Tag: Diabetic Patients

Diabetic Patients

  • Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। পাশপাশি বিপত্তি বাড়াচ্ছে ওজন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, এই দুই শারীরিক সমস্যার জেরে নাজেহাল। তাই সহজ পথে অনেকেই হাঁটতে চাইছেন। নিত্যদিনের খাবারের তালিকা থেকেই সহজেই বাদ পড়ছে চিনি। কিন্তু অনেকেই আবার মিষ্টিবিহীন খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই চিনি বাদ দিলেও, তার জায়গায় আসছে কৃত্রিম চিনি। অনেকেই মনে করছেন, চিনির থেকে ঢের ভালো এই ‘কৃত্রিম চিনি’ (Artificial sweeteners)। নিশ্চিন্তে চা-কফি কিংবা সরবতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একেবারেই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। এই অভ্যাস (Sugar Substitutes) অজান্তেই শরীরের বিপদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Artificial sweeteners)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনির একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং এই চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সংস্থার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সেফটি-র তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না। এমনকী ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কোনো উপকার দেয় না। বরং, এই কৃত্রিম চিনির কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ, স্টিভিয়া, স্যাকারিনের মতো উপাদান কৃত্রিম চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

    কী ক্ষতি করছে কৃত্রিম চিনি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেমের মতো রাসায়নিক কৃত্রিম চিনিতে থাকে। চিনির থেকেও বেশি পরিমাণ থাকে। আর এই রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই উপাদান ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম চিনিতে (Artificial sweeteners) নানান রাসায়নিক থাকে, যেগুলো প্রসেসড খাবারে থাকে। এর জেরে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকিও তৈরি হয়। অর্থাৎ, ওজন তো কমেই না, বরং কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনি সহজলভ্য করতে অনেক সময়েই সিলিকা সহ একাধিক রাসায়নিক এর সঙ্গে মেশানো হয়। এই সব রাসায়নিক লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যাঁরা নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খান, তাঁদের স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম চিনি খেলে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ে খিঁচুনি সহ নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনকী দেহে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ এই কৃত্রিম চিনি। নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলে, তা হৃদপিণ্ডের জন্য একেবারেই ভালো না। খুবই ক্ষতিকারক। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে‌। 
    সাধারণ চিনির তুলনায় এই কৃত্রিম চিনির মিষ্টত্ব প্রায় তিনশো গুণ বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এই কৃত্রিম চিনি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে চিনি। তা যে কোনও ধরনের চিনিই হোক না কেন (Sugar Substitutes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভাত হোক কিংবা রুটি, ভারতীয়দের খাবারে ডাল (Pulses) অতি পরিচিত এক পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খেলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকী বেশ কিছু রোগের মোকাবিলা সহজ করে দেবে ডাল। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সেরই খাবারের তালিকায় ডাল রাখতে হবে‌। দুপুর কিংবা রাতে ভাত-রুটির সঙ্গে ডাল আবশ্যিক। এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, কোন ডালে কোন রোগ কাবু হয়?

    মুগ ডালে বাড়তি উপকার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের (Pulses)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনলিগ যৌগ। এই দুই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান খুবই জরুরি। কারণ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের একাধিক রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই মুগ ডাল তাদের জন্য বাড়তি উপকারী। এছাড়াও, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে এনার্জির জোগানে ঘাটতি দেখা দেয়। মুগ ডালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, দস্তার মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে এই ডাল নিয়মিত খেলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ হবে। ফলে, ক্লান্তি বোধ কমবে‌।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ছোলার ডাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্তদের এই ডাল বাড়তি উপকারী। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে। বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে‌। তাছাড়া এই খাবারে রয়েছে ফাইবার। তাই মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ায়‌। তাই চল্লিশোর্ধ্বদের নিয়মিত ছোলার ডাল (Pulses) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই বা তিন দিন ভাত-রুটির সঙ্গে থাকুক এক বাটি ছোলার ডাল। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।

    মুসুর ডাল পেশির সমস‌্যা কমাবে, রুখবে অস্ট্রিয়পোরেসিস (Pulses)

    মুসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মহিলাদের নিয়মিত অন্তত এক বাটি মুসুর ডাল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে পেশির সমস্যা। কম বয়স থেকেই পেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে‌। হাড় ক্ষয়ের সমস্যাও বাড়ছে। বিশেষত অধিকাংশ পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের অস্ট্রিয়পোরেসিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই দেহে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে মুসুর ডাল খুবই উপকারী (Pulses in Diet)।

    হজমের গোলমাল কমাবে মটর ডাল

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটর ডালে (Pulses) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তাই নিয়মিত মটর ডাল খেলে হজমের গোলমাল কমে। অন্ত্রের জন্য মটর ডাল খুবই উপকারী।

    উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করবে রাজমা

    ভারতের আরেক জনপ্রিয় ডাল‌ হল রাজমা। এই ডালে (Pulses) প্রোটিন, ভিটামিনের পাশপাশি রয়েছে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজমা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি রাজমা ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করে। তাই ভাতের সঙ্গে রাজমা খেলে শরীর ভালো থাকে। ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার সঙ্গে রাজমার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে দেহে এনার্জির জোগান হয়। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ভাতের সঙ্গে রাজমা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetes & Jackfruit:  ডায়াবেটিস রোগীদের কি কাঁঠাল খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা..

    Diabetes & Jackfruit: ডায়াবেটিস রোগীদের কি কাঁঠাল খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা..

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা পুরোপুরি বদলে গেছে। তাদের জীবনধারা ও খাদ্যাভাস সমস্ত কিছুতে পরিবর্তন আসায় মানুষের দেহে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আলস্যতাও বেড়েছে ফলে তা স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন রোগের জন্ম হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Worls Health Organisation) অনুসারে, বর্তমানে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০ বয়স থেকে ৭০ বয়সের মানুষের প্রায় ৮.৭ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। রক্তে যখন শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখনই মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। এই অসুখ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী হয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে এবং খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে নিয়ন্ত্রণ আনলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

    আরও পড়ুন:করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না, একটি ফল খাদ্যতালিকায় রাখলে মধুমেহকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়, আর সেটি হল কাঁঠাল (Jackfruit)। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে আপনার ডায়েটে কাঁঠাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কাঁঠাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, রাইবোফ্লাভিন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এটি ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারী। এমনকি রান্না করা কাঁঠালের চেয়ে পাকা কাঁঠাল বেশী উপকারী।

    কিন্তু কাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় জানেন কি?

    যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পাশাপাশি অনেক সময় কাঁঠালের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা হাইপারক্যালেমিয়া (hyperkalemia) রোগের সৃষ্টি করে।

    আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত

    সব মিলিয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খেতে পারেন। তবে তা পরিমাণে হতে হবে অল্প। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কীরূপ প্রতিক্রিয়া করতে পারে তা জানা সম্ভব নয়। তাই কাঁঠাল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

LinkedIn
Share