Tag: Dengue In Kolkata

Dengue In Kolkata

  • Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এসে গিয়েছে। মহালয়ার পর থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড়। এরই মধ্যে উৎসবের শহরে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে ১,৩০০টিরও বেশি নতুন ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ আগে ১২৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল। এর মাঝে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। বিধাননগর এবং দক্ষিণ দমদমের মতো পার্শ্ববর্তী পুর এলাকায় বেশ কয়েকজন মানুষও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    ফের ডেঙ্গির প্রকোপ

    জানুয়ারি থেকে শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৪২২। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭০ হাজার পেরিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৬২ জনের মতো। কেএমসি আধিকারিকরা বলেছেন, যে সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সঙ্কটজনক হতে খুব বেশি সময় লাগে না। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি থাকে৷ পুজোর মধ্যেও ডেঙ্গি সংক্রমণের ভয় থাকবে। শহরের নানা হাসপাতালগুলোর সূত্রে খবর, এখনও দৈনিক ৪-৫ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রতিটি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    কেন বাড়ল ডেঙ্গি

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত, গোটা রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ৬২ হাজার। গত এক সপ্তাহে নতুন করে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ১৩ হাজার ৭১৬ জন। ২ নম্বরে কলকাতা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৪৯। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আধা শহরাঞ্চলে জল ও আবর্জনা নিষ্কাশনের কথা বলা হলেও, কাজের কাজ হচ্ছে না। জনগণের দাবি, জল জমে থাকছে। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ, তাই এভাবে ফের পুজোর মুখে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন আতঙ্কের আরেক নাম ডেঙ্গি (Dengue Update)। কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই মশাবাহিত রোগ। কমার কোনও লক্ষণ নেই। প্রশাসনও নির্বিকার। শুধু বৈঠক, উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন এবং দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে প্রশাসন। চলছে তথ্য গোপনের চেষ্টা। শহরে ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।

    আতঙ্কপুরী দমদম

    ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে আতঙ্কপুরী হয়ে উঠছে দমদম। ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দমদম এলাকা থেকে। এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। এ নিয়ে দমদম এলাকা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর অঞ্চলে মৃত্যু হল এক বয়স্ক ভদ্র মহিলার। রুনা বসাক নামে ৫৩ বছর বয়সি ওই মহিলা চলতি মাসের ১৪ তারিখ নাগেরবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।  প্রসঙ্গত, কলকাতা ছাড়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এবং হুগলি জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩০০

    পুজোর আগে ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্কের শেষ নেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। জেলায় জেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ এই তিনটে জেলা নিয়ে চিন্তার কারণ সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭,৭৬০ জন।

    রাজ্য সরকার-পুর প্রশাসন নিরুত্তর

    রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পুজো পেরিয়েও এই দাপট বজায় থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে ডেঙ্গির দাপট। তবু নিরুত্তাপ রাজ্য। তথ্য গোপনে ব্যস্ত সরকার। সব রাজ্য ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। ডেঙ্গি রোধ করার জন্য পুরনিগমের যে ভূমিকা থাকা উচিত, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া উচিত এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত সেটা একবিন্দু মানে না। সেটা দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে, যে পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে।” 

    আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার

    দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা যে প্রেসক্রিপশন লিখছে সেখানে ডেঙ্গি শব্দ নেই, বলে মত আক্রান্তদের। কোথাও বলছে, অজানা জ্বর, কোথাও বলছে পাহাড়ি জ্বর। মুর্শিদাবাদ জেলা, মালদা জেলায় এধরনের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখানেও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, সরকারকে যতটা তৎপর হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যতটা মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে না, বলে দাবি বিরোধীদের। কার্যত মানুষকে খোলা মৃত্যুর দিকে, অসহায় অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, বলে অভিমত সাধারণ মানুষের।

    ডেঙ্গিতে ছারখার বাংলাদেশ

    বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Update)। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলতি বছরে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গি বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই দেশে ডেঙ্গিতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছরে বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩,০০৮ জন নতুন ডেঙ্গি রোগী। ফলে, সেই দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, বর্তমানে, ১০,৪৭০ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ এলেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাজ্যে নতুন করে প্রায় ৬০০ জনের কাছাকাছি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ হাজার ৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুও। এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    পুরসভার গাফিলতি

