Tag: Dengue

Dengue

  • Salman Khan: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সলমন খান,শারিরীক অসুস্থতায় শুটিং বন্ধ

    Salman Khan: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সলমন খান,শারিরীক অসুস্থতায় শুটিং বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলিউড অভিনেতা সলমন খান (Salman Khan)। গত চার-পাঁচদিন ধরে অসুস্থ তিনি। যার কারণে বড় পর্দা বা ছোট পর্দার তাঁর সব শ্যুটিং এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। ‘ভাইজান’ অসুস্থ, এই খবর শুনলে মন খারাপ হবে ভক্তদের।সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সলমন খান গত দু’সপ্তাহ ধরে কিসি কা ভাই, কিসি কি জান (Kisi Ka Bhai Kisi Ki Jaan) ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।তার মাঝেই তিনি আক্রান্ত হন ডেঙ্গিতে (Dengue)। অভিনেতার শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আপাতত ছবির শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে।কিছু দিনের জন্য তাই ‘বিগ বস’-এর মঞ্চ থেকেও বিরতি নিতে হয়েছে নায়ককে। শুক্রবার দর্শক ওই শোয়ের সঞ্চালকের আসনে দেখেছেন পরিচালক কর্ণ জোহরকে। বলিউডের ভাইজান না থাকলে, অনেকেই মুখ ফেরাতেন পারেন জনপ্রিয় ‘বিগ বস’ থেকে। তাই সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগেভাগেই বেশ কিছু পর্বের শুটিং সেরে রেখেছেন সলমন। যদিও এর আগেও করণ জোহর (Karan Johar) ‘বিগ বস ওটিটি’- সঞ্চালনা করেছেন। তাঁর নিজস্ব স্টাইলে এই শো হিট হয়েছে।

    ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি খুব বাড়াবাড়ি না হলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর থেকে পরের ছবির শুটিং শুরু করার কথা সলমনের। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত নায়ক অতটা দ্রুত সেরে উঠে নির্দিষ্ট দিনে সে ছবির কাজ শুরু কতে পারবেন কি না, তা শনিবার পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে নায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, “ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ভাইজান। খুব শীঘ্রই শুরু করবেন নতুন ছবি ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’”-এর শুটিং। তবে নায়কের অসুস্থতার কারণে বন্ধ নেই সেই ছবির কাজ। অন্যান্য অভিনেতাকে নিয়ে ছবির বাকি অংশের কাজ এগিয়ে রাখছেন পরিচালক। আগামীতে অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সাথে ফের টাইগার ৩ তে দেখা যাবে ভাইজানকে।

    এই মুহূর্তে সলমনকে দর্শক দেখছেন বিগ বস (Bigg Boss) -এর ঘরে যাবতীয় সমস্যা এবং বিতর্ক সামলাতে। এমনিতেই ওই শোয়ে সাজিদ খানকে নিয়ে বিতর্কে ফুটছে বলিপাড়া। মাঝে এমনটাও শোনা গিয়েছিল বিগ বস থেকে নাকি বেরিয়ে যেতে পারেন সাজিদ। তবে এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি শোয়ের সঞ্চালক-নায়ক।বিগ বস-এর পর নিজের প্রযোজিত আগামী ছবিতে মন দিতে চান সলমন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dengue: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    Dengue: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর এডিস ইজিপ্টাই নামক মশাবাহিত রোগ। এই জ্বর সাধারণত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific ocean) দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে দেখা যায়। মূলত বর্ষাকালে জমা জলে বংশ বিস্তার করে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা। ডেঙ্গি জীবাণুবাহী এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ালে, আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন। অনেক সময় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এডিস মশা (Aedes Mosquito) কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ১.৫ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত প্লেটলেট থাকে। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট নেমে যায় ৫০ হাজারের নীচে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর জীবনে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ: সাধারণত মশার কামড়ের ৪ থেকে ৭ দিন পর ডেঙ্গির লক্ষণ প্রকট হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ১০ দিনও হতে পারে। জ্বর হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিন পর শরীরজুড়ে ত্বকে র‍্যাশ দেখা যায়। এটা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গি জ্বরে তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। মাংশপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। ব্যথার তীব্রতার জন্য মনে হয় এই বুঝি হাড় ভেঙে গেল। তাই এই জ্বরের আর এক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’ (Break Bone Fever)।

    ডেঙ্গি জ্বরের আর একটি প্রকার হল হেমোরেজিক জ্বর (Hemorrhagic Fever) । এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অসময়ে ঋতুস্রাবের মতো ঘটনাও ঘটে।

