্লির ওখলার আন্ডারপাসে শনিবার সকালে জমা জলে (Heavy Rain in Delhi) ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের এক প্রৌঢ়ের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্কুটার চালাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। আন্ডারপাসের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি জলে ডুবে যান স্কুটার নিয়েই। তারপর আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। যদিও খবর পেয়েই পুলিশ পৌঁছে দিগ্বিজয় কুমার চৌধুরি নামের ওই প্রৌঢ়কে জলের মধ্যে থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 
    অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে দিল্লির সিরসপুর আন্ডারপাসের নীচে মেট্রো স্টেশনের কাছে জমা জলে (Delhi rain) পড়ে মৃত্যু হয় দুজন বালকের। পুলিশ সূত্রে খবর, আন্ডারপাসের নীচে আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জল জমে ছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর জল থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই দুই বালক আন্ডারপাসের কাছেই স্নান করছিল। সে সময়ে জমা জলে পড়ে যায় তারা। 
    শনিবার আরও এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায়।  সেখানকার একটি আন্ডারপাসের নীচে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তাঁর বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজাদপুর মান্ডি এলাকায় আংশিক সময়ের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
    এছাড়া দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারও উত্তর-পূর্ব দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই বালকের। তাদের এক জনের বয়স ৮ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১০ বছর। বৃষ্টির জলে (Delhi rain) ভর্তি একটি পাঁচ ফুট গভীর গর্তের পাশে খেলা করছিল তারা। অসাবধানতায় সেখানেই পড়ে যায়। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘এই জয় ৩-৪ বছরের পরিশ্রমের ফল’’! টি-২০ থেকে অবসর ঘোষণা রোহিতেরও

    ব্যাহত যান চলাচল (Heavy Rain in Delhi) 

    দিল্লিতে শুক্রবার যা বৃষ্টি (Delhi rain) হয়েছে, তা ৮৮ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে। জুন মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে এক দিনেই। ফলে রাজধানীর রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। একাধিক জায়গায় গাড়ির ছাঁদ পর্যন্ত জল চলে গিয়েছে, ভেসে বেড়াচ্ছে বাইক। ভিড়ের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) কারণে ভেঙে পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport) টার্মিনাল ১-এর ছাঁদ, ব্যাহত মেট্রো চলাচলও। সবমিলিয়ে মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই জলের তলায় দিল্লির একাংশ।  
    উল্লেখ্য, আগামী দিন বৃষ্টি (Delhi rain) আরও বাড়বে। চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে জারি করেছে সতর্কতাও। রাজধানীর বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। ফলে আরও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) পূর্বাভাসে ত্রস্ত দিল্লিবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমাল-উত্তর পরিস্থিতিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে অসমে (Assam Flood)। ক্রমেই অবনতি হচ্ছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। শনিবার আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। রাজধানী গুয়াহাটির একটা অংশও জলমগ্ন।

    জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ (Assam Flood)

    বানভাসি গ্রামগুলি থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে বিপন্নদের। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শনিবার বেশ কিছু মানুষের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৮৯টি পশুকেও। এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বরাক, ব্রহ্মপুত্র-সহ এ রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ নদীর জল (Assam Flood)। শনিবার পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছ’লাখেরও বেশি। কেবল নওগাঁ জেলায়ই বন্যা কবলিত হয়েছেন আড়াই লাখের বেশি মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের অন্তত ১০টি জেলা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, চাষের জমি। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ। বানের প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলেও।

    আর পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে ঢের এগিয়ে বিজেপি, সিকিমে সামনের সারিতে শাসক দল

    বরাকের শাখানদী কোশিয়ারা এবং ব্রহ্মপুত্রের উপনদী কোপিলির জলও বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। এসব নদীর জলস্তর না কমলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, রেমালের প্রভাবে গত মঙ্গলবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় অসমে। তার জেরেই বানভাসি হয়েছে রাজ্যের একাংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে বলেও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

