Tag: DGCA

DGCA

  • IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান (IndiGo Crisis) পরিষেবা। ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি বিমানসংস্থার ১ হাজার ৫০০টি-রও বেশি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় লক্ষ লক্ষ যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। রবিবারও সংস্থার এদিনও প্রায় ৬৫০টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    দ্রুত জবাব তলব

    পরিষেবার উপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচিকে দায়ী করেছে ইন্ডিগো। তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এদিকে, ডিজিসিএ (DGCA) থেকে জারি হওয়া শোকজ নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। পাশাপাশি বাতিল ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড করার কাজ শুরু করেছে সংস্থা। এছাড়া সারাদেশে যাত্রীদের ৩,০০০টি ব্যাগেজও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

    ইন্ডিগো ফ্লাইট পরিস্থিতি

    রবিবার ইন্ডিগো (IndiGo Crisis) তাদের দৈনিক ২,৩০০ ফ্লাইটের মধ্যে প্রায় ৬৫০টি—অর্থাৎ মোট প্রায় ২৮%—বাতিল করেছে। বেশ কয়েকটি রুটে সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে ইন্ডিগো ইতোমধ্যেই প্রায় ২,০০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল হবে। ডিজিসিএ-র শোকজ নোটিসের জবাব দিতে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। শোকজ নোটিসে ডিজিসিএ জানায়, ইন্ডিগোর প্রধান ব্যর্থতা ছিল নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL) বিধির অধীনে প্রয়োজনীয় স্টাফিং, ডিউটি টাইম এবং রোস্টারিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারা। এক স্ট্যাটাস আপডেটে রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগো জানিয়েছে, গতকাল ১ হাজার ৫০০টি ফ্লাইটের বদলে এবার তারা ১ হাজার ৬৫০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনার পথে রয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ১৩৮টি গন্তব্যের মধ্যে ১৩৭টি চালু রয়েছে এবং ৭৫ শতাংশ পরিষেবা সময়মতো দেওয়া হয়েছে।

  • Hayli Gubbi Volcano: ভারতের আকাশেও ছাইমেঘ, বাতিল বহু বিমান! ১২ হাজার বছর পর জাগল ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি

    Hayli Gubbi Volcano: ভারতের আকাশেও ছাইমেঘ, বাতিল বহু বিমান! ১২ হাজার বছর পর জাগল ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরে ঘুমিয়েই ছিল। গত ১২০০০ বছর আচমকাই জেগে উঠেছে পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয়গিরি। ইথিয়োপিয়ার হায়েলি গুব্বি (Ethiopian Volcanic Ash)আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। সেই ছাইয়ের কুণ্ডলী মেঘের সঙ্গে মিশে লোহিত সাগর পেরিয়ে উড়ে আসছে এশিয়া মহাদেশে। ভারতের রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের আকাশেও কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। আর তার জেরে বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। একাধিক সংস্থা বিমান বাতিল করেছে আপাতত। দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার। কিন্তু ইথিওপিয়ার (Haylie Gubbi Volcano) আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে দিল্লিতে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

    ভারতে প্রবেশ করল ছাই-মেঘ

    গত ১২০০০ বছরে হায়ালি গুব্বিতে কোনও অগ্নুৎপাতের প্রমাণ নেই। রবিবার সকালে (স্থানীয় সময়ে) আচমকাই জেগে ওঠে ইথিয়োপিয়ার এই আগ্নেয়গিরি। জ্বালামুখ থেকে নির্গত ধোঁয়া, ছাই ঢেকে দিয়েছে দেশের আকাশকে। শুধু তাই নয়, লোহিত সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন, ওমানের দিকেও এগিয়ে গিয়েছে সেই ধোঁয়া, ছাইয়ের কুণ্ডলী। সালফার ডাইঅক্সাইডমিশ্রিত ঘন ছাইমেঘ (অ্যাশ ক্লাউড) প্রায় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা‌ বেগে উড়তে উড়তে প্রবেশ করেছে ভারতেও। ওই লাভার ছাই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সোমবার রাতে ভারতে পৌঁছে যায়। রাত ১১টা নাগাদ উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতের আকাশে ঢুকে যায় ওই ছাইমেঘ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের জয়সলমের-যোধপুর অঞ্চল দিয়ে এই মেঘ প্রবেশ করেছে ভারতে। তার পরে রাজস্থান, হরিয়ানা এবং দিল্লির আকাশে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই ‘বিষ-মেঘ’ ছড়িয়ে পড়ে। মেঘ ছড়িয়েছে গুজরাটের কিছু অংশের আকাশেও।

