Tag: Diet

Diet

  • Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স আর কোনও সীমানা নয়! বরঞ্চ কম বয়সিদের মধ্যেই বাড়ছে ঝুঁকি। ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে তাই আরও বেশি সচেতনতা জরুরি বলেই জানালেন বিশেষজ্ঞ মহল! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যে মারাত্মক ভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস, লিভার, কোলন, জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই তরুণ প্রজন্মের। আর এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া রিপোর্ট? (Cancer)

    সম্প্রতি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর সেই রিপোর্ট ক্যান্সার নিয়ে আরও বেশি উদ্বেগ তৈরি করছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গড়ে প্রতি পাঁচ জন ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ৩৫ বছরের কম। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ফুসফুস, মুখ ও গলা, স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারের দাপট বেশি। আর এই ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরের ক্যান্সার আক্রান্তদের নিয়ে একাধিক গবেষণায় দেখা দিয়েছে, কম বয়সিদের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের (Cancer) ক্ষেত্রে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি‌ জরুরি। প্রথমত, প্রিভেনশন অঙ্কোলজি! ক্যান্সার রুখতে হলে এই ব্যাপারে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপ ৮ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ হয়েছে। অধিকাংশ রোগীরা বয়সে তরুণ! জীবন যাপনের ধরন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। প্রিভেনশন অঙ্কোলজি হল এমন ভাবেই জীবন যাপন করা, যাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তামাক সেবন না করা, ধূমপান বর্জন, মদ্যপান না করার মতো অভ্যাস এক্ষেত্রে জরুরি। এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পাশপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ‘আর্লি ডিটেকশন’! অর্থাৎ ক্যান্সারের (Cancer) উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকা। এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা। তাহলেই ক্যান্সারকে কাবু করা সহজ হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে থাকা ইত্যাদি নানান উপসর্গ জরায়ুর ক্যান্সার, জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ। পাশপাশি লাগাতার কাশির সমস্যা, কাশি থেকে রক্তক্ষরণ, মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ, ফুসফুস, লিভারের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ হতে পারে। এ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। তাহলেই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে।

    কীভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো‌ যাবে? (Cancer)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন হল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমানোর প্রধান হাতিয়ার।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ও এখন প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত দেওয়া হয়। বার্গার, হটডগের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তাতে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে একাধিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে। যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাছাড়া, মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ঠিকমতো স্তন্যপান না করানো। সন্তান জন্মের পরে স্তন্যপান না করালে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। শিশুর পাশপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ও স্তন্যপান করানো জরুরি। কিন্তু এখনও বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে (Cancer) সচেতনতা খুবই কম। 
    খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন‌। স্থূলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ফলে, কী খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, কতখানি পরিমাণ খাওয়া হয়, এগুলোতে নজর দেওয়া দরকার। শরীরে যাতে অতিরিক্ত মেদ না জমে, নিয়মিত যাতে হাঁটাচলা হয়, ওজন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্কতা দরকার। তবেই ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমবে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মানের প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পূর্ণ, বিশ্বের সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টিতে ঠাসা ব্রেকফাস্টগুলির মধ্যে একটি হল ডিম। ডিম হল একেবারে যাকে বলে মুঠোতে ভরা পুষ্টি এবং স্বল্প মূল্যের প্রাণীজ উৎস প্রোটিনগুলির মধ্যে একটি। ফলে ডিমকে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাকে বলা হয় সুপার ফুড (National Egg Day)। 

    অনেকে কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম খান না। কিন্তু এটি ঠিক নয়। কারণ, একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা খুব বেশি নয়। একটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইন ও জেক্সানথিন। প্রতি বছর ৩ জুন জাতীয় ডিম দিবস (National Egg Day) হিসেবে পালিত হয়। সাশ্রয়ী মূল্যের পুষ্টিকর খাবার সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক।

    ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা- (Benefits of Eating Eggs) 

    শরীরের ভেতরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ডিম। যদিও ডিম খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের দিকে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

