Tag: Dilip Ghosh

Dilip Ghosh

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা”, গঙ্গাসাগরে নদী ভাঙন প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নদী ভাঙন, জলপথ এবং সেতু নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র টাকা দিলে চুরি, না দিলে বঞ্চনা।” এদিন গঙ্গাসাগর (Gangasagar mela) পরিদর্শন করে এইভাবেই মন্তব্য করেন তিনি।

    গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজ হয়েছে (Dilip Ghosh)?

    পৌষ সংক্রান্তিতেই সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar mela) বসে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা স্নান করতে আসেন। সূর্যের উত্তরায়ণ যাত্রা শুরু হয় এই সময় থেকেই। বাংলার এই গঙ্গার সমুদ্র সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। অথচ এইরকম একটি তীর্থ ক্ষেত্রের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক শাসকের বদল ঘটলেও কপিলমুনির আশ্রম, মেলা এবং পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হয়নি। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই নদীভাঙন নিয়ে বলেন, “আয়লার সময় ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যের পক্ষ থেকে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও আর তা পরে করা হয়নি। কাজ করতে না পারায় টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে বলবেন বঞ্চনা করছে। আবার টাকা দিলে আপনারা চুরিও করবেন। আপনারা নিজেরা কাজ করে দেখান। সকলে সহযোগিতা করবে। গত ১২-১৪ বছরে কোন কাজটা হয়েছে? আপনারা বলুন, কোনও কাজ করলে কি আদৌ টিকছে? এই ভাবে কাজ না করে বন্ধ করে দিন। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতির মর্যাদা দিতে সঠিক ভাবে আবেদন জানান। তাহলেই কাজ হবে।”

    আরও পড়ুনঃ সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন

    একইভাবে মমতাকে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, “মমতা একবার বলছেন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে শঙ্করপুরে জেটি নির্মাণ করবেন, আবার কখনও বলছেন নিজেরাই করব। অপর দিকে আদানির সঙ্গেও কথা বলছেন। কাজে নয়, মুখ্যমন্ত্রী শুধু কথা বলতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আগমন শুরু করে দিয়েছেন। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ এবং গঙ্গাসাগর মেলা একই তিথিতে পড়ে ভক্তদের ভিড় কিছুটা কম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো এবং পরিষেবার বিষয়ে আরও গুরুত্বদিয়ে ভাবতে হবে।” উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে (Gangasagar mela) এসে বলেছিলেন, “রাজ্যের টাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে।” ফলে বছর বছর প্রতশ্রুতি দিলেও পূরণ হয় না কিছুই, একথা এলাকার মানুষরাও এখন মনে করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না”, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কড়া বার্তা দিলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: ‘‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না”, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কড়া বার্তা দিলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) মাটিতে দিকে দিকে উঠছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। এই আবহে ভারত বিরোধী স্বরকে তীব্রতর করছেন মৌলবাদী কট্টরপন্থীরা। ভারতীয়দের লাথি মেরে বাংলাদেশ ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন সে দেশের গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সচিব তারেক রহমান। একের পর এক নেতার মুখে যখন ভারত বিরোধী স্লোগান চলছেই, তখনই মৌলবাদী নেতাদের তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না বলে কটাক্ষ তাঁর। কট্টপন্থীদের সঙ্গে ভিখারিরও তুলনা করেন তিনি।

    সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না (Dilip Ghosh)

    হাসিনা সরকারের অবসান ঘটিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে সেদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ঘটে চলা ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত। এরপর থেকেই ভারত বিরোধী স্লোগান উঠছে বাংলাদেশে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই শুক্রবার সকাল সকাল বাংলাদেশ নিয়ে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। জলপাইগুড়িতে ‘চায়ে পে চর্চায়’ তিনি (Dilip Ghosh) বাংলাদেশের মৌলবাদীদের বলেন, ‘‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না। ভিখারিদের আশ্রয় ফুটপাতেই হয়।”

