Tag: Delhi Murder

Delhi Murder

  • Delhi Murder: দিল্লিতে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! স্বামীর দেহ দশ টুকরো করে ফ্রিজে রাখল স্ত্রী-পুত্র

    Delhi Murder: দিল্লিতে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! স্বামীর দেহ দশ টুকরো করে ফ্রিজে রাখল স্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার ছায়া দেশের রাজধানী দিল্লিতে (Delhi Murder)। স্বামীর পরকীয়ার ‘শাস্তি’ দিতে ভয়ঙ্কর পথ বাছলেন স্ত্রী।  স্বামী পরকীয়া করছেন সন্দেহে স্বামীকে খুন করে দেহ দশ টুকরো করলেন স্ত্রী ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকায়। সোমবার অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। তাঁদের বিরুদ্ধে ঠোস প্রমাণ রয়েছে পুলিশের হাতে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, মৃতের ছেলে দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকায় দেহর টুকরো ছড়াচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শীতকালে ঘুরে আসুন এই জায়গাগুলো থেকে

     

    কী ঘটে?   

    দিল্লির পাণ্ডবনগরে স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপককে নিয়ে থাকতেন অঞ্জন দাস। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসে পূর্ব দিল্লির (Delhi Murder) পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে কাটা দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু কার দেহাংশ সেই বিষয়ে কোনও তথ্য ছিল না পুলিশের কাছে। তারপরে তদন্ত চালাতেই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এই সত্যি।
      
    সম্প্রতি আরও রোমহর্ষক শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার (Delhi Murder) তদন্তে সফল হয়েছে দিল্লি পুলিশ। গত মে মাসে একই কায়দায় শ্রদ্ধাকে খুন করে, তার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লিজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল তার প্রেমিক আফতাব। কয়েক সপ্তাহ আগে অপরাধীকে গ্রেফতার করে খুনের কিনারা করেছিল পুলিশ। সেই একই কায়দায় পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের রহস্যভেদ করতে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
     

     
    সোমবার মৃতের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা দিয়েছে, স্ত্রী পুনমের সন্দেহ ছিল অঞ্জন পরকীয়া শুরু করেছেন। আর সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাঁর খাবারের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন  পুনম ও ছেলে দীপক। তারপর ঠান্ডা মাথায় ঘরের মধ্যে খুন (Delhi Murder) করা হয় তাঁকে। দেহ দশ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেন মা-ছেলে। পরে সময় সুযোগ বুঝে পাণ্ডবনগর চত্বর ও তার আশেপাশে দেহের টুকরো ছড়াতে শুরু করেন দীপক। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবিই প্রমাণ হিসেবে পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।      
  • Delhi Murder: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    Delhi Murder: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা-খুনে (Delhi Murder) অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার (Aftab Poonawala) উপর তলোয়ার নিয়ে আচমকা হামলা চালাল দুই ব্যক্তি। সোমবার সন্ধ্যায় পলিগ্রাফ টেস্ট করে ফেরার পথে তরোয়াল নিয়ে তার উপর চড়াও হয় হিন্দু সেনার দুই সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্য গুলি ছোঁড়া হয় বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। এই হামলায় আফতাবের কোনও ক্ষতি হয়নি।

    আফতাবের উপর হামলা

    সোমবার আফতাবকে (Delhi Murder) রোহিনীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পলিগ্রাফ টেস্টের (Polygraph Test) জন্য।  সেখান থেকে বেরনোর সময় তরোয়াল হাতে দুই ব্যক্তি তার উপর হামলার চেষ্টা চালায়। হামলাকারীরা নিজেদের হিন্দু সেনার সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। যদিও আফতাবের কোনও চোট লাগেনি। তড়িঘড়ি তাকে প্রিজন ভ্যানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রিজন ভ্যানের দরজা খুলে হামলার চেষ্টা চালায় তরোয়ালধারীরা।  গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরাও তাদের প্রতিহত করতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন। আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলিও চালিয়েছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় দিল্লিতে। 

