Tag: Dengue Fever

Dengue Fever

  • Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর বা গ্রামীণ এলাকায় জমা জলে, যেখানে মূলত গৃহস্থালির আবর্জনা স্তূপ জমা করা হয় সেই সকল স্থানে এই মশা জন্মায়।

    এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গি

    মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশাই হল ডেঙ্গিরোগের বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফেলেস মশা রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর পেশি ও গাঁটে ব্যথা হওয়ায় ডেঙ্গিকে  ‘Break Bone Fever’-ও বলা হয়ে থাকে।

    ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব

    ডেঙ্গি জ্বর সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর হার ২.৫ শতাংশ। 

    ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ

    এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গি জীবাণুটি ​​সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’।

    প্রথম ক্যাটেগরির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির লক্ষণ খুব একটি প্রকট হয় না। ‘এ’ ক্যাটেগরি রোগীদের শরীরে শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গি রোগী ‘এ’ ক্যাটেগরির। সাধারণত এই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের শরীরে কিছু ডেঙ্গি উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগীদের জ্বরের সঙ্গে চোখে ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে হয়) থাকে। রোগীর পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা থাকার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের ডেঙ্গি উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে সাতদিন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে কারও যদি গুরুতর ডেঙ্গি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

    ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতি ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ‘সি’ ক্যাটেগরিতে পড়তে পারেন। এই রোগীদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এই রোগীর।

    এই রোগীদের সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা যায়

    1. পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
    2. বমি (২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনবার)।
    3. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
    4. বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত।
    5. দুর্বলভাব, ক্লান্তিবোধ, অস্বস্তি।

    কোনও  ব্যক্তি  ডেঙ্গি  জ্বর  থেকে  সুস্থ  হয়ে উঠলে তাঁর পুনরায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

    ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিলে কী কী করনীয়

    ডেঙ্গি জ্বরের এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গি হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই ধরনের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে ডেঙ্গির চিকিৎসা ও রোগীর সঠিক পরিচর্যা করা দরকার, নতুবা রোগীর হেমোরেজিক শকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত তা নীচে দেওয়া হল:

    ১. যদি আপনার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানান।

    ২. যতটা সম্ভব, বিশ্রাম নিন।

    ৩. জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামোল খেতে পারেন। তবে অ্যাসিপিরিন এবং ইবুপ্রফেন খাবেন না।

    ৪. ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। তাই শরীরে প্রচুর পরিমাণে তরল দরকার। জল পান করুন বা জলে ইলেকট্রোলাইট বা ওআরএস মিশিয়ে জল পান করতে হবে।

    ৫. যদি খুব জ্বর থাকে, তাহলে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন।

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা

    ঘরোয়া কিছু উপায়ে ডেঙ্গির উপসর্গ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকাংশেই আরাম বোধ করেন।

    • গুলঞ্চের রস – ডেঙ্গি জ্বর কমাতে গুলঞ্চের বিশেষ ভূমিকা আছে। বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকরী। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ডেঙ্গির জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে রোগীকে শারীরিক আরাম প্রদান করে গুলঞ্চ। দু’টি ছোট গুলঞ্চের ডাল ভেঙে একগ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এছাড়া এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দুই ফোঁটা গুলঞ্চের রস ফেলেও পান করতে পারেন। তবে বেশিমাত্রায় গুলঞ্চের রস পান করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
    • পেঁপে পাতার রস – ডেঙ্গি রোগীর রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়। পেঁপে পাতা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডেঙ্গির সময়ে যাতে প্লেটলেট হ্রাস না পায়, তার জন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিয়ে পেষণ করে তার রস বের করুন। দিনে দু’বার পান করুন পেঁপে পাতার রস।
    • তাজা পেয়ারার রস – প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে পেয়ারার রসে। এতে বিশেষ করে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটে পেয়ারার রস যোগ করলে তা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ পরিমাণে পেয়ারার রস নিয়ে দিনে দু’বার পান করুন। এছাড়া গোটা পেয়ারাও খাওয়া যায়।
    • মেথি বীজ- ডেঙ্গির জ্বরের প্রকোপ কমাতে জুড়ি নেই মেথি বীজের। এককাপ পরিমাণ গরম জলে কিছুটা মেথি বীজ ভিজতে দিন। জল ঠান্ডা হলে দিনে দু’বার করে পান করুন। মেথি বীজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী, কারণ মেথি বীজে থাকে ভিটামিন সি, কে। মেথি বীজ জ্বর কমানোর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

