Tag: Deport

Deport

  • Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু অসমে শুরু হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (Declared Foreigners) বিতাড়নের কাজ। অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার শুরু করেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশিকে, যাদের ট্রাইব্যুনাল অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করেছে, শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘোষিত বিদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই মুহূর্তে নিখোঁজ। বহু শুনানির পর অসমে বসবাসকারী এই অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অধিকাংশই আদালতের রায়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Assam Govt)

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নয়া ‘অসম অভিবাসী নির্বাসন বিধিমালা, ১৯৫০’-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নির্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ৩০হাজার ১২৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রণয়ন হলে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ঘোষিত ১ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশিকে নির্বাসিত করতে পারবে। যাঁরা আদালতে মামলা করেছেন কিংবা যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাঁদের ছাড়া। এই মামলাগুলি আর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না। বরং সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য জেলাশাসকের সামনে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হবেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে জেলাশাসক নির্বাসনের নির্দেশ জারি করবেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়

    উল্লেখ্য যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার মামলায় বিতর্কিত আইএমডিটি (অবৈধ অভিবাসী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আইন) বাতিল করে, তখন কংগ্রেস সরকার অসমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা চালু করে। এটি প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (Assam Govt)। সম্প্রতি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে অভিবাসী নির্বাসন আইন, ১৯৫০ প্রয়োগ করে (Declared Foreigners) শনাক্ত হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারে। হিমন্ত বলেন, “এখন এটি দেশের আইন। কারণ এটি সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাজ্য সরকার এই আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দু জনগণ আত্মবিশ্বাসী কারণ তাঁদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের আগে এ রাজ্যে এসেছেন। শুধুমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাই অসমে এই আইনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই (Assam Govt)।

  • Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Controversy) উত্তাল ইসলামিক দেশগুলি। প্রাক্তন বিজেপিনেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা বিশ্বের সামনে অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে ভারতকে। ইসলামিক দেশগুলি ক্ষমা চাইতে বলেছিল ভারতকে। মুসলিম দেশগুলি ভারতীয় পণ্যও বয়কট করেছিল। এই প্রতিবাদে সামিল হওয়া অন্যতম দেশ ছিল কুয়েত (Kuwait)। সমস্ত সুপারমার্কেটের তাক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত ভারতীয় পণ্য। কুয়েতজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছিল বিস্তর। 

    অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসছে কুয়েত। ভারত নয়, কুয়েত এবার ব্যবস্থা নিচ্ছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেই। প্রবাসী বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করার পথে কুয়েত সরকার। এরমধ্যে রয়েছে ভারতীয়, পাকিস্তানিও। এমনকি চিরতরে ওই বিক্ষোভকারীদের ব্ল্যাকলিস্টও করতে পারে কুয়েত সরকার।   

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    গত ১০ই জুন কুয়েতে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ৪০-৫০ জন মুসলিম প্রবাসী একটি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। এই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি পয়গম্বর মহম্মদের সমর্থনে স্লোগান পর্যন্ত দেয় তারা। এরপর তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়।   

    কুয়েত সরকারের আইন অনুযায়ী দেশের মধ্যে প্রবাসীদের বিক্ষোভ কিংবা আন্দোলন করাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় এবং সেই কারণেই  বিক্ষোভকারীদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা পয়গম্বর ইস্যুতে নূপুর শর্মার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর জন্য কুয়েতের পাহাহিল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় আন্দোলকারীদের।   

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    সূত্রের খবর, বর্তমানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের ভিসাও বাতিল করতে চলেছে সরকার এবং তাদের নির্বাসন কেন্দ্রে পর্যন্ত পাঠানো হতে চলেছে। এমনকি, বিক্ষোভকারীদের আজীবন নির্বাসিত করতে পারে কুয়েত।     

    কুয়েতের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। বিশেষত কুয়েতের রাজ পরিবারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। গত বছর  বিজেপি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কুয়েতে গিয়ে সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, নরেন্দ্র মোদির বার্তা দেন এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও কী করে ভালো করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। কোভিডের সময়ও ভারতকে প্রচুর অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে কুয়েত। অনেক ভারতীয় কুয়েতে পরিচারকের কাজ নিয়ে যান। তাদের আইনি সুরক্ষা প্রদানের জন্যে একটি মৌ সাক্ষর করে কুয়েত সরকার।  

    তাই সাময়িকভাবে নিন্দা করলেও ভারতের বিরুদ্ধাচরণ যে করবে না কুয়েতের সরকার বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল। 

     

LinkedIn
Share