Tag: district news

district news

  • Raju Bista: জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    Raju Bista: জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিটিএ নির্বাচন (gta election) রুখবই। শুক্রবার জোর গলায় জানিয়ে দিলেন পাহাড়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত (Raju Bista)। জিটিএ নির্বাচনকে অবৈধও ঘোষণা করেন রাজু। এদিনই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার (Bengal govt)। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য রাজুর।

    ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হওয়ার কথা। জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় পাহাড়ের সিংমারিতে অনশন করছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বিমলের সুরে সুর মিলিয়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করলেন এবার রাজুও। তিনি বলেন, জিটিএ নির্বাচন অবৈধ। কারণ হিসেবে রাজু বলেন, জিটিএ চুক্তি ছিল ত্রিপাক্ষিক। তাই কেন্দ্র এবং চুক্তির একটি পক্ষ মোর্চাকে এড়িয়ে এক তরফা নির্বাচন করা যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিন শিলিগুড়ির নকশালবাড়িতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজু। সেখানেই জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, আগে পাহাড় সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। কয়েক দশক ধরে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় না। কার্শিয়াং ও কালিম্পং পুরসভার নির্বাচন এখনও বাকি। এমতাবস্থায় এসবে নজর না দিয়ে রাজ্য সরকার গায়ের জোরে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইছে। তাঁর অনুগামীদের পাহাড়ের মসনদে বসাতে চাইছেন। আমি এসব নিয়ে দিল্লিকে রিপোর্ট দিচ্ছি। সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচন রুখব। তাঁর মতে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে একটি অবৈধ বিষয়কে টেনে তোলার চেষ্টা করছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের এই চেষ্টা তৃণমূল সরকারের হতাশা এবং আমাদের অঞ্চল ও জনগণের প্রতি তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব উভয়ই প্রদর্শন করে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার জোর করে জিটিএ চাপিয়ে দিতে চাইছে।

    আরও পড়ুন : ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    রাজু বলেন, গত ২০ বছর ধরে রাজ্য সরকার আমাদের অঞ্চলে ভোট করেনি। এভাবে জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। পঞ্চায়েত সম্পর্কিত উন্নয়ন তহবিল ও বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের অঞ্চলকে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট করেনি। এখন জিটিএ চাপিয়ে দিচ্ছে।

    পাহাড়ে গণতন্ত্র নেই বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ। বলেন, এই অঞ্চলে গণতন্ত্র নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোট হয় না। রাজুর অভিযোগ, ভোট হয় তৃণমূলের ক্যাডারদের কাজে লাগিয়ে। বিজেপি সাংসদ বলেন, এটা সকলের কাছে স্পষ্ট যে, জিটিএ দার্জিলিং পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের মানুষের সুবিধার জন্য নয়। এটি আমাদের অঞ্চলের মানুষের আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে না। আমাদের অঞ্চলের উন্নয়নও করতে পারে না। তৃণমূলের শাসনে আমাদের এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যের শিকার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আমাদের অঞ্চল ও মানুষের উন্নতির জন্য কখনও আন্তরিক নয়।

     

  • Panchayat Election: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ২৬ জুন, শুরু মনোনয়ন জমা নেওয়া

