Tag: Death

Death

  • Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ঝড়ে বিধ্বস্ত মুম্বই। সাংঘাতিক ধুলো ঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে (Mumbai hoarding collapse) পড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকার এই ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ জখম অন্তত ৭০।  

    কী ঘটেছিল? (Mumbai hoarding collapse) 

    সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে তীব্র ঝড় ওঠে মুম্বইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধুলো ঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় ছেদ্দানগর জংশনে একটি পেট্রল পাম্পে উপড়ে যায় প্রায় ১০০ ফুট উঁচু বিলবোর্ড। এর জেরে বেশি কিছু গাড়ি ওই পেট্রল পাম্পের মধ্যেই আটকে পড়ে। অনেকেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটতে শুরু করে। ফলে ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের (Mumbai hoarding collapse) নীচে চাপা পড়েন অনেকেই। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফকে। বিলবোর্ড সরিয়ে একে একে বের করা হয় মৃতদেহ।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর  

    এই ঘটনায় পুলিশ বিলবোর্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা মেসার্স ইগো মিডিয়া এবং এর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। হোর্ডিং মালিক ভাবেশ ভিন্ডে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আইপিসির(Indian Penal Code-IPC) ৩০৪, ৩৩৮, ৩৩৭ ধারার অধীনে পন্ত নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা হচ্ছে। 

    শিন্ডের বার্তা 

    অন্যদিকে বিধ্বংসী এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি (Mumbai hoarding collapse) পরিদর্শন করতে ঘাটকোপর এলাকায় পৌঁছেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সেখানে গিয়ে তিনি আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “মানুষের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের অগ্রাধিকার। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমি মুম্বইতে এই ধরনের সমস্ত হোর্ডিং অডিট করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি।”  

    আরও পড়ুন: ‘মা গঙ্গা ডেকেছেন, বারাণসীর সঙ্গে আত্মিক-যোগ’, মনোনয়নের সকালে আবেগঘন পোস্ট মোদির

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu)

    একই সঙ্গে ঘাটকোপরের এই দুর্ঘটনায় (Mumbai hoarding collapse) শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি (Draupadi Murmu) লিখেছেন, শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জগদীপ ধনখড়ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং উদ্ধারকার্যের সাফল্য কামনা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sushil Modi: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন, প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সুশীল মোদি

    Sushil Modi: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন, প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সুশীল মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা গত এক মাস ধরে দিল্লির এইমসের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, আমার দলীয় সহকর্মী এবং কয়েক দশকের বন্ধু সুশীল মোদিজির অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। বিহারে বিজেপির উত্থান এবং দলের সাফল্যে তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন। জরুরী অবস্থার তীব্র বিরোধিতা করে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন।

    দলের প্রতি দায়বদ্ধ 

    বিহারে ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চার দফায় জোটসঙ্গী বিজেপির নেতা সুশীলকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাশে পেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। রাজনীতির ময়দানে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুশীল।  চলতি মাসের গোড়ায় হিন্দিতে এক্স পোস্টে সুশীল লিখেছিলেন, ‘‘গত ছ’মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছি। এখন মনে হল সবাইকে বিষয়টি জানানো দরকার। লোকসভা ভোটে আর কিছু করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীকে সব কিছু বলে দিয়েছি। তবে দেশ, বিহার এবং আমার পার্টির কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং নিবেদিত থাকব।’’ 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীত্বের ১০ বছর! বারবার মোদি গ্যারান্টিতে কেন ভরসা করেন দেশের মানুষ?

    শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল

    সুশীল মোদির এভাবে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। তিন দশক ধরে বিহারের রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর বিহারে খালি হওয়া রাজ্যসভার একটি আসনে ২০২০ সালের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন সুশীল। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওই পদে তাঁর মেয়াদ ছিল। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ আরও অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে পথে নামলেন লকেট

    Locket Chatterjee: পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে পথে নামলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণে (Pandua Bomb Blast) বালকের মৃত্যুর ঘটনায় এবার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি জানিয়ে পথে নামলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শুধু বলে যাচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু তিন-চার ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পুলিশের বম্ব স্কোয়াড এসে পৌঁছল না ঘটনাস্থলে। লকেটের (Locket Chatterjee) পাশাপাশি এদিন ঘটনার প্রতিবাদে জিটি রোড অবরোধ করলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য চলতি মাসের ২০ তারিখ পঞ্চম দফায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার আগে এই ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে এলাকা। ভোটের আবহে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে পান্ডুয়ায়। সেই সভাস্থল থেকে কিছুটা দুরেই ঘটল ভয়াবহ ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পান্ডুয়ার তিন্না এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে হঠাৎই প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি পুকুর পাড়ে ছুটে এলে তারা দেখতে পান তিনটি বাচ্চা গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মৃত কিশোরের নাম রাজ বিশ্বাস। আহত দুই জন রুপম বল্লভ ও সৌরভ চৌধুরী। প্রত্যেকেরই বয়স ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় যান লকেট (Locket Chatterjee)। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এর পরেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে তিন্না মোড়ের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। 

