Tag: dhupguri

dhupguri

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দুপুরে দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে বানারহাট চা বাগানে তিনি যান। সেখানে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-শ্রমিকদের পি এফের টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে বাগানের তৃণমূল নেতারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল সরকারকে চোরের সরকার বলেন। চা-শ্রমিকদের নিয়ে সভায় তিনি মঞ্চ থেকে সাফ বলেন, এই সরকার গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। যদি তৃণমূল এই বিধানসভা ভোটে জেতে তাহলে এলাকার সমস্ত উন্নয়নের টাকা তারা চুরি করবে। সাধারণ মানুষ তাঁদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া বানারহাট এলাকার বড় সমস্যা হল হাতিনালা। এই নালা দিয়ে ভুটান থেকে জল ঢুকে প্রতি বছর বানারহাটকে প্লাবিত করে। তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকার মানুষ। এই সমস্যার পাকাপাকিভাবে সমাধান করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন। কারণ, এর একদিকে ভুটান, আরেকদিকে রেল লাইন, তার ঠিক পাশেই রয়েছে তেলের পাইপ। সবগুলি দফতরই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাই বিজেপির বিধায়ক হলে তিনি দলগতভাবে কেন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি সমাধানের আবেদন রাখতে পারবেন। তার ওপর বিজেপির প্রার্থীর স্বামী দেশের হয়ে প্রান দিয়েছেন। তিনিও নিজেকে দেশের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য নিয়োজিত করতে চান। তাই এলাকায় চোরদের ঠেকাতে এবং সাধারণ মানুষের চুরি আটকাতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান। এদিন বানারহাট ছাড়াও ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় তিনি পায়ে হেঁটেও প্রচার করেন। এদিন বানারহাটের এই সভার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক, মিতালি রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বানারহাটের মোগলকাটা, তোতাপাড়া চা-বাগান সহ অন্যান্য এলাকায় প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ধামসা মাদল নিয়ে বাগানের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যালি করেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে সুকান্ত

    এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল এবং সভার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়়ি উপ নির্বাচনেই ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের ধূপগুড়ির (Dhupguri) প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। ফলে, এমনিতেই এই আসনে তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দল বদল করায় তৃণমূল আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    ২০১৬ – ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল তাঁকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল। সেই ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মিতালি রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজবংশী সমাজকে বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ২০২১ এর ভোটের পর থেকেই আমি একপ্রকার ঘরেই বসেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও আমি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেননি। মাঝে একদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে আমি প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও আমি মঞ্চে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছিলাম। কিন্তু, মঞ্চেই আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখনই আমি দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেবেনা তৃণমূল?  কামতপুর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, সেখান থেকে তৃণমূল আমাকে তাদের দলে নিয়ে আসে, জেলার মহিলা সভানেত্রীর পদ দেয়। আমিও মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাহলে কেন আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হল? বানারহাটের হাতিনালা খালের পাকাপাকি সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই সব কিছু চিন্তা করে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটের আগে এটা আমাদের মাস্টার স্ট্রোক। এতেই তৃণমূল ধরাশায়ী হবে। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিজেপি অনেক ভাল ফল করবে। গত বিধানসভার থেকেও অনেক বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মিতালি রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে লাভ হবে। কে গেলো আর কে এলো সেটা কোনও ব্যাপারই না। দলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ভোট দেবে মানুষ। তার বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আরও বেশী ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা কং-বাম নেতৃত্বের

    Dhupguri: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা কং-বাম নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকে তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম নেতৃত্ব সহ সকলেই জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার রূপরেখা তৈরি করছে। ঠিক সেই সময় ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেড়ে ফুড়ে নামল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। ফলে,কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধূপগুড়়ির বাসিন্দারা।

    কেন্দ্রের জোট শরিক তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন কং-বাম নেতৃত্ব?

