Tag: Delhi Assembly Election 2025

  • Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লিবাসী দেখিয়ে দিয়েছেন বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।” দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Poll 2025) বিজেপির জয়ের পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “জনসাধারণ নোংরা যমুনা, নোংরা পানীয় জল, ভাঙা রাস্তা, উপচে পড়া নর্দমা, প্রতিটি রাস্তায় খোলা মদের দোকানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জবাব দিয়েছেন।”

    কী বললেন শাহ (Delhi Assembly Poll 2025)

    শাহ বলেন, “দিল্লিতে এই দুর্দান্ত জয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা দিল্লির বিজেপি কর্মীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধা, অননুমোদিত উপনিবেশের বাসিন্দাদের আত্মসম্মান বা স্ব-কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনা, মোদীজির নেতৃত্বে দিল্লি এখন একটি আদর্শ রাজধানী হয়ে উঠবে।”

    ‘মোদী কি গ্যারান্টি’

    এর পরেই (Delhi Assembly Poll 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে মিথ্যার রাজত্বের অবসান হয়েছে। এই পরাজয় অহংকার ও অরাজকতার। এটি ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ এবং মোদীজির উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে দিল্লিবাসীর বিশ্বাসের জয়। এই বিশাল জনাদেশের জন্য দিল্লির জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মোদীজির নেতৃত্বে, বিজেপি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানীতে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।” তিনি বলেন, “দিল্লির হৃদয়ে রয়েছেন মোদি। জনগণ মিথ্যা, প্রতারণা এবং দুর্নীতির ‘শিসমহল’ ধ্বংস করে দিল্লিকে আপদামুক্ত করেছেন।” তিনি বলেন, “দিল্লি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীদের এমন একটি শিক্ষা দিয়েছে যে এটি সারা দেশের জনসাধারণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

    প্রসঙ্গত, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। গোহারা হেরেছেন কেজরিওয়াল স্বয়ং। তাঁর দল আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। অথচ এই দিল্লিতেই দশ বছর আগের নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দল জিতেছিল ৬৭টি আসনে। ২০২০ সালে আপ জিতেছিল (Amit Shah) ৬২টি আসনে। এবার সেই দলকেই মুখের মতো জবাব দিলেন দিল্লিবাসী (Delhi Assembly Poll 2025)।

  • Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে জিতে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দিল্লি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০২৫, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের দিল্লির বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়। এই জয়কে ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভোটারদের প্রণাম মোদির

    দিল্লিবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘জনশক্তি সবার উপরে। মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ায় আমরা সম্মানিত।’’ দিল্লিতে বিজেপির জয়ের জন্য সেখানকার ভোটারদের প্রণাম জানান মোদি। তার পরেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘দিল্লির উন্নয়নে আমরা কোনও রকম ফাঁক রাখব না। দিল্লিবাসীর জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ ‘বিকশিত ভারত’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে দিল্লি, জানান মোদি। একই সঙ্গে দিল্লিতে জয়ের জন্য বিজেপি কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। মোদি মনে করেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না। দিল্লির বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি, বললেন শাহ

    এই নির্বাচনের আগে ইস্তাহারে ঢালাও আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। মহিলাদের জন্য ভাতা থেকে শুরু করে, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য ভাতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এককালীন ভাতা থেকে শুরু করে সুলভে খাবার পাওয়ার জন্য ৫ টাকার ক্যান্টিন চালুর আশ্বাসও ছিল বিজেপির ইস্তাহারে। দিল্লিতে বিজেপির জয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পোস্টে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লিবাসীর হৃদয়ে। ভোটাররা কেজরিওয়ালের শিসমহল ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা প্রতিশ্রুতি রাখে না, তাদের শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি। এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

    দিল্লিতে উন্নয়নের গ্যারান্টি

    ৫ ফেব্রুয়ারি হয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার হল ফলপ্রকাশ। সকাল থেকে ফল বেরনো শুরু হতেই এগিয়ে যায় বিজেপি। তারপর যত সময় এগিয়েছে, ততই ব্যবধান বাড়িয়েছে বিজেপি। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দিল্লিতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আপ জিতেছে ২২টি আসনে। একমাত্র আতিশি মারলেনা ছাড়া আপ-এর প্রথম সারির সব নেতাই হেরেছেন। বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মার কাছে হেরে গিয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার রাজধানীতেও মোদি-ম্যাজিক, উন্নয়নের গ্যারান্টি!

  • Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিবাসীর মন জিতে নিল বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের রাজধানীতে গেরুয়া ঝড়। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় অবদান রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার না করলেও আরএসএস ১০০ শতাংশ ভোটদানের প্রচার করে দিল্লিতে। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএসের নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লিতে আরএসএস-এর প্রচার

    দিল্লিতে বিপুল ব্যবধানে বিজেপিকে জেতাতে আরএসএস চেষ্টার কসুর করেনি। গণেশ উৎসব, দুর্গা নবরাত্রি, কোজাগরী থেকে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহল্লায় জমায়েত করেছে আরএসএস। সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন মাঠে নেমেছে। আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের, তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে। তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচার একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    দিল্লিতে মানুষকে একজোট করার বার্তা

    ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপ ২০১৩ সালে দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে শাসন চলতে থাকে। তবে কেজরিওয়াল ও অতীশী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেন আরএসএস-এর কর্মীরা। তাঁরা মানুষের সামনে বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শকে তুলে ধরেন। দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো। যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভার আয়োজন করেছিল আরএসএস। যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী বলেন, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তাঁরা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।” মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্লিন ইমেজও তুলে ধরেন সঙ্ঘের সদস্যরা।

  • PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, শরীরে গেরুয়া পোশাক, মহাকুম্ভে এলেন মোদি (PM Modi)। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে মহাকুম্ভে পৌঁছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বোটে করে সঙ্গমে যান তিনি। দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করে প্রার্থনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)।

    কেন এদিন স্নান

    মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীতে ‘অমৃত স্নান’ সেরেছেন অসংখ্য মানুষ। সামনে আসছে মাঘী পূর্ণিমার ‘অমৃত স্নান’-ও। তার পরিবর্তে বুধবার যে প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন, সেটার নেপথ্যে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মাঘী অষ্টমী তিথি পড়েছে। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, আজকের দিনেই প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেজন্যই পুণ্যস্নানের জন্য আজকের দিনটা বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে টোকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনই মহাকুম্ভে গেলেন মোদি (PM Modi)। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে কুম্ভে। তাই ভিড় এড়াতে শাহি স্নানের দিন বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দিনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)। এমনিতে এবার কুম্ভমেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকুম্ভে দেশ ও বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি মানুষ এসেছেন। সেরেছেন পুণ্যস্নান। শেষপর্যন্ত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪০ কোটি পেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মোদির সঙ্গী যোগী

    বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর স্পিড বোডে করে সঙ্গম স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদির জন্য প্রয়াগরাজে উপচে পরেছে ভক্তদের ঢল। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi in Maha Kumbh) প্রয়াগরাজে আসেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। ডিপিএস হেলিপ্যাড-এ নামেন তিনি। সকাল ১১টার সময় তিনি নিষাদরাজ ক্রুজে ভিআইপি জেটি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে একই জলযানে দেখা গেল যোগীকে। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন মোদি।

  • Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল দিল্লির ভোটগ্রহণ পর্ব (Delhi Assembly Election 2025)। বুধবার সকাল ৭টা থেকেই বুথে-বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৭০টি বিধানসভা আসনে ৬৯৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। রাজধানীর ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে আজ তা ঠিক করছেন দিল্লিবাসী। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বুধ সকালে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে সকলকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছেন, ‘আগে ভোট দান, তারপর বিশ্রাম।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা

