Tag: Diabetes

Diabetes

  • Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    Ageing and Health: বয়স কমাতে কোনও কৃত্রিম পন্থা নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকুক তিন মূল শারীরিক সমস্যা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অকালেই ঝরে পড়ছে চুল। চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে। শুষ্ক ত্বক সমস্যা বাড়াচ্ছে! সময়ের আগেই আসছে বার্ধক্য (Ageing and Health)। এই সমস্যা এখন অনেকের। তবে চটজলদি এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বরং শরীরের তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই সময়ের আগে বার্ধক্যকে এড়ানো যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন তিন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং থাইরয়েড-এই তিন সমস্যা কমাতে পারলে তবেই সময়ের আগে বাধর্ক্য (Ageing and Health) এড়ানো যেতে পারে।  
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, থাইরয়েডের মতো হরমোন ঘটিত সমস্যা থাকলে চুল পড়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকী চোখের নিচের চামড়াও কুঁচকে যায়। এসব সময়ের আগেই বার্ধক্যের ইঙ্গিত দেয়। তাই থাইরয়েড এবং হরমোন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। 
    পাশপাশি রক্তে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়লেও বিপদ। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে হাত-পায়ের চামড়ায় শুষ্ক ভাব চলে আসে। যার জেরে চামড়া কুঁচকে যায়। ফলে দেখা দেয় আগাম বার্ধক্য। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম বার্ধক্য এড়াতে স্থূলতার সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত ওজন শরীরের কার্যক্ষমতা কমায়। পাশপাশি অতিরিক্ত মেদের জেরে ওজন বাড়ে। আর তার জেরে আগাম বার্ধক্য দেখা দেয়।

    কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই তিন সমস্যা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিনা, তা জানা জরুরি। তাই আগাম বার্ধক্য (Ageing and Health) শরীরে জানান দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা জরুরি। স্থূলতার সমস্যা শরীরে সহজেই জানান দেয়। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া সহজ বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তবে, সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। এই তিনটি বিষয়কে যে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, সেই সচেতনতার অভাব রয়েছে।

    কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই তিন সমস্যাকে দূরে রাখতে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাতে একদিকে স্থূলতার সমস্যা কমবে, আরেকদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে।ডায়াবেটিসের সমস্যাও কমবে। তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। পাশপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে। আগাম বার্ধক্য এড়াতে হলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Ageing and Health)। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চটজলদি খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ডায়াবেটিস, স্থূলতা আর থাইরয়েডের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। এড়িয়ে চলতে হবে হটডগ, পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবার। এই সব খাবারে থাকে প্রিজারভেটিভ মশলা এবং মাত্রাতিরিক্ত নুন। যা থাইরয়েড এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়। পাশপাশি দেহে অতিরিক্ত মেদ জমায় এই ধরনের খাবার। তাই এই সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

    কৃত্রিম পদ্ধতি কি ভাল?
     
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। বরং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে সহজেই অকাল বার্ধক্য (Ageing and Health) এড়ানো যাবে। তাই নিয়মিত সবুজ সব্জি, মাছ, ডিম, সয়াবিনের মতো প্রোটিন বাড়িতে রান্না করে খেলে এবং ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। পাশপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে চার লিটার জল খেতে হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় জল থাকলে বহু রোগ আটকানো সহজ হয়। তার পাশপাশি জল ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকাল হোক বা সন্ধ্যায় সামান্য চা-বিস্কুট খেলেও অস্বস্তি শুরু হয়। কখনও বমি আবার কখনও পেটে যন্ত্রণা (Digestive Problems)। আর ভারী, তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে তো কথাই নেই। বুকের যন্ত্রণা, মাথা ঘোরার চোটে বিছানা থেকে ওঠার শক্তিও থাকে না। এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাবধান থাকা দরকার। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করলে বাড়বে বিপদ!