    হামলাকারীদের দাবি

    হামলাকারীদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত দুই হামলাকারীর নাম কুলদীপ ঠাকুর এবং নিগম গুজ্জর। কুলদীপ (৩৪) গাড়ি কেনা বেচার সঙ্গে যুক্ত। ৩২ বছর বয়সি নিগম পেশায় ট্রাক চালক। হামলাকারীরা যে গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের দাবি, “আফতাব যেভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে তাতে ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। শ্রদ্ধা আমাদের বোন। ওর দেহ ৩৫ টুকরো করেছে। আমরা আফতাবের দেহ ৭০ টুকরো করব।”

    আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    তদন্তের গতি

    শ্রদ্ধা (Shraddha Walker) খুনের (Delhi Murder) তদন্ত ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ‘মার্ডার ওয়েপন’। শ্রদ্ধাকে যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়, সোমবার তা খুঁজে বের করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে আফতাব পুনাওয়ালার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। প্রয়োজনে আবার আফতাবের বাড়ির লোককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মেয়ের খুনির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন শ্রদ্ধার বাবা।

     

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আফতাবের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে এল আরও ঠোস প্রমাণ। আফতাব পুনাওয়ালার বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে (Shraddha Walker) ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আদালতে কী বলে আফতাব? 

    আফতাব (Shraddha Walker) আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    আফতাবের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল শ্রদ্ধা?

    শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) আগেই আঁচ পেয়েছিলেন সবটা। তিনি আশঙ্কায় ছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে খুন করে ফেলতে পারে প্রেমিক আফতাব। ছয় মাস ধেরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার কুকীর্তি নিয়ে পুলিশকে সবটা জানিয়েছিলেন পুলিশকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

     

  • Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    Delhi Murder: শ্রদ্ধার হাড়ের টুকরো এবং রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলল বাবা বিকাশ ওয়ালকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জঙ্গল থেকে পাওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হাড়ের টুকরো এবং জমাট বাধা রক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলল শ্রদ্ধার (Delhi Murder) বাবা বিকাশ ওয়ালকারের। এমনটাই জানাল ফরেন্সিক টিম। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। সূত্রমতে জানা গিয়েছে শ্রদ্ধা-আফতাবের বাড়ির ফ্ল্যাটের টাইল থেকে পাওয়া কিছু রক্তের নমুনা শ্রদ্ধা এবং কিছু তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে মিলেছে। আপাতত মৌখিকভাবে দিল্লি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট আসতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। 

    এদিকে আফতাব পুনাওয়ালা তাঁকে খুন (Delhi Murder) করতে চায়। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকর মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে তিনি খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকী, আফতাব তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে পুলিশকে চিঠি লেখেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কী হবে বলেও পুলিশ চিঠি লেখেন শ্রদ্ধা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে শ্রদ্ধা যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, তারপরও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    নার্কো টেস্ট 

    আফতাব আমিন (Delhi Murder) পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের। 

    নার্কো টেস্টের (Delhi Murder) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Delhi-Mehrauli Murder: শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে সিবিআই? আফতাবের নার্কো পরীক্ষায় ‘হ্যাঁ’ আদালতের

    Delhi-Mehrauli Murder: শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে সিবিআই? আফতাবের নার্কো পরীক্ষায় ‘হ্যাঁ’ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলায় এবার তদন্তে নামতে পারে সিবিআই। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দিল্লি হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) কিনারা করতে রীতিমতো ঘাম ঝড়ছে দিল্লি পুলিশের। এখনও বেশ কিছু তথ্য হাতে আসেনি। এই তথ্যগুলিই এই খুনের তদন্তে মিসিং লিঙ্ক বলে দাবি করেছে পুলিশ। আর সেই তথ্য খুঁজতেই ময়দানে নামতে পারে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    এদিকে খুনের মামলার অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ‘নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট’- এর অনুমতি দিয়েছে সাকেত আদালত। বুধবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই ধৃতের নার্কো পরীক্ষা করানো হবে। সাধারণত খুব বড় ধরনের অপরাধে নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দেয় আদালত। মুম্বই বিস্ফোরণের খলনায়ক আজমল কাসবের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ‘নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট’- এ ধৃতের জবানবন্দি আদালত গ্রাহ্য না হলেও এ ক্ষেত্রে তদন্তের সুবিধা হয়। অনেক না জানা তথ্যের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে এই পরীক্ষায় বলে আশাবাদী দিল্লি পুলিশ।

    কী ঘটেছিল?