    এছাড়াও রোগীর পথ্যের দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত যে ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই ধরনের খাদ্য গ্রহণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রোগীর সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু ও লেবুর রস খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীকে প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। রোগীর রান্নায় রসুন, হলুদ সহ আরও কিছু মশলার ব্যবহারও করা উচিত।

    ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত

    • মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা – ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    • পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা – মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে, কারণ মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে ।
    • মশা প্রতিরোধক – বাজারে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট ও নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক প্রতিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।
    • মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা – আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করুন। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই  সমস্ত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশাকে আকর্ষণ করে না। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, একটি ঘর আলোকিত রাখুন। আলো মশাকে আকর্ষণ করে না, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ঘরে সর্বোত্তম আলো রয়েছে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ হলো, আপনার বাড়ির ভিতরে বা বাইরে একটি নিম গাছ লাগান, যদি জায়গা থাকে। নিম গাছকে মশা নিরোধক বলে দাবি করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট কিছুতেই কমছে না। দিনের পর দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এর পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে এই সময় চিকিৎসকেরাও পরামর্শ দেন খাবার ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কিছু করণীয় রয়েছে। আবার কোনও কোনও কাজ রয়েছে যেগুলো ডেঙ্গি রোগীদের ভুলেও করা উচিত না। তাই এই সময়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কী করবেন আর কী করবেন না, তা একনজরে দেখে নিন।

    ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারে বারে জল ও জলীয় খাবার খেতে হবে। শরবত, ফলের রস, পাতলা ঝোল, ডাল, স্যুপ, লিকার চা ইত্যাদি খাবার বারে বারে খেতে হবে।

    প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর জ্বর মাপতে হবে। এই সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই নিয়মিত সেটাও মাপতে হবে। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ওষুধ খাবেন না।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    এই সময় রক্তে প্লাজমা ও অণুচক্রিকার মাত্রা কমে যায়। তাই ডায়েটে বেশি করে মরসুমি ফল, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাক-সব্জি রাখতে হবে।

    কোভিডের মতো ডেঙ্গি রোগীকেও আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই সময় মশারি অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। আর রোগীর উপসর্গগুলি খুব ভাল করে লক্ষ রাখতে হবে।

    ডেঙ্গি শক সিনড্রোম থেকে মানবদেহে জলশূন্যতা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালস রেট অনেকটা বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ খুব কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত চলে। রোগী অস্থির হয়ে ওঠেন। তখন সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত।

    জ্বর, সর্দি-কাশি হলে কখনোই রোগীকে সাধারণ জ্বর ভেবে ওষুধ খাওয়াবেন না। কোনও উপসর্গ দেখলেই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর এডিস ইজিপ্টাই নামক মশাবাহিত রোগ। এই জ্বর সাধারণত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific ocean) দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে দেখা যায়। মূলত বর্ষাকালে জমা জলে বংশ বিস্তার করে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা। ডেঙ্গি জীবাণুবাহী এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ালে, আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন। অনেক সময় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এডিস মশা (Aedes Mosquito) কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ১.৫ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত প্লেটলেট থাকে। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট নেমে যায় ৫০ হাজারের নীচে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর জীবনে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। করোনার মতো মহামারির সময় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় ডাক্তারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

    ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে নিম্নে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত।

