Tag: Dengue Fever

Dengue Fever

  • Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে রোগের দাপট। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডে কাবু রাজ্যবাসী। তার মাঝেই নতুন উদ্বেগ হাজির। কালাজ্বরের (Black fever) দাপট ক্রমশ রাজ্যে বাড়ছে। ফলে, রাজ্যের মানুষের জন্য আরও এক বিপদ ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে কালাজ্বরে (Black fever) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ জন। মালদহ, বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় কালাজ্বরের দাপট রয়েছে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওঁই ব্যক্তি মালদহের বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান। এই ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, তা নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। কারণ, এই ধরনের রোগে সংক্রমণের প্রকোপ বোঝা জরুরি, পাশপাশি কোন ধরনের সমস্যা থাকলে রোগীর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা করা দরকার। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যায়।

    কীভাবে বুঝবেন কালাজ্বর (Black fever)? 

    চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। বারবার জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সতর্ক হতে হবে। পাশপাশি পেটে যন্ত্রণা হয়। কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ হল পেটের উপরের অংশে যন্ত্রণা। পেট ফুলে যাওয়া আর শরীরের ওজন দ্রুত কমে গিয়ে হাত-পা লিকলিকে রোগা হয়ে যাওয়া কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়া, কালাজ্বর হলে ত্বকে কালো ছোপ দেখা দিতে পারে। জ্বর হলে শরীরের কোন অংশের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়া, কালাজ্বরের (Black fever) অন্যতম উপসর্গ হল ডায়ারিয়া। জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা মারাত্মক বাড়লে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।

    কালাজ্বর কি সংক্রামক রোগ? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বর (Black fever) ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগ। তবে, কালাজ্বর মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এলাকার কেউ কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে, অন্যদের সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা না বাড়লে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের ওষুধ বহু বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। কালাজ্বর (Black fever) হলে তার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তাই কালাজ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু কালাজ্বর ঠেকাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি। বর্ষাকালে পেটের অসুখ, ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত জল খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। পরিশ্রুত জল খেতে হবে। বাচ্চাদের বাড়তি নজরদারি করতে হবে। যাতে তাদের কোনও ভাবে পেটের সমস্যা না হয়। তাহলেই সংক্রমণ রোগ ঠেকানো সহজ হবে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর তার জেরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট চরমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের ভর্তির জায়গা নেই। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। অনেক সময় মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকছেন ডেঙ্গি-আক্রান্ত। অনেক সময় আক্রান্তকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়িতে থাকলে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে!

    রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্ত কত? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসাবে পরিসংখ্যান অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী মাসে আরও কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবেন। তাই হাসপাতালে শয্যার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আক্রান্তের অনুপাতে পরিষেবা দেওয়া কতখানি সম্ভব, সে নিয়েও সংশয় থাকছেই। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি।

    বাড়িতে চিকিৎসায় (Dengue) কোন দিকে নজরদারি জরুরি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনেকে জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাতে দেরি করছেন। ফলে, রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বাড়ছে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। আবার অনেকের ডেঙ্গির (Dengue) সব উপসর্গ প্রকট হচ্ছে না। অর্থাৎ, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই সামান্য সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কয়েক দিন ভোগান্তির কারণ হলেও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    জল খাওয়ায় নজর

    ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে সবচেয়ে বেশি নজরদারি দিতে হবে জল খাওয়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বডি ফ্লুইড অর্থাৎ শরীরে তরল পদার্থ যাতে কোনও ভাবেই না কমে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ শরীরে তরল উপাদান কমলে মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়মিত যে পরিমাণ জল খান, তার থেকে অন্তত ১ লিটার বেশি জল খাবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি নিয়মিত ৩ লিটার জল খান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অন্তত ৪ লিটার খেতেই হবে। এর পাশপাশি ফলের রস, দুধ, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এই সব খাবারে একদিকে শরীরের পুষ্টি হবে, আরেকদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করবে।

    অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট

    ডেঙ্গি আক্রান্তকে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। যাতে তার থেকে অন্যদের রোগ না ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ খুব দ্রুত হয়। তাই আক্রান্তকে আলাদা ঘরে রাখার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিয়ম করে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট মাপা জরুরি। বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত এই দুটি বিষয় মাপার বিষয়ে নজরদারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, আবার প্লেটলেট কমলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই ঠিক রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করা প্রয়োজন। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরের কোনও অংশ লাল হচ্ছে কিনা, রক্তপাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ, এগুলো পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার লক্ষণ। তাই বাড়িতে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত থাকলে এসব বিষয়ে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ওই ধরনের কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ঢক্কানিনাদ করে নানা কর্মসূচির যে আহ্বান কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর করেছিল, তা একেবারেই বাস্তবের মুখ দেখেনি, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতর। আর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই এই অভিযোগের বাস্তব রূপ!

