Tag: Digital Payments

Digital Payments

  • EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইপিএফও (EPFO) গ্রাহকদের জন্য সুখবর। বদলে যাচ্ছে পিএফের (PF Withdrawal) গোলকধাঁধা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন আনতে চলেছে যুগান্তকারী এক নতুন সিস্টেম। এবার ইউপিআই (UPI)-র মাধ্যমেও তোলা যাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফও সদস্যরা ইউপিআই এবং এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি তুলতে পারবেন ইপিএফের টাকা। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা।

    নতুন ব্যবস্থায় কী কী পরিবর্তন

    ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া সুপারিশে সম্মতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফে (EPFO) নতুন সিস্টেম বা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। কেন্দ্র ইপিএফও-৩.০ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে ইপিএফও-র নিয়মে অনেক পরিবর্তন হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, চলতি বছরের মে মাসের শেষ ভাগ বা জুন মাসের শুরু থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ইউপিআই ও এটিএম থেকে তোলা যাবে। সরাসরি ইউপিআই অ্যাপ থেকেই পিএফ অ্যাকাউন্টের (PF Withdrawal) ব্যালেন্স দেখা যাবে। তিনি আরও জানান, অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে পিএফের গ্রাহকরা তৎক্ষণাৎ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। গ্রাহকরা চাইলে অন্য ব্যাঙ্কেও পিএফের ফান্ড ট্রান্সফার করা যাবে।

    মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা

    ক্লেম প্রসেসিংয়ের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পিএফের (PF Withdrawal) টাকা তোলার আবেদন করলে, মাত্র তিনদিনের মধ্যে তা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে পিএফের টাকা তোলার ক্ষেত্রে অনলাইন বা অফলাইনে অ্যাপ্রুভালের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আবেদন করলেই দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে। এই কার্ডে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকবে। টাকা তুলতে গেলে মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিলেই টাকা তোলা যাবে। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ ক্লেমই অটোমেটেড হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে। শ্রম মন্ত্রকের সেক্রেটারি জানান, গ্রাহকদের আরও সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার থেকে পিএফ গ্রাহকরা সহজেই বাড়ি তৈরি, উচ্চশিক্ষা ও বিয়ের জন্য টাকা তুলতে পারবেন।

     

     

     

     

     

  • RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বড় লেনদেন সক্ষম করার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এবার থেকে ইউপিআই-এর (UPI Payment) মাধ্যমে ট্যাক্স পেমেন্টের ঊর্ধ্বসীমা প্রতি লেনদেনে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর আগে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দেওয়া যেত ইউপিআই-এর মাধ্যমে।

    ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ (RBI)

    আরবিআই-এর (RBI) উদ্দেশ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে (UPI Payment) লেনদেনকে আরও উদ্বুদ্ধ করা। নতুন বর্ধিত সীমায় ট্যাক্স প্রদানে করদাতারা উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছে সরকার। এই উদ্যোগটি ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এবং নগদ অর্থের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য আরবিআই-এর প্রচেষ্টার একটি অংশ। আরবিআই আশা করছে এই ব্যবস্থাটি করদাতাদের মধ্যে ট্যাক্স নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে। বর্ধিত সীমা করদাতাদের একক লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিক কর প্রদানের অনুমতি দেবে। একক ক্ষেত্রে একাধিক বার অর্থপ্রদানের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে এই ব্যবস্থা।

    ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার ভাবনা (UPI Payment)

    রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) পর্যায়ক্রমে ক্যাপিটাল মার্কেট, আইপিও সাবস্ক্রিপশন, ঋণ সংগ্রহ, চিকিৎসা বিমা এবং শিক্ষামূলক পরিষেবার মত বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিভিন্ন সময়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছে। ইউপিআই (UPI Payment) এর ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি ছাড়াও ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার কথাও বিবেচনা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রাহকদের ইউপিআই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করার জন্য অন্যদেরও অনুমোদন করতে সক্ষম করবে। যার ফলে ডিজিটাল পেমেন্টের নাগাল আরও বৃদ্ধি পাবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    Digital Payments: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল যুগে আর্থিক লেনদেনও হয় ডিজিটাল (Digital Payments) মাধ্যমেই। ইউপিআই-র মাধ্যমে মোবাইলের এক ক্লিকেই হয়ে যাচ্ছে পেমেন্ট। সবজি কেনা থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, অনলাইন পেমেন্টের দৌলতে সবই বাড়ি বসে সম্ভব। টাকা পাঠানো, কেনাকাটা করা, ফোনের রিচার্জ কিংবা বিদ্যুতের বিল দেওয়া— সর্বত্রই এখন ডিজিটাল লেনদেন। অফিস থেকে বিকেলে বেরিয়ে চা-বিস্কুট খেয়েছেন। বিল হয়েছে ১০ টাকা। সঙ্গে খুচরো নেই সমস্যার কী আছে? অনলাইনে টাকা মিটিয়ে দিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে শপিংয়ে গিয়েছেন। মাসের শেষে পকেটে নগদ নেই। ডিজিটাল লেনদেনই ভরসা। ১০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা— অনলাইনেই চলে আদান-প্রদান। এতে সময় খানিকটা বাঁচে। তা ছাড়া সঙ্গে টাকা না থাকলেও অপ্রস্তুতে প়়ড়তে হয় না। 

    ডিজিটাল লেনদেনই এখন সর্বত্র বলছে সমীক্ষা (Digital Payments)

    কেয়ার্নির (Kearney Report) একটি রিপোর্টে “হাউ আরবান ইন্ডিয়া পেইজ” শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে যে অনলাইন কেনাকাটার জন্য ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) প্রবণতা বৃদ্ধি ভোক্তাদের আচরণে স্থায়ী পরিবর্তন এনেছে। এমনকি এটি অফলাইন লেনদেনেও প্রভাব ফেলছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অনলাইন কেনাকাটার জন্য ডিজিটাল পেমেন্টকে পছন্দ করেন। এছাড়াও, প্রায় ৫০ শতাংশ ভোক্তা তাদের অফলাইন কেনাকাটায়ও অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রধান কারণ হল এর সুবিধা।

    আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি

    কারা করেন ডিজিটাল লেনদেন (Digital Payments)

    কেয়ার্নির (Kearney Report) সমীক্ষা অনুযায়ী, জেনারেশন এক্স ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) মাধ্যমে সরঞ্জাম গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী। যে কোনও কেনাকাটায় ডিজিটাল লেনদেন করতে পছন্দ করেন তাঁরা। মেয়ে বা ছেলে, পুরুষ বা মহিলা ডিজিটাল লেনদেনে এরকম কোনও বিভেদ চোখে পড়েনি। ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণে লিঙ্গ সমতা দেখা গিয়েছে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই তাদের লেনদেনের প্রায় ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করেন। অনেকেই ডিজিটাল লেনদেন-এ নানারকম ছাড় পান বলে এই পদ্ধতিকেই বেছে নেন। ছোট ছোট শহর, গ্রামাঞ্চলেও ডিজিটাল লেনদেন দেখা যাচ্ছে। বড় বড় শহরে যদি ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন হয়, তাহলে গ্রাম বা ছোট শহরের ক্ষেত্রে তা ৬৫ শতাংশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্লিপকার্টের সাধারণ কর্মী ছিলেন তিনি। এখন প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার কোম্পানি চালান। এই ব্যবসায়ীর নাম সমীর নিগম। চেনেন না তো? ফোন পে’র (PhonePe) কথা নিশ্চয়ই জানেন। সেই কোম্পানির সিইও তিনি। ইউপিআই ( UPI)  অ্যাপের সিইও এখন ভারতবর্ষের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। তাঁর অ্যাপ এখন ভারতবর্ষের ইউপিআই দুনিয়ার অন্যতম সফল অ্যাপ। ফোন পে বর্তমানে কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারীর অর্থনৈতিক লেনদেনের ভরসার প্রতীক।