    লকেটের বক্তব্য (Locket Chatterjee) 

    লকেটে বক্তব্য, ‘‘আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে পান্ডুয়ায়। তাই আমাকে উঠে যেতে বলছে। কিন্তু আমি কী করে উঠব? ওই শিশুর মা আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, এর পর কী হবে? আমাকে বলছিলেন, ধীরে ধীরে আপনারাও চলে যাবেন তো। পুলিশকে কোনও বিশ্বাস নেই। আমি ঢুকতে গেলাম, বলল ওদিকে যাবেন না। আরও বোম থাকতে পারে, তাহলে বোম স্কোয়াড কোথায়? দু ঘণ্টা আগে থেকে বলছে যে বোম স্কোয়াড এসে গিয়েছে, কিন্তু বোম স্কোয়াড আসেনি। আদৌ বোম স্কোয়াড আসবে? এনআইএ তদন্ত করতে হবে। আশপাশে এ ভাবে বোমা ছড়িয়ে রয়েছে? ভাবতেই পারছি না।’’

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর পিএ-র পরিচারকের বাড়ি থেকে ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার ইডির!

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য 

    লকেটের পাশাপাশি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘গত ১৪ মাসে বোমা বিস্ফোরণে (Pandua Bomb Blast) এই নিয়ে ৯ জন কিশোর বা শিশু মারা গিয়েছে। কেউ বল ভেবে খেলতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মারা গিয়েছে। শৌচাগারে গিয়ে মারা গিয়েছে। জঙ্গলে পা পড়ে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে মারা গিয়েছে। আমরা কোন রাজ্য বসবাস করছি? বারুদের স্তূপের উপর পশ্চিমবঙ্গ। কারণ যে রাজনৈতিক দলটিকে দুভার্গ্যবশত তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে, তাঁদের রাজনীতির ভিতটাই বোমা, হিংসা,সন্ত্রাস, দখলদারি। আজকে তাঁদের কারণে গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সমস্ত অফিসারদের ছুটি বাতিল করে দিয়ে, ১৫ দিন সময় দিলাম, সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার করো। আর তারপরে কতগুলি বিস্ফোরণ পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে?!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ঘটনায় ইরানের সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্তা সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সিরিয়ার রাজধানীতে এই ঘটনায় ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) হাতই দেখছে ইরান। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তেল আভিভ।

    ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব (Israeli Air Strike)

    সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইজরায়েলি হানার লক্ষ্যই ছিল ইরানের কনস্যুলেট। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লা গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শত্রুদের শাস্তি ও প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়া হবে না। তারা এও বলেছে, এজন্য (ক্ষেপণাস্ত্র হামলা) তাদের (ইজরায়েলকে) মূল্য চোকাতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ইহুদি দেশ ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে ইদানিং সমস্যার সূত্রপাত ইজরায়েল-হামাস লড়াইকে কেন্দ্র করে। মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। নৃংশসভাবে খুন করে বহু সাধারণ মানুষকে।

    বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশে রয়েছে ইরান

    অচিরেই পায়ে পা তুলে এই ‘ঝগড়া’ করার মাশুল গুণতে হয় হামাসকে। হামাসের দখলে থাকা প্যালেস্তাইনের গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামাসদের পাশে দাঁড়িয়ে যায় মুসলিম রাষ্ট্র সিরিয়া, ইরান। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিও হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহাসাগর দিয়ে চলচলকারী জাহাজের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। এই হুথির পাশেও দাঁড়িয়েছে ইরান। এরই পাল্টা হিসেবে সিরিয়া ও ইরানের নির্দিষ্ট এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলও।

    জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হানায় যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা জাহেদি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হাদি হাজি রহিমি-সহ সাত আধিকারিক। বাকিদের মধ্যে দু’জন সিরিয়া ও অন্যজন লিবিয়ার বাসিন্দা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটের ওপর ইজরায়েলের হামলা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল।

    আরও পড়ুুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কিছু দিন আগেই সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ঘাতক হানা দিয়ে অন্তত ৪০ জনকে খতম করেছিল ইজরায়েল। নিহতদের মধ্যে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও ছিলেন বলে খবর। ঘটনার জেরে ক্ষোভ উগরে দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবেদোল্লাহিয়ান। সিরিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে ফোনে তিনি বলেন, “সব রকম আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভেঙে দিয়েছে তেল আভিভ (Israeli Air Strike)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Swami Smaranananda: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Swami Smaranananda: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smaranananda) মহারাজ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী স্মরণানন্দের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ (Swami Smaranananda) আধ্যাত্মিকতা এবং জীবসেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় ও মননে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি ও প্রজ্ঞা বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।” মোদি আরও লিখেছেন, “কয়েক বছর ধরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুব নিবিড় হয়েছিল। ২০২০ সালে বেলুড় মঠ সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিয়েছিলাম। বেলুড় মঠের অসংখ্য ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা।”