    শুক্রবার ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচনে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং সি পি আই এমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহ:সেলিম এক মঞ্চে বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচার সভা করেন। ধূপগুড়ি ডাকবাংলো মাঠে শুক্রবার তাঁরা একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রথমে অধীর চৌধুরী বক্তব্য দিতে উঠেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে লুট করে চলেছে। একদিকে কয়লা, গরু, বালি পাচারের টাকা খাচ্ছে, এর পাশাপাশি চাকরিও চুরি করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। ভোটের আগে সন্ত্রাস, ভোটের মনোনয়নে সন্ত্রাস,ভোটের দিন সন্ত্রাস,ভোটের পরেও সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী। একই সুর শোনা যায় মহ: সেলিমের গলায়। তাঁর বক্তব্যের মূল নিশানা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই চোরেদের সর্দার। গোটা রাজ্য জুড়েই তারা সব টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তারা লুটে পুটে নিয়ে সাধারণ মানুষকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই জোট প্রসঙ্গে বিজেপির জলপাইগুড়ির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রাসাদ বলেন, এই জোট শিয়ালের জোট। তারা এই ইন্ডিয়া জোটকে শিয়ালের জোট হিসেবেই দেখছেন। কারণ, এক শিয়াল যখন চুরি করার জন্য হুক্কা হুয়া ডাকে তখন অন্য শিয়ালরাও হুক্কা হুয়া করে। এরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই জোট করছে। মানুষের সেবার জন্য নয়। এরা শুধু মানুষের রক্ত চোষার জন্য এই জোটে সামিল হয়েছে

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে একী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    এদিন মহ:সেলিমকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা বিরক্ত বোধ করে বলেন মুম্বইয়ের কথা মুম্বাই থেকে শুনবেন। ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিষয় ধূপগুড়িতে হবে। এই মঞ্চে ইন্ডিয়া জোট বা বৈঠক নিয়ে কোনও কথাই বলতে রাজি হন নি। এক কথায় এই প্রাশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রাজ্যের বিষয়টি একেবারেই আলাদা। এর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের বিষয় রাজ্যেই হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট, তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার এক সরকারী কর্মী কৌশিক চন্দ্র এবং বানারহাট থানার আইসি-কে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়িতে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেই এই আবেদন জানান তিনি।

    নব তৃণমূল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এখন তৃণমূল হচ্ছে নব তৃণমূল। এরা লিফট দিয়ে ওঠে আর প্যারাসুটে নামে। এরা সাইকেল চড়তে জানে না। এরা দামি গাড়ি চড়ে মানুষের সেবা করে। এই দলের নেতাদের অধিকাংশই বড় গাড়ি চড়ে বেড়ায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, আমি যখন সেচমন্ত্রী ছিলাম, সেই সময় তখনকার ধূপগুড়ির বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম সেচের কাজের জন্য। সেই টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে। সেই বিধায়ক এখন ভোটের ময়দানেও নেই বলে টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি তিনি। এছাড়া গোটা রাজ্যে যেভাবে সব কিছুতে লুট হচ্ছে, মানুষ সেটা দেখছে এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    ধূপগুড়ি পুরসভা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে ধূপগুড়িতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, ধূপগুড়ি পুরসভাতে লুট হয়েছে। কোনও কাজই পুরসভা করেনি। যে পুরসভা জঞ্জাল সাফ করতে পারে না, একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারে না, তারা কোনও দিনও সুশাসন দিতে পারে না। এই পুরসভায় বিভিন্ন কাজের টাকা লুট হয়েছে। অবৈধ নিয়োগও হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। প্রত্যেক জায়গায় তাদের এজেন্ট বসিয়ে রেখেছে। তারা টাকা তুলে তৃণমূলকে পৌঁছে দিচ্ছে। এরা টাকা রোজগারের জন্য দল করে না। কয়লা, গরু, বালি তো আছেই, এবার তারা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালটও খেয়েছে। তার ওপর তাদের আরও আয় ডিয়ার লটারি থেকে। এই লটারি প্রচুর পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে। ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে সর্বসান্ত করে দিচ্ছে। আর এর প্রাইজ পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডল, তার মেয়ে বিভিন্ন বিধায়ক সহ দলের বড় বড় নেতারা। তাই এই ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হয় তাহলে সেটা চোরেদের জয় হবে। চুরি আটকাতে তাই তৃণমূলকে ভোট নয়। এদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদি এই বিধানসভায় বিজেপি জেতে তা হলে রেল, জাতীয় সড়ক সহ আরও অনেক কিছু উন্নতি করবে বিজেপি। এদিন গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন সভায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানেই চোর, আর এই দলটার নাম এখন তৃণমূল নয়, তোলামূল। ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে এসে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে ভোট লুট করেছে, এবারের নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দেবে। আগামী লোকসভা ভোটেও মানুষ জবাব দেবে। সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছিল জিততে পারেনি, এখানেও পারবে না। বুধবার বিকেলে ধূপগুড়ি শহরে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়কে সঙ্গে নিয়ে একটি র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি গোটা ধূপগুড়ি শহর পরিক্রমা করে নেতাজিপাড়ার সভাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রচুর কর্মী সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই দলের প্রধান কাজ হলো চুরি। কীভাবে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে দিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করা যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, বালি,পাথর, কয়লা গরু,চাকরি চুরি তো করেইছেন। গরিব মানুষের আবাস যোজনার টাকাও ছাড়েননি। প্রায় ৫০ লক্ষ আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ধূপগুড়িও ছিল। কিন্তু, ধূপগুড়ির মানুষও এই প্রকল্পের টাকা পান নি। সভায় বক্তব্য রাখার মাঝখানেই কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের নামে চোর চোর স্লোগান তোলেন।