    বানভাসি কেরলও

    বানের জলে ভেসেছে দক্ষিণের রাজ্য কেরলও। ১৯২৪ সালের পর এই প্রথম এত বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮৬। রাজ্যে গত পাঁচ দিন ধরে চলছে বন্যা পরিস্থিতি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী আরও দু’দিন বৃষ্টি হবে কেরলে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, গত পাঁচ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এই মরশুমে বর্ষায় মারা গিয়েছে ১৮৬ জন। বন্যা ও ধস সংক্রান্ত বিপর্যয়ের জেরেই এই মৃত্যু। ভেঙে গিয়েছে ২০ হাজার বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার কিলোমিটার রাজ্য সড়ক। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রের তরফে কেরলকে একশো কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে (Assam Flood)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mizoram Landslides: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস, মৃত অন্তত ১৫, বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ

    Mizoram Landslides: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস, মৃত অন্তত ১৫, বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে পাথর খাদানে ধস (Mizoram Landslides) নেমে মৃত্যু হল অন্তত ১৫ জনের। আরও অনেকে ওই খাদানে আটকে পড়েছেন বলে খবর। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে মিজোরামে। এর কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। 

    বিপর্যস্ত মিজোরাম

    ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি খুইয়ে বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও তার প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে মিজোরামে। এর প্রভাবেই রাজধানী আইজলের একটি পাথর খাদানে হঠাতই ধস (Mizoram Landslides) নামে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের একাধিক ছোটবড় রাস্তায় গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ধস নামার কারণে মিজোরামের উপর দিয়ে যাওয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে স্থলপথে বাকি ভারতের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।

    মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ আইজল শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে মেলথুম এবং হ্লিমেনের মধ্যবর্তী একটি এলাকায় পাথর খাদানে ধস (Mizoram Landslides) নামে। সে সময় সেখানে কাজ চলছিল। ডিজিপি অনিল শুক্লা বলেছেন, “অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে মিজোরামের আইজলে পাথর খনি ধসে অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে ৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে ৷ তবে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে ।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ হুন্টারে ৬ নং জাতীয় সড়কে ভূমিধসের কারণে আইজল দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়কেও ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। মিজোরাম সরকার মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া ধসে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ১৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা বলেছে মিজোরাম সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh MP Murder: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    Bangladesh MP Murder: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ক্রাইম থ্রিলার, নিখুঁত ওয়েব সিরিজ! বাংলাদেশি সংসদ (Bangladesh MP Murder) সদস্য ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে যেভাবে খুন করা হয়েছিল, তা নিয়ে তৈরি হয়ে যাবে চিত্রনাট্য। খুনের মাস্টার মাইন্ড সাংসদের বাল্যবন্ধু শাহিন। ব্যবসায়ে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। তা থেকেই খুনের ছক। ব্যবহার করা হয়েছে হানিট্র্যাপ, তদন্তে এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  সাংসদ ‘খুনের’ ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (CID)। ধৃতের নাম জিহাদ হাওলাদার। তাঁর বয়স ২৪ বছর। জেরায় সে সব কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

    কীভাবে খুন ও দেহ লোপাট 

    তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পেশায় কসাই জিহাদ আদতে বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা (Bangladesh MP Murder)। অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলে‌ন তিনি। আজিমকে ‘খুনে’র প্রায় দু’মাস আগে অভিযুক্তেরা জিহাদকে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে‌ন। জেরায় সে জানিয়েছে, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই জিহাদ সব কাজ করেছিলেন। জিহাদ ছাড়াও আরও চার জন বাংলাদেশি নাগরিক এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। আনওয়ারুলকে তাঁরা প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মৃতের পরিচয় যাতে বোঝা না যায় তাই তাঁরা শরীরের হাড় এবং মাংস আলাদা করে ফেলেন। এর পর হাড় ও মাংস টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে সব কিছু পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাটের বাইরে গিয়ে ফেলে দেন।

    বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খবর

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এই খুনের ঘটনা দুদেশের পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আনারকে হত্যাকাণ্ডের (Bangladesh MP Murder) সঙ্গে জড়িতরা সবাই বাংলাদেশি। এই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খুনের কিনারা করতে সিআইডির (CID) একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকা পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই ধৃতদের জেরা করবেন গোয়েন্দারা। চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। তারপরই এই ঘটনা। 

    শহরে বসেই খুনের পরিকল্পনা

    সিআইডির (CID) তদন্তে উঠে এসেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই এখানে চলে এসেছিলেন অভিযুক্তেরা। শহরে বসেই তাঁরা খুনের ছক কষেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুই অভিযুক্ত কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে ছিলেন গত ২ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ১২ তারিখ কলকাতায় আসেন আজিম। অর্থাৎ, তাঁর আসার অন্তত ১০ দিন আগে কলকাতায় এসে পড়েছিলেন ওই দুই অভিযুক্ত। তাঁরা হোটেল ছাড়েন আজিম আসার এক দিন পরেই। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ১০ দিন ধরে শহরে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তেরা।

    যুক্ত হানিট্র্যাপ

    আনারকে খুন করতে ব্যবহার করা হয় ‘হানি ট্র্যাপ’ বলে জানা গিয়েছে।  আনারকে (Bangladesh MP Murder) খুন করার পরিকল্পনা অন্তত একমাস আগে করা হয়েছিল। এই কারণে কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনের বি ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আনারের বাল্যবন্ধু এবং বর্তমানে মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহিন। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কথা উল্লেখ করে তাতে বলা হয়েছে, ‘শিলাস্তি রহমান হলেন আক্তারুজ্জামান শাহিনের বান্ধবী। শাহিন আনারকে কলকাতা নিতে এই মহিলাকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। সব পরিকল্পনা করে শাহিন ১০ মে ঢাকায় ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়। তিনি ১৫ তারিখে বিমানে ঢাকা ফেরেন। জানা গিয়েছে, ১৩ তারিখেই খুন করা হয় আনারকে। 

    খুনের মাস্টার মাইন্ড শাহিন

    আনওয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ডে (Bangladesh MP Murder) জড়িতদের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৬ জন অংশ নিয়েছিল এই হত্যার ষড়যন্ত্রে। মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিল আক্তারুজ্জামান শাহিন নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, শাহীন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম সেলিমের ছোট ভাই। নিহত আজিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল সে। কিন্তু, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে আজিমের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বেধেছিল। তার জেরেই এই খুন। তার আগে, সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিল শাহিন। সম্পর্কে আমানুল্লাহ তার বেয়াই হয়। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েই ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশি সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, কতটা ভয়াবহ হবে? কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    বাংলাদেশি পুলিশ আরও জানিয়েছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে শাহিন ও আমানুল্লাহর। নিউটাউনের সঞ্জীবনী গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে আজিমকে হত্যা করা হয়েছে, সেটারও মালিক শাহিনই। তবে ফ্ল্যাটটা সে বেনামে কিনেছিল। ওই ফ্ল্যাটটি থেকেই চোরাচালান ও অপরাধ জগতের কর্মকাণ্ড চালাত শাহিন। হত্যার পর শাহিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে, বাংলাদেশে ফিরেছিল তার বেয়াই সৈয়দ আমানুল্লাহ। তাকে ইতিমধ্য়ে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি পুলিশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা শাহিন, নিয়মিত বাংলাদেশে আসত। জড়িয়ে পড়েছিল চোরাচালানে। এই অবৈধ ব্যবসার জোরেই বাংলাদেশ ও ভারতে বিপুল সম্পত্তি করেছে সে। তাদের কোটচাঁদপুরের গ্রামের বাড়ি এখন বিশাল বাগানবাড়িতে পরিণত হয়েছে।  কোটচাঁদপুরে শাহিনই ছিল শেষ কথা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share