Tag: Dengue Fever

Dengue Fever

  • Dengue: সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত কিট! ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে গিয়ে নাজেহাল রোগীরা!

    Dengue: সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত কিট! ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে গিয়ে নাজেহাল রোগীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের ধাক্কার পরেও বদল হয়নি পরিস্থিতি। সরকারি হিসাবে গত বছরে এ রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এ বছরে কি বিশেষ হেলদোল দেখা যাচ্ছে? রোগ মোকাবিলায় সরকার কি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে? ডেঙ্গির বিষয়ে সাম্প্রতিক রোগী হয়রানির অভিযোগ এই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করছে।

    কী অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা (Dengue)? 

    এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে একাধিক সরকারি হাসপাতালে জ্বর, কাশি এবং হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ নিয়ে গেলেও ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষা হয়নি। হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। তাই ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কিংবা বাইরে থেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। 
    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। যার জেরে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়েই রোগীকে থাকতে হচ্ছে। সামান্য পরীক্ষা করানোর জন্য অসুস্থ ব্যক্তি কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সময় এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে হচ্ছে। আর তার পরে পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে তার সংক্রমণ হয়েছে কিনা। এতেই বাড়ছে বিপদ।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল (Dengue)? 

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি সময় মতো সংক্রমণ আটকানো এবং রোগীর চিকিৎসা করা। এমনই জানাচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি পরীক্ষা করতেই বাড়তি সময় ব্যয় হচ্ছে, তাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গির উপসর্গ থাকা ব্যক্তির যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে, আর তিনি এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল বিনা চিকিৎসায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে একদিকে তাঁর সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ কমছে। তাঁর শরীরের অবনতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তেমনি তাঁর থেকে, তাঁর পরিবার ও এলাকার মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ রুখতে তাই উপসর্গ থাকা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত নিশ্চিত হলে রোগীকে আলাদাভাবে রাখা এবং তার চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। সামান্য পরীক্ষার জন্য যদি রাজ্যবাসীকে শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ নির্ভর হতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলেই তাদের আশঙ্কা। জেলা হাসপাতাল নয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার কিট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত রাখতে হবে। তবেই দ্রুত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনটাই মনে করছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা (Dengue)? 

    স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, জুলাই মাস থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষার চাহিদা বেড়েছে। গত এক মাসে ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৭০০-র কাছাকাছি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও সেই ধারা এক রকম আছে। তাই অনেক হাসপাতাল বিশেষত নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও হুগলি জেলার কিছু হাসপাতালে সাময়িক সঙ্কট হয়েছিল। কিন্তু তা মিটে গিয়েছে বলেও দাবি করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। পাশপাশি তাঁরা জানান, রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কিট যাতে পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গি রোগীর যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন। এমনই জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেই নয়া দিশা! শুধু গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক সমস্যা রুখতে পারবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে। গত কয়েক দিনে রাজ্যে সাত জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আর তার পরেই বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য সচিব। কিন্তু বৈঠকে গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত ছাড়া, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কোনও দিশা নেই বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

    কী সিদ্ধান্ত (Dengue) হল স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে? 

    নদিয়া, কলকাত সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি হাসপাতালের সুপার। এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা এই বৈঠকে ছিলেন। এই বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব জানান, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে কেউ এলেই, তার ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক বছরের মতোই হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু হবে। আক্রান্তের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শয্যার যাতে সঙ্কট না হয়, তার আগাম ব্যবস্থা করতে হবে। অকারণ রেফার চলবে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিসি রায় শিশু হাসপাতালকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশপাশি, রক্তের সঙ্কট আটকাতে প্লেটলেট সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতর দিয়েছিল, অর্থাৎ, দশ হাজারের কম হলে তবেই প্লেটলেট দেওয়া হবে, সেই নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে বলে এদিন ফের জানান স্বাস্থ্য সচিব। 
    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার উপরে বাড়তি নজরদারির কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই দুই জেলার বর্ডার এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় মোকাবিলা করতে হবে।

    কতখানি কার্যকরী এই সিদ্ধান্ত (Dengue)? 