    কী অভিযোগ উঠেছে (Dengue)? 

    কলকাতা ও আশপাশের জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার জেরে বহু এলাকা ভাঙা হচ্ছে, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এলাকায় জল জমছে। রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানেও জল জমার আশঙ্কা থাকছে। পাশপাশি মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। রেল মন্ত্রকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকী স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 
    রেল মন্ত্রকের পাশপাশি এমন অভিযোগ করছে রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। গড়িমসি ভাব রয়েছে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় জল জমে। বৃষ্টি কমলেও জল জমে থাকে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। 
    বাদ নেই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলো। এনআরএস, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ডেঙ্গির (Dengue) আঁতুরঘর। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বারবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করলেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাই পুরসভার প্রধান দায়িত্ব। প্রয়োজনে পুরসভা সেই দফতরের থেকে খরচ নিয়ে নেবে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা, জল জমা আটকানোর কাজ পুরসভার। এই দায় ঠেলার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি কেমন? 

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট উর্ধ্বগামী। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কিন্তু বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন পুরকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    অভিযোগ মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছি। জমা জল আছে কিনা দেখছি। প্রয়োজনে কর্মী নিয়ে গিয়ে মশার লার্ভা মারা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও পুরসভা কাজ করেনি, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” 
    স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভার সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ রাখা হয়। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা কিংবা জল জমে থাকলে কোনও অসুবিধা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সব সময়ই সক্রিয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) দাপট ক্রমশ বাড়ছে। এক সপ্তাহে তিন হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই পরিচিত উপসর্গ জানান দিচ্ছে না। আর তার ফলেই দেখা দিচ্ছে বিপত্তি! তাই ডেঙ্গি রুখতে নয়া নিদান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী নতুন সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) হলে এখন অনেক ক্ষেত্রে পরিচিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। জ্বর, সর্দি-কাশি, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রাও বিশেষ বাড়ছে না। বমি কিংবা মাথাব্যথার মতো উপসর্গ নেই। কিন্তু হঠাৎ জ্ঞান হারাচ্ছেন রোগী। পরিচিতদের চিনতে অসুবিধা হচ্ছে। কিংবা মলত্যাগ করতে গিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে প্লেটলেট কয়েক হাজারে নেমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিজেদের বিপদ যতখানি বাড়ছে, ততটাই বিপদ বাড়ছে অন্যদের। কারণ, এই রোগীদের থেকে অজান্তেই অন্যদের ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

    নয়া বিপদ কাটাতে কী উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গহীন রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি। তাই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি কিংবা দেহের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়ার মতো জেলায় ডেঙ্গির (Dengue) দাপট উর্ধ্বগামী। তাই এই সব এলাকার মানুষের বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেই জন্য রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেসব এলাকা ডেঙ্গিপ্রবণ, সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর সেই জন্য দেহের তাপমাত্রা বাড়লে, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য রক্ত পরীক্ষা নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড়। তারা জানাচ্ছে, অনাবশ্যক আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ থাকলে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনাবশ্যক রক্ত পরীক্ষা ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের ঘাটতি তৈরি করবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ এই নীতি মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি (Dengue) যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরের শেষে আরও কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হবেন, এমন আশঙ্কাও করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিয়েই নয়া বিপদ তৈরি হচ্ছে। তাই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই সামান্য জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিকে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেসামাল ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। যদিও এরকম একটা পরিস্থিতি যে তৈরি হবে, তা বিরোধী দলনেতা থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগাম আন্দাজ করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য বারবার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর তার জন্য বিপাকে কয়েক হাজার রোগী ও তাঁদের পরিবার।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। গত সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার। গত কয়েক বছরের সমস্ত রেকর্ড এবার ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে এ রাজ্যে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরেও ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তদের অধিকাংশই উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার বাসিন্দা। গত কয়েক বছরের মতোই উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া, বসিরহাট, বারাসতের মতো এলাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বিধাননগর। কারণ, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো স্মার্ট সিটিতেও ডেঙ্গি সংক্রমণ মারাত্মক। এক সপ্তাহে পাঁচশোর বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে শুধুমাত্র বিধাননগর এলাকায়।

    বেড নিয়ে হাহাকার অব্যাহত (Dengue)! 

    ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তেই ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রোগীর পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, ডেঙ্গির জন্য বরাদ্দ শয্যা আর নেই বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে গেলেও জানানো হচ্ছে পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই তাদের একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। রোগীর পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হচ্ছে। যেমন সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বসিরহাট থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তকে নিয়ে গিয়ে তাঁরা তিনদিন বেডের অপেক্ষায় রয়েছেন। বারাসত হাসপাতাল থেকে তাঁদের রেফার করা হয়েছে। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পর্যাপ্ত শয্যা নেই। তাই বেড দেওয়া যাবে না। একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এমআর বাঙুর হাসপাতালের একাধিক রোগী। ভর্তির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। তারপরেও শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, বেলেঘাটা আইডি কিংবা এমআর বাঙুর ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন অধিকাংশ ভুক্তভোগী। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই সমস্যা হচ্ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা মেনে নিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করা জরুরি বলেও অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে ডেঙ্গির জন্য আরও বেশি শয্যা বরাদ্দ করতে হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কাদের ভর্তি করতে হবে, সে নিয়ে আরও বেশি পর্যালোচনা জরুরি। কারণ, স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, সব ডেঙ্গি আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যায়। তাই কাদের ভর্তি করতে হবে, সে বিষয়টি আরও খুঁটিয়ে দেখতে হবে বলেও এই বৈঠকে ঠিক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ উর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডেঙ্গি আরও দাপট বাড়িয়েছে। আর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এ বছরে ডেঙ্গি আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই বাড়ছে প্রাণ সংশয়।

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য কী বলছে? 

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ বাড়ছে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রথম দশদিন পরে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার। অর্থাৎ, দশ দিনের মধ্যে রাজ্যে ছ’হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক।

    কোন জটিলতা তৈরি করছে ডেঙ্গি (Dengue)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) এবার শুধু জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, বমি কিংবা হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা আর ক্লান্তিভাবের মতো উপসর্গতেই আটকে থাকছে না। প্লেটলেট কমলেই একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যা আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অধিকাংশের প্লেটলেট কমলেই অন্তঃক্ষরণ শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ শরীরের ভিতরে রক্তপাত শুরু হচ্ছে। ফলে, বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে। যা প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি করে। 
    এছাড়াও, ডেঙ্গি আক্রান্তের হৃদস্পন্দনের গতি অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় এ বছরে অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্ত ভুগছে। কখনও হৃদস্পন্দন বেশি আবার কখনও কম হচ্ছে। ফলে, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকি হৃদপিণ্ডের জটিল সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। 
    প্লেটলেট কমার জেরে লিভার ও ফুসফুসে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের একটি বড় অংশের ফুসফুসে জল জমছে। ফলে, তাঁরা নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্ত্র ও লিভারের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের কিডনির কার্যকারিতা কমছে। ফলে, শারীরিক জটিলতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ থাকতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, সামান্য জ্বর কিংবা সর্দিকেও অবহেলা করা চলবে না। বমি, জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়া আটকানো কিছুটা সহজ হয়। পাশপাশি প্লেটলেট কাউন্ট অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেগুলো করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। 
    তবে, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির জেরে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যের মানুষ। তার পরেও কেন প্রশাসনিক সক্রিয়তা বাড়েনি? কবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? কারণ, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি রুখতে পারবে না। প্রশাসনিক সক্রিয়তা ছাড়া ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ আটকানো কঠিন বলেও মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী! তথ্য বলছে, চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ কলকাতা। বছরভর একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেও কাজ বিশেষ হয়েছে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডেঙ্গির দাপট বাড়তেই প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির (Dengue) সমস্ত রেকর্ড পেরিয়ে গিয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছরে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক বেশি। তাই কলকাতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, এই শহরেই ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০ জন। যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১০ জন। ২০২১ সালে ছিল ৫৬৭ জন। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছিল ১১২৩ জন। চলতি বছর অবশ্য আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। 
    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তাই ওই এলাকাগুলো নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে।