    শরীরে প্রোটিনের জোগান 
    ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। আর এই প্রোটিনে রয়েছে হাইড্রোলাইসেট নামক উপাদান, যা মস্তিষ্কের যত্ন নেয়। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে এই রাসায়নিক উপাদান, যা মনোযোগ বাড়ায়, সৃজনশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্বেগ কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডিম দারুণ কার্যকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    ভরপুর পুষ্টিগুণ
    ডিমে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ডিমের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, যেমন ভিটামিন এ, ডি, বি১২ এবং আয়রন। এই পুষ্টিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের ছোট এবং বড় অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    চোখের যত্ন
    ডিমে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য (Benefits of Eating Eggs) করতে পারে। 

    শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
    অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে ডিম শরীরে তাপ তৈরি করে। তা কিন্তু একেবারেই না। বরং এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের একটি ভালো উৎস, যা শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

    আরও পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাস
    হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ডিম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই যদি ডিম খাওয়া যায়, তা হলে আর হার্টের সমস্যা দেখা দেয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, সপ্তাহে ৪-৭টি ডিম খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ। 

    কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
    সাম্প্রতিককালে ডায়াবিটিসি, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে রোজ যদি ডিম খেতে পারেন, তাহলে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
    শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েটে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর ডিম হল সেই প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। প্রোটিনের গুণে ওজন ঝরে (Benefits of Eating Eggs) দ্রুত। তাই ডায়েট করলেও ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক, যে কোনও বড় স্বাস্থ্যসঙ্কট আটকে দিতে পারে সঠিক খাবার (Nutrition)। আবার, শরীরে ফুসফুস থেকে লিভার, যে কোনও অঙ্গে রোগের অন্যতম কারণ হল খাবার। ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন ডে-তে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের চাবিকাঠি। সঠিক পুষ্টি যেমন মানুষকে সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনি পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা বিপদ বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। একাধিক রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত অপরিকল্পিত ডায়েটের অভ্যাস কমবয়সিদের জন্য একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন খাবারে বাড়ছে কোন রোগের ঝুঁকি?

    চিনি ও ময়দার তৈরি তেলে ভাজা খাবার বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও অঙ্গের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, বিশেষত ময়দা আর চিনি দিয়ে তৈরি তেলে ভাজা খাবার এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ময়দার তৈরি জিনিস‌ খেলে ক্যান্সারের মতো‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়ে‌।

    অতিরিক্ত মিষ্টি ডায়াবেটিসের কারণ

    পেস্ট্রি, কেক হোক কিংবা রসগোল্লা, সন্দেশ-যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে। দেশজুড়ে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভারতীয় শিশুকাল থেকেই নিয়মিত মিষ্টি খাওয়ায় অভ্যস্থ। এর জেরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। কিডনি, হার্ট সহ একাধিক অঙ্গের উপরে তার প্রভাব পড়ছে (Nutrition)। পাশপাশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে বিপদ বাড়াচ্ছে। রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া‌ কিংবা চা-কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অত‌্যন্ত বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    চর্বিযুক্ত খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Nutrition)

    মাংসের পদ হোক কিংবা প্রিজার্ভ করা খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য থাকে না।‌ অর্থাৎ সব্জির পরিমাণ কম থাকে। অথচ মাছ, মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে শরীরে প্রোটিন ও ফ্যাট বেশি পরিমাণে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

    হজমের গোলমাল থেকে ত্বকের সমস্যা বাড়াচ্ছে বাড়তি তেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল খাবারে খান। নিয়মিত রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ব্যবহারের জেরে একদিকে লিভার, পাকস্থলীতে চাপ পড়ছে‌। হজমের গোলমাল হচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার (Nutrition) খেলে ত্বকের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলেই উপকার পাওয়া যাবে। রুখে দেবে নানান‌ রোগ।

    নিয়মিত মাশরুম ও রসুন রুখবে ক‌্যান্সার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত না হলেও অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাশরুম খাওয়া জরুরি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে ক্যান্সার রুখতে মাশরুম খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগান দেয় মাশরুম। ক্যান্সার রুখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। তাই মাশরুম খাদ্যতালিকায় রাখলেই উপকার পাওয়া যাবে। এর পাশপাশি ক্যান্সার রুখতে আরেক ভারতীয় উপকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। সেটা হলে রসুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যালিসিস। এই যৌগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

    নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল কমাবে হজমের গোলমাল ও ত্বকের সমস্যা (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল কমাবে হজমের সমস্যা।‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত একজন প্রাপ্তবয়স্কের ৫-৬ লিটার জল খাওয়া জরুরি। এর জেরে ত্বকও ভালো থাকবে। শুষ্কতা কমবে। ত্বকের যে কোনও রকমের সমস্যা কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