    কোন কোন বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত

    এর প্রভাবে বিমান পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে ইতিমধ্যেই। উড়ান সংস্থাগুলির জন্য ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছেন ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ামক কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ। ছাইমেঘের জেরে কেরলের কন্নুর থেকে আবুধাবিগামী ইন্ডিগোর ৬ই১৪৩৩ বিমানের যাত্রাপথ বদলে দিতে হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে সেটি। ইন্ডিগো পরে জানায়, বিমানটি আমেদাবাদে নিরাপদেই অবতরণ করেছে। যাত্রীদের কন্নুরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রভাবিত হয়েছে আরও বেশ কিছু উড়ান‌ পরিষেবা। কোচি থেকে অন্তত দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল হয়েছে ছাইমেঘের জেরে। কেএলএম রয়্যাল‌ ডাচ উড়ান‌ সংস্থারও বেশ কিছু বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ব্রিটেনের আমস্টারডাম থেকে দিল্লিমুখী কেএল ৮৭১ এবং বিপরীতমুখী কেএল ৮৭২— দু’টিই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাতিল করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, আকাশ এয়ারের মতো উড়ান সংস্থাগুলিও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। আকাশ উড়ান বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রভাবিত এলাকাগুলিতে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ডিজিসিএ-র সতর্কবার্তা

    উড়ান সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে ‌দিয়েছে ডিজিসিএ-ও। আগ্নেয়গিরির ছাইমেঘ প্রভাবিত এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে সব ভারতীয় উড়ান সংস্থাকে। প্রয়োজন অনুসারে যাত্রাপথ বদল এবং বিকল্প পরিকল্পনারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক রুট তৈরি করে, পর্যাপ্ত জ্বালানি নিয়ে উড়ানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ভাবে ছাইয়ের সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা জানাতে বলা হয়েছে, যাতে ইঞ্জিনের অবস্থা জানা যায়। ধোঁয়া বা গন্ধ নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরের কাজকর্মে কোনও রকম বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ। সারাক্ষণ নজরদারি চালাতে হবে, নজরদারি চলবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও।

    জনস্বাস্থ্যে প্রভাব

    আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভার ছাইমিশ্রিত মেঘ দেশবাসীর স্বাস্থ্যের উপর কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলেই আশ্বস্ত করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, এই ছাইমেঘ উড়ছে ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে। প্রায় ২৫০০০-৪৫০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছে এগুলি। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর এই মেঘ প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান আগে থেকেই অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। সেই বিষয়েও সতর্ক করে দিচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞেরা। রবিবার সকালে ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে জেগে ওঠে হায়েলি গুব্বি (Hayli Gubbi) আগ্নেয়গিরিটি। সংলগ্ন আফদেরা গ্রাম সঙ্গে সঙ্গেই ধুলোয় ঢেকে যায়। এমনকি অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, আশেপাশের এলাকায় ভূমিকম্পও অনুভূত হয় বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জ্বালামুখ থেকে নির্গত ধোঁয়া, ছাই প্রায় ১৪ কিলমিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশে উঠে যায়।

  • Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিনামূল্যে ফ্লাইট বাতিল (Cancel Flight) কিংবা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করা যাবে। বিমান পরিষেবায় যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর দিল ডিজিসিএ। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর ডিজিসিএ (DGCA) জানিয়েছে, রিফান্ড এবং বাতিলের নিয়মে এখন থেকে অনেক সংস্করণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও প্রকাশ করেছে। আর তাতেই বলা হয়েছে, যাত্রীরা অতরিক্ত টাকা ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুকিং বা সংশোধন করতে পারবেন। অবশ্য বিমানযাত্রীদের অনেক দিন ধরেই অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। এবার তা কার্যকর হয়েছে।

    অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না (Cancel Flight) 

    সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট বা সিএআর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমটিকে আরও যাত্রী-বান্ধব করতে আগ্রহী সংস্থা। বিশেষ করে যখন যাত্রীরা শেষ মুহূর্তে নিজেদের টিকিট বাতিল বা সময় পরিবর্তন করতে চান, সেই সময় সেই সময় বিমান সংস্থার নানা পোর্টাল থেকে সঠিক সময়ে কার্যকর রেসপন্স পাওয়া যায় না। ডিজিসির নতুন নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, সমস্ত বিমান সংস্থাকে বুকিংয়ের সময় থেকে ৪৮ ঘণ্টার লুক-ইন পিরিয়ড প্রদান করা হবে। ফলে কোনও যাত্রীই অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না। যদি কোনও যাত্রী টিকিট বাতিল করে অন্য কোনও ফ্লাইটে পুনরায় টিকিট (Cancel Flight) কাটতে চান তাহলে তাঁকে কেবলমাত্র পার্থক্যের ভাড়াটা দিতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে

    ডিজিসিএ (DGCA) আরও জানিয়েছে, যখন ট্র্যাভেল এজেন্ট বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট বুক (Cancel Flight) করে তখন টাকা ফেরতের দায়িত্ব বিমান সংস্থার ওপর বর্তায়। কারণ এজেন্টরা কেবল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এই নিয়মের একমাত্র উদ্দেশ্য হল যাত্রী, ট্র্যাভেল এজেন্ট এবং বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে রিফান্ড দেরির ফলে তৈরি হওয়া নানাবিধ বিরোধ ও জটিলতা দূর করা। নতুন নিয়মের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছোটখাটো নামের ভুল সংশোধনের জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। তবে বুকিং করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। টিকিট সরাসরি বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হবে।

    একই ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের জন্য যদি ফ্লাইট বাতিল হয় তাহলে টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার জন্য ক্রেডিট সেল দিতে হবে। এই মর্মে বিমান সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকা ফেরত দেবে, তা সংস্থার বিচারাধীন। ডিজিসিএর এক কর্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতীয় বিমান চলাচলের মান আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যাত্রীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ সুনিশ্চিত করা।”

  • DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিসিএ (DGCA) বোয়িং এবং ম্যাকডোনাল্ড ডগলাস নির্মিত নির্দিষ্ট বিমান মডেলগুলোর জন্য একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। বোয়িং ৭১৭, ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৮৭ এবং এমডি-১১ ও এমডি-৯০ মডেলগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং মেকানিজম ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এই পরীক্ষা শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে মার্কিন FAA এসব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে সমস্যা থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (DGCA)

    গত মাসের ১২ তারিখে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানে কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিসহ বিমানে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে যায় যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ছাদ থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিমানের দুটি ইঞ্জিনে আচমকাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়িং নির্মিত বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে থাকা কথোপথন

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে (DGCA) আরেকজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” — যার জবাবে বলা হয়, “আমি বন্ধ করিনি।” এই কথোপকথনের পরপরই পাইলট “মে ডে, মে ডে” বলে কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি বার্তা পাঠান, তবে উত্তর আসার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) বোয়িং বিমান পরিচালনায় (Boeing Aircrafts) নিযুক্ত সকল এয়ারলাইনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ জারি করেছে।

  • Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রেশ (Ahmedabad Crash) এখনও মিলিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই বড়সড় বিপদ এড়াল সেই এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিমান (Air India Flight)। ওড়ার খানিক পরেই হঠাৎই দিল্লি-ভিয়েনা বিমানটি নেমে আসে ৯০০ ফুট উচ্চতায়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবে পাইলটদের দক্ষতায় দ্রুত বিমানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান তাঁরা। শেষমেশ গন্তব্যের দিকে নিরাপদেই পাড়ি দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি।

    মাটির কাছাকাছি চলে এল বিমান (Air India Flight)

    এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাইলটদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৪ জুন ভোরে বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি দিল্লি থেকে ওড়ার সময় আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ ছিল। আমেদাবাদ দুর্ঘটনার মাত্র ৩৮ ঘণ্টা পর এই ঘটনাটি বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এআই-১৮৭ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৭৭ ধরনের বিমান। ওই দিন দিল্লি থেকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে ‘স্টল’ সতর্কতা দেখা দেয় এবং সেটি হঠাৎ করেই ৯০০ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) জানিয়েছে, বিমানের সিস্টেম তখন ‘গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি ওয়ার্নিং’ও জারি করেছিল, যা এমন সময়ে বাজে যখন বিমানটি মাটির খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল।

    নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছল বিমান

    সূত্রের খবর, বিমানটি একবার স্টল সতর্কতা এবং দু’বার গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্ট পেয়েছিল। ক্রু সদস্যরা দ্রুত বিমানটিকে স্থিতিশীল করেন এবং প্রায় ৯ ঘণ্টা আট মিনিটের যাত্রা শেষে নিরাপদে ভিয়েনা পৌঁছান (Air India Flight)। তবে পাইলটদের রিপোর্ট ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে। পাইলটরা ঘটনাটিকে শুধু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট টার্বুলেন্স হিসেবে বর্ণনা করেন এবং কেবল স্টল সতর্কতার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁরা গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্টের বিষয়ে কিছু বলেননি।

    ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের পরেই জানা যায়, ফ্লাইট ক্রু এবং সেফটি ডিপার্টমেন্ট উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন (Ahmedabad Crash) করেছেন। এর পরেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই বিমানের দুই পাইলটকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিজিসিএ ডেকেছে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) সেফটি ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে।

  • DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে সংস্থার তিন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অর্থাৎ ডিজিসিএ (DGCA)-র নির্দেশে এই পদক্ষেপ করল টাটার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই তিন আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান কর্মীদের বিভিন্ন সূচি নির্ধারণের (Roster Management) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ডিজিসিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কাজের নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। তারা বারবার একই ভুল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কর্তব্যে গাফিলতি

    কোনও কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ছাড়াই তাঁদের বিমানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কর্মীকে টানা ডিউটি করানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিজিসিএ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে (DGCA)।

    তিন শীর্ষ আধিকারিকের পরিচয় (DGCA)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ যে তিনজন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে, তাঁরা হলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চুরা সিং, ডিরেক্টর অফ অপারেশনস (ক্রু সিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু সিডিউলিং-এর চিফ ম্যানেজার পায়েল অরোরা। আগেই ডিজিসিএ-র (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় জানিয়েছে, বিমানকর্মীদের সূচি নির্ধারণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতে গাফিলতি হয়েছে। এই গাফিলতির সঙ্গে যে আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি, এটা উদ্বেগের।’’

    অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ (DGCA)

    কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-কে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, অল্প কিছু দিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি ভবনে ধাক্কা খায়। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়। এবার ওই সংস্থার তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এই প্রেক্ষাপটে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ সিরিজের সমস্ত বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। আগামী ১৫ জুন রবিবার থেকে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, জ্বালানি ব্যবস্থা, ইঞ্জিন ও হাইড্রলিক সিস্টেম সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণ (Boeing Dreamliners) করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

    ডিজিসিএ-র নির্দেশে কী কী বলা হল (Air India)?

    ফুয়েল প্যারামিটার মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা যাচাই

    কেবিন এয়ার কম্প্রেসার ও তার সহযোগী ব্যবস্থার পরিদর্শন

    ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা

    ইঞ্জিনের ফুয়েল-চালিত অ্যাকচুয়েটরের কার্যকারিতা ও অয়েল সিস্টেমের পরীক্ষা

    হাইড্রলিক সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা যাচাই (Boeing Dreamliners)

    টেকঅফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার বিশ্লেষণ

    ১৪ দিনের মধ্যে পাওয়ার অ্যাসুরেন্স পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং ‘ফ্লাইট কন্ট্রোল ইন্সপেকশন’ চালু করতে হবে

    ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (Air India)

    ডিজিসিএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে বোয়িং ড্রিমলাইনারে যে ত্রুটিগুলি দেখা গিয়েছে, সেই সমস্ত ত্রুটিও দ্রুত পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। এই মডেলের বিমানে এই প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। যদিও ২০২৪ সালে বোয়িং সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার এই মডেল নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তদন্তে যেকোনওভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Air India)।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

  • Air crash: আফগানিস্তানে ভেঙে পড়া বিমান ভারতের নয়, মরক্কোর জানাল ডিজিসিএ

    Air crash: আফগানিস্তানে ভেঙে পড়া বিমান ভারতের নয়, মরক্কোর জানাল ডিজিসিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে বাধাখসন প্রদেশে  ভেঙে পড়ল একটি বিমান (Air crash)। রবিবার সকালে হওয়া ওই বিমান দুর্ঘটনার পরেই আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দাবি করে যে বিমানটি ছিল ভারতের। কিন্তু পরবর্তীকালে ‘ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’-এর শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়ে দেন যে সেটি ভারতের বিমান নয়। ডিজিসিএ-এ যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তোপখানা পার্বত্য অঞ্চলে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা মরক্কোর বিমান (Air crash)। ওই বিমানটির নাম ডিএফ-১০। ডিজিসিএ তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে তথ্য নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই জানতে পারা গিয়েছে যে সেটি মরক্কোর বিমান। অন্যদিকে ভারতের বিমান মন্ত্রকও একই কথা জানিয়েছে।

    হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি

    এদিন সকালে বিমানটি মস্কো যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে। বদখসান প্রদেশে ওই বিপর্যয়ের খবর প্রথমে দেয় তালিবান প্রশাসন। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার কারণে উদ্ধারকারী দলকে বেশ বেগ পেতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের তথ্য দফতরের প্রধান জাবিহুল্লাহ আমিরি বলেন, ‘‘বিমান ভেঙে পড়ার খবর সত্যি। কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় সেটি ভেঙে পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি দল পাঠিয়েছি। তারা এখনও পৌঁছয়নি।’’