    কলকাতার কোন এলাকায় ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার দক্ষিণে সবচেয়ে শক্তিশালী ডেঙ্গি (Dengue)। তাই বেহালা, তিলজলা, মুকুন্দপুর, টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী, কসবা, তপসিয়া, নিউ আলিপুর, যাদবপুর এই জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ এই এলাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কলকাতার ১৬০০ ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১০৮৮ জন দক্ষিণ কলকাতার এই সব এলাকায় থাকেন।

    কেন দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রুখতে যে ধারাবাহিক কাজ জরুরি, তার ঘাটতির জেরেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক নির্মীয়মাণ এলাকা রয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে জল জমছে। আর তাতেই মশা জন্ম নিচ্ছে। এর ফলে দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক বড় পুজো হয়। বাঁশ এবং অন্যান্য সামগ্রী পড়ে থাকছে। সেখানেও জল জমছে। আর মশার আঁতুরঘর তৈরি হচ্ছে। বিপদ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। তবে, সবচেয়ে জোরালো সমস্যা নিকাশি ব্যবস্থা। কসবা, বালিগঞ্জ কিংবা বেহালা-দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেও জল জমে থাকে। নর্দমা পরিষ্কার হয় না। ফলে, মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।

    কী বলছে কলকাতা পুরসভা? 

    ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে চলায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, বছরভর কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। পাশাপশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুর প্রশাসনের! ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায়, তাই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভা কি তার দায়িত্ব পালন করতে পারছে না? পুরসভা অবশ্য জানাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সক্রিয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। জল জমলে যেখানে নিকাশির কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া কেউ আক্রান্ত (Dengue) হলে সেখানে প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। তবে, সাধারণ মানুষের সচেতনতা আরও জরুরি বলেও মনে করছে পুরসভা। তারা জানাচ্ছে, সে বিষয়ে আরও জোরালো কর্মসূচি চালানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের ডেঙ্গি হানা। গত তিন দিনে ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। তাঁরা কলকাতারই বাসিন্দা। বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ডেঙ্গির চোখ রাঙানি! অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দিন কয়েক আগেও কলকাতার দুই বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিধাননগর এলাকায় গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা চারগুণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের দাপট বাড়ছে। তাঁদের আশঙ্কা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এই সংক্রমণ (Dengue) আরও প্রবল হবে। কলকাতার আশপাশের জেলা হিসাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। তার পাশপাশি নদিয়া নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়াতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার অন্য বছরের তুলনায় বেশি।

    নজরদারির অভাবেই ডেঙ্গির (Dengue) শক্তিবৃদ্ধি? 

    বাড়িতে গিয়ে নজরদারির অভাব রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। কলকাতা হোক কিংবা হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পুরসভার কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয়তার অভাব রয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। 
    কলকাতায় ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় বাড়িতে গিয়ে নজরদারির উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও আসলে তেমন কাজ হয় না বলেই অভিযোগ। অনেক বাড়িই বন্ধ থাকে। ফলে, বৃষ্টি হলেই ছাদে জল জমে। অনেক বাড়ি বন্ধ থাকার জেরে বাগান ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। তার ফলে, সেখানেও মশার আঁতুরঘর হয়ে ওঠে। পুরসভার কর্মীদের সক্রিয়তা পারে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। তার জন্য এলাকায় নজরদারি জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই নজরদারির অভাব রয়েছে। ফলে, বিভিন্ন বন্ধ বাড়ি থেকেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। 
    তবে হাওড়া-হুগলি জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। বৃষ্টির পরেই এলাকার একাধিক জায়গায় জল জমে থাকে। নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার নয়। রাস্তার হাল খুব খারাপ। অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে যাচ্ছে। সেই জল বের করতেও সময় যাচ্ছে। ফলে, বাড়ছে মশার উপদ্রব। যার জেরে ডেঙ্গির শক্তি বাড়ছে। তাছাড়া, এলাকার পার্ক কিংবা বাগানের আগাছা পরিষ্কারেও নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। 
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিচ্ছন্নতা ও রোগ নির্ণয়ে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির সঙ্গে মোকাবিলা করলেও তারপরের ক্লান্তি আর দুর্বলতা ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গির পরের দুর্বলতার জেরে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরের কয়েক সপ্তাহ খুব জরুরি। দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে ডেঙ্গি কমার পরের কয়েক সপ্তাহ বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজরদারি দরকার।