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই গতানুগতিক ফিভার ক্লিনিক পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়। কিন্তু তারপরেও রোগী ভোগান্তি অব্যাহত থাকে। ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রত্যেক এলাকায় প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। যা হয় না। বর্ষার মরশুমে অধিকাংশ জায়গায় জল জমছে। রাস্তা, পার্ক, বসতি এলাকা অপরিচ্ছন্ন। আর তার জেরেই বাড়ছে মশার উৎপাত। মশা দমন করতে না পারলে ডেঙ্গি কমানো মুশকিল। আর এই কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পুর, পঞ্চায়েত দফতরের একসঙ্গে সক্রিয়তা জরুরি। যে সব জেলা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, অর্থাৎ, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই সব জেলার বাসিন্দারা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কাজ হয় না। তাই এই সব এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। চিন্তা বাড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ। তাছাড়া, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত আসে না। ফলে, একদিকে আক্রান্তের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়, আরেকদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, গতানুগতিক কিছু সিদ্ধান্ত নয়। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের হাতে কলমে কাজ করতে হবে। যার অভাব রয়েছে। তার জেরেই ভোগান্তি বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    Dengue: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসেছে। একের পর এক ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু, পরিস্থিতির ভয়াবহতা জানান দিচ্ছে। আর তার মধ্যেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নেমে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। অন্তত স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকার পর এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের প্লেটলেট কখন দিতে হবে, তা ঠিক হবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে। রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়লেই, তার সঙ্গে প্লেটলেটের চাহিদা বাড়ে। বিশেষত, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস, যখন প্রত্যেক বছর হাজার-হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হন, তখন প্লেটলেটের আকাল তৈরি হয়। আর এই সঙ্কট রুখতে, এবার প্লেটলেট নিয়ে প্রথম থেকেই কড়া হতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, ডেঙ্গি আক্রান্তের প্লেটলেট ১০ হাজারের কম না হলে, তাকে প্লেটলেট দেওয়া যাবে না। 
    আর এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

    কী বলছেন চিকিৎসক মহল? 

    স্বাস্থ্য দফতরের এই ধরনের পদক্ষেপ ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, কোন রোগীর কখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হবে, তা সেই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। গাইডলাইন মেনে প্লেটলেট দিতে হলে, অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক ঝুঁকি বাড়বে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, থাইরয়েডের মতো নানা কো-মরবিডিটি থাকলে, ডেঙ্গি আক্রান্তের শারীরিক জটিলতা বাড়ে। তখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও শিশু বা বয়স্ক কিংবা গর্ভবতীর ক্ষেত্রেও নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। দশ হাজারের নিচে প্লেটলেট নামার আগেও প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক কিংবা রোগীর পরিজন কী করবেন, সে সম্পর্কে এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। আর এই ফাঁকগুলো বাড়তি জটিলতা তৈরি করবে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই ধরনের পদক্ষেপের জেরে প্লেটলেটের আকাল কমবে না। বরং রোগী ভোগান্তি বাড়বে।

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা কী? 

    রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের একাংশের মতে, যেভাবে প্লেটলেটের (Dengue) নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য দফতর করতে চাইছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক। চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত থাকলে, রক্তের জোগান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর রোগীর চিকিৎসায় জটিলতা তৈরি হবে না। 
    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, উৎসবের মরশুম শুরু হলেই রক্তের সঙ্কট দেখা যায়। তাই স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরের দায়িত্ব, সেই সঙ্কট আটকানোর জন্য রক্তদান শিবির করা। যাতে প্লেটলেটের জোগান থাকে। কিন্তু রোগীর কখন প্লেটলেটের প্রয়োজন হবে, তা ঠিক করবেন চিকিৎসক। নির্দেশিকা জারি করে প্লেটলেট দেওয়া বন্ধ রাখলে, জোগান ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য করা যাবে না। বরং পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার দাপট শুরু হতেই হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়াচ্ছে পুরসভার ২৯ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ এখনও অনেকটাই কম। বৃষ্টি বাড়লে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন।

    কী বলছে হাওড়া (Howrah) পুরসভার তথ্য?