    কোন অসুখের (Digestive Problems) ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার খেলেই বমি, হজমের সমস্যা কিংবা বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এই সমস্যার নাম গ্যাস্ট্রোএসোফাগেল রিফ্লাক্স ডিজিজ! যাকে সহজে চিকিৎসকরা বলেন জিইআরডি! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আটটি উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়। খাবার পরেই বুক জ্বালা, বুকের মাঝখানে ব্যথা, লাগাতার হেচকি ওঠা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, বমি, হজমের সমস্যার মতো উপসর্গ প্রায় দেখা দিলে তা জিইআরডি-র লক্ষণ হতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন জিইআরডি-র মতো সমস্যায় ভুগলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তার মধ্যে অন্যতম হল লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্যা। কারণ, হজমের দীর্ঘ সমস্যা এবং বারবার বমি এই দুই অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা পাকস্থলীর আলসারের কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি, পরিপাকতন্ত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। লাগাতার হজমের সমস্যা (Digestive Problems) এবং সেই সংক্রান্ত অসুবিধার জেরে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হয়।

    কাদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পাশপাশি, যাঁরা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খান, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময়ের ব্যবধানে ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    কীভাবে উপশম (Digestive Problems) সম্ভব? 

    সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-এ এই রোগের উপশমের নতুন দিশা দেখিয়েছেন একদল চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপশমের জন্য প্রয়োজন তিনটি জিনিসের উপরে নজরদারি। এক, সঠিক ডায়েট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর জরুরি। প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন একেবারেই নয়। বিশেষত, প্রাণীজ প্রোটিন যাতে অতিরিক্ত খাওয়া না হয়, তার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করা কঠিন (Digestive Problems)। তাই শরীর কতখানি পরিশ্রম করছে সেই অনুপাতে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। খাবারের মেনুতে পর্যাপ্ত সব্জি থাকতেই হবে। পালং শাক, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, পেঁপের মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যে কোনও লেবুর রস খাওয়া দরকার। যাতে হজম ভাল হয়। এর পাশাপাশি নিয়মিত কলা, পেয়ারার মতো ফল খাওয়া দরকার। 
    খাবারের মেনুর পাশপাশি নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ব্রেকফাস্টের কতক্ষণ পরে দুপুরের খাবার, আবার সন্ধ্যের খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কিন্তু খুব জরুরি। সকালের জলখাবার যেমন সাড়ে ন’টার মধ্যে হতে হবে। তেমনি দুপুরের খাবার বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে খেতে হবে। রাত ন’টার পরে ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো। রাতে ঘুমোনোর আগে হাল্কা কিছু খাওয়া দরকার। এতে হজম ভালো হয়। অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাওয়া একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    খাবারের মেনু ও সময়ের পরে নজর থাকুক খাবারের পরে কী করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাবারের পরেই বসে থাকা বা শুয়ে পড়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই দুপুর হোক বা রাত ভারী খাওয়ার পরে অন্তত মিনিট দশেক হাঁটতেই হবে। বাড়ির বাগান কিংবা পাড়ার রাস্তায় অল্প হাঁটাহাটি করে তবেই শোয়া যাবে। এতে হজম হবে সহজেই। তার পাশপাশি ওজনের দিকে নজর দিতে হবে। স্থূলতা যেহেতু এই রোগের (Digestive Problems) ঝুঁকি বাড়ায়, তাই তা রুখতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    Diabetes: কী ধরনের খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? কতদিনে মিলবে সুফল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রতি মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়স কিংবা নারী নাকি পুরুষ, কোনও বিশেষ পরিচয় নয়। যে কেউ এই বিপদের শিকার হতে পারেন। বাঁচার একমাত্র উপায় খাদ্যাভ্যাস! ভারতে ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০ বছরের পর থেকেই ডাযাবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তবে, ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। শুধুমাত্র খাবার নিয়ন্ত্রণ করেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রাশ টানা যেতে পারে এই ক্রনিক সমস্যার।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের অনুমান ছিল, ৭ কোটির বেশি ভারতীয় ডাাবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র রিপোর্ট জানাল, পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ। ১০ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিক। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে তাঁরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবেন। আর এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    উদ্বেগের কারণ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস (Diabetes) জীবন যাপনের মান কমায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, অন্য যে কোনও রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আর ডায়াবেটিস আক্রান্তের হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, চোখ সহ একাধিক অঙ্গের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি গর্ভবতীর ডায়াবেটিস থাকলে, তা গর্ভস্থ শিশুর জন্য নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভারতে যে বিপুল হারে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্ম কতখানি সুস্থ জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    নতুন গবেষণা মুক্তির কী পথ (Diabetes) দেখাচ্ছে? 

