Tag: Death

Death

  • Train Accident: ট্রেনের ফ্যান থেকে ঝুলছে লাশ! ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন রীতিশঙ্কর

    Train Accident: ট্রেনের ফ্যান থেকে ঝুলছে লাশ! ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন রীতিশঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতল ভেঙে পাঁজরে ঢুকে যাওয়া যাত্রীর আর্তনাদের মাঝে বেঁচে থাকার জন্য হাহাকার। কোনওক্রমে রক্ষা পাওয়া তাঁদের এসি কামরা ভেঙেচুরে তছনছ। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত তিনটে পর্যন্ত রেল লাইনের ধারে গাছ তলায় তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে সময় ট্রেনের টিটিই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন, উদ্ধারকারী দল অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে জল, শুকনো খাবার, ওষুধ দিয়ে তাঁদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন। স্থানীয় মানুষজন সব সময় তাঁদের সাহস দিয়েছেন, নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সকলের চেষ্টায় ৩ জুন দুপুরে তাঁরা হাওড়া পৌঁছান। তারপর রূপনারায়ণপুরের ফ্ল্যাটে রীতিশঙ্কর রায় এবং চিত্তরঞ্জনের রেল কোয়ার্টার্সে মণীশ কুমার, রাকেশকুমার রঞ্জন এবং সঞ্জয় পাল ফিরে আসেন। মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেখার সেই অভিজ্ঞতার (Train Accident) কথা বলতে গিয়ে এখনও কেঁপে উঠছেন, বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।

    কী অভিজ্ঞতার (Train Accident) কথা তাঁরা শোনালেন তাঁরা?

    এই চারজনেরই একজন হলেন রীতিশঙ্কর রায়। তিনি বলেন, আমরা চারজন মিলে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। যখন ঘটনাটা (Train Accident) ঘটল, তখন যে আমরা গাড়ি থেকে নামব, পাদানিতে পা দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। ভয়ে আমাদের হাত-পা কাঁপছিল। ধোঁয়ায় চারদিক ভরে গিয়েছিল। শ্বাস প্রশ্বাসেও কষ্ট হচ্ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেলের আধিকারিকরা এসে আমাদের নিচে নামিয়েছে। তারপর আমাদের খাবার-দাবার জল এইসব দিয়েছে। আমাদের মনের মধ্যে এমনই ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে, যে বলার নয়। আমরা মিথিলা এক্সপ্রেস-এ ফিরেছি। কিন্তু সব সময়ই মনে হচ্ছে, এই বুঝি কোনও ট্রেন এসে মেরে দিল। আগামী দিনে কি ট্রেনে আর চাপবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ট্রেনে তো যেতেই হবে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা (Train Accident) যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা দরকার। কারণ, এ এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এমনও দেখেছি, ট্রেনের যে ফ্যান, তাতে লাশ ঝুলছে। চট করে স্মৃতি থেকে এসব সরবে না।

    অন্যদিকে, বুধবার সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রীতিশঙ্কর রায়ের আবাসনে গিয়ে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরমান সহ অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Train Accident: বগিতে মৃতদেহের মধ্যে আটকে ছিলেন, কোনও রকমে বেরিয়ে এলেন রাজেশ-বিপ্লব!

    Train Accident: বগিতে মৃতদেহের মধ্যে আটকে ছিলেন, কোনও রকমে বেরিয়ে এলেন রাজেশ-বিপ্লব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে (Train Accident) আহত দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাজেশ মান্ডি ও বিপ্লব হেমব্রমকে বালুরঘাটে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনল জেলা প্রশাসন। হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করে তাঁদের নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসইল কাসিম্বি গ্রামে। এঁরা সম্পর্কে জামাইবাবু ও শ্যালক। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। কাজ করে ফিরছিলেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে। ছিলেন জেনারেল কম্পার্টমেন্টে। দুজনের মধ্যে একজনের পায়ে আঘাত লেগেছে, অন্যজনের হাত ভেঙেছে।

    সেই মুহূর্তের কথা (Train Accident)

    দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের (Train Accident) কথা মনে করলে এখনও কান্না ধরে রাখতে পারছেন না রাজেশ মান্ডি। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের কামরায় অনেকগুলি মৃতদেহের মধ্যে আটকেছিলেন তিনি। ওই বগিতে ৫০ জন বেঁচে ছিল। বাকিরা সবাই মৃত। কীভাবে তিনি ট্রেন থেকে মুক্তি পেলেন, তা মনে করতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে তাঁকে বার করার পর নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার একটি হাসপাতালে এবং সেখানে চিকিৎসা করার পর নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। পরে হাওড়া হাসপাতাল থেকে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল জেলায়। এখন তাঁরা মোটামুটি সুস্থ। রেল পুলিশ, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম এই দুই আহত যাত্রীকে নিয়ে আসে এবং অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

    কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    আহত যাত্রী বিপ্লব হেমব্রম ও রাজেশ মান্ডি বলেন, সেদিনের কথা মনে পড়লে কান্না পায়, ভয়ও লাগে। আমরা ব্যাঙ্গালোর থেকে কাজ করে যশবন্ত এক্সপ্রেসে করে বালুরঘাটে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ পরপর আমাদের বগিটা ধাক্কা মেরে অন্য দিকে চলে গেল। যখন ধাক্কা (Train Accident) লাগে, তখন আমরা ভাবছিলাম যে হয়তো আর বেঁচে নেই। তার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসতে দেখি, হাতে-পায়ে লেগেছে। আমাদের ওপর অনেক মৃতদেহ ছিল। তখন আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। ওড়িশা থেকে আমাদেরকে হাওড়ায় আনা হয়। সেখান থেকে এদিন আমাদের বালুরঘাটে আনা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত রোগীকে জীবিত বলে সারারাত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত রোগীর পরিবারের লোকজন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ইংলিশবাজার থানায়। মালদা শহরের গৌড় রোড় এলাকায় একটি নামি নার্সিংহোমের (Nurshing Home) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে।  

    কীভাবে মৃত্যু হল রোগীর?

    জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বনমালি সরকার। বাড়ি মালদার গাজোল থানার শিক্ষকপল্লি এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ থাকায় ওই ব্যক্তিকে শনিবার গৌড় রোড় এলাকায় একটি নার্সিংহোমে (Nurshing Home) ভর্তি করা হয়। রাতে নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয়, রক্ত লাগবে। রাতে না দিতে পারলেও সকালের মধ্যে রক্ত জোগাড় করে দিলেই হবে, এই কথাও জানানো হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু রবিবার সকালে এসে পরিবারের লোক জোর করে নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে দেখতে পান, তাঁদের রোগী মারা গেছে। 

    মৃত মানুষকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা?

    মৃত রোগীর জামাই সানি দত্তের অভিযোগ, মৃত মানুষকে কিভাবে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা যায়? তাঁরা জোর করে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, আইসিইউ-তে রয়েছে তাঁদের রোগী, কিন্তু মারা গেছে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। অথচ নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ তাদের কিছুই জানায়নি। মৃত রোগীকে জীবিত বলে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করত নার্সিংহোম, এমনই অভিযোগ করেন তিনি। এই মর্মে ইংলিশবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ। 

    কী জবাব দিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ?

    এই বিষয়ে নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও মৌখিকভাবে জানায়, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রক্ত জোগাড় করতে না পাড়ায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক বাহিনী এবং প্যারামিলিটারি ফোর্স অর্থাৎ আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে সুদান (Sudan Clash)। রাজধানী খার্তুম এবং আশপাশের এলাকায় অহরহ চলছে গোলাগুলি। রবিবার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখমের সংখ্যা ৫৯৫। তবে অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ রাজধানীর খবর যেভাবে আসছে, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ‘এমন ভয়াবহ দৃশ্য তাঁরা আগে কখনও দেখেননি’

    এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সর্বত্র গোলাগুলি চলছে, বাদ যাচ্ছে না ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাও। এমন ভয়াবহ দৃশ্য (Sudan Clash) তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান, আরব লিগের প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান সহ শীর্ষ কূটনীতিবিদরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিলেও লড়াই কিন্তু এখনও জারি রয়েছে। আক্রমণ চালানো হয়েছে বিমানবন্দরেও। সেখানে বিমান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মৃত্যুও হয়েছে দুই সাধারণ নাগরিকের। 

    প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও

    দুই বিবদমানের প্রকাশ্য লড়াইয়ে (Sudan Clash) প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। ডক্টর এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহত ভারতীয়ের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার জন্য দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে। খার্তুমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ওই ব্যক্তি সুদানের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রকাশ্য রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। 