    হাওড়া পুরসভার তথ্যই বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে যেভাবে ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় গত এক মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। দ্বিগুণের থেকেও বেশি। যদিও হাওড়া পুরসভার হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এর প্রায় চারগুণ। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিজে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিতে হরে, কোথাও জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল নিয়মিত স্প্রে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নর্দমাগুলি যাতে ঠিকমতো পরিষ্কার হয়, সে ব্যাপারে সাফাই কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।

    কী অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা (Howrah)?

    যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বারের বৃষ্টির জল নেমে গেলেও শহরে নোংরা-আবর্জনা নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা সুধাকর দুবে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকার পার্কগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসক মণ্ডলীর পরিচালনায় পুরসভা চলছে। বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে ভরে গেছে। আবাসন, পার্ক এমনকী রাস্তার দু’ধারে আগাছা ও জঞ্জাল জমা হয়। সেখানেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ফলে নাগরিকরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়ার পাশাপাশি যাতে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    Dengue Fever: ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয় কোন কোন লক্ষণ? সতর্ক হবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই সর্দি-কাশি আর জ্বরে অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত, শিশুদের জ্বর আর সর্দি নিয়ে জেরবার অধিকাংশ পরিবার। জ্বর কমে গেলেও থাকছে সর্দি-কাশি। আবার দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের ফিরে আসছে জ্বর! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) শক্তি বাড়ছে। এক সপ্তাহে কলকাতায় তিনজন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু, আরও বিপদের জানান দিচ্ছে। সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ একাধিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিন্তু, ডেঙ্গির (Dengue Fever) দাপটের জেরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বর ভেবে অবহেলা করা হয়। যার জেরে সময় মতো ডেঙ্গির চিকিৎসা করা হয় না। তাই বিপদ বাড়ে। এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সময় মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তিন দিন একটানা জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিত। তবেই সময় মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

    কোন কোন উপসর্গ ডেঙ্গির (Dengue Fever) ইঙ্গিত দেয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও ডেঙ্গির জানান দেয় বিশেষ কিছু উপসর্গ। সেগুলো নজরে রাখলেই প্রথম থেকে সতর্ক হওয়া যাবে। বড় বিপদ হয়তো আটকানো যাবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রায় ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠে। ফলে, অতিরিক্ত তাপ জানান দেয়, রোগী ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারেন। 
    গোটা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব হয়। ডেঙ্গি (Dengue Fever) আক্রান্ত হলে বিশেষত হাত ও পায়ের পেশিতে, কোমরের হাড়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। শুয়ে থাকলেও সেই যন্ত্রণা থাকে। তাই জ্বরের সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা হলে, তা ডেঙ্গির লক্ষণ। 
    ডেঙ্গির আরেক ইঙ্গিত হল বমি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে বার বার বমি হয়। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের মাথার যন্ত্রণা এমনকী মাঝেমধ্যে চিনতে না পারার মতো লক্ষণও দেখা যায়। তাই জ্বরের মধ্যে জ্ঞান হারানো বা চিনতে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
    শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার লাল দাগ দেখা দিলে, তা ডেঙ্গির (Dengue Fever) লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই জ্বরের সময় ত্বকে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                        

  • Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গিতে (Dengue Fever) মৃত্যু হল বারাসত পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদ নগরের বাসিন্দা বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। গত ৩-৪ দিন ধরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সায়নিকা। প্রথমে তাকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বুধবার মধ্য রাতে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলরকে বলেও কোন কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই ড্রেনের অবস্থা খুব খারাপ, জল পাশ হয় না। আর তার ফলে বার বারই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা এলাকায়।

    পরিবার কী অভিযোগ করল (Dengue Fever)?

