Tag: Diabetes

Diabetes

  • Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    Diabetes: নববর্ষের ঢালাও মিষ্টিমুখের জেরে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়িয়ে তুলছেন না তো!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নতুন বছরের শুরুতে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ চিরন্তন। পেট পুজো আর মিষ্টি মুখ, নতুন বছর বরণে এই দুইয়ের জুটি সুপারহিট। কিন্তু উৎসবের খানাপিনা অনেক সময়েই বাঙালির বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষত এই আবহাওয়ায় তাই সচেতনতা আরও বেশি দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ বাংলা নতুন বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়ার পারদ চড়ছে। তার উপরে অতিরিক্ত ভুরিভোজ, বাঙালির ডায়াবেটিস (Diabetes) আর দেহের ওজন নিয়ে আরেকটু চিন্তা বাড়িয়ে দিল। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে গরম আবহাওয়ায় অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। তার উপরে নতুন বছরের শুরুর বাড়তি খাওয়াদাওয়া সেই বিপদ আরও বাড়ায়‌। এর জেরে অনেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। পাশপাশি ওজন বাড়ে। তাই এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কীভাবে এই দুই সমস্যার সমাধান সম্ভব? (Diabetes) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীরের ওজন ধরে রাখতে নিয়মিত হাঁটা জরুরি। গরমের জেরে দিনের অন্যান‌্য সময় শারীরিক কসরত করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ভোরে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। তাই ভোরে অন্তত চল্লিশ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হবে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে‌।কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে লাগাম টানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আলু, গাজর, ভাতের মতো খাবারে কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই দ্রুত ওজন ও ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে এই ধরনের খাবারে লাগাম টানতে হবে। তাহলে দুই সমস্যাই সমাধান হবে (Diabetes) ।

    দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু

    পটল, করলার মতো সবজি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই সবজিতেই ডায়াবেটিস কাবু হয়। আর পটলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের সবুজ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষ করে মটন, বিরিয়ানি, কেক জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই ধরনের খাবারে দ্রুত ওজন বাড়ে। আবার এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় (Diabetes)।

    অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে (Diabetes) 

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘুমের ব্যাঘাত একদিকে স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। আরেক দিকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস বিপদ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রাতের ঘুম না হলেই শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই রাতে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বেশি রাত পর্যন্ত না‌ জাগার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত গরম জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উপাদান ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে‌ (Diabetes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে চান? কোন‌ পাঁচ সবজি নিয়মিত খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করা? 

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে চান? কোন‌ পাঁচ সবজি নিয়মিত খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পৃথিবী জুড়ে‌ বাড়ছে ডায়াবেটিসের (Diabetes) সমস্যা।‌ বাদ নেই ভারত। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে। প্রবীণদের পাশপাশি এই রোগে আক্রান্ত কম বয়সিরাও। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, যে হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম একাধিক রোগে ভুগতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনি, চোখ থেকে বন্ধ্যাত্ব সহ একাধিক শারীরিক সমস‌্যার কারণ ডায়াবেটিস। তাই যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাই প্রয়োজন আগাম সচেতনতা। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। মূলত খাবারেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার ঠিকমতো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজে সম্ভব। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়তি নজর থাকুক খাবারে। কিন্তু কোন সবজি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে?

    রোজ মেনুতে থাকুক পালং শাক ও ব্রোকলি (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পালং শাক ও ব্রোকলি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পাশপাশি অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশপাশি পালং শাকে থাকে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

    ঢ্যাড়শ নিয়ন্ত্রণে রাখবে রক্তে শর্করার পরিমাণ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঢ্যাড়শ নিয়মিত খেলে শরীরে একাধিক উপকার হয়। বিশেষত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢ্যাড়শ বিশেষ সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ শিশুদের বিশেষ করে নিয়মিত ঢ্যাড়শ খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঢ্যাড়শে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। এগুলো‌ দেহের খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে। ফলে কিডনি ও পাকস্থলী ভালো থাকে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ায়। তাই শিশুদের ডায়বেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমাতে ঢ্যাড়শ বিশেষ উপকারী।