    তৃণমূলকেও নিশানা দিলীপের

    এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসকেও সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘সিরিয়ার ঘটনা দেখে কিছু বুঝুন, গাজায় বোম ফাটলে মিছিল হয়, অথচ ওপার বাংলার হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে মিছিল করার হিম্মত নেই তৃণমূলের।” এদিকে উত্তরবঙ্গের জনবিন্যাস পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগ এনে দিলীপ বলেন, ‘‘আফগান নাগরিকদের জন্ম মৃতুর সার্টিফিকেট দিয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে মালবাজার পুরসভা। হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করছে তৃণমূল নেতারা।”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত উত্তর পূর্ব ভারত, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ দখলের ডাক দিচ্ছিল কয়েকজন বাংলাদেশি মৌলবাদী। ইউনূস জমানায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব দাবি এবং সেই সংক্রান্ত পোস্টে ভরিয়ে দিয়েছিলেন কট্টরপন্থীরা। বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, ‘‘আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।” যার পালটা তোপ দেগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘দুটো রাফাল পাঠালে সেই আওয়াজেই প্যান্টে বাথরুম করে দেবে।’’ এবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ (Dilip Ghosh) বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতাদের তুলোধনা করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপে বিজেপির পক্ষ থেকে সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ মন্ত্রী করার যে দাবি উঠেছে সেই দাবি নিয়ে সেখানে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী যে ব্যর্থ তা পরিষ্কার হয়ে গেল। তাই তাঁর পদত্যাগ করা দরকার।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত (Dilip Ghosh)

    কসবার গুলিকাণ্ডে অনুপ্রবেশকারী দুষ্কৃতীদের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ বিহার থেকে কিভাবে দুষ্কৃতীরা বাংলায় ঢুকল, তাও কি বিজেপি দেখবে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা।”  এর পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বোঝা দরকার মানুষের কাছে তাঁর আর গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাঁর নিজে থেকে পদত্যাগ করে নেওয়াটাই ভালো হবে।” একইসঙ্গে অশান্ত মণিপুর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মণিপুরের ঘটনা দীর্ঘদিনের। এর আগেও একাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। যেহেতু মণিপুর এবং মায়ানমারের মধ্যে কোনও কাঁটাতার নেই, সেই কারণেই এই ঘটনা।”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    পুলিশরা তৃণমূলের ক্যাডার!

    ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “তৃণমূলের কালচারই হচ্ছে জমি হাতানো,  গরু পাচার, কয়লা পাচার করা। সরকারি জমি আবার কখনও বা সাধারণ মানুষের জমি জায়গা বাড়ি সমস্ত কিছুই দখল করে নিয়ে দাদাগিরি করা। আর তার জন্য পুলিশদের তৃণমূল ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর যে কারণেই কখনও জমিদখলকে কেন্দ্র করে কখনও বা পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলছে, বোমাবাজি হচ্ছে। তৃণমূলের মধ্যে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় হবে, নাকি ভাইপো বড় হবে সেটাই এখন ওদের সবথেকে চিন্তার বিষয়। আর যে কারণেই ভাইপোকে পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন ওদের দলের নেতারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবছর পর জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের বাড়িতে ফিরলেন গরু চুরির দায়ে জেল খাটা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এদিনই বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ঘরে ফেরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ওই জেলা সফরকে ‘‘বড় মিলন উৎসব’’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    অনুব্রতর ফেরার দিনেই মমতার জেলা সফরকে কটাক্ষ (Dilip Ghosh)

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই ঘরে ফেরার দিনেই বীরভূম জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এই নিয়ে মমতার বীরভূম সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বীরভূম থেকে দলের আয় কমে গিয়েছে। আবার মালকড়ি আসার প্রস্তুতি কী হল, সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবকিছু ঠিক আছে কি না, নাকি কাজল শেখ সব খেয়ে নিল, এগুলোও দেখতে দিদি বীরভূম যাচ্ছেন। সেখানে আজ বিরাট বড় মিলন উৎসব হবে। পার্টি হবে। চুরির দায়ে জেল খাটা নেতা ছাড়া পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এরাই গর্ব। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বাঘ, সিংহ, হাতি। কারণ এদের সম্পত্তি আছে তো। যাঁরা সৎ সাধারণ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই।’’