    খেজুর ও বাদাম কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি

    রোজকার খাবারের তালিকায় খেজুর, কাজু, আখরোট কিংবা কাঠবাদামের মতো উপাদান রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে (Nutrition)। খেজুর, কাঠবাদাম কিংবা কাজুতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর এই খাবার নিয়মিত খেলে দেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    লেবু বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ঋতুতেই শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো। নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। কারণ লেবুতে থাকে‌ ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত লেবু খেলে যে কোনও ভাইরাস‌ঘটিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের অনুপাতে শরীর বড়ই ছিপছিপে! খাবার নিয়েও নানান বায়না। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন কম থাকে।‌ সন্তানের এই কম ওজন নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা মায়েদের। বিশ্বজুড়ে স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও বহু শিশু কম ওজনের সমস্যায় ভোগে (Child Nutrition)। বিশেষত বছর বারোর পরে বহু শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না। যার প্রভাব পড়ছে তাদের শারীরিক গঠন এবং পড়াশোনার ওপরেও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স অনুপাতে ঠিকমতো‌ ওজন‌ না‌ বাড়লে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। তাই বয়স অনুপাতে ঠিকমতো ওজন বৃদ্ধি জরুরি। এখন দেখা যাক, কোন ধরনের খাবার নিয়মিত দিলে ওজন দ্রুত বাড়াবে?

    দুধের পাশপাশি মেনুতে নিয়মিত পনির থাকুক (Child Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো জরুরি। শুধু এক গ্লাস দুধের পরিবর্তে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা কাজু, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় জিনিস দুধে মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। এগুলো খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায়। দুধ সুষম খাবার। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক উপাদান দুধে রয়েছে। এতে কর্নফ্লেক্স বা বাদাম জাতীয় উপাদান মেশানো হলে‌ শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান বাড়ে। তাই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে দুধের পাশপাশি কয়েকটি দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে সন্তানের ওজন দ্রুত বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনির নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। কারণ, পনীরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। তাই পেশিকে শক্তিশালী করতে বাড়তি সাহায্য করে পনির।

    নিয়মিত ডাল সিদ্ধ বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিয়মিত ভাত, ডাল জাতীয় খাবার খেতে চায় না। বায়নার জেরে ভোগান্তি বাড়ে মায়েদের। কিন্তু সন্তানের পুষ্টির জন্য জরুরি নিয়মিত ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের ডাল খাওয়া জরুরি। ভাতের সঙ্গে ডাল না খেতে চাইলেও, দিনের অন্য সময় ডাল সিদ্ধ মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডালে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার (Child Nutrition)। তাই নিয়মিত ডাল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পেশি শক্তিশালী হয়। ওজন বাড়ে। পাশপাশি দেহে এনার্জির জোগান সহজে‌ হয়‌।

    নিয়মিত ডিম সিদ্ধ বাড়াবে ওজন (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম সিদ্ধ রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে‌ একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম,‌ প্রোটিন। তাই এই জাতীয় খাবার একদিকে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। দুর্বলতা কমায়। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এই‌ সময়ে তাদের শরীরের পরিবর্তন হয়। তাই জরুরি বাড়তি যত্নের।‌ তাই নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের জোগান দেবে। শরীর সুস্থ রাখতে‌ বাড়তি সাহায্য করবে।

    নিয়মিত কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস বাড়াবে ওজন

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খেলে ওজন বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ওজন বাড়াতে এবং শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় রাখতে এই দুই ড্রাই ফ্রুটস খুবই উপকারী। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। তাই এগুলো শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে‌। অধিকাংশ শিশুই দিনভর ছোটাছুটি করে। পর্যাপ্ত এনার্জি জাতীয় খাবার না পেলে ওজন বাড়বে না। তাই নিয়মিত খেজুর জাতীয় খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জির জোগান পাওয়া যাবে (Child Nutrition)। এর জেরে ওজন ঠিকমতো‌ থাকবে।

    খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি (Child Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশাপাশি জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। এর জেরে বিকাশের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Child Nutrition)। তাই খাবারের পাশাপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই নিয়মিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছোট থেকেই যেন হয়, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের অধিকাংশের অনেক ভোরে উঠতে হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে অভ্যস্ত না হলে ঘুম পর্যাপ্ত হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস তৈরি জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: সহযোদ্ধাদের লড়াইয়ে রসদ জোগানোর টোটকা দিলেন লকেট, কী বললেন?