    চলতি মাসেই স্বামী স্মরণানন্দকে (Swami Smaranananda) দেখতে, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রায় ১০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নেন তাঁর চিকিৎসা ও শারীরিক বিষয় নিয়ে। কথা বলেন মঠের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে। কোনও প্রয়োজন হলে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    স্বামী স্মরণানন্দের কর্মজীবন

    উল্লেখ্য,  স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। ১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smaranananda)। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৪৯-এ মুম্বই পাড়ি দেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে, ২২ বছর বয়সে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন তিনি। ১৯৫৮-তে ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর কলকাতা শাখায় আসেন। প্রায় ১৫ বছর ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ’-এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩-তে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বাঁকুড়ার পর খণ্ডঘোষে মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত ১, পাকাবাড়ি কেন পাননি প্রশ্ন

    Purba Bardhaman: বাঁকুড়ার পর খণ্ডঘোষে মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত ১, পাকাবাড়ি কেন পাননি প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বাঁকুড়ার বাঁকদহতে মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল গ্রামে একটিও পাকা বাড়ি কেন হয়নি? রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কী করেছে? একই রকম ভাবে গতকাল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া অঞ্চলের পূর্বচক গ্রামে একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে তিনজন মহিলার চাপা পড়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাকা বাড়ি মেলেনি। এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যথার্থ প্রাপকদের পাকা বাড়ি দিতে কেন বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার।

    ঘটনায় নিহত ও আহতদর পরিচয় (Purba Bardhaman)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বচক গ্রামে প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় শেষমেষ তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদেরকে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে (Purba Bardhaman) পাঠানো হলে তাঁদের মধ্যে জুলেখা বেগম (৩৩) এর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম শেখ হবিবর ইসলাম। ঘটনায় আহতরা হলেন প্রতিবেশী মধুরানী বেগম ( ৩৮ ) এবং সাবানা বেগম (২৮)। তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিৎকিসাধীন রয়েছেন। মৃত জুলেখা বেগমের স্বামী বলেন, “বাড়ি পাকা থাকলে আজ এই ভাবে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।”

    জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধার হয়

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ, রায়না ও সেহারাবাজার (Purba Bardhaman) ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোটা গ্রামের মানুষও। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বর্ধমান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ছিল। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, মাটির দোতলা বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছিল।

    ঠিক কীভাবে ভাঙল দেওয়াল?

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে মাটির মেঝে খুঁড়ে দেওয়ালে লোহার রড ঢোকানোর কাজ চলছিল। নিচ থেকে দোতলায় বেশ কিছু সামগ্রী, আসবাবপত্র উপরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির বড় বৌ জুলেখা বেগম একটি আলমারি সরাতে যাওয়ার সময় আচমকা উপরের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর আলমারির নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। একই সময়ে আরও দুই প্রতিবেশী মহিলা সেখানে ছিলেন, তাঁরাও দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান। প্রতিবেশীরা বলেন, আজ যদি রাজ্য সরকারের দেওয়া একটি পাকা বাড়ি থাকত তাহলে এইরকম বিপত্তি ঘটত না। একটি প্রাণের মৃত্যু ঘটত না। 

    আবেদন করলেও পাকা বাড়ির মেলেনি

    পরিবার অত্যন্ত গরিব, কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাওয়া যায়নি পাকা বাড়ি। মাটির জীর্ণ দুইতলা বাড়িতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ ভেঙে পড়ে বাড়ির দেওয়াল। আবার পূর্বচক গ্রামের তৃণমূল গ্রাম সভাপতি মুন্সি সাইদুল রহিম বলেন, “প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি নিজে এই পরিবারের নাম আবাস তালিকার জন্য পাঠিয়েছিলাম। বাড়ির সার্ভে হয়েছিল। কিন্তু সফটওয়্যার আপলোডিংয়ের সমস্যার জন্য এই পরিবারের নাম বাদ গিয়েছে।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “এই মৃত্যুর দায় তৃণমূলকে নিতে হবে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো টাকা তৃণমূল চুরি করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: মাছ ধরতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু, ঘরের মধ্যেই মায়ের নিথর দেহ! তীব্র চাঞ্চল্য

    Jalpaiguri: মাছ ধরতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু, ঘরের মধ্যেই মায়ের নিথর দেহ! তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ানজুলির পাশেই পড়ে রয়েছে ছেলের দেহ, আবার ঘরের মধ্যেই উদ্ধার মায়ের নিথর দেহ। এই রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ না জানা গেলেও প্রতিবেশীর অনুমান মা-ছেলেকে কেউ পরিকল্পনা করে খুন করেছে।  

    খুনের ঘটনা নয় তো (Jalpaiguri)?

