Tag: Death

Death

  • MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    MS Swaminathan: ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক! কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দুর্ভিক্ষ রোখার জন্য এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষ দিক থেকে ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ষাটের দশকে ভারতে উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তার পিছনে বড় অবদান ছিল প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বাড়িতে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বামীনাথনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল সাইটে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল।”

    স্বামীনাথনের বড় হওয়া

    স্বামীনাথনের জন্ম ১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায়। ১১ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবাকে। জেনারেল সার্জেন এমকে সাম্বসিবনের ছেলে স্বামীনাথন ১৫ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা শুরু হয় জুলজির হাত ধরে কেরলে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাজ, দিল্লি ও আরও পরে নেদারল্যান্ডস, ইউকে, আমেরিকা থেকে একের পর এক ডিগ্রি সঞ্চয় করেন ও উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান।

    স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত 

    বিদেশে পড়াশোনায় একটা বড় সময় কাটালেও স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত স্বামীনাথনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ। দেশের মানুষের মুখে খাবার যোগাতে তিনি কৃষি গবেষণায় মন দেন। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ, মূলত পাঞ্জাবে তিনি আমূল পরিবর্তন আনেন। কৃষিবিজ্ঞানী হিসাবে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। 

    স্বামীনাথনের গবেষণা

    দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল। টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশে। এই সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রধান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি গবেষণা এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের দায়িত্বও সামলান।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    স্বামীনাথনকে সম্মান

    কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় স্বামীনাথনকে। পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে পর পর দু’বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৮৬ সালে পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইস্টাইন অ্যাওয়ার্ড। কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরেও দেশ-বিদেশের একাধিক পরিবেশগত এবং কৃষি সংক্রান্ত সংস্থায় পরামর্শদাতা কিংবা সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কের নতুন নাম স্ক্রাব টাইফাস। একাধিক রাজ্য়ে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ওড়িশায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে ন’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    ওড়িশার বরগড় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সাধু চরণ দাস জানান, রাজ্যে স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই বরগড় জেলার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে দুইজন সোহেলা ব্লকের বাসিন্দা ও বাকি তিনজন আট্টাবিরা, ভেদেন ও বারপালির বাসিন্দা। আক্রান্তরা সকলেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হিমাচল প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২৯৫ জন বাসিন্দা স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত বলে প্রমাণ মিলেছে।

    স্ক্রাব টাইফাস কী?

    স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। সাধারণত গ্রামের কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়। যদিও শহুরে এলাকায় বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে ছোট ঝোপঝাড়, গাছপালা কিংবা পোষ্যের গায়ে এই ধরনের পোকার দেখা হামেশাই মেলে। সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। 

    আরও পড়ুুন: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণের উপসর্গ

    এই রোগের উপসর্গগুলি হল তীব্র মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, পিঠে ও বুকে র‌্যাশ, পেটের সমস্যা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আক্রান্তের চোখ লাল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে গ্রাস্ট্রোইন্টেসটিনাল সমস্য়া,মেনিনজাইটিস। লিভার বেড়েও যেতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অঙ্গপ্রতঙ্গ কাজ বন্ধ করে দিতে পারে এবং মৃত্যুও হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ‘মৃত’ ব্যক্তির দুধ পান! পরে, হাসপাতালে নিয়ে গেল মৃত ঘোষণা! এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল মুর্শিদাবাদে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের জগদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির জমা জলে নেমে নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ করছিলেন অর্জুন সিং নামক এক ব্যক্তি। সেই সময় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, উপস্থিত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন ওই শ্রমিককে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন। 

    এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। দাবি, দেহ বাড়িতে নিয়ে এলে পরিবারের লোকজন ‘মৃত’ শ্রমিকের দেহে আচমকা নড়া-চড়া লক্ষ্য করেন। শুধু তাই নয়। পরিবারের দাবি, এর পর বাড়িতে গরম দুধও খান ওই ‘মৃত’ ব্যক্তি। পরিবারের আরও দাবি, এর পর ফের একবার ওই শ্রমিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রমিককে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এবারও মৃত ঘোষণা করেন।

    পরিবার কী বলছে?

    মৃত শ্রমিকের পরিবারে অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, ভালো করে পরীক্ষা না করেই প্রথমে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমবার ঠিক মতো চিকিৎসা হলে হয়তো অর্জুন সিং বেঁচে যেতেন। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, ভালো করে পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। মৃত শ্রমিকের মেয়ে নিসা সিং জানান, প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কোনও চিকিৎসা করেননি। পরে বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাবা গরম দুধ খান। কিন্তু দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং সময়কে স্পষ্ট করার জন্য পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছিল কিনা এই নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে (Balurghat) আত্রেয়ী নদীর উপর নির্মীয়মাণ বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু মাঝে বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপদ এড়াতে নির্মীয়মাণ বাঁধের পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেখানেই স্নান করতে উপচে পড়ছে ভিড়। ওই জলের স্রোতে ইতিমধ্যেই অনেকে ভেসে গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকজন নির্মীয়মাণ বাঁধের লোহার আঘাতে জখম হয়েছে। যা নিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সেচ দফতর ও নির্মাণ সংস্থা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সকলকে তুলে দিলেও সমস্যা কাটেনি। তাই ওই এলাকাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রশাসন।