    ধূপগুড়িবাসীকে কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ধূপগুড়িবাসীর প্রতি আবেদন রেখে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, যদি তৃণমূল জেতে তাহলে চোরেরা জিতবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যরা জিতবে। তাই, এই চোরেদের কোনওভাবেই ভোট না দিতে সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই চোরেদের সর্দার কিছুদিনের মধ্যেই জেলে যাবে। রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ বুজে গেছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: উপ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ধূপগুড়িতে

    Jalpaiguri: উপ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি (Jalpaiguri) উপ নির্বাচনে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসককে একটি  চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে। বাহিনী নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা।

    ধূপগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Jalpaiguri)

    উপ নির্বাচন (Jalpaiguri) উপলক্ষ্যে ১৫ দিন আগেই ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়িতে এসেছে। যার মধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় ১৪ কোম্পানি এবং কোতোয়ালিতে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ করছে। বাকি এক কোম্পানি জলপাইগুড়ি সদরে রাখা হয়েছে। যেখানে ডিসিআরসি এবং স্ট্রং রুম করা হয়েছে সেই সব জায়গায়। এবার আরও ১৫ কোম্পানি বাহিনী আসছে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে জানানো হয়েছে।

    জেলাশাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক (Jalpaiguri) তথা নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাড়তি ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার চিঠি পেয়েছি। এই বাহিনী কোথায় কোথায় দেওয়া হবে, সেটা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ মিলে ঠিক করবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং জানান, যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক তাতে কোনও লাভ হবে না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্যর্থ চেষ্টা। মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, যাতে মানুষ ভোট না দিতে পারে, তারই একটা কৌশল। কিন্তু সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করবে। আগামী ৮ তারিখ ভোটের ফল প্রকাশ হলে তাতে প্রমাণ হয়ে যাবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সন্ত্রাস মানুষ দেখেছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই কারণেই এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে ৷ ভোটকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও রকম রিগিং, গন্ডগোল বা ভোট লুটের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।” পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় মোট ২৬০ টি পোলিং বুথ রয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনীতির একাংশ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচন নিয়ে শাসক দলের কোন্দল  চলছেই। এবাবের এই নির্বাচনে দলের কিছু নেতা কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হননি। তারমধ্যে প্রধান মুখ মিতালি রায়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১সালেও বিধায়ক পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি আর জিততে পারেন নি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হওয়াতে সেই আসনে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন হবে। আর তৃণমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বিজেপি প্রার্থী পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক

    এবার উপ নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূলের মিতালী রায়। আর তাতেই তাল কেটেছে তৃণমূলের ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। এবারের প্রচারের থেকে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছেন মিতালীদেবী। ভোটের বাকী মাত্র হাতে কয়েকটা দিন। কিন্ত, প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি। উলটে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। শুধু পরিকল্পনাই নয় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে একপ্রকার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের ঠিক আগের দিন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মিতালী রায়কে বুঝিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত করেন। তারপরেও মিতালী রায়কে কোনও প্রচারে দেখা যায়নি। যেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্ব  ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের পালা করে প্রচারে আসছেন, সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক কোনও প্রচারে সামিল হচ্ছেন না।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে জোট প্রার্থীর বৈঠক

    অন্যদিকে, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় মিতালী রায়ের বাড়িতে গিয়ে একান্তে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তবে, ওই বৈঠকে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দুজনেই জানিয়েছেন এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাৎকার মাত্র। এদিকে মিতালীদেবী দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। তিনি ভোটের প্রচারে না যাওয়ায় তাঁর অনুগামীদের ভোট খুব স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল পাবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো ধূপগুড়ির (Dhupguri) তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়কে ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি প্রচারে বের হতে পারছি না। তার ব্যক্তিগত কারণ, নাকি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করায় গোঁসা? সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

    কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ধূপগুড়িতে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ, উপ নির্বাচনে কত বাহিনী মোতায়েন জানেন?