    ডায়াবেটিস নিয়ে সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উঠে এসেছে স্বস্তির বার্তা। ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কমে। ২০ থেকে ৬০ বছরের নানা বয়সের ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়ে একদল ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ গবেষণা চালান। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র খাবারে রাশ টানলে এক বছরের মধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কোনও ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারকেই মূল হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নানা রকমের খাবার মেনুতে থাকুক। ডায়াবেটিস আক্রান্তকে কখনোই এক রকমের খাবার যেমন, ভাত, রুটি বা ন্যুডলস বেশি পরিমাণে দিয়ে পেট ভরানো যাবে না। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সব রকমের খাবার অল্প অল্প পরিমাণে দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পর্যাপ্ত সব্জি, চিকেন কিংবা ডিম, তার সঙ্গে রাখতে হবে খেজুর, কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস। তাহলে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ফাইবার আবার ভিটামিন পাওয়া যাবে। আবার জলখাবারে পাউরুটি বা মুড়ি খেলেও সঙ্গে থাকুক কলা, বেদানা, আপেল, পেয়ারার মতো ফল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানা রকমের ফল যেমন, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, নাশপাতি এক সঙ্গে টুকরো করে কেটে টক দই মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত দুধ, টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। নিজের ওজন বুঝে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন, কেক, রসগোল্লা, পেস্ট্রি একেবারেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, সবচেয়ে জরুরি সময় মতো খাবার খাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর খাবারের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান থাকে। সেটা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    Weight Loss: দ্রুত ওজন কমছে! শরীরে বাসা বাঁধছে কোন রোগ? সতর্ক হবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। জিমে গিয়ে শরীর চর্চাও করা হয়ে ওঠে না। তা সত্ত্বেও কমছে ওজন (Weight Loss)! এরকম হলে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত যদি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শরীরের ওজন ৫ শতাংশের বেশি কমে, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, দ্রুত এই ওজন কমার পিছনে থাকতে পারে নানা জটিল রোগ!

    কোন কোন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমে (Weight Loss)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে নানা রোগের কারণ যেমন স্থূলতা, তেমনি বিভিন্ন রোগের জেরে দ্রুত ওজন কমতেও পারে। আর তার জন্য নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই ওজনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলেও ওজন কমতে পারে। তাই দ্রুত ওজন কমলে ডায়বেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ওজন কমে। থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ দ্রুত ওজন কমা (Weight Loss) এবং ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়া। তাই ওজন দ্রুত হ্রাস হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। আবার এইচআইভি সংক্রমণের জেরেও দ্রুত ওজন কমতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। অবসাদ, মানসিক চাপের জেরে যেমন অনেক সময় স্থূলতার সমস্যা দেখা যায়, তেমনি ওজন হ্রাসের ঘটনাও ঘটে।্যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ না থাকলে ঠিকমতো খাওয়া হয় না। অনেক সময় অবসাদের জেরে রোগী অতিরিক্ত খাবার খান, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খান। ফলে, স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়। আবার অনেক সময় মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগী খাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে, ওজন কমতে থাকে। 
    তাছাড়া, দ্রুত ওজন কমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মদ্যপানের কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহের ওজন দ্রুত কমে। কারণ, মদ জিরো ক্যালোরি। আর মদ খেলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ফলে, নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে দেহে প্রয়োজনীয় খাবার যায় না। ফলে, দ্রুত ওজন কমতে থাকে।

    দ্রুত ওজন কমলে (Weight Loss) কোন কোন ঝুঁকি বাড়ে? 

