Tag: defence

defence

  • Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘তমাল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা এটাই হবে শেষ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal)। রাবণ-পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) মতোই আড়ালে থেকে শত্রুর উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ তমাল। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইয়নটার শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’গুলির অন্যতম তমাল।

    রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনায় (Indian Navy) যোগ দিয়ে সমুদ্রযুদ্ধের মহড়ায় যোগ দেবে আইএনএস তমাল। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal) বানাচ্ছে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। এই তালিকার প্রথমটি, আইএনএস তুষিল ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিয়েছে। এ বার পালা আইএনএস তমালের। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা এবং যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এখন রাশিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী।

    কী কী অস্ত্রে সমৃদ্ধ তমাল

    ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন তমাল একটানা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তমালে (Stealth Frigate Tamal) থাকছে বিমানবিধ্বংসী কামান। পাশাপাশি থাকছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পিডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ-৩১ হেলিকপ্টার থাকছে, যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়ায় এখন যুদ্ধজাহাজ তমালের ট্রায়াল চলছে। বিশেষ করে এর জন্য ২০০ জন ভারতীয় নৌসেনা সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। এই ট্রায়াল চলবে প্রায় ৬ সপ্তাহ। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তমালকে ভারতে আনার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ballistic Missile Defence System: নয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের সফল পরীক্ষা ভারতের, পাল্লা কত জানেন?

    Ballistic Missile Defence System: নয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের সফল পরীক্ষা ভারতের, পাল্লা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল সাফল্য। সফল হল দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের (Ballistic Missile Defence System) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। ওড়িশা উপকূলের অদূরে বুধবার এই পরীক্ষা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্র। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, সংক্ষেপে ডিআরডিও (DRDO)।

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? (Ballistic Missile Defence System)

    সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিওর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “এই সফল ফ্লাইট টেস্ট আরও একবার দেশের ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স ক্ষমতা প্রমাণ করল।” সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে একটি মিমিকিং অ্যাডভারসারি ব্যালিস্টিক মিসাইলকে টার্গেট মিসাইল বানিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এলসি-৪ ধর্মা থেকে। স্থলে এবং সমুদ্রে থাকা ওয়েপন সিস্টেম রাডারগুলি সেগুলিকে চিহ্নিত করেছিল। 

    লঞ্চ হল ইন্টারসেপ্টর মিসাইল…

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শত্রুরূপী মিসাইলটি রেডারে আসতেই সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এডি ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম। ৪টে ২৪ মিনিটে ফেজ-২ এডি এনডো-অ্যাটমস্ফেরিক মিসাইলটি লঞ্চ হয়েছিল চাঁদিপুরের এলসি-৩ আরটিআর থেকে। এই ফ্লাইট টেস্ট সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিক ওয়ারফেয়ার ওয়েপন সিস্টেমকে যাচাই করার সব ধাপগুলি সফলভাবে পেরিয়েছে। এই ওয়েপন সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে লং রেঞ্জ সেন্সর, লো ল্যাটেন্সি কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং এমসিসি ও অ্যাডভান্সড ইন্টারসেপ্টার মিসাইলগুলি।

    আরও পড়ুন: “আমাদের দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা”, তোপ কানাডার সাংসদের

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী হবে এই নয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile Defence System)। ভারতীয় সেনার নয়া স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডের তত্ত্বাবধানে আগেই প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছে এই মিসাইলের ব্যবহারিক কৌশল ও লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা। এদিন হল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। সূত্রের খবর, নয়া এই মিসাইল ‘অগ্নি’ সিরিজের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়।

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মিসাইলটির পারফরমেন্স মনিটরিং করা হচ্ছিল ফ্লাইট ডেটা থেকে। এই ডেটা সংগ্রহ করেছিল রেঞ্জ ট্র্যাকিং যন্ত্র। জাহাজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় (DRDO) রাখা হয়েছিল এই যন্ত্র। সেখান থেকেই মিলেছে যাবতীয় তথ্য (Ballistic Missile Defence System)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ল বরাদ্দ, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর?

    Budget 2024: বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ল বরাদ্দ, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2024) পেশ করল তৃতীয় মোদি সরকার। সংসদে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে সব চেয়ে বেশি বরাদ্দ প্রতিরক্ষা (Defence) মন্ত্রকে। প্রতিরক্ষায় দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নজিরবিহীনভাবে এদিন পেশ হওয়া বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬.২২ লাখ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের মোট বরাদ্দের ১২.৯ শতাংশ। গত বাজেটের চেয়ে ৪.৭৯ শতাংশ বেশি।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য (Budget 2024)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বাজেট বরাদ্দের মধ্যে থেকে ১.৭২ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম অধিগ্রহণের জন্য। এর মধ্যে যেমন থাকবে অত্যাধুনিক এবং প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্র, তেমনি থাকবে যুদ্ধবিমান, জাহাজ, সাবমেরিন এবং ড্রোনও। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশনাল প্রস্তুতির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে গত অর্থবর্ষের চেয়ে ৪৮ শতাংশ। বাজেট বরাদ্দের ১.০৫ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে দেশীয় সংস্থাগুলির থেকে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য। এই উদ্যোগ ভারতের আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদদের আশা, এতে একদিকে যেমন বাড়বে জিডিপি সংগ্রহ, তেমনি তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।