    তিন মাস আগে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিল পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরনিগম পিছিয়ে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কাউন্সিলরদেরও যে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল মানছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অতীন ঘোষের বক্তব্য, “কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম কোন জায়গাটা আমাদের ধরতে হবে। কিন্তু এখন যা দেখছি, বোঝা যাচ্ছে সেই জায়গায় কিছু দুর্বলতা ছিল।” কলকাতা পুরসভার ( KMC)  সূত্রে খবর, শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ১০০-জনের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ( Mayor Firhad Hakim )  ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও অবধি ১১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বাধিক ৪৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু মনোভাবই সার, অলিতে গলিতে মিলছে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ। আর্বজনা, জমা জল সবই নজরে পড়ছে। বস্তি অঞ্চলগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    কবে কমবে দাপট

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের ছবিটা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। পুরসভার এক সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, কলকাতা পুর এলাকায় বর্তমানে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬ হাজার ৫২ জন। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৯৩ । চলতি বছরে মোট আক্রান্তের ৭৬ শতাংশের বেশি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৩৭১ জন। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বেহাল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। এমতাবস্থায় শীত পুরোপুরি না পড়লে ডেঙ্গির দাপট কমবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue in Kolkata: রাজ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! আক্রান্ত ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬৬৬। ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭০ পেরিয়েছে। প্রতিদিন তরতরিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। আজই ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে বেলেঘাটা আইডি-র প্রশাসনিক কর্তার মৃত্যু হল। অনির্বাণ হাজরা,নামে ওই প্রশাসনিক কর্তা  ১ নভেম্বর ভর্তি হয়েছিলেন বেলেঘাটা আইডি-তে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। গতকাল অনির্বাণের প্লেটলেট নেমে আসে ১৬ হাজারে। পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও, শুক্রবার সকালে ফের অবস্থার অবনতি হয়। অনির্বাণকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতা সহ তিন জেলায়। সব থেকে ভয়ানক পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায়। এক সপ্তাহে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, ১ হাজার ১৬৬ জন।এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে শেষ এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮১ জন। পার্বত্য শহর কালিম্পংয়েও ভয়ঙ্কর ডেঙ্গির প্রকোপ। সেখানে পজিটিভিটি রেট ১৯.০৫%। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, আলিপুরদুয়ার এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্যারাকপুর ও হাওড়া পুরসভার পরিসংখ্যানও। ব্যারাকপুরে এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৪০৮ জন। হাওড়ায় ২৩১ জন। পুরসভার ১, ৮, ৯, ১০, ১১ , ১২, ১৩ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি সংক্রমণের বৃদ্ধির হার বেশি। তাই ওই বরোগুলির দিকে বাড়তি নজর রাখছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। সরকারি ভাবে না মানলেও, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা আড়ালে স্বীকার করছেন, এ বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। পরিস্থিতি এখন বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গির (Dengue) ভয়াবহতার পারদ কলকাতার থেকেও বেশি জেলায়। জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি নিজেই জানান, গ্রামে যে হারে ডেঙ্গি প্রকোপ ছড়াচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

    স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরের ৪০ সপ্তাহ থেকে ৪১ তম সপ্তাহে কয়েক গুণ ডেঙ্গি বেড়ে গিয়েছে। পজিটিভিটি রেট ও অনেক বেশি। অক্টোবরের শুরুতেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মূল চিন্তা ছিল কলকাতাকে নিয়েই। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার পাশপাশি চিন্তা জেলাকে নিয়েও। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ, এই কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে প্রথমেই আছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। বছরের ৪১ তম সপ্তাহে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৫৩ জন। যেখানে আগের সপ্তাহে অর্থাৎ, ৪০তম সপ্তাহে সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। তালিকায় এরপরেই রয়েছে হাওড়া। বছরের শুরু থেকেই কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ, তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আর সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য বলছে, হাওড়ায় বছরের ৪১ তম সপ্তাহে অর্থাৎ, অক্টোবরের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬ জন। এরপরে তালিকায় আছে কলকাতা। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৬ জন। হুগলির পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। সেখানে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৫২ জন।

