Tag: Devi Durga

Devi Durga

  • Durga Puja 2024: ‘ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো’য় মা পূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে, তাই তিনি চতুর্ভূজা!

    Durga Puja 2024: ‘ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো’য় মা পূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে, তাই তিনি চতুর্ভূজা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো বুড়িমা। হ্যাঁ, এই নামেই অধিক পরিচিত এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। তা দেখতে দেখতে প্রায় সাড়ে চারশো বছর বয়স হয়ে গেল এই পুজোর। জানা যায়, পুজো শুরু করেছিলেন বিকল সিং নামে এক ব্যক্তি। এখানে মা চতুর্ভূজা। মাকে এখানে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয় বলেই তিনি চতুর্ভূজা। মা ভাঙা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বলেও পরিচিত। কারণটাও নামের সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ। শোনা যায়, যখন থেকে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তখন এখানকার বাড়িঘর ছিল ভাঙা। সেই থেকে এই পুজোর নামকরণ হয় ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো।

    পাঁঠা বলি এবং লুচি প্রসাদ (Durga Puja 2024)

    এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, সপ্তমীর দিন একটি পাঁঠা বলিদান হয়, অষ্টমী সন্ধ্যায় দুটি ধবধবে সাদা পাঁঠা বলি হয়, নবমীর দিন পাঁচটি পাঠা এবং একটি চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। এই ভাঙা বাড়ির বুড়িমা দুর্গোৎসবে অষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় লুচিপ্রসাদ ভোগ হয়, যা পারিপার্শ্বিক প্রতিবেশীদের এবং আশপাশের অঞ্চলে বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রতিদিনই সন্ধ্যায় লুচি প্রসাদ হয়। এই পুজোয় রথের দিন শুভ সময় ধরে ঠাকুর মশাই গঙ্গার মাটি কাঠামোতে লাগান। তারপর থেকেই শুরু হয় মূর্তি বানানো।

    বুড়িমার পুজোর রীতি

    এই মন্দিরে শালগ্রাম শিলা এবং নারায়ণ মূর্তি থাকার ফলে প্রথমে তাঁদের পুজো (Durga Puja 2024) করার পর মা দুর্গা (Jagadhatri) পূজিত হন। এছাড়া এই মন্দির সংলগ্ন জটাধারী তলায় যে বেল গাছ এবং ঘট আছে, সেখানেও মন্দিরের মতো পুজো করা হয়। এই বাড়ির সদস্যা মল্লিকা সিনহা জানান, এই পুজোয় চার দিন বাড়ির অন্যান্য সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁরা বাইরে থেকে দেশের বাড়িতে চলে আসেন। সবাই মিলে খুব আনন্দের সঙ্গে ধুমধাম করে পুজো হয়। তিনি বলেন, আমরা শাশুড়িদের কাছে থেকে দেখেছি এই পুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত যখন ছাগ বলি হয়, তখন পুজো মণ্ডপের সকল সধবারা ধুপচি মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এটাই এই বুড়িমার পুজোর রীতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আর মাত্র কয়েকদিন। তারপর-ই দেবী বিপত্তারিণীর (Bipodtarini Puja) ব্রত। আষাঢ় মাসে রথ (Rath Yatra) এবং উল্টোরথের মাঝে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই বিপত্তারিণী ব্রত পালিত হয়। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ হাতে বাঁধা হলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

    দেবী দুর্গা (Goddess Durga) হিন্দুধর্মের দেবী। দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) অর্ধাঙ্গিনী আদি শক্তি। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘বিপদনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। বিপদ যিনি তারন করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ। 

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণীর পুজো করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

    কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর উৎস।

    আরও পড়ুন: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

    বিপত্তারিণীকে (Bipodtarini Puja) সঙ্কটতারিণী বলেও পুজো করা হয়। এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

LinkedIn
Share