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Delhi-Mehrauli Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Delhi Murder: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    Delhi Murder: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই পাশবিক ঘটনায় সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতায় শিউড়ে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi Murder)। এক মুসলিম যুবক তাঁর হিন্দু লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে মেহরুলি জঙ্গলের কাছে শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। ১৮ দিন ধরে ঠাণ্ডা মাথায় চলে এই কাজ। পাশবিক এই ঘটনায় গোটা দেশ। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আফতাব পুনাওয়ালা। সে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। শ্রদ্ধা, আফতাবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল বলেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৫দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে উত্তপ্ত বচসা হয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন মোদির, কোথায় আলাদা এই ট্রেন?

    ঘটনার ভয়ঙ্করতায় কেঁপে ওঠে দেশ 

    আফতাব এই খুন লুকোতে এরপর করে এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে বড় ফ্রিজারে রেখে দেয় এবং ১৮ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দেয়। দিল্লির মেহরুলি ফরেস্ট এলাকায় অধিকাংশ টুকরো ফেলা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে আফতাব। সে আরও জানিয়েছে, যাতে গন্ধ না বেরোয়, তাই দেহের টুকরোগুলিকে রাখার জন্য বড় ফ্রিজ কিনে আনে সে। ১৮ দিন ধরে সেই অংশগুলোকে লোপাট করার চেষ্টা করে সে। আফতাব প্রত্যেক রাতে ২টোর সময় বেরিয়ে মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চলে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলিকে ফেলত বলে জানিয়েছে পুলিশকে।

    কী করে তৈরি হল এই সম্পর্ক?

    জানা গিয়েছে, আফতাব ও শ্রদ্ধা মুম্বাইয়ে একই কল সেন্টারে কাজ করতেন। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে এই সম্পর্কে মত ছিল না শ্রদ্ধার পরিবারের। এরপরে শ্রদ্ধা ও আফতাব দু’জনেই দিল্লি চলে আসেন এবং বাড়ি ভাড়া নিয়ে  একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা নিয়মিতভাবে দুজনের ছবি আপলোড করতেন ফেসবুকে। আর তা থেকেই শ্রদ্ধার পরিবার তাঁর খবর পেত। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে শ্রদ্ধার পোস্ট না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের।     

    পাঁচ মাস আগে শ্রদ্ধার বাবা দিল্লি আসেন এবং শ্রদ্ধা ও আফতাব যেখানে থাকত সেই বাড়িতেও যান তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেই বাড়িতে তালা মারা দেখে শ্রদ্ধার বাবা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দাযের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং পাঁচমাস পর গ্রেফতার হয় আফতাব। পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রদ্ধা ক্রমাগত অভিযুক্ত আফতাবকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত আর তাতেই বিরক্ত হয়ে গিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

        

          

        

     

  • Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে আফতাবের নৃশংসতায় গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। মানুষ যে কতটা পাশবিক হয়ে উঠতে পারে তারই সাক্ষী থাকল পুরো দেশ (Delhi-Mehrauli Murder)। দিল্লিতে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। প্রতিদিন মাঝরাতে সেই দেহাংশ ঝোপঝাড়ে গিয়ে ফেলে আসত, একথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। এরইমধ্যে এক নতুন তথ্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়? নৃশংসভাবে খুনের পর সেটাই গুগলে সার্চ করেছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে-মুখেও এখন আতঙ্কের ছাপ। সেখানকার বাসিন্দারা কেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, আফতাবের মত মানুষ এমন পাশবিক কাজ করতে পারে। কারণ তাদের কাছে আফতাব একজন ভালো মানুষ।  তবে জানেন কি কীভাবে সে ওই বাড়িতে শ্রদ্ধাকে খুন করে, নীচে প্রতিবেশী থাকা সত্ত্বেও কেউ কীভাবে টের পেলেন না, গন্ধ যাতে কেউ না পায় তার জন্যই বা সে কী করত? এই বিষয়ে বিশদে জানলে আরও বেশি শিউরে উঠবে মানুষ।