    ২০২২ সালে ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয় ফোন পে (PhonePe)

    ফোন পে’র যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নেয় যখন এটিকে ফ্লিপকার্ট ২০ মিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যে অধিগ্রহণ করে। ফ্লিপকার্টে ওয়ালমার্টের বেশিরভাগ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের পর, ওয়ালমার্ট ফোন পে’র (PhonePe) উপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তবে ২০২২ সালে একটি সাহসী পদক্ষেপ নেয় ফোন পে। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এখান থেকেই কোম্পানির স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু। ফোন পে ডিজিটাল ওয়ালেট, ইউপিআই পেমেন্ট, বিল পেমেন্ট এবং নির্বিঘ্ন ক্রয় লেনদেন সহ তার বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এই ইউপিআই প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালে ক্রস-বর্ডার ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট এবং পিনকোড, একটি হাইপারলোকাল শপিং এবং কমার্স অ্যাপ লঞ্চের মাধ্যমে অফার এবং পরিষেবাগুলিকে প্রসারিত করে।

    ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু ফোন পে’র (UPI)

    ২০১৫ সালে, ভারতীয় উদ্যোক্তা সমীর নিগম ফোন পে চালু করেন এবং বর্তমানে তিনি কোম্পানির সিইও। আগে ফ্লিপকার্টের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি তাঁর প্রথম ব্যবসা, মাইম ৩৬০ প্রতিষ্ঠা করেন। দ্য ইকোনমিক টাইমস তাঁকে চল্লিশ বছরের নিচে শীর্ষ ৪০ ভারতীয় কর্পোরেটদের মধ্যে স্থান দিয়েছে। বর্তমানে সমীর নিগম কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। তিনি নয়ডা থেকে মুম্বাই এবং তারপর ব্যাঙ্গালুরুতে যান, যেখানে ফোন পে সদর দফতরের অবস্থান। ফোন পে যে বছর চালু হয়েছিল সেই বছরই ভারত সরকার ডিমনিটাইজেশন করেছিল।

    আরও পড়ুন: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল! লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    বর্তমানে ৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী এবং ৩.৭ কোটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, ফোন পে (PhonePe) এবং ভারত বিল পে সিস্টেম বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করে। নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত, এর আনুমানিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার (৯৯.৪০০ কোটি টাকার বেশি) ছাড়িয়ে গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cashless Payments: নগদহীন পেমেন্টের কারণে মানুষ খরচ করছেন জলের মতো, বলছে সমীক্ষা

    Cashless Payments: নগদহীন পেমেন্টের কারণে মানুষ খরচ করছেন জলের মতো, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল পেমেন্টস। উন্নত দেশের পাশাপাশি উন্নতিশীল দেশেও কার্যত জলভাত হয়ে উঠছে ডিজিটাল পেমেন্টস (Cashless Payments)। মানুষ এতদিন যেভাবে টাকাপয়সা খরচ করত, এখন তা বদলে গিয়েছে পুরোপুরিই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দুই বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডিলেড এবং মেলবোর্নের করা যৌথ সমীক্ষায় (Study Report) এই তথ্য উঠে এসেছে।

    ক্যাশলেস পেমেন্ট (Cashless Payments)

    সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ক্যাশলেস পেমেন্ট হওয়ায় মানুষ এখন খরচ করছে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সমীক্ষকরা বিশ্বের ১৭টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। বিশ্লেষণ করেছিলেন পূর্ববর্তী ৭১টি সমীক্ষা-পত্র। তার পরেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ব্যয়ের মাধ্যম বদলে যাওয়ায় মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি লাক্সারি জিনিসপত্র কিনছেন। এগুলির সিংহভাগই তাঁর প্রয়োজনে লাগে না।

    কী বলছেন স্কোমবার্গ?

    অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালের সমীক্ষক লাচলান স্কোমবার্গ বলেন, “পরিকল্পনা ছাড়া যে ব্যয়, তা রুখতে আমরা ক্রেতাদের কার্ডের পরিবর্তে ক্যাশ নিয়ে যেতে বলেছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা বুঝেশুনে খরচ করছেন। এটাকে সেল্ফ-কন্ট্রোল মেথড হিসেবে দেখা যেতে পারে।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ ক্যাশ ব্যবহার করেন, লোকজন তখন টাকা কিংবা নোট দিতে গিয়ে হিসেব-নিকেশ করেন। এক্ষেত্রে ব্যয়ের কাজটি হয়ে ওঠে আরও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “কিন্তু নগদ লেনদেন না হলে বোঝাই যায় না কত খরচ হচ্ছে, কীভাবেই বা খরচ হয়ে যাচ্ছে জলের মতো।”

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সমীক্ষা (Study Report) করতে গিয়ে সমীক্ষকরা লক্ষ্য করেছেন, বহু-ব্যয়ের সঙ্গে ক্যাশলেস পেমেন্টের সম্পর্ক বহু পুরানো। তাঁরা আরও বলেন, “এই প্রথম দেখা গেল মানুষের ব্যয়শৈলী বাঁধা হয়ে গিয়েছে এই মানদণ্ডে।” সমীক্ষকদের মতে, এই দু’প্রকার ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সামান্য, তবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ‘কনস্পিসিয়াস কনজাম্পশন’ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এটা এক সময় বড় বিষয় ছিল। ক্রেতা কোন জিনিস কিনছেন, সেটা ছিল তাঁর সিগনাল স্টেটাস। যেমন তিনি কতগুলি লাক্সারি পোশাক কিংবা গয়না কিনছেন, তা দেখে বোঝা যেত তাঁর ক্রয়ক্ষমতা। স্কোমবার্গ বলেন, “আশাতীতভাবে আমরা দেখেছি, ডোনেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্যাশলেস পেমেন্ট হচ্ছে খুবই কম। এক্ষেত্রে ক্যাশেই করা হচ্ছে পেমেন্ট (Cashless Payments)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করল ভারত। তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ভারতে ৮৯.৫ মিলিয়ন ডিজিটাল ট্রানজাকশন (Digital Payments) হয়েছে। বিশ্বে যে সেরা ৫ টি দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়েছে ২৯.২ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশনের পরিমাণ ১৭.৬ মিলিয়ন। চার নম্বরে রয়েছে, থাইল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া।

    ডিজিটাল ট্রানজাকশনে জোর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ডিজিটাল স্টার-এর উপর জোর দিয়েছেন। বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ডিজিটাল ট্রানজাকশনে ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। তার একটা বড় কারণ অবশ্যই মোবাইল ইন্টারনেট ডেটার মূল্য অনেকটাই সস্তা। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হচ্ছে। ডিজিটাল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যালু এবং ভলিউম দুটি ক্ষেত্রেই ভারত কিন্তু সমান্তরাল ভাবে উন্নতি করছে দ্রুতগতিতে। যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট ভারতের পেমেন্ট সিস্টেম খুবই মজবুত এবং সহজ ভাবে ব্যবহারযোগ্য।

    ডিজিটাল পেমেন্টের অনুকূল পরিবেশ

    গত ৬ জুন গুগল, টিমাসেক এন্ড বেন এন্ড কোম্পানি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর ইকোনমি ২০২৩ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরই ভারতের ইন্টারনেট ইকোনমি ১ ইউএসডি ট্রিলিয়নে পৌঁছে যাবে। সহজ এবং সুষ্ঠু ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) সুবাদে কনজিউমার এবং মার্চেন্টের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ও বোঝাপড়া গড়ে উঠছে। তার ফলে ভারতে ইন্টারনেট ইকোনোমি আরও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা

    দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমকে আরও মজবুত করে তোলার জন্য গত বছর অক্টোবরে ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও থেকে বলা হয়েছিল, এইসব ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে কোনও প্রান্ত থেকে সহজেই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, পাসবুক প্রিন্ট করা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিটের মতো একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, লোনের জন্য আবেদন, চেক পেমেন্ট বাতিল করার নির্দেশ, ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট সহজেই করা যাবে এই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির মাধ্যমে। এর ফলে উপভোক্তার সময় শুধু বাঁচবে না, আর্থিক দিক থেকেও অনেক সুবিধা মিলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোনে মাত্র কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে টাকাপয়সা আদানপ্রদান করে ফেলা সম্ভব। অনলাইন লেনদেনে যেমন মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জালিয়াতিও। তাই ‘ইউপিআই’ পেমেন্ট (Digital Payments) মেথডে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। অনলাইনে টাকা পয়সা লেনদেন করার আগে মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম। 

    নির্ভরযোগ্য অ্যাপ

    ‘প্লে স্টোর’এ নানা ধরনের ‘ইউপিআই’ অ্যাপ রয়েছে। তবে কোনটি সব দিক থেকে বিশ্বস্ত, তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আপাত ভাবে নিরাপদ বলেই মনে হয়।

    পিন শেয়ার নয়

    ‘এটিএম’ হোক বা ইউপিআই অ্যাপ, তার ‘পিন’ (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) যেন সুরক্ষিত থাকে। কারণ, ‘পিন’ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই জালিয়াতরা ওঁত পেতে বসে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু দিন অন্তর ‘পিন’ বদলে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

    ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলুন

    কাউকে টাকা দেওয়ার আগে এই ব্যক্তির নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নিন। একই নামে দু’জন ব্যক্তি থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সাধারণত এক হয় না। তাই ‘ভেরিফাই পেমেন্ট অ্যাড্রেস’ এ গিয়ে তা যাচাই করে, তবেই টাকা (Digital Payments) পাঠাবেন। ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে অনেক সময়ই ফোন বা মেসেজ আসে গ্রাহকদের ফোনে। যা আপাত ভাবে দেখে ভুয়ো বলে মনেই হয় না। সেই সব ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলাই ভাল।

    আরও পড়ুন: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    ব্যক্তিগত তথ্য সেভ নয়

    ফোন বা কম্পিউটা্রের মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপ অনেক সময়ই কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে ‘সেভ’ করে রাখতে চায়। এই ফাঁদে পা দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, ফোন বা ল্যাপটপটি ব্যক্তিগত হলেও অন্তর্জাল ব্যবস্থাটি ব্যক্তিগত নয়। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় নিজেদের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত তথ্য কখনও সেভ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যাঁরা ভবিষ্যতে সেখান থেকে কেনাকাটা করার সময় দ্রুত অনলাইন পেমেন্ট (Digital Payments) করার জন্য নিজেদের কার্ডের সমস্ত ডিটেলস সেভ করে রাখেন। কিন্তু এটি করলে নিজেদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

    নিজের ডিভাইস ব্যবহার করুন

    ডিজিটাল পেমেন্ট করার সময় যে কোনও ডিভাইস অথবা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সাইবার হ্যাকারদের নজর সবসময় এই ধরনের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসের ওপরেই থাকে। সেখান থেকে একবার ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) করলে সেই গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্যের ডিভাইস ও পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডিজিটাল ট্রানজাকশন কখনওই করবেন না। সবসময় নিজেদের ডিভাইস অথবা মোবাইল থেকেই এই ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করা উচিত।

    কিউ আর কোড

    কিউ আর কোড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন- কোনও প্রাইজ বা অর্থ পুরস্কার পাবেন এরকম মেসেজ পাঠিয়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে বললে এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, টাকা-পয়সা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিউ আর কোড ব্যবহার হয়, এরকমভাবে কাউকে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে পাঠানো হয় না।

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ডাউনলোড এড়িয়ে চলুন- সাইবার ক্রিমিনালরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা করে থাকে। ব্যাঙ্কের লোক বা ভরসার পাত্র হওয়ার ভান দেখিয়ে প্রতারকরা এই ধরণের অ্যাপ ডাউনলোড করতে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরণের প্রতারণার ফাঁদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share