    পরিবারের আরও অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু কথা দিলেও সে কথা কোনওদিনই পূরণ করেনি কাউন্সিলর। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, কয়েকবার কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে এই বিষয় নিয়ে। কেননা যেভাবে ওয়ার্ডে ময়লা জমে থাকে, কোনওদিনই তা পরিষ্কার করা হয় না। তাই এবার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম যেই আসুক না কেন কারোর কোন কথা শোনা হবে না। কেননা ভোট আসলেই এদের দেখা পাওয়া যায়। আর ভোট চলে গেলে এরা কোনও কাজই করে না।

    কী জবাব দিলেন কাউন্সিলর (Dengue Fever)?

    এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান, ওয়ার্ড সব রকম ভাবে পরিষ্কার করা হয়। কোথাও কোন জমা জল থাকলে তা নির্মল বন্ধু ও নির্মল সাথী যাঁরা আছেন, তাঁরা এসে রোজই পরিষ্কার করে যান। পাশাপাশি কাউন্সিলর আরও বলেন, ওই বাচ্চাটির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তবে ওয়ার্ডে যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়টি এবার আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন তিনি। তবে বাস্তব চিত্রটা কিন্তু অন্যরকম ওই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। বিভিন্ন ড্রেনে কিন্তু জল আটকে রয়েছে এবং তার থেকেই যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) বাড়বাড়ন্ত, তা কিন্তু এক প্রকার বলাই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    Dengue: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর এডিস ইজিপ্টাই নামক মশাবাহিত রোগ। এই জ্বর সাধারণত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific ocean) দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে দেখা যায়। মূলত বর্ষাকালে জমা জলে বংশ বিস্তার করে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা। ডেঙ্গি জীবাণুবাহী এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ালে, আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন। অনেক সময় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এডিস মশা (Aedes Mosquito) কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ১.৫ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত প্লেটলেট থাকে। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট নেমে যায় ৫০ হাজারের নীচে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর জীবনে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ: সাধারণত মশার কামড়ের ৪ থেকে ৭ দিন পর ডেঙ্গির লক্ষণ প্রকট হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ১০ দিনও হতে পারে। জ্বর হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিন পর শরীরজুড়ে ত্বকে র‍্যাশ দেখা যায়। এটা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গি জ্বরে তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। মাংশপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। ব্যথার তীব্রতার জন্য মনে হয় এই বুঝি হাড় ভেঙে গেল। তাই এই জ্বরের আর এক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’ (Break Bone Fever)।

    ডেঙ্গি জ্বরের আর একটি প্রকার হল হেমোরেজিক জ্বর (Hemorrhagic Fever) । এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অসময়ে ঋতুস্রাবের মতো ঘটনাও ঘটে।

    ডেঙ্গি জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গি শক সিনড্রোম। এর ফলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া,নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়, শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়। এমন আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন রোগী।

    ডেঙ্গি রোগ প্রতিরোধের উপায়:   

    ডেঙ্গি জ্বর প্রতিরোধের জন্য ভারতে কোনও ভ্যাকসিন মেলে না। ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া নামে একটি ভ্যাসসিন আবিষ্কার হলেও এর ব্যবহার খুবই কম। এডিস মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচলেই ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

    • জলের পাত্র ঢাকা রাখা উচিত।
    • প্রতি সপ্তাহে বাড়ির যেসব পাত্রে জল জমে থাকে, সেগুলি পরিষ্কার করতে হবে। যেমন বালতি, ফুলের টব, নারকেলের খোলা। যেসব জায়গায় জল জমে, সেসব জায়গাও পরিষ্কার করতে হবে। 
    • মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে ফুল হাতা জামাকাপড় পরা প্রয়োজন।
    • মশা তাড়ানোর ধূপ ও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
    • শরীরে মশা কামড় প্রতিরোধক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। 