    কীভাবে খুন করল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

    প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

    যেই বাড়িটি তারা ভাড়া নিয়েছিল, তার নীচের এক প্রতিবেশী বলেন, তারা কখনও বুঝতেই পারেনি (Delhi-Mehrauli Murder)। এই প্রতিবেশী আরও জানান, তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রায়ই তাঁর সেখানেই দিন কেটে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জুলাই মাসে এখানে এসেছি। আমি এই মহিলাকে কখনও দেখিনি ও তার বিষয়ে শুনিনি। আমরা আফতাবকে কাজে যেতে দেখতাম বা ঘোরাঘুরি করতে দেখতাম, কিন্তু কোনওদিন সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। নম্র স্বভাবের ছিল আফতাব।” প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, দু’জনেই বাড়িওয়ালার কাছে তাদের আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিবেশী কখনও শ্রদ্ধাকে দেখেননি। কারণ,খুন হওয়ার আগে মাত্র তিনদিনই সেখানে ছিল শ্রদ্ধা ।

    অন্য এক প্রতিবেশী কুসুম লতা বলেন, তিনি সম্ভবত শ্রদ্ধাকে একবার বা দু’বার দেখেছেন। মাঝে মাঝে আফতাব জোরে গান চালাতেন এবং কখনও কখনও ঝগড়া শোনা যেত, তবে এধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। এক দোকানদার জানান, তিনি আফতাবকে নিয়মিত দেখতেন কিন্তু তার সম্পর্কে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। আশেপাশের অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি একা থাকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তাকে গ্রেফতারের পর তারা ১৩ টি শরীরের অংশ মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চল থেকে খুঁজে পেয়েছে, যার বেশিরভাগই হাড় (Delhi-Mehrauli Murder)।

  • Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম।’ আদালতে বিচারকের সামনে জানায় শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ আফতাবকে

    আজ, মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    আদালতে কী কী বলল আফতাব?

    আফতাব আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্ট

    এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নার্কো টেস্ট করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখন আবার পলিগ্রাফ টেস্ট করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তভার দিল্লি পুলিশের থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walker Murder: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    Shraddha Walker Murder: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walker Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। এবার মেহুরুলির জঙ্গল থেকে শ্রদ্ধার আরও কিছু কাটা দেহাংশ উদ্ধার করল পুলিশ। পাওয়া গেল খুলির অংশও। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। 

    কে চালাবে সংসারের খরচ এই নিয়েই বচসা শুরু হয়েছিল ১৮ মে। তারপরই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি আড়াই বছর ধরে লিভ-ইনে থাকা সঙ্গীর হাতে খুন হয় শ্রদ্ধা। পুলিশের জেরায় এমনই জানিয়েছে আফতাব। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের সবরকম প্রয়াস চালায় সে। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রাখে। তারপর রাতের অন্ধকারে তা ফেলে আসে জঙ্গলে। এখনও সব টুকরো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাকি দেহাংশের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। 

    আফতাবের (Aftab Amin Poonawala) দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাটে একাধিক রক্তের দাগ মিলেছে। রান্নাঘর-সহ ফ্ল্যাটের একাধিক জায়গায় মিলেছে রক্তের দাগ। আফতাবের ওই ফ্ল্যাটের জলের বিল বকেয়া রয়েছে। ওই মাসে ৩০০টাকা জলের বিল আসায়, পুলিশের অনুমান রক্তের দাগ ধোয়ার জন্য প্রচুর জল খরচ করেছে আফতাব। শ্রদ্ধাকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার পর সেখনাকার শাওয়ার ছেড়ে দেয় আফতাব। তারপর দেহ টুকরো করতে থাকে। শাওয়ারের তলায় পুরো কাজটি করে সে। যাতে রক্ত শাওয়ারের জলে ভেসে বাইরে চলে যেতে পারে খুব সহজে, তাই এই পদ্ধতি। 

    প্রেম থেকে খুনের আখ্যান

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walker Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walker Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walker Murder)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Delhi Murder: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ! সেই ঘরেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে প্রেমালাপ আফতাবের

    Delhi Murder: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ! সেই ঘরেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে প্রেমালাপ আফতাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রিজে বান্ধবীর টুকরো দেহ। সেই ঘরেই নতুন বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমালাপ চালাত আফতাব পুনাওয়লা। একই সঙ্গে খুন করার পর সেই বান্ধবীকে জীবিত রাখতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে চলত বাক্যালাপ। ব্যবহার করা হত শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডও। মঙ্গলবারই, দিল্লি পুলিশ এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানায়। লিভ ইনে থাকা হিন্দু বান্ধবীর দেহ ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় এক মুসলিম যুবক। লাভ জিহাদ, সাইকো-কিলিং কোনও তকমাই যেন এই নৃশংসতার পিছনে খাটে না।