    দাবি-পাল্টা দাবি অব্যাহত

    প্যারামিলিটারির সাপোর্ট ফোর্সেস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, সেনাবাহিনীর প্রধানের বাড়ি, স্টেট টেলিভিশন স্টেশন এবং বিমানবন্দর তারা দখল করে নিয়েছে। যদিও সেনার পক্ষ থেকে এইসব দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সেনার পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাজধানীর কাছে প্যারামিলিটারির ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সুদানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে কয়েক মাস ধরেই ক্ষমতা দখলের দড়ি টানাটানি (Sudan Clash) চলছে। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতি এই যুদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে যেমন যাবতীয় সমঝোতার পথ বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি আধাসেনার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘ক্রিমিনাল’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, যুদ্ধ এখনই থামার নয়।

    নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে

    অন্তর্ন্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সুদান। উত্তর আফ্রিকার এই রাষ্ট্রটি নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে। একদিকে অনগ্রসর এবং অন্যদিকে মুসলিম অধ্যুষিত এই রাষ্ট্রে শুরু হয়েছে সেনা এবং আধা সেনাবাহিনীর লড়াই (Sudan Clash)। ২০২২ সালের অক্টোবরে ভয়ংকর জাতিসংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল এই সুদান। জমি নিয়ে বিবাদে জাতিসংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ১৭০ জনের। এবার প্রকাশ্য লড়াইয়ে সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সময় যে আধাসেনা ছিল তাদের সাহায্যকারী, আজ তারাই লড়েইয়ের ময়দানে তাদের প্রতিপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Accident Death: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ বিজেপি নেতার, স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ নেতৃত্ব

    Accident Death: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ বিজেপি নেতার, স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় (Accident Death) মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই বিজেপি নেতার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই বিজেপি নেতা মন্ডল সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাবনি থানার গৌরান্ডী থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তার আমডিহা মোড় এলাকায়।

    কী বলছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ?

    তবে দুই বিজেপি নেতার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে (Accident Death) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, দুই বিজেপি নেতার মৃত্যু রহস্যজনক দুর্ঘটনা বলে তাঁরা মনে করছেন। আদতে কি দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ দে ও রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জিরা। তাদের বক্তব্য, ওই দুই নেতা খুবই লড়াকু ছিলেন। কিন্তু তারা গ্রামে থাকতে পারতেন না। আসানসোলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যার পর আসানসোল ফিরে পড়তেন। এদিনও তাই করেছিলেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলেই তারা মনে করছেন। 

    কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা ?

    মৃত দুই বিজেপি নেতার নাম বাবলু সিংহ ও মহেন্দ্র সিংহ। এঁরা দাসকেয়ারির বাসিন্দা। এঁরা দুজনেই একটি মোটর বাইকে করে গৌরান্ডী থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বারাবনি থানার আমডিহা মোড়ে এক পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বের হওয়ার সময় কোনও বড় লরি এসে তাঁদের ধাক্কা মারে (Accident Death)। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাবলু সিংহের। আহত অবস্থায় পুলিশ মহেন্দ্র সিংহকে নিয়ে যায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর তিনিও মারা যান। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে আসে বারাবনি ব্লক জুড়ে। তবে দুর্ঘটনার পর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘাতক কোনও লরি ধরা পড়েনি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব ? 

    অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির হাতে কিছু কাজ নেই। তাই তৃণমূলের নামে সব জায়গায় বদনাম করার চেষ্টা করছে। পথ দুর্ঘটনার (Accident Death) তদন্ত করছে পুলিশ। আর এই দুর্ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রং দিচ্ছে! সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলার জন্য ইস্যুর দরকার। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বারাবনিতে প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই তারা তৃণমূলের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Fire) একটি বহুতলে আগুন লেগে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    কীভাবে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা

    ঢাকার (Bangladesh Fire) দমকল বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেইলি রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বাড়িট সাত তলা। ওই ভবনের নিচের তলায় একটি কফির দোকান আছে। সেখান থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন সিআইডি আধিকারিক মোহাম্মদ আলী মিয়া। ওই বহুতলটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হত। সেখানে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। বহুতলটির দ্বিতলে একটি বিরিয়ানির দোকান ছিল। সেখানেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ক্রমে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নীচ থেকে উপরের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িটির মধ্যেই অনেকে আটকে পড়েন। আগুন এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনা গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    অগ্নিবিধি লঙ্ঘন করার ফলে বাংলাদেশের বহুতলে বা কারখানয় আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বারবার এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকে ওপার বাংলা। এদিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে এএফপিকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যাতে ঠিকমত চিকিৎসা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছন তিনি। এই ঘটনার কারণ জানতে ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে দেড় বছরের ছেলেকে খুন  করেছিল মা, ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    Howrah: প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে দেড় বছরের ছেলেকে খুন করেছিল মা, ফাঁসির সাজা দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পুত্র খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত মাকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদলাত। একই সঙ্গে ফাঁসির শাস্তি ঘোষণা হয়েছে মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধেও। এই রায় দিয়েছেন হাওড়া (Howrah) ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ফলকনামা এক্সপ্রেসে ট্রলি ব্যাগে ছিল দেহ (Howrah)

    ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল, ২০১৬ সালে। জানুয়ারি মাসের শুরুতেই হাওড়া (Howrah) রেল স্টেশনের ফলকনামা এক্সপ্রেসের ট্রলি ব্যাগের মধ্যে থেকে একটি শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জিআরপি পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল। এরপর জিআরপি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এরপর আজ দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করে আদালত।

    স্বামীকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি ত্যাগ করছিল মা

    স্থানীয় (Howrah) সূত্রে জানা গিয়েছিল, নিজের স্বামীকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি ত্যাগ করেছিলেন হাসিনা সুলতানা। অন্ধ্রপ্রদেশের গুনটুর থেকে পালিয়ে প্রেমিক ভানু শাহর সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসে। এরপর দুই জনেই ঘর ভাড়া করে একসঙ্গে থাকছিলেন। কিন্তু এই প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল হাসিনার ছেলে জিশান। এরপর জানা যায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নিজের ছেলেকে খুন করে ফলকনামা ট্রেনে ব্যাগের মধ্যে রাখা হয় দেহ। অপর দিকে মেয়ের খোঁজ পেতে হাসিনার বাড়ির লোক ছবি দিয়ে থানায় নিখোঁজের রিপোর্ট লেখায়। এরপর সেই সূত্র ধরে শুরু হয় রেল পুলিশের তদন্ত। আবার ট্রেনের মধ্যেই জিশানের মৃত দেহের সঙ্গে মেলে ছবিও। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হাওড়া জিআরপি পুলিশ গ্রেফতার করে হাসিনা এবং তাঁর প্রেমিককে। এরপর মামলা চলে কোর্টে এবং অবশেষে আজ ফাঁসির শাস্তি দেয় আদালত।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) কোর্টের সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং তথ্যের ভিত্তিত্বে আজ দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কোর্ট। বিচারপতি সন্দীপ চক্রবর্তী, মা এবং তাঁর প্রেমিককে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন।” অপর দিকে কোন্নগরে মাত্র ৮ বছরের শিশুকে নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনায় মা এবং বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, মা শান্তা এবং বান্ধবী ইফ্ফাত পারভিনের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শিশু কি তাঁদের সম্পর্কের কাঁটা ছিল? কে খুন করল? এই সব বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে। যদিও খুনের কথা এখনও কেউ স্বীকার করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মৃত ধানী ওরাওঁ বা তাঁর স্ত্রী নন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের খাদ্যসঙ্কট এবং অপুষ্টিতে ভুগছেন আরও অনেক চা শ্রমিক। এইরকম চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ জন। গতকাল শুক্রবার এমনই অভিযোগ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বিনয় কেরকাট্টা।

    উল্লখ্য, সম্প্রতি অনাহারে মৃত্যর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের চূড়ান্ত নির্মমতার অভিযোগ করেছেন ওই বাগানের শ্রমিকদের একাংশের মানুষ। ২০০৪ সালে বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে একই রকম অনাহার, অপুষ্টিতে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের পর থেকেও চিত্রটা একদম বদলায়নি। রাজ্যের উন্নয়নের জোয়ারে এখন মা-মাটি সরকারের ঘুম কবে ভাঙবে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বলেন মজদুর সংগঠন (Alipurduar)?

    কয়েকদিন আগে কালচিনিতে (Alipurduar) অনাহারে অপুষ্টিতে চা বাগানে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বিনয় কেরাকাট্টা বলেছেন, “ধানী ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও মধু বাগানে আরও ৩০ জন স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন। আবার অনেকে রেশন পেলেও পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায়, খাবার কিনে খাওয়ার মতো পরিস্থিতির মধ্যে নেই তাঁরা। বাধ্য হয়ে অনেকে ফুল, গাছের পাতা তুলে রান্না করে খাচ্ছেন। নেতারা কেবল ভোটের সমানে এসে প্রতিশ্রুতি দিলে সমস্যা সমাধান নিয়ে কেউ ভাবেন না। ভোট চাইতে আসেন আবার ভোট মিটে গেলে ভুলে যান। শ্রমিকদের জীবন জীবিকা নিয়ে কেউ চিন্তিত নন।”

    ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের বক্তব্য

    শুধু কালচিনির (Alipurduar) মধু বাগান নয় উত্তরের আরও অনেক বাগানের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নির্মল দাস এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “অনেক বাগানের শ্রমিকেরা নানান দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ খুব করুণ অবস্থায় রয়েছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা শ্রমিকদের নিয়ে কিছু ভাবছে না। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা পথে নামবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই সমস্ত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা সাতালি গ্রাম পঞ্চায়েত (Alipurduar) উপপ্রধান ইসদর খারিয়া পালটা বক্তব্য দিয়ের জানিয়েছেন, “গত ৮ বছর ধরে বাগান বন্ধ। করোনার জন্য লকডাউন ছিল। সেই সময়ে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। এখনও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। অনেকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কে চরিতার্থ করতে এই রকম অভিযোগ করছেন। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে আছি। ধানীবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা ছিল, আমরা তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির বন্দি অবস্থায় মৃত্যু। এই মৃত্যু ঘটেছে বর্ধমান (Bardhaman) সংশোধনাগারে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সংশোধনাগারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কীভাবে ঘটল মৃত্যুর ঘটনা তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনায় জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    মৃত বন্দির পরিচয় (Bardhaman)?

    সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির নাম হল হাতেম আলি মণ্ডল। তার বাড়ি হল পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) মন্তেশ্বর থানার ভাগড়া গ্রামে। গতকাল সোমবার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। এছাড়াও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে কালনার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক এই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শাস্তি হিসেবে তার আজীবন কারাবাস হয়। সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য এই আসামী শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়

    সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে গত রবিবার রাতে প্রথমে ওই বন্দিকে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ভর্তি না করে বহির্বিভাগে  চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার ফের অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকেরা। এরপর ইতিমধ্যে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়। ঘটনায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “রবিবার রাত ১ টায় ওই বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন ভর্তির মতো অবস্থায় ছিল না সে। পরে যখন আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সেই সময় সে মৃত ছিল বলে জানা যায়।” এখন ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ ঠিক করে জানা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তলব করে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prabrajika Amalaprana:  রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণার জীবনাবসান

    Prabrajika Amalaprana: রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণার জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা (Nun Amalaprana Passes Away) মাতাজির জীবনাবসান হয়েছে। রবিবার দক্ষিণেশ্বর সারদা মঠে রাত ৮টা ১২ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে প্রায় দু’মাস ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 

    অমলপ্রাণা মাতাজিকে শেষ শ্রদ্ধা

    আজ, সোমবার সকাল সাতটা থেকে অমলপ্রাণা মাতাজির (Prabrajika Amalaprana) নশ্বর দেহ সারদা মঠের স্কুল ভবনে শায়িত। ভক্তরা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। গত ২২ অক্টোবর বুকে যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্টের জন্য মাতাজিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। চলছিল ডায়ালিসিসও। সূত্রের খবর, মাতাজির ইচ্ছানুসারে এ দিন সকালে তাঁকে ভেন্টিলেশন সার্পোটে হাসপাতাল থেকে দক্ষিণেশ্বরের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। তাঁর মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া।

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে তৈরি ৪৮টি ব্রোঞ্জের ঘণ্টা পাঠানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    অমলপ্রাণা মাতাজির কর্মজীবন

    এর পর সন্ধ্যায় জীবনাবসান।  ১৯৩১ সালে মহীশূরে জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। জ্যোতিশ্বরানন্দের কাছে দীক্ষা নেন অমলপ্রাণা মাতাজি। ১৯৫৭ সালে তিনি সারদা মঠে যোগ দেন। তার ঠিক আট বছর পর ১৯৬৫ সালে সন্ন্যাস নেন। ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যা ভবনের সহ-সম্পাদক এবং ১ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানেরই অধ্যক্ষা হন। ১৯৭৪-এর ১ এপ্রিল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিদ্যা ভবনের সম্পাদক ছিলেন মাতাজি। ১৯৮৩-তে শ্রী সারদা মঠের পরিচালন সমিতির সদস্য হন। ১৯৯৪-এর মে মাসে সঙ্ঘের সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৯৯ সালের অগস্টে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণের পরে ১৭ নভেম্বর থেকে সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন অমলপ্রাণা মাতাজি (Nun Amalaprana Passes Away) । 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share