    ডেঙ্গি জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গি শক সিনড্রোম। এর ফলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া,নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়, শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়। এমন আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন রোগী।

    ডেঙ্গি রোগ প্রতিরোধের উপায়:   

    ডেঙ্গি জ্বর প্রতিরোধের জন্য ভারতে কোনও ভ্যাকসিন মেলে না। ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া নামে একটি ভ্যাসসিন আবিষ্কার হলেও এর ব্যবহার খুবই কম। এডিস মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচলেই ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই ডেঙ্গির হাত থেকে বাঁচতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

    • জলের পাত্র ঢাকা রাখা উচিত।
    • প্রতি সপ্তাহে বাড়ির যেসব পাত্রে জল জমে থাকে, সেগুলি পরিষ্কার করতে হবে। যেমন বালতি, ফুলের টব, নারকেলের খোলা। যেসব জায়গায় জল জমে, সেসব জায়গাও পরিষ্কার করতে হবে। 
    • মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে ফুল হাতা জামাকাপড় পরা প্রয়োজন।
    • মশা তাড়ানোর ধূপ ও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
    • শরীরে মশা কামড় প্রতিরোধক ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। 

    ডেঙ্গির প্রতিকার: 

    • ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
    • যথেষ্ট পরিমাণে জল, শরবত, ডাবের জল ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
    • স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রোগীর খাদ্যতালিকায় খিচুড়ি, যব এবং মসুর ডালের মতো উচ্চফাইবার যুক্ত খাবার রাখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dengue: বিরাম নেই হেমন্তেও, পুজোর মরশুমেও কলকাতায় রমরমা ডেঙ্গির

    Dengue: বিরাম নেই হেমন্তেও, পুজোর মরশুমেও কলকাতায় রমরমা ডেঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেমন্তেও বিরাম নেই ডেঙ্গির (Dengue)। সকাল-বিকেলে হালকা শীতের আমেজ। দুপুরে সহনশীল তাপমাত্রা। এহেন আবহেও কলকাতায় বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, অক্টোবরের প্রথম তিন সপ্তাহের প্রতি সপ্তাহে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাজারের বেশি।

    ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এঁদের ৮০ শতাংশই দক্ষিণের বাসিন্দা। দক্ষিণ কলকাতার ৯ থেকে ১৩ নম্বর বরো এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হার সব চেয়ে বেশি। দিন দুয়েক আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের। এই হাসপাতালটি ৯ নম্বর বরোর অন্তর্গত। এই হাসপাতালের হস্টেলের ২০ জন আবাসিকও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। পুরসভার চিকিৎসকদের মতে, নভেম্বরের পরে ঠান্ডা আরও পড়লে কমবে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার। 

    সরকারি পরিসংখ্যান

    ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে যে রাশ টানা যায়নি, তার প্রমাণ মিলেছে সরকারি পরিসংখ্যানেই। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ৪৭৫। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ২৭১ জন। আর তার আগের বছর ডেঙ্গি হয়েছিল ৮ হাজার ২৬৪ জনের। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ১৬৬ জন।

    আর চলতি বছর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ৪৮ হাজার ৩১১ জনের। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের রক্ত পরীক্ষায়। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তাই পুরসভাগুলিকে আরও একবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জমা জলে জন্মায় মশার লার্ভা। তাই কোথাও যেন জল জমে না থাকে, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে পুরসভাগুলিকে।

    আরও পড়ুুন: বাকিবুরের আরও ৫৬০ কাঠা জমির হদিশ আমডাঙায়! সবই কি বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র?

    ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। এ মাসেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পার্ক সার্কাসের তিলজলার মাস দুয়েকের এক শিশুর। তার ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সিভিয়ার ডেঙ্গির। তার আগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দমদম পুরসভা এলাকার এক যুবকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    Dengue Update: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এসে গিয়েছে। মহালয়ার পর থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড়। এরই মধ্যে উৎসবের শহরে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে ১,৩০০টিরও বেশি নতুন ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ আগে ১২৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল। এর মাঝে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। বিধাননগর এবং দক্ষিণ দমদমের মতো পার্শ্ববর্তী পুর এলাকায় বেশ কয়েকজন মানুষও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    ফের ডেঙ্গির প্রকোপ

    জানুয়ারি থেকে শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৪২২। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭০ হাজার পেরিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৬২ জনের মতো। কেএমসি আধিকারিকরা বলেছেন, যে সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সঙ্কটজনক হতে খুব বেশি সময় লাগে না। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি থাকে৷ পুজোর মধ্যেও ডেঙ্গি সংক্রমণের ভয় থাকবে। শহরের নানা হাসপাতালগুলোর সূত্রে খবর, এখনও দৈনিক ৪-৫ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রতিটি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    কেন বাড়ল ডেঙ্গি