    পটল খেলে কমবে ঝুঁকি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পটলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-র পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা যেমন নিয়মিত পটল খেতে পারেন, তেমনি যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তারাও ডায়বেটিস রুখতে নিয়মিত পটল খেতে পারেন। এতে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। এর ফলে, এই সবজি চোখ ও ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পটলের তরকারি খেলে শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী (Diabetes)।

    ঝিঙে ডায়বেটিস রুখতে বিশেষ সাহায্য করে (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঝিঙেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি৬। তাই নিয়মিত ঝিঙে খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজে হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়মিত বাদাম (Nuts) অনেকেই খান। বিশেষত অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ান। কিন্তু সব বাদামেই কি এক ধরনের উপকার পাওয়া যায়? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক ধরনের বাদামে রয়েছে আলাদা রকমের উপকার। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝে বাদাম খেলে তবেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে। শিশুদের খাওয়ানোর সময়েও সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তবেই বাদাম শরীরে কার্যকর প্রভাব দেখাতে পারবে।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে চিনাবাদাম! (Nuts)

    মুড়ি হোক কিংবা চায়ের সঙ্গে অনেকেই চিনাবাদাম খান। বাড়ির ছোটরাও এই ধরনের বাদাম খেতে ভালোবাসে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনাবাদামে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ম্যাগনেশিয়াম।‌ এর জেরে এই বাদাম নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয়। শিশুদের জন্য এই বাদাম তাই বিশেষ‌ উপকারী। আর ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এই বাদাম হার্টের জন্য উপকারী। এই বাদাম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও‌ কমে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্থূলতা আর কোলেস্টেরলের মোকাবিলা করবে হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট!

    হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট, এই দুই বাদাম সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত কোলেস্টেরল কমাতে সেলেনিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিয়মিত এই দুই ধরনের বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি ব্রাজিল নাট (Nuts) স্থূলতা কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্যও এই দুই বাদাম বিশেষ উপকারী।

    রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে পেস্তা বাদাম! (Nuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পেস্তা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেস্তায় থাকে ফাইবার। এই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। তাছাড়া, পেস্তায় থাকে ফসফরাস, ম‌্যাগনেশিয়াম এবং কপার। এই উপাদানগুলো‌ চোখের জন্য উপকারী। তাই শিশুদের নিয়মিত পেস্তা খাওয়ালে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় কাজু!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কাজু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজুতে থাকে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশপাশি কাজু দাঁত মজবুত করে। তাই শিশুরা নিয়মিত কাজু খেলে (Nuts) দাঁত মজবুত হবে। এতে দাঁতের সমস্যা কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে আখরোট!

    স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আখরোট। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্ক ও শিশুদের নিয়মিত আখরোট খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আখরোটে রয়েছে ভিটামিন বি, সি‌ এবং ই। তাছাড়া রয়েছে ফসফরাস। আখরোট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া আখরোট (Nuts) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই শিশু ও বয়স্কদের আখরোট বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম! (Nuts)

    ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান ত্বক, চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। পাশপাশি এই বাদাম দেহে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, আক্রান্তের পাশপাশি বাকি সদস্যের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ তাহলে আগে থেকেই দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লেই বিপদ, এমন আর নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। আর তার জেরে বিস্তর ভোগান্তি। স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল করলেই কিডনি সুস্থ (Kidney Disease) রাখা সম্ভব। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কিডনির সমস্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্কদের নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিডনির একাধিক রোগে কাবু অনেকেই। তার জেরেই সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, ডায়ালিসিস সেন্টারে রোগীর লম্বা লাইন। দীর্ঘ ভোগান্তির পরেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তাই প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখবে কিডনি? (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। বিশেষত যাঁরা দিনের অনেকটা সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তাঁদের জলের পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে, সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে কিডনিতে। কিডনি সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। 
    দিনে অন্তত একবার প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সবচেয়ে কার্যকরী। কারণ, এতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা কিডনিকে সুস্থ (Kidney Disease) রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আর টক দই এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, টক দই খেলে শরীরে প্রচুর ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। তাই নিয়মিত এক কাপ টক দই খাওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (Kidney Disease)