    Panchayat Election: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ২৬ জুন, শুরু মনোনয়ন জমা নেওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটিশ জারি হয়ে গেল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের। ভোট হবে ২৬ জুন। আজ, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পর্ব। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক করেন জেলাশাসক এস পুন্নমবালম। তিনি জানান, নির্বাচন পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুথ রয়েছে ৬৫৭টি। জেলাশাসক জানান, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে বুথের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জন্য মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ব্লক অফিসে। এসডিও অফিসে জমা নেওয়া হবে মহকুমা পরিষদের মনোনয়নপত্র। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৩৮। জেলাশাসক জানান, মহকুমা পরিষদের আসন সংখ্যা ৯। চারটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৬৬। ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ৪৬২টি আসন। পোলিং স্টেশন রয়েছে ৬৫৭টি। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার শেষ তারিখ ২ জুন। মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে ৪ জুন। ওই মাসেরই ৭ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে। ফল গণনার দিন জানানো হবে পরে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট কর্মীদের প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ২, ৩ ও ৪ তারিখে। ৬ হাজার কেন্দ্রের জন্য নিযুক্ত হবেন ভোটকর্মীরা। যে কেন্দ্রে ভোট হবে, সেই কেন্দ্রের বাসিন্দারা সেই কেন্দ্রের ভোটকর্মী হতে পারবেন না। দার্জিলিং জেলা ছাড়াও লাগোয়া জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর থেকেও কিছু ভোটকর্মী নেওয়া হবে। রবিবার বা অন্য কোনও সরকারি ছুটির দিন মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে না। ডিসিআরসি ও ভোট গণনা কেন্দ্রের মধ্যে মাটিগাড়ার ক্ষেত্রে নরসিংহ বিদ্যাপীঠ, নকশালবাড়ির ক্ষেত্রে হাতিঘিষা হাইস্কুল, ফাঁসি দেওয়ার জন্য ফাঁসিদেওয়া হাইস্কুল, খড়িবাড়ির জন্য খড়িবাড়ি হাইস্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ব্যালট নয়, এবারও ভোট হবে ইভিএমে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?     

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ব্যালটে ভোটের দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি যে ধোপে টিকল না, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ইভিএমে করার সিদ্ধান্তই তার বড় প্রমাণ।

     

  • Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আদালতের। বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দিতে সিআইডিকে (West Bengal CID) নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনায় ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (Mamata Government)।

    সিবিআই থেকে ইডি বা এনআইএ – রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তদন্তের দায়ভার পড়ছে কেন্দ্রীয় এই সব এজেন্সির হাতে। বছর তিনেক আগে এক মাসের ব্যবধানে বীরভূমে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তাল এনআইএ-র ওপর।

    বিস্ফোরণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট, বীরভূমের সদাইপুরের রেঙ্গুনি গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জনৈক হাইতুন্নেশা খাতুনের গোয়ালঘরের চাল। এই ঘটনার জেরে বাতাসে লেগে থাকা বারুদের গন্ধ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের লোকপুরের গাংপুর। ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। পুলিশের হাত ঘুরে দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় সিআইডির(CID) হাতে। আদালতের নির্দেশে পরে যে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।

    তদন্তভার পাওয়ার পরেও তদন্তের কাজ বিশেষ না এগনোয় রাজ্যকেই দুষতে থাকে এনআইএ। দ্বারস্থ হয় বিশেষ আদালতের। এরপর নথি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চেয়ে এনআইএ-র বিস্তৃতি আরও বেশি, সেজন্য ন্যায়-বিচারের স্বার্থে দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে।

     

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হানা পুলিশের। পুলিশি হানার কারণ জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন এক অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী এদিন নন্দীগ্রামে মহুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কার্যালয়ে হানা দেয়। অভিযোগ, আগাম কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

    ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের। তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছি। 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপালকে জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু নিজেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে আচমকা আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”

    [tw]


    [/tw]

    পদ মর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান। তাই ঘটনাটি বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের ইতিহাসের লজ্জাজনক দিন। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি, যেখানে সাংবিধানিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের কার্যালয় পর্যন্ত পুলিশ পাঠাতে বাকি রাখল না পশ্চিমবঙ্গের শাসক। এই ঘটনা এক প্রকাশ গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন অপরাধ দমন কম, বিরোধী দমন করতেই বেশি তৎপর।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

     

     

     

  • Suvendu on Coal Trucks: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে শতাধিক বৈধ কয়লার লরি, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu on Coal Trucks: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে শতাধিক বৈধ কয়লার লরি, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তার পরেও নথিপত্র পরীক্ষার নামে আসানসোলের (asansol) কাছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হেনস্থা করা হচ্ছে কয়লা বোঝাই গাড়ির (coal laden truck) চালকদের। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ট্রাক চালকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (suvendu) অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা করা হচ্ছে ট্রাক চালকদের।