    তদন্তে প্রকাশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় আফতাব জানিয়েছে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করেছিল সে। শ্রদ্ধা যে এখনও জীবিত তা প্রমাণ করার জন্য সঙ্গীর অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বন্ধুদের ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করত নিয়মিত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরিকল্পনা ছাড়া এই নৃশংস খুন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর তাঁর ক্রেডিট কার্ড বিলের টাকাও দিয়েছিল আফতাব। বিল না মেটানোয় কোনও ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থা যাতে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় যোগাযোগ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই কাজ করেছিল আফতাব।

    সম্পর্কে তিক্ততা

    ২০১৯ সালে ডেটিং অ্যাপের সাহায্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় আফতাবের। সেখান থেকেই সম্পর্ক।  শ্রদ্ধা ও আফতাব দুজনেই মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাইয়ের বাসিন্দা। ছেলে ভিন্ন ধর্মের তাই সম্পর্কের স্বীকৃতি দেয়নি শ্রদ্ধার পরিবার। বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে বেড়িয়ে আসে শ্রদ্ধা। পরিণতি তখনও ছিল অজানা। দুবছর কেটে যায় একসঙ্গে। বিয়ের জন্য শ্রদ্ধা চাপ দেয় আফতাবকে। তখন থেকেই তিক্ততার শুরু।  অবিশ্বাস এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে একে অপরকে ফোন করে হোয়াটস্যাপে জিপিএস লোকেশন ও আশেপাশের ছবি চেয়ে পাঠাত আফতাব-শ্রদ্ধা। সম্পর্ক বিষিয়ে যাচ্ছে দেখে ভাল সময় কাটাতে ও ভুল বোঝবুঝি মিটিয়ে নিতে এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বেড়াতেও গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ফিরে এসে দিল্লিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই যুগল। সেই ফ্ল্যাটেই খুন হয় শ্রদ্ধা। হয়ত বা হিমাচলেই হাড়হিম করা খুনের পরিকল্পনা করে আফতাব। পুলিশের অনুমান ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা ছাড়া এরকমভাবে খুন করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    নয়া সম্পর্ক

    শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহাবশেষ রেফ্রিজেটরে রেখে সংরক্ষণের পাশাপাশি অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আফতাব। শুধু তাই নয় যে বাড়ির রেফ্রিজেটরে শ্রদ্ধার দেহের অংশ সংরক্ষিত ছিল, নিজের প্রেমিকাকে সেই বাড়িতে এনেও তাঁর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ডেটিং অ্যাপ ইনস্টল করে তাঁর মাধ্যমে নতুন এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের। এই অ্যাপের মধ্য দিয়েই শ্রদ্ধার সঙ্গেও সম্পর্ক হয় আফতাবের।

    কীভাবে খুন

    দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গত তিন বছর আগে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা। এর পরেই মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে আসেন। এর পরেই বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। সেই নিয়ে রোজই চলত ঝামেলা। চৌহানের কথায়, ‘‘১৮ মে দু’জনের ঝামেলা চরমে ওঠে। রাগের বশে শ্রদ্ধার গলা টিপে খুন করেন আফতাব। এর পর মেয়েটির দেহ টুকরো টুকরো করে ছাতারপুর জঙ্গল এলাকায় ফেলে আসেন।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিলেন আফতাব। এর পর একটি ফ্রিজ কিনে আনেন তিনি। সেখানেই ভরে রাখেন দেহের টুকরো। পরের ১৮ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেহের টুকরো ফেলে আসতেন আফতাব বলে অভিযোগ।  শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার হন আফতাব। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, অপরাধ নিয়ে সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখতেন তিনি। আমেরিকার এই জনপ্রিয় সিরিজ ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চলেছিল। সিরিজের নায়ক ডেক্সটার মর্গান পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অবসর সময়ে খুন করে বেড়াতেন। ওই সিরিজ দেখেই ছক কষেছিলেন আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share