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত, গোটা রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ৬২ হাজার। গত এক সপ্তাহে নতুন করে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ১৩ হাজার ৭১৬ জন। ২ নম্বরে কলকাতা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৪৯। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আধা শহরাঞ্চলে জল ও আবর্জনা নিষ্কাশনের কথা বলা হলেও, কাজের কাজ হচ্ছে না। জনগণের দাবি, জল জমে থাকছে। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ, তাই এভাবে ফের পুজোর মুখে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। কলকাতা লাগোয়া হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি। আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এরইমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে প্লেটলেট আনতে হচ্ছে।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক? (Dengue)

    হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, দৈনিক ২৫-২৭ জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শয্যার পাশাপাশি প্লেটলেটেরও অভাব দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বুধবার মাত্র এক দিনে আট জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গি রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরের আয়োজন না করায় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট নেই বললেই চলে। এসএসকেএম থেকে ২০ ব্যাগ প্লেটলেট আনিয়ে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লেটলেট সাধারণত চার দিনের বেশি রাখা যায় না। নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার যে রক্তদান শিবির হয়, সেখান থেকে প্লেটলেট নিয়ে টেনেটুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো যায়। পরের তিন দিন চরম সঙ্কট হয়।

    হাওড়া পুরসভার কর্তা কী বললেন?

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯তম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৭। ৪০ তম সপ্তাহে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০০। এই পুর এলাকায় যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তা মানছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। নতুন করে যে ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে, সেগুলি হল ২৫, ৪২, ৪৯ এবং ৫০ নম্বর। শনিবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়ার শরৎ সদনে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারি আবাসনের চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আবর্জনা পরিষ্কারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক চিকিৎসক। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল কমিশন গঠন করে নজরদারির ব্যবস্থা করা হোক। যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দিক আদালত। রক্ত পরীক্ষার জন্য চালু হোক মোবাইল ইউনিট। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, রাজ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি কোনও কাজ করছে না। ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক পরিসংখ্যানও রাজ্য দিচ্ছে না।

    ডেঙ্গির বলি বালিকা

    মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এদিনই। কলকাতার পাটুলিতে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু হয়েছে তিথি হালদার নামে বছর দশেকের এক বালিকার। শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিথি। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গির বলি হয়েছেন তিনজন। এঁদের মধ্যে একজন ঠাকুরপুকুরের, একজন লেকটাউনের, আর একজন মুর্শিদাবাদের। সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৫০ এর গন্ডি। জানা গিয়েছে, কেবল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৯জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা ব্যর্থ। কাউন্সিলরের দেখা মেলে না।

    ডেঙ্গিতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    এদিকে, পুজোর আগে আগেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) চোখ রাঙানি। ফি বারের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২৩ জন। আর গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪২ জন। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৯৮ জন। জানা গিয়েছে, কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবড়া ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা এবং গাইঘাটা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Chikungunyia: ফের তথ্য গোপন রাজ্যের! ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর এবার বঙ্গে হানা চিকুনগুনিয়ার

    Chikungunyia: ফের তথ্য গোপন রাজ্যের! ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর এবার বঙ্গে হানা চিকুনগুনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর! বেশ কিছুদিন ধরে এমন অবস্থাই ছিল পশ্চিমবঙ্গের। ডেঙ্গির দোসর হয়েছিল ম্যালেরিয়া। এবার মশকবাহিত এই দুই রোগের তালিকায় ঢুকে পড়ল চিকুনগুনিয়াও (Chikungunyia)। গোটা রাজ্যে এখনও সেভাবে চিকুনগুনিয়ার হদিশ না মিললেও, অল্প-স্বল্প রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, হুগলির কয়েকটি এলাকায় ফিভার ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় কয়েকজনের রক্তে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। ঘটনার জেরে উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    চিকুনগুনিয়া নিয়েও তথ্য গোপন!