    ডেঙ্গির প্রতিকার: 

    • ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
    • যথেষ্ট পরিমাণে জল, শরবত, ডাবের জল ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
    • স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রোগীর খাদ্যতালিকায় খিচুড়ি, যব এবং মসুর ডালের মতো উচ্চফাইবার যুক্ত খাবার রাখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। বর্ষার মরশুমে কয়েক গুণ বেড়েছে ডেঙ্গির দাপট। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক জটিলতা। সুস্থ হলেও ক্লান্তি আর দুর্বলতা গ্রাস করছে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে সঙ্গে থাকুক বিশেষ ফল (Dengue And Kiwi)। আর তাতেই এড়ানো যাবে বড় বিপদ।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেখতে খানিকটা সবেদার মতো। কিন্তু কাটলেই সম্পূর্ণ আলাদা। মোটা বাদামি খোসা ছাড়ালেই হালকা সবুজ রং। আর কালো রঙের দানা! দাম বেশি হলেও বাজারে এখন দেদার পাওয়া যাচ্ছে কিউই। পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, এই ফল (Dengue And Kiwi) নিয়মিত খেলেই একাধিক বিপদের সঙ্গে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা সহজ হবে।

    কী উপকার আছে এই ফলে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই নিয়মিত একটা খেলে শরীরের জন্য তা যথেষ্ট উপকারী। কিউই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ফল নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। বিশেষত বর্ষা বা শীতের ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ফল নিয়ম করে খেলে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ এড়ানো যায়। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে এই ধরনের রোগকে বাসা বাঁধতে দেয় না। তাই ডেঙ্গির মতো রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। পাশাপাশি ভিটামিন সি-র জোগান অব্যাহত থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিউই (Dengue And Kiwi) ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডেঙ্গি হলে কিডনি, লিভার এবং চোখে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গি জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এমনকি প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই ডেঙ্গি হলে কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। যাতে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। 

    কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডেঙ্গি হলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অনেক সময়ই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এই সময়ে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। নিয়মিত একটা কিউই খেলে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব। 

    এর পাশপাশি, পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, ফুসফুস থেকে জরায়ু, যে কোনও রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

    তাছাড়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিউই ফল। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের হজমের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই কিউই সেই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি, যেহেতু কিউই হজম শক্তি বাড়ায়, তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের খাবারের ইচ্ছে বজায় থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যা খুবই জরুরি।

    কীভাবে খাবেন কিউই? 

    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে নিয়মিত একটা কিউই (Dengue And Kiwi) খাওয়া উচিত। তবে, অতিরিক্ত কোনও রকম নুন বা মশলা মেশানো হলে, গুণমান কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, পরিষ্কার জলে ধুয়ে এই ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ডেঙ্গি হলে অনেক সময়ই খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তখন কিউই শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটসের মতো করে খাওয়া যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিউই কেটে গোলমরিচ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখলে তার স্বাদ যেমন থাকে, তেমনি উপকারও এক রকম থাকে। তাই এভাবেও কিউই ফল রাখা যেতে পারে। এতে খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Outbreak: চলতি সপ্তাহে ৬৭৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আজ উত্তাল হতে পারে বিধানসভা

    Dengue Outbreak: চলতি সপ্তাহে ৬৭৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আজ উত্তাল হতে পারে বিধানসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৫জন। আজ, ডেঙ্গি (Dengue Outbreak) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চাইতে পারেন বিরোধীরা। দুপুর ১২টা নাগাদ প্রশ্নোত্তর পর্বের পরে ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা প্রস্তাব পড়তে চাইতে পারেন বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের দাবি, বিজেপির তরফে এ নিয়ে আলোচনাপর্ব চাওয়া হতে পারে। কিন্তু তাতে যদি অনুমতি না পাওয়া যায় তা হলে প্রতিবাদে সরব হবেন তাঁরা।