    আফগানিস্তানের তথ্য অস্বীকার ভারতের

    আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কিছু ক্ষণ আগে আফগানিস্তানে ভেঙে পড়া বিমানটি ভারতের নয়। এটি মরক্কোর একটি উড়ান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • DGCA: বিমানে দুর্ব্যবহার হলে এবার কড়া হাতে দমন, নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র

    DGCA: বিমানে দুর্ব্যবহার হলে এবার কড়া হাতে দমন, নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক একটি বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব পড়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কয়েকদিন আগে। এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই  সারা দেশ জুড়ে এবার বিমান সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে কিছু নির্দেশিকা জারি করল ডিরেক্টরের জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন ( DGCA)। বলা যেতে পারে কড়াবার্তা দেওয়া হল যে সমস্ত যাত্রী মাঝ আকাশে  অসভ্যতামি করছে তাদের উদ্দেশ্যে।

    কী নির্দেশ দিল  DGCA? 

     কোনও যাত্রী অসভ্য আচরণ করছে এমনটা দেখতে পেলেই তা কড়া হাতে দমন করতে হবে, এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে এদিন DGCA. কারণ উড়ানের সময় যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তাতে ভারতে বিমান ভ্রমণের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছে  DGCA.

    এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন যদি ভবিষ্যতে কোন বিমান কর্মীকে হতে হয় তাহলে তিনি কী কী করবেন আর কী কী করবেন না তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা বিমান সংস্থাগুলোর কাছে তুলে দিয়েছে  DGCA. নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে বিগত কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে মাঝ আকাশে কিছু অভদ্র  যাত্রী উৎপাত শুরু করেছেন, বিশেষ বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই গোলমাল সামাল দিতে ব্যর্থ হতে দেখা যাচ্ছে বিমান চালক এবং বিমান কর্মীদের। DGCA ওই নির্দেশিকায় আরও লিখেছে যে মুখে বোঝানোর পরও যদি দেখা যায় যে যাত্রীকে কোন অবস্থাতেই সংযত করা যাচ্ছে না তাহলে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাকে দমন করার জন্য বিমানচালক এবং কর্মীরা নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে কড়া হাতে দমনের মাধ্যমে ঠিক বোঝাতে চাইছে  DGCA সেটা পরিষ্কার নয়।  DGCA ওই নির্দেশিকায় আরও জানিয়েছে যে চলন্ত বিমানে শেষ কথা বলবেন চালকই, তিনিই বিমানের মধ্যে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির, যে কোন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন। তিনিই বিমানে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে বিমান অবতরণের পর বিমানের প্রতিনিধিরা গোটা ঘটনার এফআইআর করতে পারবেন। তার সঙ্গে অভিযুক্ত যাত্রীকে তুলে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম ভেঙে বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমানের ককপিটে। অন্তত এমনই অভিযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক পাইলটের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলটকে সাসপেন্ড করা হয় দু মাসের জন্য। জরিমানা করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকেও। ওই সংস্থাকে জরিমানা বাবদ দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা। এমনই নির্দেশ ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (DGCA)।

    এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)…

    চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের এক পাইলট তাঁর বান্ধবীকে ককপিটে ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এক বিমানকর্মীর অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী ককপিটে যাত্রীরা কেউ ঢুকতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম ভঙ্গ করে ওই পাইলট তাঁর বান্ধবীকে সেখানে ঢোকার অনুমতি দেন। কেবল তাই নয়, ওই পাইলটের বান্ধবীর জন্য ককপিটে সব রকম ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ককপিটেই মদ এবং খাবার দেওয়ার নির্দেশও ওই পাইলট বিমানকর্মীদের দেন।

    ওই বিমানকর্মীর অভিযোগ, ককপিটে বান্ধবীর জন্য বালিশের ব্যবস্থাও করতে বলা হয়। ওই বিমানকর্মী বলেন, আমাকে যখন মহিলার জন্য পানীয় এবং খাবার আনতে বলা হয়, তখন ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, ককপিটে (Air India) আমি মদ পরিবেশন করতে পারব না। এ কথা শুনেই তিনি একটু চটে যান। তিনি বলেন, তার পর থেকেই পাইলট আমার সঙ্গে পরিচারকের মতো ব্যবহার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাইলট ও তাঁর বান্ধবী ছিলেন ককপিটে। এর পরেই ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, সঠিক সময়ে তারা ঘটনার কথা জানায়নি। বিষয়টি যতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পক্ষে তাতেও ঘাটতি ছিল বলে মনে করছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। সেই কারণেই এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share