    পেঁপে

    যারা ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত তাদের জন্য পেঁপে পাতা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। পেঁপে পাতা গুঁড়ো করে ছেঁকে রস বের করে নিন। পেঁপে পাতার নির্যাস উল্লেখযোগ্যভাবে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। এছাড়াও আপনি পেঁপে পাতা জলে সিদ্ধ করে এর ছেঁকে রস বের পান করতে পারেন। এটি সম্ভবত ডেঙ্গি জ্বরের চিকিৎসার সেরা ঘরোয়া প্রতিকার।

    ডাবের জল

    ডাবের জল প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই পানীয়টি রিহাইড্রেটিং এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, সিস্টেমের ডিটক্সিফিকেশন এবং শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের বিকাশে সহায়তা করে।

    বেদানা/ডালিম

    এতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। বেদানা খেলে ক্লান্তির অনুভূতি দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি স্বাভাবিকভাবে রক্তের প্লেটলেট গণনা রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে, যা ডেঙ্গি থেকে দ্রুত নিরাময় করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা  হলেই আপনারা সাধারণ জ্বরের ওষুধ খেয়ে নেন ও তখন জ্বর কমে গেলে আপনিও মনে করেন যে, হয়তো সব সমস্যা চলে গিয়েছে, কিন্তু অনেক সময় তা নাও হতে পারে। কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনি ডেঙ্গি আক্রান্ত। ফলে জ্বর হলেই ভাববেন না যে তা সাধারণ জ্বর। অনেকে সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গি জ্বরের মধ্যে অনেকেই তফাত করতে পারেন না, আবার দ্বিতীয়বারের জন্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া যায় কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকে অনেকের।

    কজন ব্যক্তি একবারের বেশি ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে?

    ডেঙ্গি (Dengue) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এ ক্ষেত্রে এডিস ইজিপ্টাই (Aedes Aegypti) মশা মানুষের শরীরে ভাইরাসের প্রবেশ ঘটিয়ে প্লেটলেট নষ্ট করে দেয়। ফলে যেহেতু এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ, ফলে একাধিকবার আপনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এবং একবারের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তা তুলনামূকভাবে বেশি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এই ধরণের মশা সাধারণত ভোরবেলা বা সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বর ‘ব্রেক-বোন ফিভার’ নামেও পরিচিত, কারণ এটির কারণে শরীরে ব্যথা ও তীব্র জ্বর হয়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    তবে একটু সতর্ক হলেই ভেক্টরের বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেতে পারে। সাধারণত জমা জলেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির লার্ভা। বিশেষত বর্ষাকালে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। ফলে আশেপাশে জল জমা হতে দেবেন না। মশা নিরোধক, মশারি, মশার প্রজনন স্থল নির্মূল করা; এবং কীটনাশক ব্যবহার সবই ডেঙ্গি প্রতিরোধে কার্যকর।

    ডেঙ্গির লক্ষণ ও কীভাবে বুঝবেন আপনি কোভিড নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত?

    সাধারণত, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশী ব্যথা, হাড়ের ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়। ত্বকে ক্ষত, এবং নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাতও দেখা যেতে পারে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর প্রস্রাব ও মলের সঙ্গেও রক্তপাত হতে পারে। ডেঙ্গির সংক্রমণ হলে রক্তে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে শুরু করে। আর এই কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে হেমারেজ অর্থাৎ রক্তক্ষরণ হয়। প্রায়শই ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণগুলি প্রতিটি রোগীর মধ্যে উপস্থিত নাও হতে পারে এবং এই লক্ষণগুলি হয় হালকা বা গুরুতর হতে পারে। জ্বর সাধারণত ২-৭ দিন স্থায়ী হয়। এই সময়ে ক্রমাগত বমি, পেটে ব্যথাও দেখা যায়। তাই কারোর জ্বর আসলেই এবং এই লক্ষণগুলি দেখা গেলেই তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গির কিছু উপসর্গ কোভিডের সঙ্গে মিলে গেলেও যদি হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়ে, তবে বোঝা যাবে ডেঙ্গির আশঙ্কা কম।

LinkedIn
Share