    জেলায় জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ

    জুলাইয়েই দাঁত, নখ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Outbreak)। কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭ জন মারা গিয়েছেন ডেঙ্গিতে। যদিও সরকারিভাবে এই সংখ্যা কত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জেলার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৩জন। নদিয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রানাঘাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। দুর্গাপুরের পুরসভার পলাশডিহায় গত এক সপ্তাহে ৬১জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২২৭ জন। জেলার শহরাঞ্চলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩১ জন। তুলামূলক ভাবে মালদহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম। এই মরসুমে মালদহে ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বাঁকুড়া পুরসভা সূত্রে খবর, এ বছর বাঁকুড়া শহরে ১৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহারে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪। 

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    ডেঙ্গি নিয়ে বিরোধীদের তোপ

    এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি (Dengue Outbreak) নিয়ে সরকারের কাছে জবাব চাইতে পারে বিরোধীরা। অধিবেশনের পর বিধানসভার মূল গেটের বাইরে রাস্তাতে মশারি বিতরণ করবেন শুভেন্দু অধিকারীরা। গাড়ি চালক, পথ চলতি মানুষদের সেই মশারি দেওয়ার কথা। রবিবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন। তাই এই অবস্থা। ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর অবধি ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলে। এবার কোনও প্রস্তুতিই নেই।” বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এখনও অবধি যা পরিকল্পনা তাতে অধিবেশনে বিজেপির বক্তা হিসাবে চার মহিলা বিধায়ক থাকবেন। থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী এবং হিরণও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল রাজ্য। আর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা এবার এমন সব যুক্তি সামনে আনছেন, যা শুনে অনেকেই আড়ালে মুচকি হাসছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ডেঙ্গি নাকি আসছে বাংলাদেশ থেকে। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা এই ডেঙ্গি রোগ বহন করে নিয়ে আসছেন। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার শুক্রবার নতুন তত্ত্ব সামনে আনলেন। তিনি বললেন, রাজ্যে উন্নয়নের জন্যই নাকি দিনকে দিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সেই কারণেই নাকি এবার ডেঙ্গির প্রকোপ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

    কী কী যুক্তি খাড়া করলেন ফিরহাদ?

    বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট বলেছিলেন, রাজ্যে ব্যাপক হারে উন্নয়ন হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরলেই দেখতে পাবেন, রাস্তার ওপর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যে এবার কাল হয়ে দাঁড়াবে, সেটা হয়তো একমাত্র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতি বছরের মতো এবছরও বর্ষা আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, শহর কলকাতায় সেই অর্থে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দেয়নি। এর জন্য এখন থেকেই মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আর এরপরেই তিনি বলেন, শহর কলকাতার থেকে গ্রামীণ অঞ্চলে এখন ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে আগে টিনের চালা বাড়ি বা একচালা বাড়ি থাকতো, এখন সেই সমস্ত বাড়ি আর নেই। এখন সেইসব জায়গায় উন্নয়ন হয়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাকা বাড়ি। আগে এমনি নর্দমা থাকত, পাশে গোবর পড়ে থাকত। কিন্তু এখন সেই সব জায়গায় হয়েছে একেবারেই পাকা নর্দমা। যার ফলে এই সমস্ত জায়গায় জল জমছে এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গির মশা জন্মগ্রহণ করে ব্যাপক আকার ধারণ করছে, যার ফল অত্যন্ত খারাপ এবং ভয়াবহ।

    উন্নয়নই কি তাহলে কাল হল!

    এতদিন ধরে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেত্রী পর্যন্ত সকলেই এক কথায় বলতেন, রাজ্যের উন্নয়ন রাস্তায় বেরলেই দেখা যায়। তার কারণ সে তো আগেই বলে গেছেন অনুব্রত মণ্ডল, “উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপর”। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তার দলের সকলেই এক সুরে বলে চলেন, আজও রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে এই উন্নয়ন কোন উন্নয়ন? যে উন্নয়নের ফলে এইরকম ভয়াবহ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলে, সেই উন্নয়ন? বিরোধীরা এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share