    স্থূলতা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি দ্রুত ওজন হ্রাস (Weight Loss) একাধিক শারীরিক ও মানসিক সঙ্কট তৈরি করে। 
    চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দ্রুত ওজন হ্রাস দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দ্রুত ওজন হ্রাস শরীরের জন্য বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ শরীরকে গ্রাস করে। ফলে, যে কোনও কাজ ঠিকমতো হয় না। জড়তা তৈরি হয়। 
    তাছাড়া, থাইরয়েড, ডায়বেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    অতিরিক্ত ওজন হ্রাস হলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে, নানা শারীরিক জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে। 
    মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও অসুবিধা হতে পারে। দ্রুত ওজন হ্রাসের ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার জেরে চিন্তা করার শক্তি কমে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে। ফলে, মানসিক স্থিতাবস্থা নষ্ট হতে পারে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। ওজন দ্রুত কমলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করে, ওজন কমার Weight Loss কারণ সম্পর্কে জানা জরুরি। 
    তাছাড়া, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বাড়তি নজর জরুরি। প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। বিশেষত ডিম, দুধ, সবজি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে নানা রোগ। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদসমস্যা। ব্যস্ত জীবনে কম ঘুম, ফাস্টফুডের অভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)! তাই হৃদসমস্যায় আক্রান্তের তালিকায় ভারত ক্রমশ বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হয়ে উঠছে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ভারতে হৃদরোগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের তালিকায় ভারত প্রথম সারিতেই আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ৩৫ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) আশঙ্কাও বাড়ছে। গোটা দেশের মধ্যে আবার কেরল আর পশ্চিমবঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২০ জনের হৃদসমস্যা রয়েছে। বিশেষত শহুরে বাঙালির ২০ শতাংশ হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে যে কোনও সময়েই। তবে, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ধরা হত। কিন্তু গত দশ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৩০ বছরের চৌকাঠ পেরলেই বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, যাঁদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ আছে, তাঁরা বাড়তি সতর্ক হন। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি। তাছাড়া, পরিবারের কেউ বিশেষত বাবা-মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, ৩০ পেরিয়ে অবশ্যই চেক-আপ জরুরি।

    কোন পাঁচটি উপসর্গ জানান দেয় হৃদরোগের? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বিপদ হওয়ার আগে শরীর ইঙ্গিত দেয়। তাই আগে থেকে উপসর্গ টের পেলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বিশেষত হৃদরোগের সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যে পাঁচ ইঙ্গিতের কথা চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার প্রথমেই হল বুকে ব্যথা বা চিনচিন করা (Heart Attack)। যদি, বুকের বাঁদিকে চিন চিনে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সময় নষ্ট না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
    দ্বিতীয়ত, মাথার ভিতরে কষ্ট ও বমি হওয়া। অনেক সময়েই হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে বমি হয়। যদি হঠাৎ বমি হয় ও মাথার ভিতরে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 
    তৃতীয়ত, শুধু বুকে নয়, লাগাতার পেট ও পিঠে যন্ত্রণা অনুভব হলেও সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশেষত, মহিলাদের হৃদরোগ দেখা দিলে এই উপসর্গ বেশি দেখা যায়। পেটের যন্ত্রণা অথবা পিঠের দিকে একটা খিচ ভাব অনুভব হয়। সেটা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ইঙ্গিত হতে পারে। 
    এসি রুম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসে থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের আরেক উপসর্গ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু হৃদরোগের অন্যতম কারণ রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হওয়া, তাই অনেক সময়ই আক্রান্তের অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। 
    দেখার সমস্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া বা বারবার ভুল দেখা ইঙ্গিত দেয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার।