    কী বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) সদর মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, আমাকে সেচ দফতরের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। আগামীতে ওই এলাকা বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ বলে প্রচার করা হবে। কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ওই জায়গাটা এমনিতেই বিপজ্জনক। তাই সেখানে কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য পুলিশ নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি সেচ দফতরকেও প্রচার ও সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেচ দফতরের ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সঞ্জয় পারেখ বলেন, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় জলস্তর বেড়েছে। যার ফলে নদীর একপাশ থেকে জল ছেড়ে দিয়েছি আমরা। সেই জলস্রোতে স্থানীয় বহু মানুষ স্নান করতে নামছে। একজন তলিয়ে গিয়েছিল। আমরা বাঁচিয়েছি। এছাড়া দুজন জখম হয়েছে। আমরা কাজ করব, না মানুষ বাঁচাব? যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

    কাজ শেষের মুখেই নয়া বিপদ

    প্রসঙ্গত, আত্রেয়ীর জলের সমস্যা মেটাতে বালুরঘাট (Balurghat) শহরে এর উপরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ। ওই বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ বাকি অংশের কাজ শেষ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে সেচ দফতর। ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে সেই কাজ শুরু হয়েছে। নদী বরাবর ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁধের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। দুপাশে দুটি স্লুইস গেটের কাজও চলছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ না হতেই বিপদ বাড়ছে এলাকায়।

    কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন

    জানা গিয়েছে, ওই বাঁধের পশ্চিমপাড়ে জলের স্রোত বয়ে চলেছে। ওই জলস্রোতের সৌন্দর্য দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছে, তেমনি সেই জলে স্নান করতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে এখনও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। নদীর মধ্যে অনেক জায়গায় লোহার রড, সিমেন্টের পোল সহ নানা ধারালো সরঞ্জাম রয়েছে। ফলে স্নান করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। একজন জলে তলিয়ে গেলে তাকে দড়ি দিয়ে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। তাই প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় পুলিশকে (Balurghat) নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিপজ্জনক এলাকা এবং সাইরেন সহ নানা সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আত্রেয়ীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে তলব করল জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন। সাত দিনের মধ্যে এই তিন জনকে দিল্লিতে কমিশনের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করারও সুপারিশ করেছে তারা।

    রাজ্যের অসহযোগিতা

    নাবালিকার মৃত্যু ও পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকভাবে ওই কন্যার দেহ উদ্ধার নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের উপাধ্যক্ষ অরুণ হালদার ঘটনাস্থলে যান। রবিবার যখন ওখানে অরুণ হালদার এসেছিলেন, তখন কোনও পদস্থ অফিসার ছিল না। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অরুণ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা অসহযোগিতা করেছেন। জেলাশাসক, এসপি তো দূরের কথা, তদন্তকারী অফিসারও দেখা করেননি। তাঁরা যে ব্যাখ্যা ঘটনাস্থলেই দিতে পারতেন, তা না করায় এখন দিল্লিতে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে। নোটিসে সাড়া দিয়ে না এলে, কমিশনের সমন পাঠানো এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।’’ রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) ঘটনার আসল তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে অরুণ বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ৫ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১৫ জনের, আজ আকাশ থাকবে কেমন?

    ‘রহস্য’ দেখছে হাইকোর্টও

    কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের বক্তব্যে ‘রহস্য’ দেখছে কলকাতা হাইকোর্টও। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শেষকৃত্য নিয়ে পরিবার যা জানিয়েছে, তার সঙ্গে মিলছে না রাজ্য সরকারের বক্তব্য। রাজ্যের দাবি, ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। তাই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়েছে। যদিও নাবালিকার মা হাইকোর্টে জানান, রাজ্য সঠিক কথা বলছে না। ওই কিশোরীর দেহ এখনও পোড়ানো হয়নি। পরিবারের তরফে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে ওই নাবালিকার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানানো হয়। এতেই ‘রহস্য’ দেখছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি। রাজ্যকে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদের জেরে বিহারে (Bihar) মৃত্যু মিছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই জেলার লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও হরিসিদ্ধির মতো গ্রামগুলিতে অনেকে বিষ মদ পান করেন বলে অভিযোগ। বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    বিহার (Bihar) সরকার ২০১৬ থেকে ওই রাজ্য়ে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও এভাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা। 

