Tag: Disease X

Disease X

  • Disease X: করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী মহামারি! কী এই ‘ডিজিজ এক্স’, যা নিয়ে চিন্তিত ‘হু’

    Disease X: করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী মহামারি! কী এই ‘ডিজিজ এক্স’, যা নিয়ে চিন্তিত ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (Covid-19) থেকেও প্রায় ৭ গুণ প্রাণঘাতী ভাইরাস হানা দিতে পারে। সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের (Britain) স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে। ভাইরাসকে ‘ডিজিজ এক্স’ বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনার জেরে যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়, ‘ডিজিজ এক্স’-এর থাবায় তার চতুর্গুণ মৃত্যু এবং ভয়াবহতা মানুষ দেখতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। 

    কেমন এই ভাইরাসের প্রকৃতি

    ২০২০ সালে ছড়ায় কোভিড-১৯।  যা গোটা বিশ্ব জুড়ে ৭০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, আরও বড় মহামারী প্রত্যক্ষ করতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আর এর জন্য গোটা বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই সম্ভাব্য মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিজ এক্স’। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল, এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাইরাসকে এক্স বলে সম্মোধন করা হয়েছে।

    ‘ডিজিজ এক্স’ কথার অর্থ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হল, এমন একটি রোগ, যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কী ভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনও অজানা। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যে কোনও একটি মারাত্মক অতিমারিতে রূপান্তরিত হতে পারে।’’ 

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াস

    ডেম আরও বলেন,  “আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি। তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি  প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।” এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে সেইগুলির উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই তামাম বিশ্বকে সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডহানাম গেব্রেইসাস। তিনি বলেছিলেন, করোনার (Covid) চেয়েও ভয়ঙ্কর কোনও মারণ ভাইরাস হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে বিশ্বকে। হু-র প্রধানের সতর্কবার্তার পরেই চর্চা শুরু হয়েছে ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে। হু জানিয়েছে, ডিজিজ এক্স হল কোনও মারাত্মক মহামারি, যা ফের হামলা করতে পারে তামাম বিশ্বে। তবে ওই রোগের কারণ জানা যাবে না। ২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার হয় ‘ডিজিজ এক্স’ শব্দটি। ডিজিজ এক্সের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই  চিকিৎসক-গবেষকরা গবেষণা ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ফান্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।

    ডিজিজ এক্স (Disease X)

    হু-র কর্তাদের আশঙ্কা, ডিজিজ এক্সের প্রভাবে করোনার মতো আরও একটি আন্তর্জাতিক মহামারি হতে পারে। এর আগে হু-র ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯, ইবোলা, মারবার্গ, সার্স নিপা এবং জিকার মতো ভাইরাসগুলির নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ডিজিজ এক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিজ এক্স করোনার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে হতে পারে। এটা শুধু মানুষের মধ্যে নয়, মানুষ থেকে প্রাণী কিংবা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। প্রাণী থেকে প্রাণীতেও ছড়াতে পারে ডিজিজ এক্সের জীবাণু।

    ডিজিজ এক্সের (Disease X) উপসর্গ

    ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের গবেষক প্রণব চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের শেষের দিকে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। হু কর্তার মতে, ডিজিজ এক্সের কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। তাই আগাম কোনও প্রতিষেধক তৈরি কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। তাই ফের মহামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে ফের লকডাউনের মতো পথে হাঁটতে হতে পারে বিশ্বকে। করোনায় গোটা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ডিজিজ এক্সের (Disease X) প্রভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অতএব, সাধু সাবধান!

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share