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    বন্যা নিয়ে মমতাকে তোপ

    মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের টাউন হল এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘গত ১৩ বছরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ করেছেন? বৃষ্টি কমে গিয়েছে ওঁর কপাল ভালো। চাষ করার দরকার নেই কারণ কেন্দ্রীয় সরকার চাল দিচ্ছে। সেই চাল খেয়ে বেঁচে আছি। উত্তরবঙ্গে বন্যা হচ্ছে আর উনি বন্যা দেখতে যাচ্ছেন। গোড়ালি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে উনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে চলে আসছেন। সেটাই ওঁর দায়িত্ব। বাকি এনজিও আর কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রস্তুত থাকুন। কী ভাষায় উত্তর দিতে হয়, আমরা বুঝিয়ে দেব। বিধানসভায় দেখা হবে।” এই ‘হুঙ্কার’ যাঁকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সেই তাঁকেই রবিবার কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

    বিশেষ অধিবেশন (Suvendu Adhikari)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) জেরে আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতেই বসছে বিশেষ অধিবেশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল পেশ হবে বিধানসভায়। সোমবার দুপুর ২টোয় বসবে অধিবেশন। এদিন শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে অধিবেশন। শোকপ্রস্তাবে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার উল্লেখ থাকবে কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তবে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হবে, সে ব্যাপারে পদ্ম শিবিরে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবার বিকেলে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। ধর্মতলায় চলছে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্না অবস্থান। সেখানে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর হুঙ্কার

    শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন ভাষায় জবাব দিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় তা দেখিয়েও দেবে।” ধর্ষণ করলেই ফাঁসির সাজা হবে। এই মর্মে আইন করতে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। দশ দিনের মধ্যে এই বিল পাশ করানো হবে বলেও মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই মতো এদিন বসতে চলেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন।

    আরও পড়ুন: “নাটক বন্ধ করুন মমতা”, ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে কটাক্ষ দিলীপের

    রবিবারই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ  ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনতে উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রকাশ্যে মহিলাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আরজি করে মহিলার মৃতদেহের ময়না তদন্তের সময় বাড়ির লোককে রাখা হয়নি। যারা অপরাধীদের আড়াল করছে, তারা কোন মুখে বড় বড় কথা বলে?” তিনি বলেছিলেন, “আজ নাটক করছে, ফাঁসির আইন আনবে। কে অধিকার দিয়েছে আইন করার? এই নাটক বন্ধ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    বস্তুত, ধর্ষণ রুখতে কড়া সাজার সংস্থান রয়েছে কেন্দ্রেরই নয়া আইনে। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা আইন আনার (RG Kar Incident) উদ্যোগ আসলে আইওয়াশের চেষ্টা বলেই দাবি (Suvendu Adhikari) ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “নাটক বন্ধ করুন মমতা”, ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “নাটক বন্ধ করুন মমতা”, ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) জেরে আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতেই বসছে বিশেষ অধিবেশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল পেশ হবে বিধানসভায়। ধর্ষণ-বিরোধী যে বিল আনতে চলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার, তা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ? (Dilip Ghosh)

    তিনি বলেন, “প্রকাশ্যে মহিলাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আরজি করে মহিলার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের সময় বাড়ির লোককে রাখা হয়নি। যারা অপরাধীদের আড়াল করছে, তারা কোন মুখে বড় বড় কথা বলে?” বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “আজ নাটক করছে, ফাঁসির আইন আনবে। কে অধিকার দিয়েছে আইন করার? এই নাটক বন্ধ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” রবিবার বিকেলে হাওড়া থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। এদিন হাওড়া থানায় এসেছিলেন দিলীপও (Dilip Ghosh)। তিনি অবশ্য এসেছিলেন নবান্ন অভিযানে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীদের দেখতে। হাওড়া হাসপাতালের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “গত ১২ বছর ধরে একজনই সুপারের পদে বসে রয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব? নাবালিকাকে সিটি স্ক্যান করতে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হল। অথচ সেখানে কোনও মহিলা কর্মী ছিলেন না!”