    তদন্তে বিশেষ দল

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিহার প্রশাসনের। মতিহারির বিষমদকাণ্ডের তদন্ত করছে পাঁচ পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ টিম। দুইজন ডিএসপি ও তিনজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সেই দলে রয়েছেন। অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    গত বছরের ডিসেম্বরে ছাপরা ও সিওয়ানে বিষ মদ পানের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ছাপরায় প্রাণ হারান ৫০ জন। অন্যদিকে সিওয়ানে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। এর পরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে সিট গঠন করে নীতীশ কুমারের সরকার। সম্প্রতি বিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো মানুষ থাকলে সুশাসন আসা সম্ভব নয়। বিহারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।” বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে দাবি, নামেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রখর দাবদাহ, অন্যদিকে করোনা (Covid-19)—সাঁড়াশি আক্রমণে নববর্ষের প্রাক্কালে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস ওঠার উপক্রম। কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। নতুন বছরের গোড়ার দিকে করোনা নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারও। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। তবে আবার উদ্বেগ বাড়ল এক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘিরে। 

    কলকাতায় মৃত্যু

    কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ভাস্কর দাস (৭৬) করোনায় (Covid-19) সংক্রামিত হয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাঘাযতীনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। ওই দিনই বৃদ্ধর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনের দাবি, তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। তার মধ্যে কলকাতায় ১৭ জন। দিন কয়েক আগেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ষাটের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিক থেকে এটাই ইতিবাচক যে, সংক্রামিতের সংখ্যা কমছে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭০। তার মধ্যে কেউ বাড়িতে থেকে কেউ বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও।

    আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ

    গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩০ জন। বুধবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠায় করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ভিড় এলাকায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। শুধু তাই নয়, আম জনতার করোনার টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার (Covid-19) বাড় বাড়ন্তের পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়স্ক ও শিশুদের পক্ষে। তাই যাঁরা গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের অবিলম্বে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন মহলে করোনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, রাজ্যে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে, তা হল ওমিক্রন XBB.1.16। যা মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকতে পারছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে দিন পনেরোর মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sasthipada Chattopadhyay:  প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    Sasthipada Chattopadhyay: প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যায়, চিকিৎকরা সবরকম চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে একটা যুগের অবসান হল।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়িতেই স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপরই অশীতিপর ষষ্ঠীপদকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ৩টের সময় হাসপাতাল থেকে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার জগাছা এলাকার ধারসায়, তাঁর নিজ বাসভবনে। হাওড়ার শিবপুর বার্নিং ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু ফের ধাক্কা। এবার আর সামলাতে পারলেন না তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ষষ্ঠীপদের সৃষ্টি

    ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’বাঙালির কাছে এক আবেগের ছোঁয়া। ষষ্ঠীপদের (Sasthipada Chattopadhyay) লেখনিতেই বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু —এই পঞ্চ পাণ্ডব জটিল রহস্যের সমাধান করেছে বইয়ের পাতায়। প্রতিটা চরিত্রই যেন জীবন্ত। তাঁর এই কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিক স্ট্রিপ, টেলিভিশন ধারাবাহিকও। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্মগ্রহণ করেন ষষ্ঠীপদ। কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যসাধনা শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকে রোমাঞ্চের প্রতি ছিল তাঁর অমোঘ টান। তাঁর গল্প, উপন্যাসে ভ্রমণের ছাপ পাওয়া যায়। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র পাশাপাশি ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী’, ‘কিশোর গোয়েন্দা তাতার-এর অভিযান’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প রচনা করেছেন ষষ্ঠীপদ। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay) প্রকাশিত জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় এই সাহিত্যিককে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Basanti: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

    Basanti: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী (Basanti)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। গুরুতর জখম হলেন তিনজন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভারতীর মোড়ের কাছে তীতকুমার এলাকায়।

    বিস্ফোরণে ভস্মীভূত

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী থানা এলাকার আমছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারতী মোড় এলাকায় মনিরুল খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই সশব্দে ফাটে বোমা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। আহত হন ২ জন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হতাহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, বিস্ফোরণে ভস্মীভূত হয়ে যায় সেই বাড়ি। ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই এসে দেখেন, বাড়ির ভিতরে থাকা তিনজন ঝলসে গিয়েছেন। মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশের বিশাল টিম ঘটনাস্থলে যায়। এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। তবে এলাকাবাসী এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কোয়ালিফায়িং রাউন্ড চলছে তৃণমূলের। আসলে তৃণমূলই এখন বোমা। বোমাই তৃণমূল। তাই এসব চলবেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে অশান্তি ছড়াতে তৃণমূলই বোমা মজুত করছে।” বিরোধীদের কথায়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার সর্বত্র একই ঘটনা ঘটছে। বাসন্তী, ক্যানিং এলাকায় কার মদতে বোমা তৈরি হয় পুলিশ কি জানে না? কারা এলাকাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে তা-ও কি জানে না পুলিশ? প্রশ্ন বিরোধীদের। যার বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এলাকায় পুলিশি টহলদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share