    বেআইনি কয়লা পাচারে রাশ টানার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুডি চেকপোস্ট এলাকায় কয়লা বোঝাই ট্রাক তল্লাশিতে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। তার জেরে আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানায় তিনদিন ধরে আটকে রয়েছে কয়লা বোঝাই লরি ও ডাম্পার। তার জেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা।

    সূত্রের খবর, তল্লাশিতে আটকে যাচ্ছে ইসিএল (ECL) ও বিসিসিএলের (BCCL) খনি থেকে আসা কয়লার লরিগুলিও। প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসিএল ও বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। তবে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর না এসে পৌঁছানোয় লরি নিয়ে ঠায় বসে থাকতে হচ্ছে চালকদের। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে রাহা খরচ। টান পড়েছে রসদে। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন লরি চালকরা। সূত্রের খবর, চালকদের বিক্ষোভে কাজ হয়েছে। তিন দিন ধরে আটকে থাকা লরিগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসে দাঁড়িয়েছে আরও শ’দেড়েক লরি।

    ক্ষুব্ধ লরিচালকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ঝাড়খণ্ড ও আসামের মতো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির লোডিং ইউনিটগুলি প্রভাবিত হচ্ছে। বৈধ অপারেশন করা হচ্ছে ভোগান্তি। এসব কি “ভাইপো ভ্যাট” আদায়ের জন্য? কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতায় পুরনো কূপগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় নতুন পথ তৈরি হচ্ছে?” 

    [tw]


    [/tw]

    কয়লা কেলেঙ্কারিতে (coal smuggling scam) নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এদিন নাম না করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু তাঁকেই নিশানা করেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    এদিকে, কয়লা বোঝাই ট্রাক আটকে থাকায় টান পড়েছে জ্বালানির ভাঁড়ারে। কয়লার অভাবে উৎপাদন থমকে গিয়েছে রানিগঞ্জের বেঙ্গল পেপার মিলে। সমস্যায় পড়েছেন ওই মিলের শ’তিনেক শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উৎপাদন। কয়লার অভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে জামুড়িয়া শিল্পতালুকের বিভিন্ন ইস্পাত কারখানায়ও। মঙ্গলবার জামুড়িয়া শিল্পতালুকের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর (Asansol-Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটে।  

     

  • Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পুলিশ কেন হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে? সোমবারই তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) মামলা দায়ের করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিনা নোটিসে তাঁর অফিসে কেন পুলিশি হানা? প্রশ্ন তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার হবে এই মামলার শুনানি।

    শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনকড়

    পদমর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসে হানা দিতে গেলে আগাম নোটিশ জারি প্রয়োজন। অথচ রবিবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। কার্যালয়ে থাকা লোকজন বাধা দিলেও, পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, আগাম নোটিস, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হানা দেয়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বাজি ধরে শুভেন্দুকে। একদা বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে ‘হেরে’ যান মমতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার(opposition leader) দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কার্যালয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেত্রীরই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। সেই কারণেই সার্চ ওয়ারেন্ট এবং আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হানা দেওয়া হয়েছে তাঁর কার্যালয়ে।

    আরও পড়ুন : ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

     

     

  • Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চার ঘণ্টার জেরা। তাই বোধহয় ধকল সইতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata mandal)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তিনি চলে যান নিজাম প্যালেসে, সিবিআই(cbi) দফতরে। সেখানেই গরু পাচারকাণ্ডে(cow smuggling scam) জেরা করা হয় তাঁকে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অনুব্রত সটান চলে যান এসএসকেএমে(sskm)।