    Locket Chatterjee: সহযোদ্ধাদের লড়াইয়ে রসদ জোগানোর টোটকা দিলেন লকেট, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে অস্বস্তি বাড়বে। এই সপ্তাহেই অনেক জেলাতে ৪০ ডিগ্রি পার হবে তাপমাত্রার পারদ। ঠিক এমন সময়তেই বাংলায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন (lok sabha election 2024), আর ভোট আসতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেছে ভোট প্রচার। তবে এই রোদে প্রতিদিন ভোট প্রচার (election campaign) থাকলেও নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে ভুলছেন না হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।  

    লকেটের ডায়েট টিপস

    নিয়ম করে ডায়েট(diet) মেনে খাবার খেয়েই রোজ প্রচার সারছেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী। এই প্রচারের মাঝেই ভোটের বাকি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যেও দিলেন ডায়েট টিপস। প্রচণ্ড গরমে সমস্ত প্রার্থীদের বেশী করে জল ও ঠান্ডা ভাত খেতে পরামর্শ দিলেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (locket chatterjee), একই সঙ্গে তিনি নিজের খাদ্য তালিকাও ভাগ করে নিলেন। জানালেন, “আমি নিজে বেশী করে বাতাসা খাচ্ছি, জল খাচ্ছি। সবাইকে বলবো বেশি করে জল খান, মুড়ি জল খান। বিগত দিনে চারটি নির্বাচনে এই পদ্ধতিতে লড়েই ভালও থেকেছি।”

    আরও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সুকান্তর ডায়েট চার্ট কী জানেন?

    লকেটের জনসংযোগ

    উল্লেখ্য এদিন হুগলির বিজেপি প্রার্থী(hoogly BJP candidate) লকেট চট্টোপাধ্যায় হাতে পদ্ম ফুল নিয়ে, ব্যান্ড পার্টি সহকারে সকাল থেকে প্রচারে বের হন। এরপর সিঙ্গুর  বিধানসভার পাঁচঘরা জলাপাড়া শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর কখনও পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা টোটোয় প্রচার সারেন পাঁচঘরা পঞ্চায়েত এলাকায়। সে সময়ই প্রচারের মাঝে নিজের ডায়েট চার্ট জানালেন লকেট। সঙ্গে অন্যান্য প্রার্থীদেরকে (election candidate) ও দিলেন গরমে সুস্থ থাকার টিপস। তাই প্রবল গরমের মধ্যে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) প্রচার চালাতে অবশ্যই খেতে হবে বেশি করে জল ও তরল জাতীয় খাবার (liquid food)। আর পড়তে হবে হালকা রঙের ঢিলে ঢালা পোশাক। প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজনীতির ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলতে শরীর সুস্থ রাখতে এগুলিই হল চাবিকাঠি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের সমস্যায় জেরবার অধিকাংশ ভারতীয়। শুধু প্রৌঢ় কালের নয়। এই সমস্যা এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। আর ডায়াবেটিসের সঙ্গে হাজির হচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো হাজার সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসকে অনেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। খাবারে রাশ টানলে অনেক বিপদ কমবে, এই ভাবনা থেকেই নিজের মতো করে ডায়েট (Diet) করছেন। আর তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের অনভিজ্ঞ ডায়েট নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। এমনকী একাধিক রোগের কারণ হচ্ছে এই ইচ্ছে মতো অবৈজ্ঞানিক ডায়েট।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ডায়েটিক সোসাইটির এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয় প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। দিনে প্রয়োজনের তুলনায় ৬০ গ্রাম কম প্রোটিন (Diet) খান অধিকাংশ ভারতীয়। পাশপাশি, ফাইবারের ঘাটতিতেও ভুগছেন অধিকাংশ ভারতীয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন ৮ থেকে ১৫ গ্রাম কম ফাইবার খাওয়ার জেরে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবারের অভাবে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি সমস্ত রোগকেই প্রতিরোধ করতে দেহকে তৈরি করে। ফাইবার, প্রোটিনের মতো জরুরি উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে, একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোলেস্টেরল ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (Diet) না খেলে সমস্যা বাড়বে। এছাড়া ফাইবার হৃদরোগ রুখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। তাই ফাইবারের ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও ফাইবার সাহায্য করে। মহিলাদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    আর প্রোটিনের অভাব শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, প্রোটিন শরীরের পেশি, মাংস, হাড়ের শক্তি বাড়ায়। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে হাড়ের জোর কমে। হাড় ক্ষয় হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনও কাজেই ক্লান্তি বোধ হয়। পাশপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে। যার জেরে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা তৈরি হয়।