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কিডনি ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, তেমনি কিডনির সক্রিয়তাও বাড়ে। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকবে। তাই যে কোনও এক ধরনের লেবু, যেমন, পাতিলেবু, কমলালেবু, মৌসম্বি লেবু দিনে অন্তত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হবে। 
    ক্র্যানবেরি জুস কিংবা ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে ক্র্যানবেরি খেলে কিডনি ভালো (Kidney Disease) থাকবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্র্যানবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন রুখতেও এই ফলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশপাশি কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে‌।

    মদ্যপান ও কফি পানে রাশ (Kidney Disease)

    কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান ও কফি পানে রাশ টানতে হবে বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই পানীয় কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। এই দুই পানীয়র জেরে শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সাইট বেড়ে যায়। কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় (Kidney Disease)। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে কফি আর মদ্যপানে রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eye Infection: চোখের ‘নতুন’ রোগ! কতখানি বিপজ্জনক এই সংক্রমণ? কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    Eye Infection: চোখের ‘নতুন’ রোগ! কতখানি বিপজ্জনক এই সংক্রমণ? কীভাবে সতর্ক হবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষেই হানা দিয়েছে একাধিক রোগ। নানা ভাইরাসঘটিত রোগের বাড়বাড়ন্ত। বিশেষত চোখের অসুখে‌ (Eye Infection) ভোগান্তি বাড়ছে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বয়স্কদের এই নতুন ধরনের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগের। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    কোন রোগের কথা বলছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্তের শুরুতে প্রতি বছর নানা ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট বাড়ে। চোখেও নানা সংক্রমণ দেখা দেয়। বিশেষত কনজাংটিভাইটিসের দাপট এই সময়ে বাড়ে। তবে এ বছরের কনজাংটিভাইটিসের এক নতুন ধরন ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা এই রোগের নাম বলছেন, সাবকনজাংটিভাল হেমোরেজ (Eye Infection)। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যেই এই রোগের দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে।

    সাবকনজাংটিভাল হেমোরেজ কী?

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, চোখের সাদা অংশে নানা শিরা থাকে। যার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন হয়ে থাকে। সেই শিরায় সংক্রমণ হয়, রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। শিরা-উপশিরায় অনেক সময়েই মারাত্মক ক্ষতি হয়। যার জেরে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়। একাধিক রক্ত জমাটের মতো লাল ছোপ তৈরি হয়। একেই সাবকনজাংটিভাল হেমোরেজ (Eye Infection) বলা হয়।

    কেন হয় এই রোগ?

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ শরীরের রক্তচাপ বেড়ে গেলে এই সমস‌্যা হতে পারে। আবহাওয়া হঠাৎ বদলে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে শরীরে রক্তচাপও ওঠানামা করছে। এর জেরেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, বসন্তের শুরুতে বাতাসে একাধিক ভাইরাসের দাপট দেখা দেয়। তাই যে কোনও সংক্রামক রোগের দাপটও বাড়ে। বারবার কোনও কারণে চোখ চুলকানো‌ বা মোছা কিংবা বাইরে থাকলে‌ চোখ মুছতে রুমাল বারবার ব্যবহার করলে চোখে এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এই‌ রোগের শিকার হতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ আক্রান্ত ডায়াবেটিস রোগী রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন।‌ অর্থাৎ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি‌ থাকলে এই ধরনের সংক্রমণে‌ (Eye Infection) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি হয়।

    আক্রান্তেরা কী করবেন?

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, চোখে লাল দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যাতে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যেহেতু এই রোগ রক্তচাপের ওঠা-নামার কারণে হতে পারে, তাই আক্রান্তের নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে। পাশপাশি এই রোগে আক্রান্ত হলে সানগ্লাস পরা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বাইরে থাকলে যাতে আরও বেশি সংক্রমণ না হয়, পরিস্থিতি যাতে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যায়, তাই চোখে সানগ্লাস পরা দরকার বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। অনেকেই চোখে কৃত্রিম লেন্স‌ পরেন। এই রোগে (Eye Infection) আক্রান্ত হলে, সেই‌ সময় একেবারেই কৃত্রিম লেন্স‌ লাগানো‌ যাবে না বলে জানাচ্ছেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাশরুম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এটি (Mushrooms) রান্নাঘরের নিত্যদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক বাড়িতেই। এটি দিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, স্যুপ, সবজি ও স্ন্যাক্স তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি যেমন খেতে ভালো, ঠিক তেমনই এর আছে বিভিন্ন উপকারিতা যা কম নয় এবং অনেক মানুষই তা জানেন না।