    কীভাবে হৃদরোগ এড়িয়ে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত চেক আপ জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। 
    ডায়বেটিস থাকলেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ডায়বেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। ডায়বেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack) বাড়ায়। খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি। কী খাচ্ছি, কতখানি খাচ্ছি, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার, যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তা একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা থাকে, যেমন বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার খুব কম পরিমাণে খেলেই ভালো। কারণ, এগুলো হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া এগুলোতে তেল ও মশলা অনেক বেশি থাকে। 
    নিয়মিত আপেল, কমলালেবু, শশা, কলার মতো ফল খেতে হবে। 
    সবুজ সবজি ও কম চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    মানসিক চাপ কমাতে হবে। নিয়মিত গান শোনা, ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে কিছুটা সময় দিতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ কমবে। মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটাচলা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes Diet: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগীদের এই খাবারগুলি গ্রহন করা উচিত

    Diabetes Diet: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগীদের এই খাবারগুলি গ্রহন করা উচিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল রোগ। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রার সুস্থ পরিসর বজায় রাখলে এই রোগ সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীর চর্চা, পরিমাণ মতো জল খাওয়া, ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি সহ সামগ্রিক জীবনযাত্রার দিকে যত্ন রাখার পাশাপাশি খাদ্যাভাসের দিকটিও নজর রাখতে হবে। গবেষনায় জানা গিয়েছে কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দৈনিক খাবারে ২০ থেকে ৯০ গ্রামের মধ্যেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ উচিত। তবে কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া মানে এই নয় যে, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বন্ধ করে দেওয়া।কার্বোহাইড্রেটযুক্ত কিছু খাবারে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা একটি সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শিশুদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া উচিত নয় কারণ তা তাদের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য কেন উপকারী?

    ১৯২১ সালেও ইনসুলিন আবিস্কারের আগে ডাক্তাররা কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যগ্রহণের সুপারিশ করত। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য গ্রহণকে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বলে মনে করেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অন্তত তিন বছর কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে এর ভালো ফল পাবেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খুব কম দিনেই এর রেজাল্ট দেখতে পারে। 

    কম হাইড্রেটযুক্ত কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

    • সকালে উঠে- সারারাত ধরে জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জলটা ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
    • জলখাবার- ডিমের সাদা অংশ ,সব্জি দিয়ে ডিমভাজা, সরতোলা ঠান্ডা দুধের কফি এবং দুটো আখরোট।
    • দুপুরের খাবার- বেসন ও লাল আটা মিশিয়ে বানানো রুটি, তার সঙ্গে ডাল, শাক, দই আর সবুজ স্যালাড।
    • রাতের খাবার- পনির টিক্কা ও চিনি ছাড়া তাজা লেবুর শরবৎ।

    যে খাবারগুলি রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত

    যে সব খাবারে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে সেই সব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

    1. পাঁউরুটি, পাস্তা, ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্যজাত খাবার।
    2. শ্বেতসারযুক্ত সব্জি যেমন আলু, রাঙালু, ওল, কচু
    3. মটর, ডাল, বীনের মত সব্জি ( সবুজ বীন আর মটরশুঁটি ছাড়া)
    4. দুধ
    5. সোডা মিশ্রিত শরবৎ বা চিনি দেওয়া চা।
    6. বিয়ার এবং অন্যান্য অ্যালকোহলজাত পানীয়
    7. মিষ্টি বা আইস ক্রিম

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Vegetables: সবুজ শাক-সব্জিতেই রয়েছে দাওয়াই! কোন সব্জির গুণে কমবে কোন সমস্যা?