    কোন খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগের জন্য ডায়েট (Diet) করতে হলে, সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করা দরকার। অনভিজ্ঞ ডায়েট চার্ট বিপজ্জনক। ফাইবারের ঘাটতি কমাতে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত, আপেল, ন্যাশপাতি, স্ট্রবেরির মতো ফল খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোসা শুদ্ধ আপেল খেলে অনেকটাই ফাইবার শরীরে যায়। তবে, স্ট্রবেরিতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরির মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। 
    পাশপাশি গাজর, মিষ্টি আলু, শিম, ব্রোকলির মতো সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ধরনের সব্জি নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতি কমে। 
    এছাড়াও রয়েছে ছোলার মতো দানা শস্য। যা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। 
    প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কুসুম সহ ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। ডিমে ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে। তাই যে কোনও ভাবেই ডিম খেলে, প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছ, চিকেনের মতো খাবার থেকে প্রাণীজ প্রোটিন পাওয়া যায়। তাছাড়া পনির, সোয়াবিন, তফু থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও কয়েক ঘণ্টা পার হলেই খিদে পায়! বারবার খিদের (Nutrition) জন্য কোনও কাজেই মনস্থির করা যায় না! এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পরেও খিদে না মিটলে সজাগ হতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কোন কোন বিপদের (Nutrition) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পাওয়া (Nutrition) মোটেও সুস্থ থাকার লক্ষণ নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একাধিক কারণে এমন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যার শিকার হলে পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও খিদের ভাব থাকে। বিশেষত, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ, ভাত, রুটি এই সব খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। যেহেতু স্থূলতার জন্য পাকস্থলীতে খাদ্য ধারণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। যদিও তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, অতিরিক্ত খাবার হার্ট, কিডনি, লিভারের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। স্থূলতার সমস্যার জন্য দেহে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ হয়। যা সরাসরি হার্ট ও কিডনিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তাতে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেলে সতর্ক হতে হবে। কোন খাবার, কতটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুব প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    খিদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ

    খিদের (Nutrition) সঙ্গে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ভুগলে অকারণ খিদে পায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, অনেক সময়ই তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। ভরপেট খাওয়ার পরেও, তাঁরা পেস্ট্রি, কেক কিংবা যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। আবার অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ব্যবধান রাখতে পারেন না। কারণ, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় অনেক সময়ই ভুক্তভোগী খিদে, ঘুমের মতো শারীরিক চাহিদা ঠিক মতো অনুভব করতে পারেন না। তাই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছাড়াও ঠিক মতো ডায়েট না থাকলেও ভারী খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন ডায়েট সমস্যার (Nutrition) সমাধান করতে পারে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, কখন হচ্ছে, আর কত পরিমাণে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর দিলেই মুশকিল আসান হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না থাকলেই সমস্যা বাড়ে। অর্থাৎ, ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি থাকলে, সাময়িক পেট ভরলেও বারবার খিদে (Nutrition) পেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার ভারী থাকা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে সকালে দুধ-কনফ্লেক্স, ফল, ডিম সিদ্ধের মতো খাবার তালিকায় থাকুক। তাতে পেট ভরবে (Nutrition) আবার হজম সহজে হবে। রাতের খাবারে ডাল কিংবা পনির, চিকেনের মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাল, পনির, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। আবার যব, রাগির মতো দানা শস্যে থাকে ফাইবার। এগুলো খাবারের তালিকায় রাখলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার এগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি না থাকায়, হজমের সমস্যা বা স্থূলতার সমস্যা বাড়ার ঝুঁকিও কম হয়। তাই সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে শরীর ও মন সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weight loss: ওজন কমাতে চান? ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই সাতটি খাবার