    মাশরুমের উপকারিতা (Mushrooms)

    ১) বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিরাময়ে মাশরুম: বর্তমানে প্রায় বাড়িতেই ডায়াবেটিস রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই মাশরুম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমের মধ্যে ফ্যাট ও শর্করার পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমানো সহজ হয়ে ওঠে।
    ২) চর্মরোগ প্রতিরোধে মাশরুম: বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন চুলকানি, দাদ প্রভৃতি থেকে মাশরুম (Mushrooms) অনেক উপকার করে। মাশরুম থেকে এমনকি মাথার খুশকি প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়।
    ৩) গর্ভবতী ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ: আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের সমন্বয় আছে এই মাশরুমে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ যেমন স্কার্ভি, পেলেগ্রা প্রভৃতি থেকে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রক্ষা করা যায় এই মাশরুম থেকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে নিয়োসিন ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। 
    ৪) দাঁত ও হাড় গঠন: মাশরুমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম, যা শিশুদের হার ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত উপকারী।
    ৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী: মাশরুমের (Mushrooms) মধ্যে আছে ল্যামপট্রোল, বেটা-ডি, বেনজো পাইরিন, টারপিনোয়েড যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করতে সাহায্যকারী। জাপানের একটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম ক্যান্সার প্রতিহত করতে অত্যন্ত উপকারী। এমনকি ফ্রান্সের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে মাশরুম খান বলে তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব কম। 
    ৫) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: মাশরুমের মধ্যে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন ইরিটাডেনিন, লোভাস্টনিন, এনটাডেনিন, কিটিন, ভিটামিন বি, সি ও ডি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 
    ৬) হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধক: মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন এবং লিংকজাই ৮ নামক এমাইনো অ্যাসিড থাকায় হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    ৭) অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ: শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দিলে মাশরুম (Mushrooms) খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে মাশরুম খুবই উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    Exercise: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ? কী বলছে নয়া গবেষণা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতার সমস্যা হোক কিংবা ডায়বেটিস, যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য ওষুধের পাশপাশি শরীরচর্চায় (Exercise) বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ মহল। এমনকি মানসিক চাপ কমাতেও প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। কিন্তু সেই শরীরচর্চাও ডেকে আনতে পারে বিপদ! শরীরচর্চার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ! এমনই কথা জানা গেল এক সাম্প্রতিক গবেষণায়। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, যে কোনও কাজেই লাগাম জরুরি। তা না হলেই বিপত্তি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত শরীরচর্চা (Exercise) শরীরে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেন এবং সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী বিশ্বের পাঁচ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়েছেন। আর তার পরে তাঁরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরীরচর্চা আসলে বিপজ্জনক। ওই গবেষণাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত জিম বা শরীরচর্চার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। আর তার ফলেই যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে সাধারণ ভাইরাসঘটিত রোগ হোক কিংবা করোনার মতো মহামারি, যে কোনও ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়।

    কেন বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর চর্চা (Exercise) প্রয়োজন অনুযায়ী করা উচিত। কিন্তু অনেকেই দিনের বেশির ভাগ সময় জিমে কাটাচ্ছেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করছেন। পেশিকে দুর্বল করে তুলছেন। আবার সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া হচ্ছে না। এর ফলে, শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পেশি ক্লান্ত থাকছে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আর এর জেরেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জিমের প্রয়োজন আছে কিনা, তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই করা উচিত। শুধুমাত্র সখের জন্য নয়। শারীরচর্চা কতখানি জরুরি, তা না জেনে করলে বিপদ বাড়বে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারি। তাই নিয়ম করে ৪০ মিনিট হাঁটলে, স্থূলতা, ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগের মতো এড়ানো যাবে একাধিক সমস্যা। পাশপাশি যোগাভ্যাসে অভ্যস্থ হলেও একাধিক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে, নিয়মিত জিম করলেও উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া জিম করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো শরীরচর্চা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, শরীরচর্চার পাশপাশি পুষ্টিকর পরিমিত খাবার নিয়ম করে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, একদিকে শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চা (Exercise) জরুরি, তেমনি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তা না হলে শরীরচর্চায় বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: ভারতে প্রায় ১ লাখ শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত! টাইপ ২ নিয়েও দুশ্চিন্তা