    মাছ ধরতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটেছে ছেলের। আর প্রতিবেশীরা এই ছেলের মৃত্যুর ঘটনার কথা মাকে জানাতে গিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন মা ঘরের (Jalpaiguri) মধ্যেই পড়ে রয়েছেন। বাইরে থেকে ডেকেও উত্তর মিলছিল না। অবশেষে জানা গেল মায়েরও মৃত্যু ঘটে গিয়েছে। এরপরেই ব্যাপক রহস্যের দানা বেধেছে। মা-ছেলের জোড়া মৃত্যুর কারণ কী? খুনের ঘটনা নয় তো?

    মৃত মা-ছেলের পরিচয়

    স্থানীয় (Jalpaiguri) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পরিমল বর্মণ। মৃত মায়ের নাম টুলটুলি বর্মণ। বাড়ি হল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। পেশায় একজন হোমগার্ড ছিলেন পরিমল। সোমবার রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বের হন যুবক কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারেন নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে নয়ানজুলির পাশ থেকে মৃত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। যদিও মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁর মাথার পেছনে বড় একটা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। অনুমান করা হচ্ছে তাঁকে খুন করা হয়েছে।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    ঘটনায় স্থানীয় (Jalpaiguri) প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, “মৃত ছেলের দেহ উদ্ধারের পর মাকে জানাতে এসে প্রথমে বাড়িতে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও কোনও উত্তর মিলেনি। এরপর ঘরে ঢুকে রীতিমত অবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। দেখা যায় ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন টুলটুলি বর্মণ। শরীরে তাঁর প্রাণ নেই।” তবে এই মা-ছেলের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীদের অনুমান দুই জনকেই খুন করা হয়েছে। যদিও কে বা কারা করেছে সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। এই রহস্য জনক মৃত্যু ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানা থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ঘটনা। গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। তারপর আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলানাথ মণ্ডল (৫৩)। রাজ্য জুড়ে ভোটের সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছে (South 24 Parganas)?

    কেওড়াডাঙা (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের ঘটনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন রাতে তৃণমূলের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম বার। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভোটে মনোনয়নের পর থেকেই ভোলানাথ মণ্ডলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর গত ১১ জুলাই গণনার দিন বিষ্ণুপুরে ভোটের গণনায় হেরে যান। আর তার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় বিকেলে তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এবারও মাথায় আবার আঘাত পান তিনি। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি শিরাকোলে গিয়ে উঠেছিলেন ভোলানাথ। কিন্তু আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভোলানাথ মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি দীপক হালদার বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সারা রাজ্য উত্তাল। কেবল মাত্র বিজেপি করা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খুন করা হয় ভোলানাথ মণ্ডলকে। মনোনয়নের পর থেকেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল। অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হত্যার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Cooch Behar) নয়ারহাটে শালবাড়ি-২ এর বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে এবং তার পর কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ৭ই জুলাই আক্রান্ত হন এবং আজ ১৩ ই জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮।

    পরিবারে বক্তব্য (Cooch Behar)

    মৃত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের ভাই অনন্ত বর্মন বলেন, আমাদের বাড়ি শালবাড়ির বজরাগ্রামে। গত ৭ই জুলাই ভোটের আগের দিন রাত ১২ টার সময় আমার দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর দাদাকে ধরালো দা দিয়ে কোপানো হয়। এই আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় দাদা। এতদিন হাসপাতালে (Cooch Behar) ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরের পরে মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর ভাই অনন্ত বলেন, যারা দাদাকে খুন করছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আরও বলেন, আমার দাদার দুই মেয়ে, একজনের বয়স ১৮ অপর একজনের বয়স ১২। এই অবস্থায় পরিবার কীভাবে চলবে! তাই সরকারি সাহায্য চাই।

    অপর দিকে একই দিনে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদে। নির্দলের বাড়ির কাছেই কান্দিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

    মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ

    এক দিকে কোচবিহারে (Cooch Behar) যেমন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ঠিক তেমনি অপর দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত মুনিগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবারেই দুপুরে হঠাৎই মজুত করে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় পশ্চিমপাড়া এলাকায়। নির্দলের প্রার্থী মতিহার বিবি বলেন, আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ তীব্র শব্দ হয়। এরপর দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি আমরা। নির্দলের উপর তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা  এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?   

    শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

    হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share