    Weight loss: ওজন কমাতে চান? ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই সাতটি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরে বাড়তি মেদ কিংবা ওজন কমানোর জন্য বেশীরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। কি খেলে ওজন কমবে বা কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয় তা নিয়ে চলে বিস্তর ভাবনাচিন্তা। তাই শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদের কাছে পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ডায়েট চার্ট মেনে চলা উচিত। পারফেক্ট ডায়েট চার্ট শরীরে ওজন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা। কিন্তু বাস্তবে ডায়েট পরিমিত সুষম আহার গ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি মানুষের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ঘাটতি হয়। তাই পুষ্টিবিদরা ব্যক্তি বিশেষে বয়স, ওজন, উচ্চতা ও নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন ডায়েট চার্ট তৈরী করেন।

    পুষ্টিবিদ ওজন নিয়ন্ত্রণে যে ডায়েট চার্টটি তৈরী করে দেন, প্রাথমিক ভাবে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল :-

    বেরি ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাম্পবেরিতে উচ্চ প্রোটন রয়েছে এবং গ্লাইসেমিক কম থাকায় এটিতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের খতিকারক রোগ থেকে রক্ষা করে।

    গ্রিন টি গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই সহায়ক একটি পানীয়। গ্রিন টি তে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্যাট বার্ণ করে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি একদিনে প্রায় ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত বার্ণ করে।

    শসা শসাতে ১০০গ্রাম শশার ভেতরে ১৫ ক্যালরি থাকে। শশাতে প্রচুর পরিমাণ জলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। শসাতে থাকা অ্যান্টিবডি শরীরে ক্ষতিকারক রোগ থেকে রক্ষা করে।

    ব্রোকলি ব্রোকলিতে প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রচর পরিমাণে মিনারেলস রয়েছে। ক্যালরি কম থাকায় ব্রোকলিতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ব্রোকলি অনেকক্ষন ধরে পেটে থাকায় বারবার করে ক্ষিধা পায় না সেই কারণে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

    টমেটো শসার মতো টমেটোর পুষ্টিগুন অনেক। পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও পুষ্টিকর ফাইবার যুক্ত সুস্বাদু এই ফলটি  একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

    অলিভ অয়েল দৈনন্দিন গ্রহণ করা খাদ্যের সাথে অলিভ অয়েল যোগ করেও কমাতে পারেন অতিরিক্ত ওজন। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরের জন্য উপকারী। এতে আছে এক প্রকার মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (monounsaturated fat) যা ক্যালোরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী। প্রতিদিন স্যালাডের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে আপনি যেমন সালাদের গুণকে বাড়িয়ে নিতে পারেন কয়েক গুণ, তেমনি ওজনটাও রাখতে পারেন নিয়ন্ত্রণে।

    গাজর ১০০ গ্রাম গাজরে মোটামুটি ৪১ ক্যালোরি থাকে। উপরন্তু, গাজরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় গাজরের স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রন করে। মোকাবিলা করেন। গাজর এতে পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • 14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের (14 Hours Fasting) ব্যবধান রাখতে হবে। সেই বযবধান ১৪ ঘণ্টা হলে সবচেয়ে ভাল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ১০ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ যদি নিজেদের খাদ্য গ্রহণ করে তা শরীরকে সতেজ রাখবে। গবেষণা বলছে কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত বিরতি দিয়ে খাবার খান। কখনওই খাবার সময় পরিবর্তন করবেন না। ঘুম থেকে ওঠার পর ১০ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিন তাহলে যা খেলেন তা হজমের জন্য পুরো সময় পাওয়া যাবে।

    ঘুম ভাল হয়, মেজাজ ঠিক থাকে

    শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে৷ ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে আমাদের শরীর প্রভূত ক্ষতি হয়৷ সবসময় কেমন যেন একটা ক্লান্তির ঘোর লেগে থাকে শরীরে, এমনকি মনেও৷ আসলে, স্ট্রেস আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে৷ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে বলে জানা যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুম ভাল হয়। মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে।

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেদ ঝরে দ্রুত

    ১৪ ঘণ্টার উপবাস আমাদের শরীরের মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া, শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। এই নিয়ম মানলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। মন স্থির হয়, মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতি শক্তি  বাড়ে ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই নিয়ম মানলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে, নতুন স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share