    আরও পড়ুন: বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    মেক ইন ইন্ডিয়া

    বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ায় খুশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ((Budget 2024)) আত্মনির্ভরতা ও মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি আরও গতি পাবে।” অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্যই এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলেও জানান তিনি। সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এজন্য বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। উপকূলীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭,৬৫১.৮০ কোটি টাকা। কেবল দ্রুতগামী টহলদারি যান, বৈদ্যুতিন নজরদারি (Defence) ব্যবস্থার উন্নতি ও অস্ত্র সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা (Budget 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ল ভারতে (India) বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন (Defence Production)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই উৎপাদন গড়েছে রেকর্ড। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেই জানানো হয়েছে একথা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১.২৭ লাখ কোটি টাকা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামেই উৎপাদন ছুঁয়েছে এই মাইলস্টোন।” ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। একলপ্তে সেটাই বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য (Defence Production)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম বছরের পর বছর নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। আমাদের শিল্পকে অনেক অভিনন্দন যার মধ্যে রয়েছে ডিপিএসইউ, অন্যান্য পিএসইউএস যারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে এবং ব্যক্তিগত শিল্প। ভারতকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার আরও সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা (Defence Production) খাতে ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “এই যাত্রায় যাঁরা শামিল হয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করা যায় না। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা পুরোপুরি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের নেতৃত্বস্থানীয় হাবে পরিণত করব।”

    আর পড়ুন: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে অসাধারণ অবদান রেখেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি ছুঁয়েছে ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার রেকর্ড। যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫ শতাংশ বেশি। গত বছর টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।’ বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতাংশের বিচারে (India) এই বৃদ্ধির হার ৬০ (Defence Production)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য। দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিশানা করতে সক্ষম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) তৈরি হচ্ছে ভারতে। শুধু তৈরিই নয় বেঙ্গালুরুর ছোট অস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্স তা রফতানিও শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশে স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেয়েছে বলে খবর। যার অঙ্ক ৫ কোটি ডলার (প্রায় ২১৭ কোটি টাকা)।

    স্নাইপার রাইফেল কী (Sniper Rifles)

    এই রাইফেল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে। এক গুলিতেই করতে পারে ধরাশায়ী। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় এক দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা এই রাইফেল ব্যবহার করে। ভারতীয় সেনা রুশ ড্রাগোনভ, ইজরায়েলের আইএমআই গালিল, জার্মান সংস্থা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি১, জার্মানির মাউসার সংস্থার এসপি৬৬-র পাশাপাশি ব্যবহার করে এসএসএস ডিফেন্সের .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম।

    আরও পড়ুন: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত (SSS Defence)

    প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, স্নাইপার রাইফেলের (Sniper Rifles) পাশাপাশি এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশ থেকে অন্য অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের বরাত পেয়েছে। বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থা প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। এর ফলে মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প সাড়া ফেলেছে। ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম থেকে এমনই আশা করছে মোদি সরকার। একটি সূত্র জানিয়েছে, “ভারত এখন বন্দুক থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং ছোট অস্ত্রের মতো বিপুল সংখ্যক সরঞ্জাম তৈরি ও রফতানি করছে। এতদিন ভারত এই সিস্টেমগুলির আমদানিকারক ছিল, কিন্তু এখন আমরা সেগুলি রফতানি শুরু করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India: বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে ৩ লাখ কোটি টাকার, জানালেন রাজনাথ

    India: বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে ৩ লাখ কোটি টাকার, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের (India) স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশ যে ক্রমেই আত্মনির্ভর হচ্ছে, তার প্রমাণও মিলেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি করছে ভারত। আগামী চার বছরে দেশের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। মিলিটারি হার্ডওয়্যার রফতানি করা হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার।

    চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত

    শনিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। প্রতিরক্ষামূলক এক সম্মেলনে তিনি বলেন, “সিলোসে তিনটি সার্ভিস কাজ করছিল আগে। এখন সেগুলির কো-অর্ডিনেশন আরও বেড়েছে। এখন সেগুলি যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “সিলোসে কাজ করতে ব্যবহার করা হত তিনটি সার্ভিস। আমরা সেগুলির ইন্টিগ্রেশানের ওপর ফোকাস করেছি। এগুলি আউট অফ দ্য বক্স স্টেপ এবং সময়ের দাবি ছিল। শুরুর দিকে একটু ছোট্ট সমস্যা ছিল। কিন্ত আজ আমাদের সেনারা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আগে ভারতকে বিশ্ব চিনত অস্ত্র আমদানিকারী দেশ হিসেবে। কিন্তু, আজ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা আমাদের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। এবং বিশ্বের টপ যে ২৫টি দেশ অস্ত্র রফতানি করে, তাদের মধ্যে একটি হল ভারত (India)।” রাজনাথ বলেন, “সাত-আট বছর আগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করে হাজার কোটি টাকাও আয় হত না। আর আজ, এ বাবদ দেশের আয় হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    তিনি বলেন, “২০২৮-২৯ অর্থবর্ষে আশা করি বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুত হবে তিন লাখ কোটি টাকার। এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এতদিন বিভিন্ন রকম রেস্ট্রিকশন ছিল। তাতে সমস্যাও ছিল। কিন্তু সেটা থেকেই আমাদের সামনে খুলে যাচ্ছে সুযোগের দ্বার। বর্তমানে ভারত বিশ্বে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ডস্কেপের ক্ষেত্রে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে।” তিনি বলেন, “আজ, আমাদের সেনারা অস্ত্র ব্যবহার করছে, অস্ত্র তৈরির প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। এসব অস্ত্রই তৈরি হচ্ছে ভারত (India) ভূখণ্ডে, আমাদের নিজেদের দেশের মাটিতে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ নির্মিত মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট “সুখোই ৩০-এমকেআই” হল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ৪০টি সুখোই-৩০ এম কে আই-এর আধুনিকীকরণ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মোস ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর আধুনিকীকরণও জরুরি। সেই পরিকল্পনা নিয়েই চলছে বায়ুসেনা

    আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর বেশ কিছু অংশকে আরও শক্ত করতে হবে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই কাজ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। ইতিমধ্যেই ৩৫ টি ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০ থেকে ২৫ টি ফাইটার জেট  উন্নত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মর যুদ্ধবিমান হল এই সুখোই-৩০। এর আধুনিকীকরণ করা হলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা এশিয়াতে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    প্রধানত এয়ার-টু-এয়ার সুপিরিওরিটি যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০। অর্থাৎ, মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। মোট বহন ক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার কেজি। দুই আসন বিশিষ্ট, দুই ইঞ্জিনের সুখোইতে রয়েছে একটি ৩০এমএম বন্দুক। মাঝারি পাল্লার গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার, ইনফ্রারেড হোমিং স্বল্প পাল্লার মিসাইল সহ একাধিক ক্ষপণাস্ত্র বহন করতে পারে সুখোই। পারমাণবিক অস্ত্রবহন করতেও সক্ষম সুখোই-৩০। এবার এই বিমানে বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-ভার্সান অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। একবার তা সম্পন্ন হলে, সুখোই-৩০ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত ” (Atmanirbhar Bharat) প্রকল্পের নতুন চমক নিজস্ব প্রযুক্তি আর কারিগরিতে তৈরী ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার'(Light combat helicopter) এর আনুষ্ঠানিক অভিষেক রাজস্থানের যোধপুরে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ – এর হাত ধরে। এতে যোগ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভি আর চৌধুরী।

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র সহ নানা ধরনের অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম এই নবনির্মিত দুই ইঞ্জিন (Engine) বিশিষ্ট ৫.৮ টনের  হেলিকপ্টারটি এবং এটি ৭০০ কেজি ওজনেরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা যাবে। আরও জানা গিয়েছে এরমধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র নিক্ষেপন পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য 

    Light combat helicopter এর বিষয়ে কিছু তথ্য:

    ১) L.C.H কে পৃথিবীর সবচেয়ে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে দাবি করা হয়েছে,  যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে এটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে আক্রমণে সক্ষম। যা পৃথিবীর অন্য কোনো হেলিকপ্টারের নেই।

    ২) L.C.H এর গতি প্রতি ঘন্টায় ২৬৮ কিমি এবং এর পরিসীমা ৫০০ কিমির বেশি।

    ৩) L.C.H একটানা তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে পারে।

    ৪) L.C.H  এর সাহায্যে 20 মিমি কামান ছাড়াও অত্যাধুনিক বোমা এমনকি রকেটও (Rocket) একত্রিত করা যেতে পারে।

    ৫) L.C.H এ প্রতিস্থাপন (Install) করা অত্যাধুনিক সেন্সরের সাহায্যে শত্রুপক্ষের যুদ্ধ বিমানসহ বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকে সতর্কতা প্রদান করে।

    হ্যাল (Hindustan Aeronautics Limited) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে, এইচএএল ১০টি এলসিএইচ প্রস্তুত করা হয়েছে,  পরবর্তী ২ বছরে আরও ১৫০টি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করে,  ৯৫টি বিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাতটি আলাদা ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জুলাই মাসে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের প্রথম ইউনিটও তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।একই ফ্রন্টে, ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারায় রাফালের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ব্রহ্মাস্ত্র মিসাইল (Brahmos Missile) বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।এতদিন ধরে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে অস্ত্রের নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share