    Dhupguri: ধূপগুড়িতে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ, উপ নির্বাচনে কত বাহিনী মোতায়েন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হল। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করে বিভিন্ন এলাকায়। এদিন সকালে শহরের বামনি ব্রিজ সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রুটমার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন।

    কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল? (Dhupguri)  

    এই উপ নির্বাচনের জন্য মোট ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পুরসভা এলাকার পাশাপাশি বানারহাট ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। বিস্তীর্ণ এই এলাকা জুড়েই টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা যাচ্ছে, ধূপগুড়িতে রাখা হবে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেই সঙ্গে বানাহাট এলাকায় এই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি এলাকায় থাকবে। উপ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক এলাকা থেকে হিংসার খবর উঠে এসেছিল। সেই বিষয়টির উপর নজর রেখে এই উপ নির্বাচনে যাতে নিরাপত্তার কোন খামতি না থাকে সেটাও দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারী বুটের শব্দে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হচ্ছেন ভোটাররা।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়ি সদরে রাখা হবে। মূলত যেখানে ইভিএম স্টোর করা হবে, ডিসিআরসি সেল হবে এবং স্ট্রং রুম করা হবে, সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। উপ নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে কোনওভাবেই কোনও খামতি না থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যে সন্ত্রাস তৃণমূলের তরফে করা হয়েছিল, এবার সেটা হবে না। পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে তৃণমূল যেভাবে ভোট লুট করেছে এই ভোটে তা করতে পারবে না তারা। এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, বিজেপি হারের ভয়ে এই সমস্ত কথা বলছে। ২০২১ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, বাংলার মানুষ দেখেছে রেজাল্ট কী হয়েছিল। ফলে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখিয়ে লাভ নেই। মানুষ উন্নয়নের নিরিখে ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপ নির্বাচনে ভোট দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর থেকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে উপ নির্বাচনের (By Election) ভোট। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ সেপ্টেম্বর ফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তৃণমূলও এই উপ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতদিন বিজেপি এই আসনে কারও নাম ঘোষণা করেনি। ফলে, বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর পর এই আসনে দল কাকে প্রার্থী করে তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল। অবশেষে শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে এই উপ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনিও রাজবংশী। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থী হয়ে কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী? (By Election)

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরে পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ধূপগুড়ি ব্লকের জুরাপানি এলাকার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়। স্ত্রীর কোলে তখন ছিল সদ্যোজাত সন্তান। সেই ঘটনার চার বছর পর ভোটে লড়তে চলেছেন তাপসী। ৩২ বছর বয়সী তাপসী  বর্তমানে ধূপগুড়ি শরৎপল্লি এলাকায় থাকেন। তাঁর এক চার বছরের সন্তান রয়েছে। রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রার্থী হিসেবে। উপ নির্বাচন (By Election) প্রার্থী হওয়ার পর তাপসী বলেন, মানুষকে পরিষেবা দিতে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। আমি হাসপাতালের উন্নয়ন করতে চাই। মা-বোনেদের জন্য কিছু করতে চাই। আমি চাই সবাই যেন আমার পাশে থাকেন, আমাকে আশীৰ্বাদ করেন।

    বিজেপি-র বিরুদ্ধে এই উপ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হয়েছেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (By Election) বিজেপির প্রার্থী হলেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দীর্ঘদিনের তৃণমূলকর্মী ড. নির্মলচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে সেখানে। রাজবংশী সংস্কৃতিই তাঁর চর্চার বিষয়। ধূপগুড়ির মাগুরমারির বাসিন্দা নির্মল রায় বইও লেখেন। অন্যদিকে বামেরা প্রার্থী করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তথা ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে। বাম ও কংগ্রেস জোট হিসেবেই লড়বে এই নির্বাচনে। তাঁদেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share