    Vegetables: সবুজ শাক-সব্জিতেই রয়েছে দাওয়াই! কোন সব্জির গুণে কমবে কোন সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কোনও কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। বরং সবুজ শাক-সব্জি (Vegetables) নিয়মিত খেলেই একাধিক রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশ্ব জুড়ে এমন হাজার হাজার সব্জি আর শাক রয়েছে, যা থেকে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা করা যেতে পারে। তবে, এগুলোর অধিকাংশ পাওয়া যায় ভারতে। এমনই কথা সম্প্রতি জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আধুনিক জীবন যাপনের জন্য যে সমস্ত রোগের দাপট বাড়ছে, তাদের রুখতে দাওয়াই রয়েছে ভারতেই। এমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কী বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Vegetables)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল,‌ উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার সমস্যা রুখতে পারে ভারতীয় সব্জি এবং শাক। সংস্থার তরফে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সব্জির কথা বলা হয়েছে। যা নিয়মিত খেলে রোগ মোকাবিলা সম্ভব। আর সেখানেই রয়েছে ভারতের ২১০০ শাক ও সব্জির তালিকা (Vegetables)। যা ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    কোন সব্জির গুণে কোন‌ রোগ কমবে? (Vegetables)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবন যাপনের জেরে নানান রোগ বাড়ছে‌। কাজের চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা বাড়ছে। 
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এমন কিছু শাক-সব্জি (Vegetables) রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মেথি শাক। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মেথি শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মেথি শাকে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন।‌ একদিকে এই শাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, আরেকদিকে শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ স্থূলতার সমস্যা কমাতেও বিশেষ‌ সাহায্য করে এই শাক। 
    যে কোনও রান্নায় এলাচ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতীয় এই মশলা একাধিক রোগের প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একদিকে হজমের সমস্যা কমায়। আবার এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী বলেও‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    নিয়মিত করলা খেলেও পাওয়া যাবে বিশেষ উপকার। এমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করলায় (Vegetables) থাকে ফ্রুক্টোসামিন, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া করলায় আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এছাড়া করলায় রয়েছে ফাইবার। এটা স্থূলতা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। 
    এছাড়া ফুলকপি, পালং শাক এবং পুঁই শাক হৃদরোগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সব সবুজ সব্জি এবং শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার। তাই কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে এই ধরনের সব্জি উপকারি। 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত বাড়িতে তৈরি কম তেলমশলার সবুজ সব্জি খেলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রক্তে অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) নিয়ে ভুগতে হচ্ছে অনেককেই। ডায়াবেটিস আর এখন‌ শুধু প্রৌঢ়কালের সমস্যায় আটকে নেই। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়বেটিসের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়াটাই শুধু সমস্য়া নয়। কমে যাওয়াও বড় বিপদ তৈরি করে। অনেকের হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এই ওঠানামার জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ছে কিনা, তা দেখার পাশপাশি খেয়াল রাখতে হবে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিনা।‌ দ্রুত এই সমস্যা মোকাবিলা না করলে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি? (Blood Sugar) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। কারণ, অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ ওঠানামা করে। শর্করার মাত্রাও অস্বাভাবিক থাকে। ফলে, হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করার ঝুঁকি তাঁদের‌ বেশি হয়।‌
    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হঠাৎ অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হলে, কিংবা হার্ট, কিডনির জন্য নতুন কোনও ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) কমে যায়। 
    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। খাবার না খাওয়া, ডায়েটের রেওয়াজ করে ফেলেছেন অনেকেই। আর এতেই ঘটছে বিপত্তি। পর্যাপ্ত না খেয়ে অতিরিক্ত শরীর চর্চা, কিংবা সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার না খাওয়া, এই ধরনের অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়।

    কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে হঠাৎ শর্করার (Blood Sugar) মাত্রা কমে গেলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর ফল পড়ে সুদূরপ্রসারী।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বারবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কিডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফলে, একাধিক অঙ্গ বিকলের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত মোকাবিলা করতে হবে। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, তাদের নিয়মিত বাড়িতে গ্লুকোমিটারের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) পরিমাপ করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমলে পনেরো মিনিটের মধ্যে, তা মোকাবিলা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাদের পরামর্শ, চিনি নয়, বরং ক্যান্ডি বা জেলি জাতীয় খাবার ১৫ গ্রাম খেলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তবে, সবচেয়ে উপকারী মিষ্টি ফলের রস। যে কোনও ধরনের জুস ১৫ মিলিলিটার খেলে, দ্রুত শর্করার পরিমাণ ঠিক হয়ে যায় বলেই পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি অনেক সময়ে রক্তে মিশতে সময় নেয়। কিন্ত জেলি, জুসের মতো‌ খাবার দ্রুত শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share