    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে কী ধরনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী ক্লান্তি কমাতে কোনও ওষুধ বিশেষ সাহায্য করে না। খাদ্যাভ্যাস ক্লান্তি দূর করতে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন যাপনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই কয়েকটি বিষয়ে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন কে জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর ক্লান্তি থাকে মারাত্মক। হাত ও পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। তাই দরকার ভিটামিন কে জাতীয় খাবার। বাঁধাকপি, ব্রোকলির মতো খাবারে ভিটামিন কে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    ছোলা, মটরশুঁটি, মুসুর ডালের মতো দানাশস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, যে কোনও দানাশস্য খেলেই এনার্জি পাওয়া যায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণের জন্য দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। 
    এছাড়াও, আপেল, কলা, মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। ডেঙ্গির পরে শরীর দুর্বল থাকে। কাজের শক্তি পাওয়া যায় না। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলোতে প্রচুর আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। 
    চিকেন স্টু আর সোয়াবিন নিয়মিত খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরে প্রোটিনের জোগান দেবে। ডেঙ্গির পরে দ্রুত সুস্থ হতে প্রোটিন জরুরি। আর এই দুই খাবার সহজ পাচ্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    তবে, খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ডেঙ্গির সময় যেমন ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে, তেমনি ডেঙ্গির পরেও দুর্বলতা থাকার কারণে জলের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার।

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Dengue Fever)? 

    ডেঙ্গির পরে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা দরকার বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীর দুর্বল থাকে, তাই এই বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেগুলো না মেনে চললে লিভার, কিডনির নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে একেবারেই তেলে ভাজা খাওয়া চলবে না। চপ, কাটলেট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ডিপ অয়েল ফ্রাই খাবার এই সময়ে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড অর্থাৎ, বিরিয়ানি, ফুচকা হোক কিংবা পিৎজা বার্গার একেবারেই খাওয়া যাবে না। এগুলো সহজপাচ্য নয়। তাই এগুলো খেলে বিপদ বাড়বে। এর পাশপাশি প্যাকেট জাত নরম ঠান্ডা পানীয় ডেঙ্গির পরে খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরে দুর্বলতা আরও বাড়বে। তাছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে এগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Dengue: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের! 

    Dengue: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যার হার বর্ষার শুরুতেই বদলে যায়। জুলাই মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। সেই একই ধারা বজায় রয়েছে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেও। তার সঙ্গে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যু। একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, মৃত্যু অস্বীকার করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে ঠিকমতো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বলছে তথ্য (Dengue)? 

    রাজ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৭০০ জন। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন করে আরও প্রায় দেড়শো জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, স্বাস্থ্য দফতর সরকারি ভাবে কিছুই জানাতে রাজি নয়। পাশপাশি ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়েও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে কোনও ডেঙ্গি মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছেও নিয়মিত তথ্য পাঠানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট মহল।

    উদ্বেগ (Dengue) বাড়ছে কেন? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ২০২২ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রাজ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি হিসেবেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজারের বেশি। দেশের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিহার। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজারের কাছকাছি। প্রথম ও দ্বিতীয় রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার ফারাক অনেকটাই ছিল। এ বছরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাদের আশঙ্কা, ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিয়ে জটিলতা বিপদ বাড়াবে। কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে, সেই এলাকায় বিশেষ প্রশাসনিক তৎপরতা জরুরি। কারণ, সেই এলাকায় আর কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা প্রশাসনের জানা দরকার। পাশাপাশি এলাকার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজরদারি জরুরি। সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় সে দিকেও নজর দিতে হবে। কিন্তু সরকারি তরফে মৃত্যু স্বীকার না করলে সেই কাজ করা মুশকিল। এলাকার কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তা এলাকাবাসীর জানা দরকার। কিন্তু সরকারের তরফে তা প্রকাশ না করলে, সচেতনতা প্রসার মুশকিল। যা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের মূল সমস্যা। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পরিস্থিতি কতখানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে নিয়েই উদ্বিগ্ন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share