    আরও পড়ুন: ‘বাইরে অপরাধীরা, ভয়ে নির্যাতিতারা’, ধর্ষণের মামলার বিলম্ব নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি

    আইওয়াশের চেষ্টা রাজ্য সরকারের!

    প্রশ্ন হল, কেন ধর্ষণ-বিরোধী যে বিল বিধানসভায় আনা হচ্ছে, তাকে নাটক বললেন দিলীপ? রাজনৈতিক মহলের মতে, নিছক আইওয়াশ করতেই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আরজি করকাণ্ডে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চেষ্টা তিনি আগেও করেছেন। চিকিৎসক খুনের পরে পরেই ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে পথে নেমে পড়েছিলেন তিনি। এবার আনতে চলেছেন বিল। অথচ, দেশের নয়া আইনেই ধর্ষককে কড়া শাস্তি দেওয়ার সংস্থান রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    দিন দুই আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণ দেবী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে একাধিক অতিরিক্তি ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু হয়নি। মন্ত্রীর দাবি, তার জেরে বকেয়া রয়েছে ধর্ষণ ও পকসো সংক্রান্ত কয়েক হাজার মামলা। সে সব ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ না নিয়েই বিশেষ অধিবেশন ডেকে মমতা যে ‘নাটক’ করছেন, দিলীপ (Dilip Ghosh) তাঁকেই কটাক্ষ করেছেন (RG Kar Incident) বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সল্টলেকে (Salt Lake)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিডকো থেকে বিজেপির (BJP) মিছিল শুরু হয়। গন্তব্য ছিল স্বাস্থ্য ভবন। মিছিলে পা মেলান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা। মিছিল কিছুটা এগোতেই স্বাস্থ্য ভবনের ৪ কিলোমিটার আগেই বিজেপি কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরই মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে একটি প্রিজন ভ্যানে পুলিশ তুলে নেয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই ভ্যানও আটকে দেন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, মিছিল নিয়ে এগতে থাকলে অর্জুন সিং সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের সামনে পুলিশকে অনেক সময়ই অসহায় মনে হয়েছে। তারা লাঠি উঁচিয়ে বার বার তেড়ে গেলেও একরোখা বিজেপি কর্মীদের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি।

    শুভেন্দুকে আটক করতেই প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ (BJP)

    পূর্ব ঘোষণা মতো বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি নেতারা মিছিল নিয়ে রওনা দেন স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশে। কিন্তু,অনেক আগেই রাস্তার ওপরে ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন ছিল স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার পথে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে চার কিলোমিটার দূরেই বিজেপির মিছিল আটকে দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতেই পুলিশ আটকে দেয় করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে। কিন্তু একটার পর একটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে অনেক বিজেপি কর্মী স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে শুরু করেন। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের বাধার কাছে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।  মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার ওপরে আরও ব্যারিকেড ছিল। সেই সময়েই শুভেন্দু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গাড়িতে তোলার পরেও মিছিল এগোতে থাকে। এর পরে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পুলিশ আটক করে। তবে সুকান্ত পতাকা নিয়ে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শমীককে তোলার সময়ে সুকান্তকেও গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তবে, সেই সময় কর্মীরা ছিনিয়ে নেন সুকান্তকে। ঘটনার পর পরই সুকান্ত বলেন, “বাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার একমাত্র সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা। আর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই এই অভিযান। বিচার না-পাওয়া পর্যন্ত পথেই থাকবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    পুলিশকে ধাওয়া

    এদিন মিছিলে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি হাঁটেন প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহেরা। মিছিলে আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা প্রতীকী হাতকড়া, ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাঁটেন। পুলিশের গাড়িতে বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েক জন উঠে যাওয়ার পরেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এর পরে অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলেও পুলিশকে ধাওয়া করে একদল বিজেপি কর্মী।  একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল।

    শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ

    মিছিলের সামনে থাকেন সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে চাওয়া অনেক কর্মীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, মিছিল এগোতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রেফতার হওয়া কর্মীরা। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের গাড়ির উপরে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী থাকায় বিজেপি কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এর পরে সুকান্ত, দিলীপরাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে রাস্তার ওপরে বসে পড়েন। পরে সেখানেই ছোট একটি সভা হয় বিজেপির। বক্তব্য রাখেন দিলীপ ও সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, “পুলিশ অনেক বাধা দিলেও স্বাস্থ্য ভবনের প্রবেশ দ্বারে পৌঁছে গিয়ে সফল হয়েছে দলের অভিযান। রাজ্য সরকার এখনও আগুন নিয়ে খেলছে। কিন্তু এটা করে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র সব থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি বন্ধন উৎসবের দিন মহিলাদের হাতে রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কাটোয়া শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকানের সামনে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন কাটোয়ার বিজেপির নেতা, কর্মী-সমর্থকরা।

     হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন (Dilip Ghosh)

    এদিন সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মা-বোনেদের হাতে রাখি বেঁধে তাঁদের সুরক্ষার শপথ নিন। পশ্চিমবঙ্গের একটি মহিলার গায়ে হাত পড়বে না, কোনও অসম্মান হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা সুরক্ষিত না। আরজি করে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সরাসরি দায়ী রাজ্য সরকার। আর রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন বলেই রাখি বন্ধন উৎসবের দিন সকল মহিলাদের রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরুষদের।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে ছাত্র-যুব সকলে এক হয়ে গিয়েছেন। একটা গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের চিত্র সামনে এনে দিচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     আরজি করে হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক

    এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করের ভিতরে যে সকল দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের লোক।’’ এছাড়াও এদিন তিনি তাঁর ধারালো বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারকে বারবার তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন-পীড়ন নীতি নিয়ে কাজ করছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলছেন, তখন তাঁদেরকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না তাঁদের দলের নেতা-সাংসদরাও।’’ এদিন তিনি এও বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা বর্তমানে মুখ খুলছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের মতো অবস্থা এখানে হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী মানসিকতা এবং তাঁদের দলের নেতাদের ধমক-চমক দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা, এগুলি আর চলবে না। তাঁরাও এবার মুখ খুলতে শুরু করছেন।’’ এদিন তিনি ‘চায়ে পে চর্চা’-য় এসে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হওয়ার পর কাটোয়া স্টেশনে গিয়ে স্টেশনের সাধারণ মহিলা যাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। মহিলাদের থেকে তিনিও রাখি পরেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’,  বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির প্রবীণ এই নেতার দাবি, বাংলাদেশে এখন যারা অরাজকতা করছে, হিংসা চালাচ্ছে, তাদেরই মতো একদল ভারতে ঢুকে সিএএ পাস হওয়ার পর দিকে দিকে আগুন জ্বালিয়েছিল। লুট করেছিল। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে তারাই পশ্চিমবঙ্গের একাংশ দখল করে রেখেছে। বুধবার সকালে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘের পিঠে চড়েছেন। যেদিন নামবেন সেদিন সবার আগে ওনার ঘাড় মটকাবে। 

    তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন,  ‘বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল।’ তাঁর দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে ভোট পরবর্তী হিংসা চালিয়েছিল এরাই। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছিল, খুন করেছিল। এদের মতোই লোকজন বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর তৃণমূলের হয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি দিলীপের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বললেন, ‘এরাই এখানে তৃণমূলকে দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ভাবছেন, এরা তাঁর পক্ষেই আছে, তাই মুখ বন্ধ রেখেছেন।’ দিলীপের সাবধানবাণী, ‘এক দিদি গিয়েছেন, আরেক দিদি হয়ত সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন। তৃণমূল ভবিষ্যৎ দেখে রাখুক, এই আগুন থেকে তারাও বাঁচবে না।’  

    আরও পড়ুন: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি হাসিনা, দাবি পুত্র জয়ের! ভারতেই থাকবেন?

    প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষের মত, ‘যারা সমাজ বিরোধী তারা কোনও দলের নয়। না হলে, তারা কী করে সংসদ ভবন লুট করতে পারে? প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লুট করতে পারে? সেগুলো তো সব দেশেরই জিনিস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share