    Diabetes: ভারতে প্রায় ১ লাখ শিশু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত! টাইপ ২ নিয়েও দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপিং মল হোক কিংবা পাড়ার দোকান, সর্বত্র রঙিন কাগজে জড়িয়ে থাকে নানান চকোলেট, ক্যান্ডি। প্যাকেটবন্দি থাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে চিকেন নাগেটের মতো সুস্বাদু খাবার। চটজলদি এই সব খাবারেই মজে থাকছে শৈশবের স্বাদ। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! শিশুকালে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস (Diabetes)। যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসকেরা তাই একাধিক সচেতনতা কর্মশালায় জানিয়েছেন, ১৪ বছরের কম বয়সীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ে সর্তক না হলে, ভবিষ্যৎ ভয়ানক হতে পারে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? (Diabetes) 

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার মধ্যে প্রায় ১ লাখ শিশু শুধু টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়। তবে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ শিশুদের মধ্যে বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বছর পনেরো আগেও শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা যেত না। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের এই রোগ হত। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ছে। যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, জীবনযাপনে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জেরেই এই রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে।

    কোন অভ্যাস ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুই চটজলদি খাবারে অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। রুটি, তরকারি, ভাত, ডাল, মাছের ঝোলের পরিবর্তে তাদের জন্য থাকছে প্যাকেটজাত স্যান্ডউইচ, পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার। নাগেট, স্ট্রিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার অধিকাংশ শিশু খাচ্ছে। যার পুষ্টিগুণ নেই বললেই চলে। বরং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অতিরিক্ত তেলে ভাজা এই ধরনের খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রায় গোলমাল করছে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তাছাড়া, অধিকাংশ শিশু মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। তারা নানা রকম ক্যান্ডি, কেক, চকোলেট খায়। অনেক ক্ষেত্রেই এই খাওয়ার সময়ে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পরিমাণেও যথেচ্ছ হয়। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। 
    এছাড়াও, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর মাঠে খেলার সুযোগ কম। ব্যস্ত জীবন যাপনের জেরে শৈশবকাল মোবাইল আর ল্যাপটপের স্ক্রিনে কাটছে। আর এর জেরেই স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছি। যা ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনা কিংবা খেলাধুলোয় সমস্যা তৈরি করতে পারে? 

    ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এক ধরনের এনার্জি ঘাটতির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আর এই এনার্জি ঘাটতির জেরে শিশুদের খেলা হোক কিংবা পড়াশোনায় প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত শিশুদের মনোনিবেশের ক্ষেত্রেও এক ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই পড়াশোনায় অনেক সময়েই ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মনে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে স্মৃতি শক্তিতে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সেই সমস্যাও দেখা দেয়। তাছাড়া, যে কোনও খেলায় প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত পরিশ্রম একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের ক্ষেত্রে সব ধরনের খেলা সম্ভব হয় না। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না থাকলে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়বে। আর তার জেরেই তাদের ভবিষ্যতে একাধিক সমস্যাও দেখা দেবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস (Diabetes) আর বয়স্কদের রোগের তালিকায় আটকে নেই! তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এই রোগ এখন শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত ১২ বছর পেরলেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে! যার প্রভাব পড়ছে পড়াশোনা, খেলাধুলোয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা না বাড়লে বিপদ বাড়বে! অভিভাবক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। না হলে বড় বিপদ হতে পারে!

    কাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তিরিশ পেরনোর আগেই অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। সন্তান জন্মের পর তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সব শিশুর জন্মের সময় ওজন ৩.৫ কেজির বেশি থাকে, তাদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, পরবর্তীতে তাদের স্থূলতা বাড়ার ঝুঁকি বেশি। ফলে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। পাশপাশি, যাদের জন্মের সময় ওজন ২.৫ কেজির কাছাকাছি থাকে, কিন্তু তিন-চার বছর বয়স থেকেই ওজন মারাত্মক বাড়তে থাকে, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। 
    ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দশ জন ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের মধ্যে আগে গড়ে ২-৩ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হত। কিন্তু গত দশ বছরে দেখা যাচ্ছে, প্রতি দশ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে গড়ে ৫-৬ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী থাকছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এছাড়া ভারতে শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রকোপও বাড়ছে।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের বদলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি বাড়ছে। ১২-১৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের শারীরিক কসরতের প্রবণতা কমে গিয়েছে। তারা অধিকাংশ সময়েই বসে থাকছে। কখনও পড়াশোনা, কখনও ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। মাঠে খেলাধুলোর সময় একেবারেই কম। দিনের খুব কম সময় তারা শারীরিক কসরত করে। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া আধুনিক জীবনের খাদ্যাভ্যাস এই রোগের প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন নানান প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবার স্থূলতা ডেকে আনে। তাছাড়া, ডোনাট, চকোলেট খাওয়ায় অভ্যস্ত অনেক শিশু। এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে? 

    সম্প্রতি সুইডেনের একদল গবেষক স্কুল পড়ুয়াদের ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াদের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। তাই তাদের অনেক সময়ই বুঝতে অসুবিধা হয়। ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত পড়ুয়ারা বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে, নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না। অনুপস্থিতির হার বেশি হয়। এর প্রভাব তাদের পড়ার ক্ষেত্রেও পড়ে। পাশপাশি খেলাধুলোর প্রতি অনীহা তৈরি হয়।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা কীভাবে সতর্ক হবেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত যদি সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা যায় কিংবা বারবার জল খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত থাকেন, তাহলে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা জরুরি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা। 
    অতিরিক্ত তেলে ভাজা আর মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের ডায়েটে সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত ডোনাট, চকোলেট একেবারেই দেওয়া যাবে না। শিশুদের জলখাবারে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। কর্নফ্লেক্স, দুধ, কিসমিস, কাজুর মতো ড্রাই ফ্রুট, আপেল, পেয়ারা, নাশপাতির মতো ফল খেতে হবে। ভাতের পরিমাণ না বাড়িয়ে ডাল, সব্জি, চিকেন, মাছের মতো খাবার বেশি খেতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। 
    স্কুল কর্তৃপক্ষকেও ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলে বহু পড়ুয়া এই রোগে আক্রান্ত থাকবে। তাদের সুস্থ রাখতে স্কুলে আলাদা ভাবে মেডিক্যাল স্টোর রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারত জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ! হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি একাধিক হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়দের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ (Heart Attack)। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ভারতীয়র ৫০ শতাংশ ৫৫ বছরের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উর্ধ্বে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত। মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

    তরুণ প্রজন্মের কেন বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের। বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপ এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাজের ডেড লাইনের চাপ বড্ড বেশি থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আর অধিকাংশের এই নির্দিষ্ট সময় আসলে খুবই সীমিত হয়। এছাড়াও আধুনিক কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা আর প্রতিযোগিতা বেশি। ফলে, অধিকাংশই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। যা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন এই চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। 
    মানসিক চাপের পাশপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ বিরিয়ানি, পিৎজার মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে অভ্যস্থ। অতিরিক্ত প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় মশলাদার খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। আর এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কীভাবে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমানো যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে নয়। হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমাতে কুড়ির শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘরে ঘরে হৃদরোগ আক্রান্তদের দেখা যাবে। ফলে, হৃদরোগ কমবেশি সকলের পারিবারিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে, কম বয়স থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না হয়। খাওয়ার দিকে তাই বিশেষ নজর দিতে হবে। খাবারে নুন, মশলা ও তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। তেলে ভাজা একেবারেই বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষত প্রিজারভেটিভ খাবার যেমন বার্গার, হটডগ, পিৎজা যেগুলোতে অতিরিক্ত নুন ও মশলা দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের স্বাদ ধরে রাখা হয়, সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। 
    পাশপাশি ভারতীয়দের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়মিত যোগভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে। এতে শরীর ও মন, দুই ভালো থাকবে। নিয়মিত হাঁটা, যোগাসন করার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share