     স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে ২৪৫৪ জনকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৯৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাশপাশি ব্লক স্তরে ও ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত এক সপ্তাহে ৩৭৫ জন গ্রামীণ বা ব্লক স্তরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মহকুমা বা স্টেট জেনারেল স্তরের হাসপাতালে ১০১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ, শহরের পাশপাশি জেলা ও চিন্তা বাড়াচ্ছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশপাশি উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১৯০ জন শেষ সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির নিরিখে শিলিগুড়িই প্রথমে রয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করে দেয় উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট দেরিতে আসার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে ও দেরি হচ্ছে। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, গ্রামাঞ্চলে কতখানি ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ হয়েছে, সে নিয়ে সংশয় হচ্ছে। কারণ, জ্বরে তিন-চারদিন ভুগলেও অনেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করছেন না। ওষুধের দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খাচ্ছেন। প্লেটলেট কমছে কিনা, তা বোঝাও যাচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারপরে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাই অনেকটাই সময় অপচয় হচ্ছে।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই বছর তা আরও আরেকবার প্রমাণিত হলো। অথচ, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সময় মতো সমস্ত বিভাগ একযোগে কাজ করলে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় হয়তো পৌছতো না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ডেঙ্গিতে প্রত্যেক বছর লোক মারা যায়। প্লেটলেট পাওয়া যায় না। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফেরে না। শীত পড়লেই প্রশাসন ও শীত ঘুমে চলে যায়। বছর ভর সমস্ত বিভাগ একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যাবে, এই সদিচ্ছার বড় অভাব। আর তার জন্য রাজ্যবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। তবুও কোথাও যেন তাল কাটছে। ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রত্যেক দিন লাফিয়ে বাড়ছে শহর তথা সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue situation in West Bengal) মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee Government)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) সূত্র অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪০ জন। ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে ৭,৬৮২ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১২৯ জনকে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৪১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ভাবে চলতে থাকলে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শীঘ্রই ২০ হাজার ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, উৎসবের আগে ডেঙ্গির পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে কোভিড

    স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গি হু হু করে বাড়ছে, সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। ইতিমধ্যে হাওড়া, কলকাতা, হুগলিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের এক গৃহবধূর (Housewife dies by dengue) ৷ মৃতের নাম মৌমিতা ভট্টাচার্য । সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি ৷ 

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৎপর রাজ্য সরকার। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুজোর (Durga Puja 2022) সময় স্বাস্থ্য কর্তাদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজো স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোর ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বোরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in Kolkata: উৎসবের মুখে রাজ্যে আশঙ্কা ধরাচ্ছে ‘ডেঙ্গি-৩’, কতটা বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    Dengue in Kolkata: উৎসবের মুখে রাজ্যে আশঙ্কা ধরাচ্ছে ‘ডেঙ্গি-৩’, কতটা বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এই মুহূর্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিপজ্জনক ‘ডেঙ্গি-৩’। ডেঙ্গি ২-র পাশাপাশি আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি ৩-এর ভ্যারিয়েন্টও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নাইসেডে। নাইসেডের রিপোর্টে উঠে এল চরম উদ্বেগজনক এই তথ্য। এখনও পর্যন্ত ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫টিতেই মিলেছে ডেঙ্গি থ্রি-এর ভাইরাস। নাইসেড আধিকারিক শান্তা দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি ৩ বেশি, ৩৫টি ডেঙ্গি থ্রি, ১০টি ডেঙ্গি ২, এক দুটো ডেঙ্গি ওয়ান। ২০১৯-এ ডেঙ্গি ২ বেশি হয়েছিল। এবার ডেঙ্গি থ্রি সব থেকে বেশি।” 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে যদি কেউ ডেঙ্গি টু দাপট দেখিয়েছিল। ডেঙ্গি টু তে কেউ আক্রান্ত হলে, শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা এই ডেঙ্গি থ্রিয়ের মোকাবিলা করতে পারবে না। মাইক্রোবায়োলজিস্ট দেবকিশোর গুপ্তর কথায়, “এটা ৭০ শতাংশ স্যাম্পলে ডেঙ্গি থ্রি পাওয়া গেছে, এটা অ্যালার্মিং, প্লেটলেট কমে না, কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, এটাই ডেঙ্গি থ্রিয়ের চরিত্র।”

    এতদিন শ্রীলঙ্কা, লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু দেশে ডেঙ্গি থ্রি-র ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব দেখা যেত বেশি। এই বছর সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গি থ্রি-এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সেই বিপজ্জনক ডেঙ্গি থ্রি-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে বাংলাতেও।

    ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Police ommissioner Vinit Goyal Hospitalised)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন নগরপাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। শহরে ফের ভয় ধরাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি (Dengue in Kolkata)। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে শহরবাসীকে। শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায়ে অতিরিক্ত নজর দিয়েছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    পুলিশ সূত্রে খবর, জ্বরে ভুগছিলেন পুলিশ কমিশনার। পরীক্ষা করালে, রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তার পরই বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

    কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে শহরবাসীর জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট না কমলেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোগীর শরীরে আদ্রতার মাত্রাতেও নজর রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, “বমি, মাথা ঘোরার উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।” 

    দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, শ্রীরামপুর, বিধাননগর, বালি, হাওড়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলছে। নতুন করে ৫৩৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন।

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রাণঘাতী। অগাষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার মতো জেলাগুলোতে ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনো মোকাবিলার পথ খুঁজে পেল না। তাই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি অব্যাহত। ফি-বছরেই মশাবাহিত রোগে প্রাণ যায় কয়েক হাজার রাজ্যবাসীর।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো সংক্রমকের মোকাবিলা বছরভর করতে হয়। কিন্তু সারা বছর স্বাস্থ্য দফতরের সেই তৎপরতা দেখা যায় না। আর তাই বর্ষাকালে পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসন হিমশিম খায়। এবছরে ও ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়াতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলিতেও মারাত্মক ডেঙ্গি প্রকোপ বেড়েছে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হলে সরকারের একাধিক বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। শিক্ষা, পূর্ত, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলো। এতগুলো দফতরের একযোগে কাজে প্রয়োজন সদিচ্ছা ও সমন্বয়। তবেই কাজে সাফল্য আসবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দুইয়ের অভাব দেখা যায়। আর তাই সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    অধিকাংশ সময়, বাচ্চারা স্কুল থেকে আক্রান্ত হচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। বিশেষত হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনায় রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেও জল জমে। হাওড়ার একাধিক জায়গায় রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকে যায়। জল সরতেই তিন-চার দিন কেটে যায়। জমা জল মশাল আঁতুড়ঘর জানার পরেও বাসিন্দাদের কিছু করার থাকে না। শিক্ষা, পূর্ত ও পুর দফতরের সমন্বয়ের অভাব এই ছবিগুলোতে স্পষ্ট।

    হাওড়ায় গত সপ্তাহেই ২৯ বছর বয়সি এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, তারা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। কিন্তু এরকম সংক্রমক রোগ পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব নয়। এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য খুব বিরক্ত। বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, পুরসভার কাজ কি শুধুমাত্র বাড়িতে বাড়িতে জ্বর হয়েছে কিনা, সেটাই জানা। আর কিছুই কি করণীয় নেই? সময় মতো রাস্তা সারাই, নর্দমা পরিষ্কার, পার্কের আগাছা কেটে পরিষ্কার কে করবে?

    একই রকম পরিস্থিতি হুগলি জেলাতেও। হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভা এলাকায় গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়িতে পুর কর্মীরা জ্বরের খোঁজ নিতে গেলে অনেক জায়গায় তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এক বাসিন্দার কথায়, “বাড়িতে জল জমিয়ে রাখতে নেই। জমা জলে মশা জন্মায় দশ বছর ধরে শুনছি। জল জমিয়ে রাখি না। কিন্তু সবকিছু আমাদের কাধে ফেলে দিলেই হবে না। পুরসভা নিজেদের কাজ করছে কোথায়? “

    যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং কলকাতা পুরসভার যুক্তি, বছরভর ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চলে। তবে রাতারাতি সব সমস্যা নির্মূল সম্ভব নয়।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও সংক্রমক রোগের মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে রোগের সঠিক তথ্য দেওয়া প্রথম কাজ। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সেটাই সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি মৃত্যুর সঠিক তথ্যের জন্য মানুষকে আদালতের দ্বারস্থ পর্যন্ত হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকে তথ্য পাঠানো নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। মানুষ রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে না জানতে পারলে, রোগ ঠেকানো মুশকিল। তাই ডেঙ্গিকে মোকাবিলা করতে হলে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। কোন জেলায় সংক্রমণ কেমন হচ্ছে, সেটা ঠিকমতো বোঝাতে হবে। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, “শুধু গান বাজিয়ে মানুষকে সচেতন করা যায় না। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে হয়। ডেঙ্গির তথ্য নিয়ে অতীতে অনেক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে আগে ধোঁয়াশা থেকে বেরোতে হবে। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share