Tag: Delhi poll

  • BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। এবার বিজেপির (BJP ) পাখির চোখ বাংলা। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্গে ধস নামিয়েছে গেরুয়া পার্টি। এবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে দুরমুশ করতে চাইছে পদ্ম পার্টি (Bangla Chalo)। ২৭ বছর পরে দিল্লিতে ফের সরকার গড়েছে বিজেপি। তার পর থেকেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা! (BJP)

    পদ্ম পার্টির বদ্ধমূল ধারণা, আপের দুর্গে যখন ধস নামানো গিয়েছে, তখন তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা বসানো অসম্ভব নয়। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে ফুটেছে পদ্ম। বিজেপি সূত্রে খবর, তার পরেই তারা চাইছে পূর্ব ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে তেরঙ্গা শিবিরে ধস নামানো। দিল্লির মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত বাংলায় প্রবেশ করাও বিজেপির পক্ষে একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আশা করেছিল। তবে, সেবার ফল ভালো হয়নি। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বিজেপি মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদের চেষ্টা!

    ২০১৯ সালে, বিজেপি কেন্দ্রে আরও বড় ব্যবধানে ক্ষমতায় ফিরে আসে। ততক্ষণে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতেও যথেষ্ট শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেছিল। ২০১৪ সালের আগে এই এলাকায় বিজেপির প্রায় কোনও প্রভাবই ছিল না। দুবছর পর বিজেপি ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদ করার চেষ্টা করেছিল, যদিও কোনও লাভ হয়নি।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জিতেছে ২১৫টি আসনে। এই নির্বাচনে বিজেপির ভোট ও আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও তা তাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ আসনের তুলনায় অনেক কম। তবে, দিল্লিতে জয়ী হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা এখন মনে করছেন যে বাংলা আর “মিশন ইম্পসিবল” নয় (BJP)।

    ৮ ফেব্রুয়ারি, দিল্লিতে বিজেপির জয় উদযাপনের সময়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, “জাতীয় রাজধানীর পর এবার বাংলা বিজেপিকে ভোট দেবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে (Bangla Chalo)।” তিনি বলেন, “দিল্লি কি জিত হামারি হ্যায় … ২০২৬ মে বাংলা কি বারি হ্যায় …” (দিল্লির বিজয় আমাদের … ২০২৬ সালে বাংলার পালা)” (BJP)।

  • Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ জোটের (INDIA Bloc) সদস্যরা যদি নিজেদের মধ্যে সংঘাত চালিয়ে যায় এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে এই জোটের আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে কি?” মোক্ষম প্রশ্নটি তুলে দিলেন শিবসেনা (ইউবিটি) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে স্বয়ং।

    দিল্লিতে সংঘাত (Delhi Election)

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election) আলাদা করে লড়াই করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কংগ্রেসের নেতৃত্বেই জোটবদ্ধ হয়েছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। জন্মলগ্ন থেকেই ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে ভিন্নমতের স্রোত প্রবল। তার জেরে লোকসভা তো বটেই, তার পরবর্তীকালের বিভিন্ন নির্বাচনেও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন ইন্ডি জোটের বেহাল দশা। নতুন বছরের প্রথম ভোটটি হয় ৫ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন।

    জয়জয়কার বিজেপির

    এই নির্বাচনে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হন আপ এবং কংগ্রেস নেতারা। এতে আদতে সুবিধা হয়ে যায় বিজেপির। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টিতে জেতে পদ্ম-পার্টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রের রাশ যায় কেজরিওয়ালের দলের হাতে। কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। অথচ ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ‘ইন্ডি’ জোটের (এক্ষেত্রে আপ এবং কংগ্রেস) সদস্যরা যদি একজোট হয় লড়াই করত, তাহলে দিল্লির রাশ এবারও থাকত বিজেপি বিরোধীদের হাতেই (Delhi Election)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সুফল কুড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।

    এর পরেই ‘ইন্ডি’ জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উদ্ধবের দল। শিবসেনা (ইউবিটি)-র মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য ও বিভাজন সরাসরি বিজেপির জয়কে সহজ করে দিয়েছে। দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেস একে অপরকে ধ্বংস করতে লড়াই করেছে। ফলে বিজেপির জয় আরও সহজ হয়েছে। যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে জোট গঠনের কোনও দরকার নেই। মন খুলে লড়াই করুন… নিজেদের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যান।” আরও লেখা হয়েছে, “যদি এই নির্বাচনের ফল থেকে কেউ কোনও শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদেরই স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে তারা স্বৈরাচারী শাসনকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য (INDIA Bloc) দায়ী। এ ধরনের মহান কাজের জন্য গঙ্গায় গিয়ে স্নান করারও আর কোনও দরকার নেই (Delhi Election)।”

LinkedIn
Share