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল জেরার সময় বেশ কয়েকবার অনুব্রতর নাম করেছে। সেই কারণেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করা জরুরি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই জেরাই হল বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিন সকালে ১০টা বাজার ঢের আগেই অনুব্রত হাজির হয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিলে সাড়ে ১০টায়। আগাম চলে যাওয়ায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় গেস্ট রুমে। সাড়ে ১০টা বাজাতেই ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিন দফায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জেরা চলে ঘণ্টা চারেক ধরে। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। যদিও বুকে ব্যথা অনুভব করায় নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানে ফের উডবার্ন ওয়ার্ডে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গত ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন বলে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বের হন অনুব্রত। সেদিনও বুকে ব্যথা অনুভব করায় তিন সোজা চলে যান এসএসকেএমে। পরে ভর্তি হন উডবার্ন ওয়ার্ডে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রত জানান ২১ মে-র পর তিনি সিবিআই দফতরে যেতে পারেন। তার দু দিন আগেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।  

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    অসুস্থ হলেও, অনুব্রত যে সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পাবেন না, তা আগেই জানিয়ে ছিলেন বিজেপির(bjp) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)। তিনি বলেছিলেন, জেলে থাকলে ঠিক আছে, হাসপাতালে থাকলে তাঁর(অনুব্রতর) বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এনি হাউ তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারও।

     

  • Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির দুর্নীতির (SSC scam) টাকায় প্রয়াত স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে বেসরকারি স্কুল করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu)। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ওই স্কুল রয়েছে, দাবি শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার দাবি, সুরম্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে বিপাকে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তৃণমূল সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও (Paresh Adhikary) বার কয়েক জেরা করেছেন তাঁরা। অবৈধভাবে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাওয়ায় পরেশের কন্যা অঙ্কিতাকে (Ankita Adhikary) বরখাস্তও করেছে আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এসএসসির দুর্নীতির টাকায় আখের গুছিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর দাবি, পার্থর ওই স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হয়। সবুজের মাঝে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামো এই স্কুলে রয়েছে। স্কুল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটিরও বেশি টাকা। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। সবুজের মাঝে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে ভরা এই স্কুল বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে।

    আরও পড়ুন : শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, বিসিএস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার পিছনে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর একটি ট্যুইটে শুভেন্দু জানান, কাকতালীয়ভাবে বিসিএস বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়ালের সংক্ষিপ্ত রূপ। যা তাঁর স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই তাজমহল (Taj Mahal) স্বরূপ স্কুলের নির্মাণ কার্যের সময় বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করেছিলেন।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    The swanky BCM International School has been recently developed at Pingla; Paschim Medinipur. The school is offering world class infrastructure with plush interiors, lush green landscaping and what not besides imparting education.

    Don’t get confused. This is not an advertorial.

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 22, 2022

    [/tw]

    এর পরেই শুভেন্দুর কটাক্ষ-ট্যুইট, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Teachers recruitment scam) তহবিল কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? তাঁরা জানেন কোথা থেকে শুরু করতে হবে? কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাতা। তাঁর কাকা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করেন।

     

  • insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের রাজত্বে বাংলা হয়েছে জেহাদিদের (jihadi) আঁতুড়ঘর। রাজ্যটি জেহাদিদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে।” এমনটাই মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumder)। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত এক মহিলা কনস্টেবলের কাছ থেকে ইনস্যাস (Insas) রাইফেল ছিনতাই প্রসঙ্গে এমন ট্যুইট করেন সুকান্ত।

    বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা কনস্টেবল পাহারা দিচ্ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh border) ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল (Assault rifle) ও ২০ রাউন্ড গুলি। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, প্রহরারত মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা তাঁর সঙ্গে থাকা রাইফেল ও গুলি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।  

    এরপরই এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। আটক করা হয় এক ডজনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত হদিশ মেলেনি খোয়া যাওয়া রাইফেলের। শেষমেশ বিএসএফের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বসিরহাট থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি টমাস কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের একটি ইনসাস রাইফেল (insas rifle) চুরি গিয়েছে বলে আমরা বিএসএফের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা মামলা শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের একটি অংশের মতে, রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিতে পারে।

    বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, “তৃণমূলের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ জেহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ঘোজাডাঙার এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ রাজ্য জিহাদিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

LinkedIn
Share