    বিরোধীদের দাবি, ডেঙ্গির মতোই চিকুনগুনিয়া নিয়েও তথ্য গোপন করছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোলকে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, সব রাজ্য এবং দেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওয়েবসাইটে চিকুনগুনিয়া (Chikungunyia) সংক্রান্ত তথ্য মিললেও, বাংলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত নিয়ে কোনও তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। ২০১৯ সালেও এ বিষয়ে কোনও তথ্য রাজ্য সরকার দেয়নি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ডেঙ্গি নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করছে তারা।  

    চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ

    কেবল হুগলি নয়, মধ্য ও গ্রামীণ হাওড়ায় যে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়েছে, সেখানেও কয়েকজনের রক্তে চিকুনগুনিয়া (Chikungunyia) ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, আবহাওয়া বদল হওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো বাড়ছে চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ ডেঙ্গির মতোই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রবল জ্বরের পাশাপাশি হবে গায়ে ব্যথাও। মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস শরীরে প্রবেশের দু’ থেকে চার দিনের মধ্যে হঠাৎই প্রবল জ্বর শুরু হয়। এর সঙ্গে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়, যা থাকে কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস। কয়েক বছরও থাকতে পারে ব্যথা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশাই চিকুনগুনিয়ার বাহক। এই মশা দিনের বেলায় কামড়ায়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা এলাকায়ও বাড়ছে ডেঙ্গির দাপাদাপি। এমতাবস্থায় মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে ‘অফিস অফ প্রফিটে’র প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর অভিযোগ, পুরসভার কিছু বাসিন্দা তাঁকে জানিয়েছেন, পুরসভায় ফোন করা হলে জানানো হয় মেয়র রয়েছেন নবান্নে। আবার নবান্নে ফোন করা হলে বলা হয় মন্ত্রী রয়েছেন পুরসভায়। এমতাবস্থায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়ার (Chikungunyia)। তাই ক্রমেই চড়ছে আতঙ্কের পারদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৫০ ছুঁইছুই! সরকারি মতে, সব দোষ কোমর্বিডিটির 

    Dengue Update: ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৫০ ছুঁইছুই! সরকারি মতে, সব দোষ কোমর্বিডিটির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে মৃত্যুমিছিল। ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৭ বছরের কিশোরের। ২০ তারিখ শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই কিশোরকে। পরে নিয়ে আসা হয় মিন্টো পার্কের (Minto Park) এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে মাল্টি অর্গান ফেলিওর, সেপসিস ও ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারের উল্লেখ রয়েছে। সল্টলেকের দত্তাবাদেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৫২ বছরের গৃহবধূর। এই নিয়ে সল্টলেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কত মৃত্যু? আর কত প্রাণহানি? ডেঙ্গির ভয়াবহ প্রকোপে (Dengue Scare) আর কত সহনাগরিকদের হারাতে হবে আমাদের? প্রশ্ন রাজ্যবাসীর।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    কার্যত পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৪০২ জন। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ২ হাজার ৯৫৬। আর শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ জন আক্রান্ত। এক সপ্তাহে ১ হাজার ৫৮৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২ দিন আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায় (Tapas Chatterjee)। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায়, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন। ডেঙ্গি ভয়াবহ চেহারা নেওয়ার পর, টনক নড়েছে পুরসভার। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে জমা জলে, ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাওডার, মশা মারার তেল। চিন্তা আর উদ্বেগের প্রহর কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিধাননগরবাসীর কথায়, বিধায়ক ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।

    আরও পড়ুন: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    দোসর ম্যালেরিয়া

    রাজ্যে প্রায় প্রতি দিনই এক বা একাধিক মৃত্যু হচ্ছে। তার মধ্যেই দোসর ম্যালেরিয়া। ফলে চিন্তা আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে সরকার তথ্য চাপা দিতে চাইছে। রাজ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মোট আক্রান্ত এবং মৃত্যু কত, সে বিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে দিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। যদিও বেসরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। মৃত ৪৫ জন। আর, ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা চার। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, “কোভিডের সময়েও এমন কোমর্বিডিটির কথা বলে মৃত্যু গোপনের চেষ্টা চলেছিল। মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক, যে কোনও সংক্রমণেই পুরনো রোগ মাথা চাড়া দেয়। তার জন্য সংক্রমণকে অস্বীকার করা যায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে রাজ্যে ৬ জন ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের মৃত্যু।  এর মধ্যে দু’জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু’জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু’জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন।গত জুন-জুলাই থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

    কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি রাজ্য

    চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য! কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে একথা জানা যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি।  

    ভয়াবহ পরিস্থিতি

    কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। এদিকে  এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।

    রাজ্যবাসীর প্রশ্ন

    প্রতিনিয়ত যে হারে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে  শহরবাসী। প্রতি বারই সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পরে কেন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের? বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার? ডেঙ্গি যখন মহামারির চেহারা নিতে চলেছে, তখন রাস্তায় নেমে কী হবে? পুর স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না বলে অভিমত শহরবাসীর।

    আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    শহরের অবস্থা

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে তিন জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘গত বছরের চেয়েও এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। অথচ, কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে?’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share