    হাইভোল্টেজ প্রচার শেষে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হয়েছে রাজধানীতে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৮ শতাংশ। দিল্লির (Delhi Assembly Election 2025) মোট ১৪ হাজার বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। মোট ৭০ টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। আক্রমণ, বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ সবমিলিয়ে জমে উঠেছে দিল্লির লড়াই। এদিন ভোটদান প্রক্রিয়া শুরুর ঠিক আগে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আমি দিল্লির ভোটারদের পূর্ণ উদ্যম নিয়ে গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । তাঁরা যেন নিজেদের মূল্যবান ভোট দেন। প্রথমবার ভোটে দিতে যাওয়া যুব প্রজন্মের সকলকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, প্রথমে ভোটদান, তারপর বিশ্রাম।’’

    প্রতিশ্রুতির বন্যা

    ভোট গ্রহণ (Delhi Assembly Election 2025) শুরু হতেই আপ-এর বিদায়ী বিধায়ক ও ওখলার প্রার্থী আমানাতুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। অন্য দিকে, আপ-এর অন্য এক বিদায়ী বিধায়ক দীনেশ মোহানিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় সঙ্গম বিহার থানায়। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তোলেন। এবারের ভোটে কংগ্রেস, বিজেপি, আপ— সকলেই নিজেদের ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আম আদমি পার্টি ঘোষণা করেছে, তাদের সরকার জিতে হ্যাটট্রিক করলে প্রতি মাসে মহিলাদের ২ হাজার ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের নিখরচায় বাস যাত্রা এবং মেট্রোর ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পুরোহিত ও গ্রন্থীদের মাসে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও বলেছে আপ। বিজেপির প্রতিশ্রুতি, কোনও চালু সরকারি প্রকল্প বন্ধ হবে না। মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গরিবদের জন্য ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, হোলি ও দিওয়ালিতে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে। কংগ্রেস আবার যুবদের চাকরি ছাড়াও, মহিলা ও বয়স্কদের জন্য নানা ঘোষণা করেছে।

  • Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই লোকসভা তথা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএস নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লি দখলের স্ট্র্যাটেজি

    দিল্লিতে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে সাফল্য আসতে পারে, তা ভালোই জানেন আরএসএস নেতারা। ‘জন সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয় আরএসএসের ওপরতলা থেকে। বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে  সোমবার।  এই প্রচার অভিযানে দলটির প্রধান আধ্যাত্মিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন।

    গ্রামীণ অঞ্চলে আরএসএস-এর বার্তা

    বিজেপি প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-নেতৃত্বাধীন আাম আদি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির ধারাবাহিক সংঘর্ষের শুরু, আন্না হজারের আন্দোলন থেকে। চলতি বছর দিল্লির নির্বাচন বিজেপির জন্য এক মর্যাদার লড়াই। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচারণা একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    আরএসএসের ড্রয়িং রুম সভা

    দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো, যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা।

    জাতীয় স্বার্থে কাজ করে বিজেপি

    আরএসএসের লক্ষ্য ছিল ৬০,০০০টি সভার আয়োজন করা। এ জন্য আরএসএস প্রচারকরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা আয়োজিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী জানান, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তারা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম, কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।”

    মহিলাদের যোগদান

    এছাড়া, প্রতি স্তরে (ভিভাগ, জেলা, নগর) নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হত। যাতে ড্রয়িং রুম সভাগুলোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া যায়। প্রায় ২,০০০টি ড্রয়িং রুম সভা আরএসএস কর্মীরা পরিচালনা করেছেন, আর ৪,৫৫০টি সভা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংগঠনগুলি যেমন ভারতীয় শ্রমিক সংঘ (BMS), সেবা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আয়োজন করেছে। এই সভাগুলিতে প্রায় ৫৩,০০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল মহিলা। দেশে নারী শক্তির জাগরণে মোদি সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে আরএসএস। এর ফলে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

LinkedIn
Share